নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার

সোহান চৌধুরী

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

সোহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ জামাতের পিকনিক সমাচার!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮



টঙ্গীতে মহা সমারহে আরম্ভ হতে চলেছে বিদ'আতি মাউলানা (!!) ইলিয়াস মেওয়াতীর স্বপ্নে পাওয়া ইজতেমা যেটি বর্তমানে বিশ্ব ইজতেমা নামে বাংলাদেশে পরিচিত! এই ইজতেমাকে কোনো ইসলামী সম্মেলন বা দাওয়াতে তাবলীগ না বলে ধর্ম ব্যবসায়ীদের বাৎসরিক পিকনিক বলাই শ্রেয়। লাখো প্রতারণার এক কঠিন জাল হচ্ছে এই ছয় উছূলী তাবলীগ জামাত ও এদের এই বিশ্ব ইজতেমা। এই কথিত বিশ্ব ইজতেমার গ্যাড়াকলে অবলীলায় ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে মুসলমানদের ঈমান। সহজেই মুসলমানদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে ইসলাম পরিপন্থী বিদ'আতের দিকে। নিস্তেজ করে দিচ্ছে বাতিলের বিরুদ্ধে তথা শিরক, বিদআতের বিরুদ্ধে মুসলমানদের রুখে দাড়ানোর ঈমানী জযবা।

এই তাবলীগ জামাতের প্রবর্তক হলো দেওবন্দ দলের এক কালের সদস্য ইলিয়াস মেওয়াতী, যে কিনা ল্যাংড়া ইলিয়াস নামেও তার দলে পরিচিত ছিল। ইতিহাস বলে, এই ইলিয়াস মেওয়াতী যখন তার চালু করা তাবলীগ জামাতের প্রচারে নামে তখন তার উস্তাদরাই প্রথম এই কার্যক্রমের বিরোধিতা করে। তবুও সে তদানীন্তন ব্রিটিশদের মদদে নামধাম ও দুনিয়াবী ফায়দার লোভে সেই সময়েই হাজার হাজার টাকা খরচ করে লোক ভাড়া করে এবং এদেরকে হুক্কা-বিড়ি খাইয়ে এই তাবলীগ জামাতের প্রচার করানো শুরু করে।

পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদীস দ্বারাও এই ইলিয়াসি তাবলীগের কোনো কাজের বৈধতা দেয়া সম্ভব নয়। এই তাবলীগ জামাত সম্পূর্ণরূপে একটি বিদ'আতি দল। টুঙ্গীর ইজতেমা যে একটি বিদআত ও নাজায়েয সমাবেশ তার বড় প্রমান এই সমাবেশের আখেরী মোনাজাত। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, দুনিয়াতে এমন কোন বাপের ব্যাটা কিয়ামত পর্যন্ত জন্ম নেবে না, যে কিনা কোরআন বা হাদিসের সহিহ সনদের দ্বারা টুঙ্গীর এই ইজতেমা ও এর আখেরী মোনাজাতের বৈধতা দিতে পারে।

এই আখেরী মোনাজাতের উদ্দেশ্যই বা কি? সারা বছর নানান রকম গোনাহে লিপ্ত থেকে বছরে একবার ওই টঙ্গী ময়দানে গিয়ে হাত তুলে দুয়া করলেই বুঝি সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে? এটা নিঃসন্দেহে একটি অবান্তর চিন্তা!
তাছাড়া এই ইজতেমা সম্মেলনে কোরআন ও সহিহ সুন্নাহর আলোকে যতটা না দীন শিক্ষা দেয়া হয়, তারচেয়ে অধিক প্রচার করা হয় বিদআত! মনে রাখা ভালো যে বিদ'আতির ফরজ, নফল কোন ইবাদতই কবুল হবে না। অতএব, এই তথাকথিত বিশ্ব ইজতেমা নামক বিদআতি সম্মেলনটি যেকোনো প্রকৃত মুসলমানদেরই বর্জন করা বাঞ্চনীয়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শুনেছি এখানে গেলে নাকি হজের সওয়াব পাওয়া যায়?
আর এইটা ১ম পর্ব হচ্ছে কদিন পরে ২য় পর্ব হবে। তাহলে আখেরি মোনাজাত কয়বার হয়?
আখেরি মোনাজাত মানে তো শেষ মোনাজাত।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

