নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার

সোহান চৌধুরী

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

সোহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খ্রিস্ট মিশনারীদের রুখে দিন

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

সারা পৃথিবীজুড়ে খ্রিস্ট মিশনারীদের অপতৎপরতা চালু আছে। অপতৎপরতা বললাম কারণ তারা তাদের ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে মিথ্যাচার, ভণ্ডামি, লোভ দেখানো, ভয় প্রদর্শনসহ অনেক ধরনের অসৎ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশসহ বাংলাদেশেও বহুদিন আগে থেকেই এই খ্রিস্ট মিশনারীরা সক্রিয়। বাংলাদেশে এদের বিচরণক্ষেত্র মূলত গ্রামাঞ্চল ও বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা যেখানে লোকজন অজ্ঞতা এবং আর্থিক দৈন্যদশায় অভিগ্রস্ত। ভণ্ড মিশনারীরা এই বিষয়টাই কাজে লাগিয়ে থাকে। আমাদের দেশে মিশনারীরা "ঈসাই মুসলিম" নামে নিজেদের কার্যক্রম চালায় যা কিনা এদের দুই নম্বরির অন্যতম একটি উদাহরণ।

মিশনারীদের ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ আশা করে লাভ নেই। বরং দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ এবং বিভিন্ন ইসলামী দলগুলোকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের যেসব স্থানে মিশনারীদের কার্যক্রম রয়েছে সেসব স্থান চিন্হিত করে সেখানে গিয়ে হিকমতের সাথে দীন ইসলাম প্রচার করতে হবে। সেখানকার অজ্ঞ মানুষগুলোকে কোরআন ও সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান দান করতে হবে। তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে হবে। এবং অবশ্যই মিশনারীদের মিথ্যাচার সম্পর্কে এই মানুষগুলোকে অবহিত করতে হবে। এই কাজ মোটেও কঠিন কিছু নয়।

এটা উল্লেখ করা জরুরী যে বিশ্বের উন্নত প্রভাবশালী দেশগুলোই এই খ্রিস্ট মিশনারীদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের হাত অনেক বিস্তৃত। মিশনারীরা ইতিমধ্যেই ছলে, বলে, কৌশলে এ দেশের বহু অজ্ঞ, গরিব মুসলমানদেরকে ঈসাই মুসলিম তথা খ্রিস্টানে পরিনত করতে সক্ষম হয়েছে! করে যাচ্ছে। দেশের আলেম সমাজের উচিত মাজহাব মানা না মানা নিয়ে নিজেদের ভেতর ঝগড়া, দলাদলি এসব বাদ দিয়ে অবিলম্বে এই খ্রিস্ট মিশনারীদের অপতৎপরতা মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করা। ইতিমধ্যেই অনেক দেরী হয়ে গেছে! বাংলাদেশে আর্থিকভাবে শক্তিশালী যেসব ইসলামী সংগঠন রয়েছে, তাদের এখানে বড় ধরনের ভুমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের দরিদ্র অশিক্ষিত মানুষগুলো এদের টার্গেট। তবে ওরা কোনরূপ জোরা জুরি করে বলে শুনিনি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

সোহান চৌধুরী বলেছেন: ওরা যা করে সেটা জোরাজুরির চেয়ে কম না।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশের আলেম সমাজের উচিত মাজহাব মানা না মানা নিয়ে নিজেদের ভেতর ঝগড়া, দলাদলি এসব বাদ দিয়ে অবিলম্বে ইসলামের প্রকৃত রুপের বাস্তবায়ন করতে তাদের প্রতি দায়িত্ব পালনে উদ্যোগ নেয়া।
যার প্রতিবেশী অনাহারে রাত্রিযাপন করে তার ইবাদত আল্লাহর কাছে মূল্যহীন। অথবা সূরা মাউনের
যারা ইয়াতিম দরিদ্র মিসকিনদের সাহায্য করেনা তারাই যে বেদ্বীন! সেই সত্যকে উপলদ্ধি করে সত্বর নিজের দ্বীনকে পূর্ণ করতেই আপামার জনতার দিকে ইসলামের নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন শুরু করা উচিত।

কাউকে ঠেকানো প্রয়োজন পড়বে না। সত্যের আলোয় যখন চোখ উদ্ভাসিত থাকে তখন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা এমনি ভেসে যায়!

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: একই সাথে নাস্তিক মিশনারিও বেশ সক্রিয়!

