![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেলাফতি মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের খলিফা খোদাজোমের বিশিষ্ট জল্লাদ ইয়াসীন মোল্লা আজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রচন্ড অসুস্ততায় কাতরাচ্ছে। খেলাফতের ছায়া তলে মৌলবাদী মুসলিমদের বাংলাদেশে এখন মৃত্যুর হার বেড়েছে। মৃত্যুর হার বাড়ার কারণ হলো চিকিত্সার অভাব, কেননা হাসপাতাল গুলো সব ভেঙ্গে গুড়িয়ে মিশে আছে ধুলোর সঙ্গে। হাসপাতাল ভেঙ্গে ফেলার ভয়ঙ্কর পরিণতির পেছনের মৌলবাদী মুসলিমদের বক্তব্য ছিল যে
- পৃথিবীতে যত রোগ শোক মানুষের হয়, তা আল্লাহর নেয়ামতেরই একটি অংশ, যা মানুষকে পরীক্ষা করতে আল্লাহ পাক মনুষকে দিয়ে থাকেন। হাসপাতালে গিয়ে রোগ নিরাময় করে ফেলার মানে হচ্ছে, রোগের বেশে মানুষকে পরীক্ষা করতে আল্লাহর দেয়া প্রশ্ন পত্রকে ছিড়ে ফেলা। আর আল্লাহর দেয়া প্রশ্ন পত্রকে ছিড়ে ফেলা হারাম, যারা এসব রোগ নিরাময় করে অথবা রোগ সারাতে ঔষধ দিয়ে থাকে তারা সকলেই নাস্তিক, আর জান্নাত তাদের জন্য হারাম।
খলিফা খোদাজোমের চিকিত্সক এবং চিকিত্সা বিজ্ঞান বিরোধী ফতোয়ার কারণে মুর্খ ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা ব্যস্ত ঢাকা মেডিকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেক চিকিত্সক, নার্স, কম্পাউন্ডার, ফার্মেসিস্ট এমনকি অসুস্থ রগিদেরকেও পুড়িয়ে মারা হয়ে ছিল সে দিন। পুড়তে থাকা জ্যান্ত মানুষ গুলোর আত্মচিত্কার শুনে এবং আগুনে জ্বলে কয়লা হয়ে যাওয়া মানুষের লাশ গুলো দেখে মুর্খ ধর্মান্ধদের হিংস্র উল্লাসের অন্ত ছিল না। তাদের উল্লাস ভরা কন্ঠে বারবার শুধু প্রতিধনিত হচ্ছিলো
“নাড়ায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার!
নাড়ায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার”!
এত হিংস্র ভয়ানক এবং কুত্সিত পরিস্থিতির মাঝেও শ্বরনিবাবু এবং অন্যান্য গুটি কয়েক উদার হৃদয়ের মুক্তমনার গোপন উদ্যোগে, গোপন ঠিকানার গোপন কক্ষে গড়ে উঠেছে এক গোপন হাসপাতাল। তাদের গোপনীয়তা দেখলে সন্ধেহ জাগে যে তারা মানুষকে সুস্থ করে তোলা হাসপাতাল চালাচ্ছে, নাকি মুসলিম জিহাদিদের মত মরনাস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরীকরি কারখানা চালাচ্ছে।
আল্লাহর উপর অঘাত বিশ্বাসি ইয়াসীন মোল্লা অসুস্থ অবস্থায় সকলের চোখ এড়িয়ে নাস্তিক শ্বরণীবাবুর কাছে হাজির হয়ে কাঁদোকাঁদো গলায় বলেছিলেন
- ধর্ম নামক ভন্ডামির নামে মানুষের উপর অনেক জুলুম, অনেক পাপ করেছি জীবনে। আমি জানি শ্বরণীবাবু আমি আপনার ক্ষমা পাবার যোগ্য নই। তবুও আমি আমার শেষ আশাটুকু নিয়ে আপনার কাছে এসেছি। আমার শরীর দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় আমি আর বাচবো না। কিন্তু আমি মরতে চাই না, আমার চিকিত্সা করুন শ্বরণীবাবু।
ইয়াসীন মল্লার পুরো কথাটা শুনে চুরুট ফুকতে থাকা শ্বরনিবাবু গালভর্তি ধোয়া ছেড়ে শুধু বলেছিলেন
- চলুন আমার সঙ্গে।