শিখণ্ডী বলেছেন: কেউ যদি পিকনিক করে আপনার সমস্যা কী? তারা দেশের কোন আইন ভাঙ্গছেন না। আপনি বেদাত প্রসঙ্গ নিয়ে এসেছেন। এইসব ছোট-খাট বিষয় আল্লা্হ ধর্তব্যের মধ্যে আনবেন, আপনার তাই মনে হয়? তার মন নিশ্চয়ই আমাদের মত ক্ষুদ্র নয়, তিনি মহান। ইজতেমায় যারা যাচ্ছেন আল্লাহকে খুশি করতেই যাচ্ছেন। আপনি অন্যভাবে খুশি করতে চাচ্ছেন, আপনার দৃষ্টিতে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

সোহান চৌধুরী বলেছেন: বিদ'আত কোনো ছোট খাটো বিষয় নয়। বিদ'আত অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয় কারণ বিদ'আত পুরো দ্বীনটাকেই পরিবর্তন করে ফেলে। নবীজি বিদআতের ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক করে গেছেন। বিদ'আত মানে হলো সংযোজন। শেষ রাসূল পরলোক গমন করবার পরে দ্বীন ইসলামে কোনো ধরণের সংযোজন বা বিয়োজন করার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি হারামের চেয়ে বড় সমস্যা হলো বিদ'আত। কারণ যারা হারাম কাজ করে তারা অন্তত জানে যে কাজটি তারা করছে সেটা অনুচিত ও ইসলাম অনুমোদন করে না। কিন্তু যারা বিদ'আত করে তারা কাজটাকে ভালো মনে করেই করে! শুধুমাত্র অজ্ঞতা ও ইসলামের সঠিক মাসলা মাসায়েল সম্পর্কে পড়াশুনা না করার ফলেই এই উপমহাদেশের মুসলমানরা বিদ'আত ও শিরকের মতো গুরুতর গুনাহে জড়িয়ে পড়ছে নিজেদের অজান্তেই!

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

পবন সরকার বলেছেন: ভাই এদের পিছনে না লেগে বিশ্বে হাজারো বিদাতের কাজ হচ্ছে সে বিষয়ে লিখুন। কারণ এদের দলে গিয়ে অনেক খারাপ লোককে ভালো পথে ফিরতে দেখেছি। কাজেই সেই দিকে তাকিয়ে এদের কাজকে পুরোপুরি বিদাত বলতে পারছি না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

সোহান চৌধুরী বলেছেন: বিদ'আতের পথ কখনো ভালো হতে পারে না। ইসলাম ধর্ম তো আর ইহুদি বা খ্রিস্টান ধর্মের মতো নয় যে ধর্মের ভেতর যেকোনো সংযোজন, বিয়োজন, সংস্কার বা বিকৃতি মেনে নেয়া যায়। ইসলামের পথে আসতে হলে সঠিক ইসলামের পথেই আসতে হবে। নবীজি তো বলেই গেছেন তাঁর উম্মতের ভেতর ৭৩ টি দল হবে যার মধ্যে মাত্র একটি দল হবে জান্নাতি আর বাকিসব জাহান্নামী। জান্নাতি তারাই হবে যারা সহীহ আকিদাহ ধারণ করেছে এবং শুহুমাত্র কুরআন ও সহীহ হাদিস মোতাবেক দ্বীন পালন করেছে। আর এই তাবলীগ জামাত ও এর ইজতেমায় যা হয় সেখানে কুরআন ও হাদিসের সঠিক শিক্ষা দেয়া হয় না। নানানরকম বিদ'আতি কার্যকলাপ চলে সেখানে।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

কুয়েটিয়ান পাভেল বলেছেন: কি কি বিদাতী কার্যকলাপ চলে সেখানে জনাব অতি পন্ডিত লেখক?

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৫

আরাফাত হোসেন অপু বলেছেন: শুকরিয়া খোদার দরবারে ....আপনার মত কাফের হই নাই!!!!!!

