নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রংঙ্গের ডানা মেলে আজ উড়ছে প্রজাপতি মন.., এই মন তোমারি আশায়.. স্বপ্নে বিভোর সারাক্ষন.....

shoikot chowdhury

shoikot chowdhury › বিস্তারিত পোস্টঃ

মারকাজে ইয়েকিন সাদ বাদ

০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

আমার দৃষ্টিতে মুর্খ ধর্মান্ধদের থেকে ভয়ানক হিংস্রজীব এই পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই৷ হিংস্র বলার কারণ হলো তারা ধর্মের কাল্পনিক গল্প গুলোয় বিশ্বাস করে৷ হ্যা তারা শুধু মাত্র বিশ্বাসই করে, কারণ তাদের ধারণা যে তাদের জ্ঞানের মূল উত্স হলো তাদের ধর্ম গুরু এবং মুর্খ হবার কারনে তারা যাচাই করতে পারেনা যে ধর্ম গুরু যা বলছে তা সঠিক কিনা অথবা গুরু যা বলছে তাতে কতুটুকু সত্যতা আছে, গুরু মিথ্যা বললেও মুর্খকে তার মুর্খতার অপরাধে বাধ্যগত ভাবে তা মেনে নিতে হয়৷ তাই বেশির ভাগ মুর্খ ধর্মান্ধদের চোখ সত্য মিথ্যায় মেশানো অযৌক্তিক কাল্পনিকতার কালো কাপড়ে বাধা থাকে, অর্থাত চোখ থাকতেও তারা অন্ধ, ধর্মের প্রতি অন্ধ, মানে ধর্মান্ধ৷ একেতো ধর্মান্ধ তার উপর আবার মুর্খও বটে, গোদের উপর বিষফ়োরা আরকি৷

মুর্খতা সমাজের জন্য আসলেই পচন ধরা বিষফোড়া, মুর্খতা যুক্তি বোঝেনা, কারণ বোঝে না, বোঝে না প্রমান, এক কোথায় তারা কিছুই বোঝে না, তার উপর আবার বুঝতে চায়ও না৷ তাদের মাথার খোলসের ভেতর মগজ আছে ঠিকই কিন্তু তা ধর্মের কাল্পনিক আবর্জনা দিয়ে ঠেসেঠুসে ভর্তি থাকার কারণে, তিল পরিমান জায়গাও নেই যে তাতে বিন্দু পরিমান সভ্যতার জ্ঞান দেয়া যায়৷ বিন্দু পরিমান সভ্যতার জ্ঞানও যাদের মধ্যে থাকে না তাদেরকে অসভ্য বলা হয়, আর অসভ্যরা সভ্য সমাজের জন্য মারাত্মক ভয়ানক৷ শুধু মারাত্মক ভয়ানকই নয় তারা নিকৃষ্টও বটে৷ নিকৃষ্ট কেন তা বলছি৷ একজন মুর্খ অসভ্য ধর্মান্ধ যে কিনা ধর্ম গুরুকেই সর্বেসবা মনে করে, এমন ব্যক্তিকে দিয়ে তার ধর্ম গুরু নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর কাজ করাতে সক্ষম৷ যেমন ধরুন কোন ধর্ম গুরু যদি তার উপচে পড়া যৌনলালোশায় বলে ফেলে যে

- ধর্মের পবিত্র পান্ডুলিপিতে উল্লেখ আছে যে, পূর্নিমা রাতে সারাদিন উপশ করে যদি কেউ তার গর্বধারিনি মাকে উলঙ্গ অবস্থায় তার ধর্ম গুরুর অন্ধকারাচ্ছন্ন শোবার ঘরে পৌছে দিয়ে নিরামিষ দিয়ে উপশ ভাঙ্গবে, ঈশ্বর তবে সন্তুষ্ট হয়ে সেই গর্বধারিনি মা এবং সন্তান উভয়কেই স্বর্গের সর্বোচ্চ শিখর উপহার দেবেন৷

কথাটা ধর্ম গুরুর বলতে শুধু দেরী, এবং পূর্নিমা রাতের আসতে দেরী৷ কিন্তু মুর্খ ধর্মান্ধদের উলঙ্গ মায়েদের আসতে দেরী হবে না৷ সারাদিনের উপশ মুর্খ ধার্মিক সেই পূর্নিমা রাতে নিরামিষের স্বাধ উপভোগ করবে, আর ওদিকে বন্ধ দরজার পেছনে বিছানার উপর ধর্ম গুরু উপভোগ করবে নিরামিষের স্বাধ গ্রহণকারীর উলঙ্গ মাকে৷

আমি জানি আমার লেখার এতুটুকু পড়ে অনেক ধার্মিক উত্তেজিত মস্তিস্কে তাদের মনে মনে আমাকে অনেক গাল মন্দ দিয়ে ফেলেছে, তারা বলছে

- কই আমিওতো ধার্মিক, আমাকে আমার ধর্ম গুরু এমনটা বললে আমিতো এমন তা করবো না?