কোনো দেরী না করে ইয়াসীন মোল্লাকে নিয়ে যাওয়া হল শ্বরনিবাবুর গোপন হাসপাতালে। কুলাঙ্গার মুর্খ মুসলিম ধর্মান্ধদের হিংস্র হামলা থেকে বেচে গিয়ে লুকিয়ে থাকা ডাক্তারেরা, ইয়াসীন মোল্লার উপর সকল প্রকারের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর পর জানতে পারলো, ইয়াসীন মোল্লার দুটো কিডনির একটি পুরোপুরি নষ্ট, আরেকটির অবস্থাও সচনীয়। দ্রুত অপারেসন করে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করলে ইয়াসীন মোল্লাকে বাচানো সম্ভব, নইলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু সমস্যাটা হলো মৌলবাদী মোল্লারা ধর্মীয় ভাবে মরদেহ অথবা শরীরের অঙ্গ দানের ঘোর বিরোধী, এটা নাকি হারামের তালিকায় পড়ে, তাই পুরোদেশে একটি কিডনি পাওয়া যাওয়া অসম্ভব।
বেডের উপর কাতরাতে থাকা ইয়াসীন মোল্লা ডাক্তারকে বলছে
- আমাকে যেমন করেই হোক বাচান ডাক্তার, আমি মরতে চাইনা।
দরজার পাশে দাড়িয়ে থাকা শ্বরনিবাবু ইয়াসীন মল্লার কথাটা শুনে সেই কথার জের ধরে ভেতরে আসতে আসতে বললো
- মরতে ভয় পান কেন? মৃত্যুর পর আল্লাহ আপনার জন্য তার কাল্পনিক জান্নাত রাখেননি। রাখেননি আপনার জন্য সত্তর বাহাত্তরটি হুর নামক যৌনকর্মী? আপনার জন্য মদের ঝরনা বইবে না? নাকি আপনার আল্লাহ জান্নাতের ভরপুর সুসাদু খাবার খাওয়াতে পারবেনা যে আল্লাহ পৃথিবীর লক্ষ কোটি খুদার্তের মুখে অন্ন তুলে দিতে পারে না?
মুখটা নিচু করে ফেললো ইয়াসীন মোল্লা। বেডের পাশে থাকা চেয়ারটা টেনে বসে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে শ্বরণীবাবু বললো
- আপনি নিশ্চই জানেন আপনার কি হয়েছে এবং কেন হয়েছে?
- জি না। জানি না।
- অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে। আচ্ছা আপনারা তো মদকে হারাম ঘোষণা করে বন্ধ করে দিয়েছেন, তবে আপনারা নিজেরা খান কেন? আর পানই বা কথা থেকে?
- পাকিস্তান থেকে আসে, বিধর্মীদের নির্মূল এবং তাদের ক্ষমতা বাংলাদেশের উপর কায়েম করতে তাদের পাঠানো অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং বড় অঙ্কের টাকা কড়ির সাথে বিনোদনের দ্রব্যাদিও পাঠায়, হরেক রকমের মদের ভান্ডার আছে আমাদের কাছে।
- ধর্মের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানের দালালি দেখি খুব লাভজনক ব্যবসা। টাকা, ক্ষমতা, বিনোদন সবই পাওয়া যায়! আচ্ছা তখন আপনার হারাম হালাল কোথায় থাকে? নাকি আপনারা আল্লাহর নেক বান্দা বলে আল্লাহ নিজের চোখটা বন্ধ করে রাখে।
আত্ম অনুতপ্তে মাথা নিচু করা ইয়াসীন মোল্লার নিশব্দে নির্বাক অশ্রু ঝরতে লাগলো দু চোখ বেয়ে, শ্ব্বরণীবাবু একটু বন্ধু সুলভ কন্ঠে বললো
- মাথা নিচু করে রাখলে হবে? কিছু একটা বলুন কি করা যায়? দেখুন আমি একজন মানুষ এবং মনুষত্ব যেহেতু আমার মধ্যে আছে তাই আরেকজন মানুষকে এত সহজে আমি মরতে দিতে পারি না, যতই সে আমাকে তার শত্রু ভাবুক|
- আর লজ্জা দিয়েন না শ্বরনিবাবু, আমি সত্যি অনেক অনুতপ্ত। আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আমাকে ঠিক করে তুলুন, আমি মরতে চাইনা!!
কথাটা ববে ইয়াসিন মোল্লা অঝোরে অশ্রু ঝরাতে লাগলেন, এবার একটু কঠিন রাগান্নিত স্বরে শ্বরণীবাবু বললেন
- ফতোয়া দিয়ে হাসপাতাল গুলো আপনারা বন্ধ করে দেয়াতে আপনারই মত হাজার রোগী বিনা চিকিত্সায় মারা গিয়েছিল, তখন কই ছিল এই চোখের পানি? আজ যখন নিজে মারা যাবার পথে, এখন এসেছেন প্রাণ ভিক্ষা চাইতে? যখন বুঝতে পেরেছেন ধর্ম ব্যবসায়ের কাল্পনিক অদৃশ্য পণ্য কারো ক্ষতি কিংবা উপকার করতে পারেনা?