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১১

রিয়াদ হাকিম বলেছেন: অন্তরে এতো হিংসা আর ঘৃণা নিয়ে ঘুমান কেমনে একবার ভেবে দেখবেন, ঐখানে যারা যায় তারা সবাই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে যায়, ঐখানে কেউ কাউকে টাকা দেয়না বা কেউ কারো কাছ টাকা নেয়না, ঐসব ব্যবসা হয় আহলে সুন্নাত নামধারী পীর ইমাম দের হুজরায়।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১২

এক বিন্দু জল বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
ভাই কমেন্ট না করে পারলাম না। আপনি খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন এবং আপনি যা বললেন তা শতভাগ সত্যি কথা। ইসলামে বিদআত নিষিদ্ধ এবং রসুল (সাঃ) বিদআতের বিরুদ্ধে সতর্ক করে গেছেন। সবই সত্যি।
হাদিসের অনেক কিছু আছে যাহা মানুষ জানে না বা জানার চেষ্টা করে না বা জানলেও এর গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে পারে না। অনেক হুজুর বা ইমাম আছেন তারা সাধারন মানুষকে হাদিসগুলো বিস্তারিত বলে না। যাই হোক, কোরআন- হাদিস মোতাবেক জীবন সাজাতে বারবার বলা হয়েছে এবং এটাই ইসলামের সঠিক পথ। এর কোন প্রকার ব্যতয় হলে সেটাতে সওয়াব হবে কিনা জানিনা, গুনাহও হতে পারে আবার সওয়াবও হতে পারে, কেননা বিদআতী কোন কাজই হাদিস দ্বারা প্রমানিত নয়। তাই সবোর্পরি বিদআত অবশ্যই বর্জনীয়।
কিন্তু তার চেয়েও ভয়াবহ জিনিস হলো “ফেতনা-ফ্যাসাদ”। সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি করা, দলাদলি করা। একে অন্যেকে কাফের বলা, জাহান্নামী বলা। যারা বিদআত করছে তারা হয়তো ভুল করছে, কিন্তু আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না, আপনি তাদের থেকেও বড় ভুল করছেন। যারা বিদআত করছে তাদের কর্মের হিসাব তারা দিবে, তাদের কর্মের জন্য আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না, তাদের শাস্তি বা পুরস্কার তারা পাবে, আপনি কেন তাদের কথা ভেবে নিজের সর্বনাশ করছেন। আপনি যদি মনে করেন আপনি সঠিক পথে আছেন তবে আপনি আপনার পথে চলুন, আপনাকে তো ইসলামের নামে কোন্দল সৃষ্টি করার দায়িত্ব দেয়া হয় নাই। আর তাছাড়া কোথাও বলা হয় নাই যে, বিদআত প্রতিহত কর, যারা বিদআত করছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা কর, মারা-মারি, হানাহানি, কাদা ছোড়াছুড়ি কর। বরং নিজেকে বিদআত থেকে রক্ষা করে চলতে বলা হয়েছে। আপনি সেটাই করুন। এতেই মঙ্গল আপনার আমার সকলের।
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম আমাদের ধৈর্য্য শিক্ষা দেয়। আল্লাহ কোরআনে বারবার বলেছেন, আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে থাকেন, ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করেন, ধৈর্য্যশীলরাই সফলকাম, তোমরা সকল ক্ষেত্রে ধৈর্য্যধারন কর ইত্যাদি ইত্যাদি। ইসলামকে রক্ষা করার জন্য কাউকে বলা হয় নাই। বরং আল্লাহ বলেছেন, তিনিই এটার রক্ষক। এবং আজ পর্যন্ত তাই হয়েছে। আল্লাহই তার মনোনিত ধর্ম ইসলামকে রক্ষা করেছেন এবং করবেন। এছাড়াও ইসলামে অন্যের দোষ অন্বেষন করার উপরও কঠোরভাবে নিষেধ করা আছে। প্লিজ এটা নিয়ে আপনারা নিজেদের ক্ষতি করবেন না। সমাজে দলাদলি বা প্রকাশ্য বিভক্তির সৃষ্টি করবেন না। সকল বিষয়ে ধৈর্য্যধারন করুন। যাকে যাকে যার যার ধর্ম পালন করতে দিন, সকলকে সম্মান করতে শিখুন, যে যেভাবে আল্লাহকে খুশি করতে চায় তাকে সেভাবেই পালন করতে দিন।
বলতে হলে ভদ্রভাবে, কাউকে হেয় না করে বুঝিয়ে বলুন। আপনার কথা না শুনলে চুপচাপ সরে পড়ুন। আল্লাহর কাছে বিদআতীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। কোন কিছু বলার বা অভিযোগ থাকলে আল্লাহকে বলুন। তিনি ইচ্ছা করলে কি না করতে পারেন? সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর, কোন কিছুই তার ইচ্ছার বাইরে নয়, সকল কিছুই কোন না কোন উদ্দেশ্য করে থাকেন আল্লাহ। তার ইচ্ছা বা উদ্দেশ্য বুঝা বা উপলব্ধি করার মতো সামান্যতম জ্ঞানও আমাদের নেই। আর রসুল(সাঃ) সতর্ক করে গেছেন এবং এটা এই জামানায় হবেই সেটাও তিনি ভবিষ্যত বানী করেই গেছেন। আপনি আমি বা কেউ ইচ্ছা করলেই বিদআত মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
যাইহোক, অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার যে গুরু তার সাথে এই পযন্ত মোরাকায় নেসবতে বায়ান্নাসে বসে চার চার বার মুলাকাত হইচ্ছে। আমি তার সামনে তসরিফ আনছি। তার একবার ক্লবে রুহানিয়াত পয়দা হইতে সমস্যা হইছিল আমি ঠিক করে দিছি। আরেকবার তার এবাদত থেকে মন উঠে গেছিল পরে আমি তাকে আমার আবিস্কার করা ওয়াজিফা আমল করতে দেই সেই ওয়াজিফা আমল করে খোদার প্রতি একিন আনতে পেরেছিল। মতিঝিল যখন খেলাফত দান করে পাঠাই তখন সে বলেছিল ভাল হয়ে যাবে, কিন্তু ল্যাঞ্জা লুকানো খুব কঠিন। সেখানে গিয়ে আকঠুম বাকঠুম শুরু করে। শেষ প+র+য+ন্ত তার কপালে ভন্ড খেতাব জুটছে।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বিদ'আত কোনো ছোট খাটো বিষয় নয়।
তাহলে কি বোমা মারতে চান?
ঈদের নামাজকেও ওহাবিরা বিদ'আত বলে। আপনি কি তাই বলেন?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৬

