নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার

সোহান চৌধুরী

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

সোহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথাকথিত শবে বরাত বর্জন করুন এবং বিদ\'আতের গোনাহ হতে নিজেকে মুক্ত রাখুন।

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

আগের দুটি লেখায় আমি শবে বরাত বর্জন এবং এটি কেন একটি বিদ'আত সে সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। এই পর্যায়ে দেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. খন্দকার আবুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বয়ান তুলে ধরছি। তিনি এই তথাকথিত শবে বরাত সম্পর্কিত বিভিন্ন যইফ ও জাল হাদিস নিয়ে কিছু সুন্দর আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, ঠিক এই মুহুর্তে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই তথাকথিত শবে বরাতকে কিভাবে ডীল করতে হবে এ ব্যাপারেও তার নিজস্ব কিছু মতামত ব্যক্ত করেছেন। আসুন দেখা যাক তিনি কি বলছেন:

শবে বরাত
মূল: ড. খন্দকার আবুল্লাহ জাহাঙ্গীর
------------------------------------------
১। সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, এ রাত্রিতে আল্লাহ্ মুশরিক ও বিদ্বেষে লিপ্ত মানুষ ছাড়া অন্যদেরকে ক্ষমা করেন। কিন্তু এ রাত্রিতে বিশেষ কোন আমল করতে হবে বা এ রাত্রির ক্ষমা লাভের জন্য বান্দাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে বলে কোনো সহীহ হাদীস বর্ণিত হয় নি।

২। এ রাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে একাকী কবর যিয়ারত করা, মৃতদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা চাওয়া, নিজের পার্থিব ও পারলৌকিক কল্যাণ ও মুক্তির জন্য পার্থনা করার উৎসাহ প্রদান করে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং সবগুলো হাদিসের সনদেই দূর্বলতা আছে। তবে কয়েকটি হাদীসের দূর্বলতা সামান্য। একাধিক বর্ণনার মাধ্যমে যে দূর্বলতা দূরীভূত হয়। তাই প্রথম প্রকারের সহীহ হাদীস, এ পর্যায়ের বিভিন্ন সামান্য দূর্বল [হাসান লি-গাইরিহী] পর্যায়ের হাদীস এবং কোনো কোনো তাবিয়ীর কর্মের আলোকে আমরা মনে করি যে, এ রাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে কবর যিয়ারত করা বা মৃতদের জন্য দু’আ করা, ব্যক্তিগতভাবে একাকী ইবাদত ও দু’আ মুনাজাতে রত থাকা সুন্নাত সম্মত।

৩। এ সকল ইবাদত দলবদ্ধভাবে আদায় করা, সে জন্য মসজিদে বা অন্য কোথাও সমবেত হওয়া, উক্ত রাতে বিশেষভাবে গোসল করা, নির্দিষ্ট সূরাহ পাঠের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে নামায আদায়, হালুয়া-রুটি তৈরি ও বিতরণ করা, বাড়ি, গোরস্থান বা কবরে আলোকসজ্জা করা ইত্যাদি কর্ম একেবারেই ভিত্তিহীন, সুন্নাত বিরোধী এবং নব উদ্ভাবিত কর্ম।

৪। ১৫ ই শাবানের দিবসে সিয়াম পালনের ফযিলতে কোনো নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্নীত হয় নি। তবে শাবান মাসে বেশি বেশি সিয়াম পালন, বিশেষত প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত সিয়াম পালন রাসূলুল্লাহ [ﷺ] -এর সুপরিচিত সুন্নাত। এ ছাড়া প্রত্যেক মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম পালনও সুন্নাত। এজন্য সম্ভব হলে শাবানের প্রথম ১৫ দিন, না হলে অন্তত ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম পালন উচিত।

৫। এ রাত্রিতে ভাগ্য লিখা হয় মর্মে রাসূলুল্লাহ [ﷺ] ও সাহাবীগণ থেকে বর্ণিত সকল হাদীস বানোয়াট, মিথ্যা বা দূর্বল।

৬। সূরাহ দুখানে উল্লিখিত ‘মুবারক রজনী’ বলতে “শবে বরাত” বুঝানো হয়নি, বরং “শবে কদর” বুঝানো হয়েছে। কুর’আনের বিভিন্ন আয়াতের সমন্বিত অর্থ ও সাহাবী-তাবিয়গনের ব্যখ্যার আলোকে এ কথা নিশ্চিত যে, মুবারক রজনী বলতে লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে। কাজেই সূরাহ দুখানের আয়াতগুলি মধ্য-শাবানের রজনীর জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে মধ্য শাবানের রজনীর পৃথক মর্যাদা রয়েছে, যা আমরা উপরের হাদিসগুলি থেকে জানতে পেরেছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.