অশ্রু ভরা ছলছল চোখে লজ্জায় প্রায় মাটিতে মিশে যাবার যোগার হলো অসুস্থতায় কাতর ইয়াসিন মল্লার। শ্বরণী বাবু এবার প্রশ্ন করলেন
- এবার একটা সত্য কথা বলুনতো, ফতোয়া দিয়ে হাসপাতাল হারাম ঘোষনা করে, বন্ধ করার পেছনে আপনার স্বার্থকতা কি ছিল?
একজন প্রমান সহ ধরা পড়া অনুতপ্ত আসামী যেমন বিচারকের কাছে সব সত্য কথা বলতে থাকে, ঠিক তেমনই ইয়াসিন মোল্লা বলতে শুরু করলো
- চিকিত্সা বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের কারণে আমাদের ধর্ম ব্যবসায়ে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছিল। মানসিক রোগীকে জিনের আসরে আক্রান্ত বলে ঝারফুকের ভন্ডামি আমাদের বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। বেখ্যা হীন কোনো ভয়ের বিষয়কে জিনের প্রকপ বলে তাবিজের বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, ভাগ্য বদলানোর কাল্পনিক সব গল্প শুনিয়ে জোড় পদার্থ পাথরের আংটি বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, সাধারণ মুর্খ ধর্মান্ধরাও বুঝতে পারছিল যে ধর্ম ব্যবসায়ের অদৃশ্য পণ্য আল্লাহর বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই, আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবানের অস্তিত্ব রয়েছে শুধু সেই সব মনের ভেতর, যে মনে যুক্তি, কারণ এবং কেন নামক প্রশ্নের কোনো জায়গা নেই। তারা বুঝতে পেরেছিল রোগ নিরাময় করে কাউকে সাড়িয়ে তলার ক্ষমতা ধর্মব্যবসার কোনো অদৃশ্য পন্যের কাছে নেই, যা কিনা আছে চিকিত্সা বিজ্ঞানের কাছে। আমরা ইসলামিক স্বর্ন যুগের চিকিত্সা বিজ্ঞানের আধুনিক ঔষধের জনক ইবনে সিনার নাম নির্লিজ্জের মত চেপে যাচ্ছিলাম, যেন তারা আমাদের বিপক্ষে প্রশ্ন তুলতে না পারে। চিকিত্সা বিজ্ঞানের প্রতি মুর্খ মুসলিমদের খেপিয়ে তুলতে মিথ্যা বদনাম ছড়িয়ে ছিলাম যে, চিকিত্সা বিজ্ঞান আমাদের ধর্ম ভ্রষ্ট করতে ঔষধের নাম আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে হারাম পদার্থ। গুজব রটিয়ে ছিলাম যে অপারেশন হলো আল্লাহর দেয়া নিখুত শরীরে কাটা ছেড়া করে ক্ষত করবার শড়যন্ত্র। আমরা তাদেরকে বোঝাতাম আল্লাহর দেয়া শরীরটা নিখুত, আল্লাহর দেয়া প্রতিটি অঙ্গ আমাদের জন্য প্রয়োজন, প্রয়োজন নেই এমন কোনো নেয়ামত আল্লাহ তার বান্দাদেরকে দেন না। যেখানে চিকিত্সা বিজ্ঞানের বক্তব্য হলো ভিন্ন, যেমন অপেন্দিক্স এবং টন্সিল মানুষের শরীরের অপ্রয়োজনীয় দুটি অঙ্গ। জন্ম মৃত্যু আল্লাহর হাতে, একথা যে সম্পুর্ন মিথ্যা তার প্রমান দিত চিকিত্সা বিজ্ঞান। যেমন জন্ম যদি আল্লাহর হাতেই হত তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা এবং ঔষধ তা বন্ধ রাখে কি ভাবে? মৃত্যু যদি আল্লাহর হাতেই থাকে তবে হার্ট এট্যাক, অথবা অনান্য প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত মৃত্যুর পথযাত্রীকে চিকিত্সা বিজ্ঞান সড়িয়ে তলে কিভাবে? ধর্মের কালো অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আপনার মত আলোকিত মুক্তচিন্তার নাস্তিক হবার পেছনে চিকিত্সা বিজ্ঞান অনেক বড় একটা অবদান রাখছিল। তাই খলিফা খোদাজোম খেলাফতি মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং মুর্খ মুসলিমদের উপর তার অধিপত্য বজায় রাখতে চিকিত্সা বিজ্ঞান বিরোধী ফতোয়া দিয়ে হাসপাতাল গুলোকে বন্ধ করিয়ে ছিলেন। হাসপাতাল বন্ধ করিয়ে আমিও কম ভুক্ত হই নি। আমার ঘরে কোনো ছেলে সন্তান নেই। হয় নি এমন না, তিনটি ছেলে সন্তান হয়েছিল। প্রথম ছেলের নাম রেখে ছিলাম কাসিম, তখন সবই আমাকে আবু কাসেম নাম ডাকত, কিন্তু দু'বছর বয়েসে তার মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় ছেলের মৃত্যু হয় মাত্র তিন মাস বয়েসে, তার নাম রেখে ছিলাম আব্দুল্লাহ। আর তৃতীয় ছেলে ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়েছিল মাত্র সতেরো কি আঠেরো বছর বয়েসে। হতে পারে খুবই সামান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে, হাসপাতাল থাকলে নিশ্চই তাদের এমন অকাল মৃত্যু হত না। ওই পঙ্গু আল্লাহর কোনো ক্ষমতা ছিল না আমার ছেলেদেরকে বাচানোর।
বিনা চিকিত্সায় মৃত ছেলেদের কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো অসহায় বাবা ইয়াসিন মোল্লা। কাঁদতে থাকা ইয়াসিন মোল্লার কাঁধের উপর সান্তনার হাত রেখে শ্বরণীবাবু ডাক্তারকে জিজ্ঞাস করলেন
- কিডনির কোনো ব্যবস্থাই করা যাচ্ছে না?