সোহান চৌধুরী বলেছেন: আপনি কি ছাগল নাকি আহাম্মক? এইসব আজগুবি কমেন্ট না করলে হয় না? আমি লেখলাম কি আর আপনি কমেন্ট করলেন কি!! আজব চিড়িয়া!

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৬

কালীদাস বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল ভাবে পড়লাম। আমি পুরাপুরি শিওর না ঠিক কোন কোন পয়েন্টের জন্য আপনি বিদায়াত বলছেন। এটা ঠিক যে কেউ যদি বলে আখেরী মোনাজাত করলে বছরের/সারা জীবনের সব গোনাহ মাফ হবে- নিঃসন্দেহে সেটা হবে বিদায়াত। দুচারজন অতি উৎসাহী রামছাগল এটাকে ২য় হ্বজ্জ বলার চেষ্টা করে সেটা আমিও খেয়াল করেছি- এটাও নিঃসন্দেহে বিদায়াত। কিন্তু ইজতেমার বাকি কাজকর্মে আমি অবজেকশনের কিছু দেখি না। তিনদিনের সম্মেলন শেষে সমগ্র দুনিয়ার জন্য দোয়া করছে, আমরা তো মসজিদেও প্রত্যেক ওয়াক্তে নামাজের পর এরকম দোয়া করি। আর এরা তো মানুষের কোন ক্ষতি করছে না। বিগত ১০/১২ বছর ধরে দেখছি যৌতুকবিহীন বিয়ের ব্যবস্হা করছে ইজতেমা ময়দানে- সামাজিক অবক্ষয়ের/শোসনের এই সময়ে এটাও কি সামষ্টিকভাবে একটা ভাল পদক্ষেপ নয়? তাবলীগের লোকজন নেহায়াত বেকুব, বাস্তব দুনিয়ার চিন্তা এদের ঘিলুতে কমই ধরে। তারপরও আপনার ব্লেইমটা অনেক জেনারালাইজড হয়ে গেছে।