আপনি নিজেই বলেছেন যে আপনি শুধু ধার্মিক, আর আমি যাদের কথা বলছি তারা হলো মুর্খ ধর্মান্ধ৷ আপনি চিন্তা করে বিচার করেন বিধায় আপনি এমনটা করবেন না৷ মূর্খরা আপনার মত চিন্তা করে বিচার করে না, তাদের অভিধানে চিন্তা শব্দের কোন স্থান নেই৷ আপনাদের মত চিন্তাশীল ধার্মিকদের জন্য আমার এতুটুকুই বলার আছে যে

- চিন্তাশীল হওয়ার কারণে যেহেতু আপনি এখন মুর্খ ধর্মান্ধ থেকে শুধু ধার্মিক হয়েছেন, সেই চিন্তার পরিধিটা আরো বাড়িয়ে দিন তখন আর ধার্মিকও থাকবেন না, সম্পূর্ণ মানুষে পরিনত হবেন৷ তখন ভালো কাজ আপনি এই জন্য করবেন না যে আপনার ঈশ্বর আপনাকে কাল্পনিক স্বর্গ দেবে, বরং এইজন্য মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকবেন কারণ আপনার বিবেক আপনাকে বাধা দেবে৷

এতক্ষণতো মুর্খ ধার্মিকদের কথা বলছিলাম যে তারা কতটা নিকৃষ্ট, ভয়ানক হিংস্র৷ কিন্তু তাদের থেকেও ক্ষতিকর এবং আক্রমনাত্মক হিংস্র পশু আরো একটা আছে যারা আমাদের সমাজেই আমাদের আশপাশেই আছে৷ এই পশুগুলো হলো তারা যারা মুর্খ ধর্মান্ধ হবার সাথে সাথে সকল প্রকার মায়ার বাধন থেকে মুক্ত৷ মায়ার বাধন মানে মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন, স্ত্রী-সন্তান, টাকা-পয়সা, সম্পত্তি এবং সব থেকে বড় মায়া নিজের জীবন৷ একজন মুর্খ ধার্মিকদের অন্তর থেকে যদি এই মায়া গুলোর উপরে ফেলা যায় তবে খুব সহজেই তাদেরকে মানুষ থেকে ভয়ানক নিকৃষ্ট পশুতে পরিনত করা সম্ভব৷ আর যেহেতু এই নিকৃষ্ট পশু গুলোর কোন প্রকার পিছু টান নেই, নেই তাদের নিজের জীবনের প্রতি ভালোবাসা, এদেরকে ব্যবহার করে খুব সহজেই এই পুরো পৃথিবীর মানুষদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করানো সম্বব৷ এরা ভয়ানক হবার আরো বড় কারণ হলো, আমরা জীবনকে যতটা ভালবাসি, তারা মৃত্যুকে তার চেয়েও বেশি ভালবাসে৷ মৃত্যুকে তারা ভয় পায় না কারণ তাদের বিশ্বাস এ পৃথিবী বাস্তব কোন জায়গা নয়, মৃত্যুর পর নাকি তারা পৌছে যাবে তাদের বাস্তব জীবনে যেটা হলো বোকার স্বর্গ৷ এমনই কিছু বোকার স্বর্গে বসাবস করি ক্ষতিকর এবং আক্রমনাত্মক হিংস্র পশুদেরকে আমরাও চিনি, তাদেরকে আমরা জিহাদী নাম চিনি৷ বোধ হয় ভাবছেন যে জিহাদিদের কথা লিখে খামোখা কাগজ নষ্ট করছি কেন, আমাদের দেশেতো কোন জিহাদী নেই? আপনাদের এমন বক্তব্যই আমাকে অটট হাসি হাসতে বাধ্য করে, জিজ্ঞাস করতে ইচ্ছা করে যে বাংলার মাটিতে যে কুলাঙ্গার মুসলিম জিহাদী নেই, তা আপনি এতটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন কিভাবে?