- জী না। অনেককে অনুরোধ করেছি, সবারই প্রায় একই বক্তব্য যে মানুষ হলে ভেবে দেখতাম, কিন্তু এমন হিংস্র মুর্খ ধর্মান্ধকে বাচাতে এত বড় ত্যাগ করতে আমরা রাজি নই।
- ইয়াসিন মোল্লার রক্তের গ্রুপ কি?
- বি পসেটিভ।
- যাক ভালোই হলো, আমার রক্তের গ্রুপও বি পসেটিভ। ইয়াসিন মোল্লার কিডনির ডোনার হিসেবে আমার কিডনি ক্রস ম্যাচ করে দেখুন, যদি মিলে যায় তবে আমিই উনাকে কিডনি দিয়ে বাঁচিয়ে তুলবো।
কথাটা শুনে ইয়াসিন দুনিয়া ভাঙ্গা কান্নায় ফেটে পড়ল। এ কান্না দুখের নয়, অন্তহীন সুখ এবং অনুতাপের কান্না। সুখের কারণ এই যে চিকিত্সা বিজ্ঞান এবং মানবতা বাদী এক মুক্তমনার কারণে আরো কিছুদিন বেচে থাকার সুযোগ পেল, আর অনুতাপের কারণ যে আল্লাহ নামক অদৃশ্য অক্ষম ঈশ্বরে বিশ্বাস করে জীবনের এতগুলো সময় নষ্ট করেছে। অনুতাপ কারণ যে পঙ্গু আল্লাহকে তুষ্ট করতে হাজারো নিরীহ মানুষকে অমানবিক হত্যা করেছে, সেই আল্লাহ তার নষ্ট হয়ে যাওয়া কিডনি ঠিক করার ক্ষমতা রাখে না। ইয়াসিন মোল্লার কান্না হঠাত উত্তেজিত প্রদিবাদী কন্ঠে চিত্কার করে বলে উঠলো
- নেই কোনো আল্লাহ, নেই কত ঈশ্বর, নেই কোনো ভগবান। আছে শুধু ধর্ম যা কাল্পনিক অযৌক্তিক তথ্যে ভরপুর, প্রতিটি ধর্ম গুরুই তা ভালো করে জানে। কিন্তু এই গোপন তথ্য মুর্খ ধর্মান্ধদের কাছে এই কারণে গোপন রাখা হয়, যেন ধর্ম গুরুদের ঈশ্বর নামক অদৃশ্য পন্যের ধর্ম নামক দোকান বন্ধ না হয়ে যায়। এই দোকান গুলোতে সব থেকে বেশি বিক্রি হয় জাহান্নামের ভয় এবং জান্নাতের লোভ, বিনিময়ে ছিনিয়ে নেয়া হয় অর্থ-সম্পত্তি, জ্ঞানের আলো, প্রগতি এবং সব থেকে বড় স্বাধিনতা।
উত্তেজিত ইয়াসিন মোল্লা নিজের মাথার তুপি খুলে মেঝেতে ফেলে দিয়ে বললেন
- এখন থেকে ছুড়ে ফেলে দিলাম ধর্ম নামক ভন্ডামির চাদর, থাকতে চাইনা আর সেই অদৃশ্য কাল্পনিক আল্লাহর বিছানার বেশ্যা হয়ে।
©somewhere in net ltd.