১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫১

muhammadabonayeem বলেছেন: হাজারো লক্ষ মানুষ আছে যারা নামাজ পড়েনা, তাদের বিরোধি কোন পোস্ট এই সমস্ত লেখকদের দেখলাম না,আর যারা তাবলীগে যেয়ে অন্তত আর কিছু না করুক নামাজ তো পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করে! এখানেই এই সমস্তদের চুলকানি!!! ধরলাম তারা পিকনিকেই গেলো সেখানে তো নামাজ পরে!!! আমি বুঝি না নামাজ না পড়লে কারো মাথা ব্যাথা নেই পর্দা না করলে কারো মাথা নাই, যদি কোন মুরব্বী (শায়েখ আরবীতে, পীর ফারসিতে) এর কাছে বাইয়াত হয়ে নামাজ রোজা করতে শুরু করে,তাবলীগে গিয়ে নামাজ রোজা শুরু করে তখন তাদের মাঝে বেদাত খুঁজতে থাকে.... এই সমস্ত ফেরকাবাজিরা

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২০

বাঘ মামা বলেছেন: একবিন্দু জল খুব সুন্দর ভাবেই বলে গেছেন মুল বিষয়টা, তবুও বলি গন্তব্য সবার এক হলে চলতি পথে কিছু বক্রতা হয়তো আসে তো আসুক, গন্তব্য ভুল হলে পথ চলা যত সুন্দর হোকনা কেন কোন লাভ নেই, বছরে একবার কিছু ধনি গরীব যুবক বৃদ্ধ মুসলিম একসাথ হয়ে এক কাতারে দাড়িয়ে মাটিতে শুয়ে এক প্লেটে খেয়ে আল্লাহকে ডাকলে সেটা কাফের হয়ে যাবে হাদিস কোরানের বারটা বাজবে এটা যদি কেউ এক বাক্য বলে বেড়ায় আমি তা বিশ্বাসতো করবোইনা বরং যারা এটা নিয়ে নানা ফতোয়া কিংবা দলাদলি করে মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করবে তাদের নিয়ে আমার সন্দেহ, সন্দেহ আপনাকে নিয়ে,আপনি নিজেকে বড় করে মানুষকে ছোট করছেন, ছোট করছেন তাদের অবুঝ নিঃষ্পাপ ভাবনা কে,

সমাজে নানা অমানসিক অসংগত অমানবিক কাজ হয় হচ্ছে, সুদ ঘুষ রাহাজানি হয়রানি ধর্ষন ধমন নিপিড়ন নির্মম নির্লজ্জতা কি না হচ্ছে, কি না করছে মানুষ? সব ফেলে কিছু মানুষের এই মিলন মেলার প্রতি এত রুক্ষ্ম দৃষ্টি কেনো? হৈলই নাহয় পিকনিক, তো কি হয়েছে? এত গুলো মানুষ নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সেখানে থাকছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছে, না হয় বছরে একবার নাহয় জীবনে একবার ,তো কি হয়েছে? এদের জড়ো করতে গিয়ে উপরের লেভেলের কিছু মানুষ না হয় পকেটে কয় টাকা ঢুকাচ্ছে তো কি হয়েছে,? সব কিছুর পিছনে পড়া কি আমাদের স্বভাবে রক্তে ঢুকে গেছে? যারা জড়ো হচ্ছে তাদের নাহয় কোন লাভ হচ্ছেনা, কিন্তু আপনি কি জানেন এই ইজতেমাকে ঘীরে কত ব্যবসা বানিজ্য গরিবের আয় দুবেলা খাবার জোটে? সারা টংগি একাকায় শত শত পরিবার এই কয়দিনের আয়ের টাকা দিয়ে সারা বছর চলে, যে কোন বিষয় থেকে ভালো গুলো বের করে আনতে চেষ্টা করবেন, খারাপটা না,খারাপ হয়তি কিছুটা থাকতে পারে, এত গুলো মানুষ শীতের মধ্যে শুয়ে বসে আল্লাহকে ডাকছে আর আল্লাহ তাদের উপর আজাব গজব ঢেলে বসবেন? আর ধর্মের নামে যারা যুগ যুগ ধরে ব্যংকা হাসাপাতাল ব্যবসা বানিজ্য খুলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের গালে চুমু দিবেন সেটা ভাবেন কি করে? বিদাত কাফের নাস্তিক এসব মুখ দিয়ে যতটা সহজে বলে যায় ততটা সহজ কিন্তু না জনাব। নিজে নিজেকে নাস্তিক না বললে যদি অন্য কেউ নাস্তিক কাফের মুনাফেক নানা আরবি শব্দের বোঝা তুলে দেয় অন্যের ঘাড়ে সেটা যে কত বড় পাপ তা বুঝলে মুখ থেকে একটা শব্দ বের হবেনা আপনার।