এবার কিছুক্ষণের জন্য কুলাঙ্গার মুসলিম জিহাদীদের কথা বাদ দিয়ে ঘুরে আসা যাক আমার দৃষ্টিতে দেখা সোনার বাংলাদেশের ভবিস্যত হৃদয় বিদারি ভয়ঙ্কর চিত্র৷ ভবিস্যতে একাত্তরে শহীদদের প্রাণ এবং রক্ত ঝরিয়ে অর্জন করা সোনার বাংলাদেশে বাস করা আমাদের তৃতীয় প্রজন্মের করুন দুরাবস্থা দেখে ভয়ে এবং করুনায় আমার হৃদযন্ত্রটাও কয়েকবার দিকবাজি খেয়ে উঠেছিল৷ তখনো সৌভাগ্যক্রমে আমাদের মাতৃভূমির নাম বাংলাদেশ থাকার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ নামের সুরুতে কয়েকটা অক্ষর বেশি যোগ করায় পুরোনাম দাড়াবে খেলাফতি মসলিম রাষ্ট্র (state) বাংলাদেশ৷ পুরো পৃথিবীর মানুষ সংক্ষেপে এদেশকে চিনবে কে.এম.এস.বি নাম৷ দেশের প্রতিটা অভিধান থেকে বাদ পড়বে গণতন্ত্র শব্দটি, কেননা ইসলামে খেলাফত রয়েছে গণতন্ত্র নেই৷ আমাদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্য বাংলা ভাষায় কথা বলাটা হয়ে উঠবে অপরাধ, কেননা এভাষা তখন মালাউনদের ভাষা বলে গন্য, এবং এভাষার একটি বর্ণমালাও উচ্চারণ করা প্রতিটি মুসলিম নাগরিকের জন্য হয়ে উঠবে কবিরা গুনাহ৷ তাদেরকে তখন বাধ্য হয়েই কথা বলতে হবে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং অন্যান্য সকল ভাষা শহীদদের হত্যাকারী এবং সেই পাকিস্তানিদের পা এবং অন্যান্য গোপন অঙ্গ চাটা দালাল রাজাকারদের উর্ধু ভাষায়৷ ভাষা শহীদদের স্মরণে আর কোনদিন পালন করা হবে না অমর একুশে ফেব্রুয়ারী, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বর্ণমালায় ছাপানো বই প্রকাশিত হবে না, হবেনা আমাদের প্রানের বইমেলার আয়োজন৷ জাতীয় জাদুঘরের পাশে পাবলিক লাইব্রেরিতে থাকবে না রবীন্দ্র নাথের রচনা সমগ্র, আমাদের প্রিয় হুমায়ন আহমেদের মিসির আলী, এবং হিমু, আরজ আলী মতব্বরের যুক্তিযুক্ত প্রশ্নে ভরা বই গুলো৷ থাকবে না তসলিমা নাসরিনের লজ্জা, হুমাউন আজাদের পাক সারজমিন সাদ বাদ, এবং সকল মালাউনদের ভাষা বাংলা বই গুলো আগুনে পুড়িয়ে সেখানে সাজানো থাকবে উর্দুতে ছাপানো আবুল আলা মৌদুদীর জীবনী এবং তার লেখা জিহাদী সব বই, আরো থাকবে কুরআন এবং সহি হাদিস গুলোর উর্দু অনুবাদ বই৷

বাংলার বুকে কোন বুধিজিবির ভাস্কর্য রাখা হবে না৷ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হবে শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ, ১৯৭৩ সালে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম মুক্তি যুদ্ধের ভাস্কর্য “জাগ্রত চৌরঙ্গী” কেও৷ অপরাজেয় বাংলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ, ভাস্কর শ্যামল চৌধুরীর গড়া রাজু ভাস্কর্যের মত কোন ভাস্কর্যই বাদ পড়বে না৷ শুধু ভাস্কর্যই নয়, গুড়িয়ে দেয়া হবে চার্চ মন্দির, প্যাগোডা, চার্চ এমনকি একই আল্লায় বিশ্বাসী শিয়া মসজিদ গুলোকেও৷ বাংলার মাটি তখন রক্তে ভিজে থাকবে শিয়া, বিধর্মী এবং নাস্তিকদের গলাকাটা লাশে৷

চতুর্থ প্রজন্ম জ্ঞানের আলোর নামে পাবে ঘুটঘুটে অন্ধকার, মানে মাদ্রাসায় গিয়ে শুধু মাত্র পাবে কুরআন হাদিসের অযৌক্তিক কাল্পনিক এবং হিংস্র জ্ঞান৷ স্কুল কলেজ তখন থাকবে না, কারণ সে গুলো দেশ দখল করার সাথে সাথে সে সব ভেঙ্গে তৈরী করা হয়েছে চাঁদ তারার নকশা করা বড় বড় মসজিদ এবং মাদ্রাসা৷ কেনই বা তারা ইংরেজি, বাংলা, অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের মত ব্যাদাতি শিখ্যা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক বানাবে৷ আর মেয়েদেরকে ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্ধি রেখে শিখ্যা দেয়া হবে কিভাবে নবী মোহাম্মদকে তার স্ত্রী এবং উপপত্নিরা বিছানায় সন্তুষ্ট করতেন৷ শিখ্যা দেয়া হবে কিভাবে পুরুষের শস্য ক্ষেত্র হয়ে একজন নারীর সয্য করতে হবে সকল অপমান এবং অত্যাচার৷ আরো শিখ্যা দেয়া হবে কিভাবে স্বামীর একাধিক বিবাহিত এবং অবিবাহিত স্ত্রী এবং উপপত্নীদের নিজের মনের বিরুদ্ধে ঈর্ষা না করে মাথা নত করে মেনে নিতে হবে৷

