নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়ীতে গিয়েছিলাম। দেখি, আমাদের বাড়ীর লাউয়ের মাচায় দুটো বাচ্চাসহ একটা ঘুঘু। বাচ্চাদুটো বড় হয়েছে। আর দু এক দিনের মধ্যে পুরোপুরি উড়তে শিখবে এমন। দু'সপ্তাহেই ঘুঘুর বাচ্চা উড়তে শিখে যায় শুনে অবাকই হলাম।
সকালবেলা। রোদ এসে লাউয়ের পাতায় লেগে একধরণের সবুজ আবহ তৈরী করেছে। এর মধ্যে বসে আছে ছানাদুটি। দেখতে প্রমাণ সাইজের ঘুঘুর মতোই। ওদের মা গেছে খাবারের খোঁজে। ওরা পাখিসমাজের বাসিন্দা বলে ওদের বাবার খোঁজ নিতে ইচ্ছে করে নি। হাত বাড়িয়ে দিলাম ওদের দিকে। ওরা কেন জানি ভয় পেলো না। সরেও গেলো না। সম্ভবত ভয় নাম বোধটি ওদের মস্তিস্কে ঢোকায়নি ওদের মা। কিংবা প্রয়োজন বোধ করেনি, পরিবেশগত কারণে। নিজের প্রতি আস্থা কমে গেলো। আমি ভেবেছিলাম ওরা ভয় পাবে। কারণ ইতিপূর্বে বাড়ির ও আশেপাশে কুকুর পর্যন্ত আমাকে দেখে ভয় পেতো। আর এ দুই পাখির ছানা দেখি আমাকে সিদ্ধার্থ ভেবে বসে আছে! বোকা পাখির ছানা। মাকে বললাম, মা একটা খাঁচা যোগাড় করে পাখিসহ বাচ্চাগুলোকে ঢাকায় নিয়ে যাই... কী বলো?
মা বলে, তোর আব্বা রাজী হবে না।
বললাম, কেন?
মা যা বললেন তার সংক্ষেপ হলো আব্বা বলেছেন পশুপাখি বিশ্বাস করে বাসা বেঁধেছে এদের যেন কোন ক্ষতি না হয়। এমনকী তাদের জন্য খাবারও নাকি দেয়া হয়। প্রথমে খেয়াল করি নি। দেখলাম, নারকেলের মালই'য়ের মধ্যে খুদ।
ব্যাপারটা আমার জন্য নতুন নয়। আমিও জানতাম ঘুঘু বুদ্ধিমান পাখি। এরা না জেনে শুনে আমার বাবার উঠানে বাসা বাঁধে নাই, রীতিমতো খোঁজখবর এবং দীর্ঘ পর্যবেক্ষন শেষেই এসেছে। কেন জানি আমার খুব ভালো লাগলো, ব্যাপারটা। আমাদের বাড়ীটা কোন পাখিরাজ্য না, তারপরও তিনটে তিলাঘুঘুর জন্য অভয়াবণ্য তো...
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
স্বপনচারিণী বলেছেন: ভাল লাগলো ভীষণ!পাখির অভয়ারণ্য। আনন্দে থাক তারা।