সোজা কথা মানুষে মানুষে কাধে কাধ বুকে বুক মিলিয়ে যাই করুকনা কেন, হোক সেটা পিকনিক, তারও একটা সৌন্দর্য্যতা কিন্তু আছে, যা বোধ করি আল্লাহ পাকের চোখ এড়াবেনা।

শুভ কামনা সব সময়

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



@muhammadabonayeem, এদের বলে লাভ নেই! এরা লোম বাছতে কম্বল উজার -এর মত বিদআত বিদআত করে চিল্লাচিল্লি করতে করতে সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে, নফল-মুস্তাহাব বাদ দিয়ে ক্রমে ধর্মকেই বিসর্জন দিতে চলেছে। তাছাড়া বর্তমানে এমনিতেই এরা কান্ডারীবিহীন। টাই পরা পন্ডিত-আল্লামাগন হারিয়ে গেছেন। আসমানি গজবে এদের আকাশবানী অনুষ্ঠান পন্ড। এতিমদের উপর বেশি চাপাচাপি করা... ।

@সোহান চৌধুরী,
কমেন্ট মুছে দিলেই সব শেষ হয়ে যায় না। আপনাদের টাই পড়া নায়েক আব্বাগন যেভাবে হুরমুর করে কেটে পড়েছেন, দ্বীন ইসলামের প্রচার প্রসার তথা তাবলীগে দ্বীন, ইক্কামাতে দ্বীনের বাধভাঙ্গা জোয়ার দেখে এখনও যেসমস্ত চামচিকা স্বভাবের বেআদব খোচাখুচি করতে চায়, লেজকাটা কুকুরের মত এদের প্রত্যেককেও এই পরিনতির দিকে ফিরতে হবে।

সাগরে যখন জোয়ার আসে, খরকুটো দিয়ে সে জোয়ার যেমন ফেরানো যায় না। "লিইউজহিরাহু আলাদদ্বীনি কুল্লিহী অলাও কারিহাল মুশরিকূন, অলাও কারিহাল কাফিরূন।" আল্লাহ জাল্লা জালালুহূর এই অমোঘ ঘোষনার পূর্নতাপ্রাপ্তি প্রদানও তাঁরই দায়িত্ব। সুতরাং সাধু সাবধান! আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা দিয়ে লাভ হবে না, কারন এটাতো স্বয়ং আহকামুল হাকিমীনেরই বিরুদ্ধে চলে যায়। আর তার বিপক্ষে দাড়াল পরিনতিতো পরিষ্কার- আল্লাহ পাকের ঘোষনা, (মান আদা লি অলিআন ফাক্কদ আজানতুহু বিল হারবি, হাদিসে কুদসী অর্থ: যারা আমার বন্ধুদের সাথে শত্রুতা পোষন করে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করি)। এ কাল, পরকাল সব হারানোর ভয় আছে।

আপনার পোস্টের লেখাগুলো জঘন্য। উত্তর দিতে ঘৃনা লাগে। আপনার জ্ঞানের দৌড় দেখে শুধু করুনাই করতে ইচ্ছে হয়। তাওবা করে আল্লাহর নিকট মাফ চান। আল্লাহ ক্ষমাকারী, মহা করুনাময়।

আল্লাহ্ আমাদের এবং এদের সকলকে মাফ করুন, হেফাজত করুন।

১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

ইফতি সৌরভ বলেছেন: এই কথিত বিশ্ব ইজতেমার গ্যাড়াকলে অবলীলায় ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে মুসলমানদের ঈমান। সহজেই মুসলমানদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে ইসলাম পরিপন্থী বিদ'আতের দিকে। নিস্তেজ করে দিচ্ছে বাতিলের বিরুদ্ধে তথা শিরক, বিদআতের বিরুদ্ধে মুসলমানদের রুখে দাড়ানোর ঈমানী জযবা। - - কিভাবে জনাব, ব্যাখ্যা করবেন কি? ঈমানী জযবা মানে কি শুধুই বোমাবাজি আর আই.এস. গিরি করা??