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: পুরাই বালের আলাপ। আমাদের দেশের মুসলমানরা কী করতেছে? প্রতি বছর যে ২.৫% হারে যেই যাকাত ফরজ হয় সেইটা কয়জনে ঠিকঠাক আদায় করে। দেশের পঞ্চাশভাগও সামর্থ্যবান লোক যদি শুধু যাকাত ঠিকমত আদায় করত, তাইলে এই বালের পোস্ট দেখা লাগত না। নিজের পাছার উপর নাই কাপড়, অন্য মাইরা দিলেই শুধু অন্যের দোষ।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

বিদেশ পাগলা বলেছেন: অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্র প্রধান স্বৈরাচারী, লোভী, হিংসুটে, স্বার্থপর, তোষামোদী-খঁয়ের খা, মুনাফিক ,মিথ্যাচারী ও সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল । তাদের অধিকাংশই সময় মদ ও নারী দ্বারা আসক্ত থাকে । একে তো নেই ইসলামের নূন্যতম মৌলিক জ্ঞান আর যা আছে বিলাসিতার কারণে মুসলমানদের জন্য কিছু করার মত সময় তাদের নেই । দুঃখ জনক ও অপ্রিয় হলেও চরম সত্য কথা এটি । রাষ্টীয় শক্তি ছাড়া ইসলামের জন্য তেমন কিছু করা সম্ভব নয় । তবে তাই বলে হাত গুটিয়ে রাখলে চলবে না । ব্যক্তিগত ভাবে হলেও সাধ্যমত কিছু করা । খ্রীস্টান মিশনারীরা সব চেয়ে বেশী ক্ষতি করছে আফ্রিকা মহাদেশে । শিরীণ পাবলিকেশনের ডঃ মুহাম্মদ সিদ্দিকীর লেখা---- “সংঘর্ষের মুখে ইসলাম ” বইটি পড়ার অনুরোধ রইলো । বাংলাদেশে দারিদ্রপীড়িত এলাকা, নিচু বর্ণের হিন্দু ও পার্বত্য এলাকার উপজাতিদের নিয়ে ব্যাপক কাজ করছে । সুদুর প্রসারী ভারত,বাংলাদেশ ও বার্মার কিছু অংশ নিয়ে স্বপ্নের খ্রীস্টান রাজ্য গড়ার পরিকল্পনা করছে । এরপর পূর্বতিমুর বা দক্ষিন সুদানের মত গনভোট অতঃপর স্বাধীন রাষ্ট্র । লেখক কে অনেক ধন্যবাদ ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৩

সোহান চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। হ্যা, আপনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন। ওরা এই অঞ্চলে একটি স্বাধীন খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যই কাজ করছে। মিশনারীদের মূল পৃষ্ঠপোষক হলো আমেরিকা। দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার ভেতরে আমেরিকার একটি স্বতন্ত্র চৌকি জরুরী হয়ে পড়েছে। জিওগ্রাফিক্যালি, ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার, এই তিন দেশের সীমান্তবর্তী জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টা আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে উপলব্ধি করছে।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

বিদেশ পাগলা বলেছেন: নেক ধন্যবাদ ! শান্তি জন্য এই উপহার ........

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

পুলক ঢালী বলেছেন: ধর্ম বিষয়টি খুব সেনসিটিভ । এই বিষয়ে লিখতে গেলে পরিপূর্ন জ্ঞান দরকার । নাহলে বিষয়টা একতরফা হয়ে যায় । ধর্মটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত এটাকে ডিক্টেট করার অধিকার কারও নেই তারপরও আমরা এই কাজটি করে থাকি । আপনিই বলুন বাংলাদেশে মুসলমানদের শিকড় কত দিনের বা বৎসরের ? এদেশের বেশীরভাগ মুসলিম অন্য ধর্ম থেকে আগত মুসলিম । মোগল আমল থেকে এর প্রচার শুরু । এরপর ইংরেজরা আসার পর খৃষ্ট ধর্মের প্রচার শুরু । এখানে ধর্মীয় পরিচয় হয় জন্মসূত্রে, কেউ শিখে পড়ে ধর্ম গ্রহন করেনি । আসলে ধর্মের মহিমা ও আচরণ দেখে আকৃষ্ট হয়েই যে যার পছন্দমত ধর্ম গ্রহন করে পালন করবে এটাই হওয়া উচিৎ । আপনার পূর্বপূরুষ যদি ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহন করলে দোষ না হয়,( উদাহরন মাত্র কারন অনেক পীর আউলিয়ার বংশধর আছেন যারা আরবেই ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহনকরে এ দেশে এসেছেন ধর্ম প্রচার করতে অর্থাৎ তারা মুসলিম হিসাবেই এদেশে এসেছেন আগেই ধর্মান্তরিত হয়ে এসেছেন, এদেশে এসে ধর্মান্তরিত হননি আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি হযরত মুহাম্মদ সঃ এর পিতা মাতা পাগান ধর্মের অনুসারী ছিলেন সেই হিসাবে নবীজীও পাগান ধর্মের অনুসারী ছিলেন ) তাহলে অন্য কোন জাতের মানুষ অন্য কোন ধর্ম গ্রহন করলে সমস্যা কোথায় । মানুষ লোভে পড়ে প্রান হাতে নিয়ে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে সেখানে লোভকে দোষারোপ করে কি লাভ ? লোভ ঘৃনা ঈর্ষা রাগ এগুলোতো মানুষেরই রিপু । তাই ধর্মান্তর ব্যপারটা অনেক আদিম যুগ থেকে চলে আসছে এখনো চলছে ভবিষ্যতেও চলবে । কেন মাঝে মাঝে দেখেন না মুসলিম মেয়ে হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করে আবার হিন্দু মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হচ্ছে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.