তবুও সে তদানীন্তন ব্রিটিশদের মদদে নামধাম ও দুনিয়াবী ফায়দার লোভে সেই সময়েই হাজার হাজার টাকা খরচ করে লোক ভাড়া করে এবং এদেরকে হুক্কা-বিড়ি খাইয়ে এই তাবলীগ জামাতের প্রচার করানো শুরু করে। - আসলেই কি নামধাম এর জন্য? রেফারেন্স তো দিলেন না! আর হুক্কা বিড়ি খাওয়া লোকগুলোকে যেভাবেই হোক 'আল্লাহ'মুখী করা তো ভাল।পরে তারা নিজেরাই সংশোধন হবে।

পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদীস দ্বারাও এই ইলিয়াসি তাবলীগের কোনো কাজের বৈধতা দেয়া সম্ভব নয়। এই তাবলীগ জামাত সম্পূর্ণরূপে একটি বিদ'আতি দল।- উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ দিতেন।

আখেরী মোনাজাত - এ নাম আসলে কি দিয়েছে? কিছু অতিরিক্ত উৎসাহী গরু-ছাগল সবখানেই থাকে যারা চাঁদে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবকে দেখেন, গাছে উঠে ছাগলের সাথে আম খান অথবা শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কারের জন্য পোস্টার ছাপান। আমার মনে হয় আপনি কখনও সেখানে যান নি। কারণ মিম্বার থেকে ঘোষণা যা ঘোষণা করা হয় সেখানে কখনও 'আখেরী মোনাজাত' নামে কিছু বলা হয় না।

আমি মোটেও ধার্মিক তো না, বরং বক- ধার্মিকও না। তবে আমি ধর্ম বোঝার জন্য যতগুলো তরিকা/সম্প্রদায়/আস্তানায় গিয়েছি তার মধ্যে এ তাবলীগ জামাতে দেখেছি এখানে দুনিয়ার ধান্ধা নেই আর সবাই নিজের খরচে চলে। ইজতেমাতে এত মানুষ অথচ ঝামেলা /রেষারেষি /মারামারি নেই।

ভাই, যারা অমুসলিম তারাও কিন্তু তাদের প্রথাগত কার্যাবলি সম্পন্ন করে 'আত্মতৃপ্তি' লাভ করে কিন্তু তার মানে এই না যে, সব ধর্ম সত্য।

আর comment গুলোর উওর দিবেন

১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



@ইফতি সৌরভ,
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে।
না জেনে এদের মত অনেকেই দ্বীন-ই-ইলাহী টাইপের তথাকথিত সশস্ত্র আধুনিক ইসলামের প্যাচে পড়ে বিভ্রান্ত। এরা কখনও সালাফী, কখনও আহলে হাদিস, কখনওবা ওহাবি। নানান নামের আড়ালে এদের উদ্দেশ্য অভিন্ন। ইসলামের সুশীতল শান্তিপূর্ন পরিবেশকে ঘোলাটে করে তোলা, ফিরকাবাজি আর দলাদলি পাকিয়ে দিয়ে মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে শান্তি বিঘ্নিত করে এই উম্মতকে ইসলাম বিদ্ধেষী ইয়াহুদী নাছারাসহ কাফির মুশরিকদের সামনে বিভীষিকা, আতঙ্ক আর ফিতনাবাজ হিসেবে দাড় করিয়ে দেয়া।

এদের কাছে জবাব আশা করে লাভ নেই। বরং দুআ করুন এদের জন্য।

১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

স্পর্শ বলেছেন: বাহ চমত্কার বাংলিস মুফ্তির ফতোয়া জনাব আপনার দলিল কোথায় ??? এখানেতে বাংলায় খুব কান্নাকাটি করলেন ???তাইলে এখানে ঝাপ দেন সব জবাব পাবেন !

ইন্শা আল্লাহ বিস্তারিত জবাব স্বরুপ পোস্ট পাবেন ।


তাবলীগ জামাআত ।


তাবলীগ জমাআত সম্পর্কে কিছু অবান্তর প্রশ্ন ও তার জবাব ।

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

আহলান বলেছেন: ঢালাও ভাবে কোনকিছুকেই খারাপ বলা যায় না ...

১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



@খোলা মনের কথা,
ঠিক ধরেছেন।
মাথা আউলা হয়ে শেষে বেচারা কোথায় যে... ।
তার জন্য হেদায়েতের দুআ করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.