অনেকটা এমনই হবে ভবিস্যত সোনার বাংলাদেশ, দুঃখিত খেলাফতি মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের লঘু ভয়াবহ করুন চিত্র যেখানে আর কোনদিনও প্রতিধনিত হবে না রবিঠাকুরের লেখা “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভলোবাসি”, হবে অন্য একটি জাতীয় সঙ্গীত৷
এখন মনে প্রশ্ন জগতে পারে যে আমি যে ভবিস্যত বাংলাদেশের চিত্র আমার লেখায় তুলে ধরলাম, এমনটা যদি সত্যি সত্যি হয় তবে এটা করা করবে? কাদের এত বড় স্পর্ধা হবে লাখো শহীদের রক্ত এবং জীবনের বিনিময়ে এনে দেয়া স্বাধীনতার বস্ত্র খুলে আমাদের মা বাংলাদেশকে উলঙ্গ করবে? কারা হবে সেই কুলাঙ্গারেরা?

এরা হলো তারাই যাদের কথা লেখার শুরুতেই উল্লেখ করেছিলাম, হ্যা এরা তারাই যাদেরকে আমি ক্ষতিকর এবং আক্রমনাত্মক হিংস্র পশু বলে সম্মোধন করেছিলাম৷ এই পশু গুলো করা? এরা আপনার এবং আমাদের মতই মানুষ৷ কিন্তু তারা মানুষ হয়েও কিভাবে এতটা হিংস্র হয়ে উঠলো? তাদের এবং আমাদের মধ্যে পার্থক্যটা কি? এরা হলো আমাদের সমাজে মাদ্রাসায় পড়া এয়েতিম বাচ্চারা যারা তার মা-বাবার আদর দুর্ভাগ্যক্রমে পায়নি৷ এরা হলো সেই গরিব মুর্খ ধর্মান্ধদের সন্তানেরা যাদের হাস্যকর বিশ্বাস যে আল্লাহ মুখ দিয়েছেন খাবারও তিনি ঠিকই দেবেন৷ এই অবাস্তব বিশ্বাস নিয়ে বোকার স্বর্গে বাস করা ধর্মান্ধ গুলো প্রতি বছর একের পর এক শুকরের মত বাচ্চা দিতে দিতে নিজেরাই একসময় দেখে, বাস্তব জীবনে কই সেই রিজিকদাতা? সে তো কথাও নেই৷ যদি থাকতো তবে দজোন খানেক বাচ্চা গুলোর মুখে খাবার নেই কেন? খাদ্যের অভাবে ক্ষুধায় কানছে কেন? বাস্তব জীবনে অভাবের শিকার মুর্খ ধর্মান্ধ বাবা-মা রা তখন নিজের রক্তের সন্তান গুলোকে শিকর থেকে উপরে ফেলতে আগাছার মত জন্ম নেয়া ছোট্ট শিশুদেরকে কোন বাস স্টান্ডের ভিরে, অথবা কোনো এতিম খানার দরজার সামনে ফেলে রেখে আসে৷
এর পর ওই বাচ্চা গুলোকে ওই এতিম খানার চার দেয়ালের মাঝে কোন শিখ্যার দ্বারা মগজ ধলাই দেয়া হয়, তা বোধ হয় সভ্য সমাজে বিচরণ করা সভ্য মানুষ গুলো জানে না৷ জানলে এমন নিশ্চিন্তে হাতের উপর হাত রেখে বসে থাকতো না, বেরিয়ে পরত বড় বড় হাতুড়ি হাতে সকল মাদ্রাসার দেয়াল ভেঙ্গে ছোট্ট শিশু গুলোকে রক্ষা করতে, যেন অবুঝ শিশুগুলো মানুষ থেকে হিংস্র পশুতে পরিনত না হতে পারে৷ যদি সভ্য সমাজের বর্তমান প্রজন্ম এমনটা করতে পারতো তবে ভবিস্যতে আমাদের সোনার বাংলাদেশ, খেলাফতি মসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশে পরিনত হত না৷ ওই নিষ্পাপ শিশু গুলোকে এমনটাই বলে মগজ ধোলাই দেয়া হয় যে
- দেখো বাবা, দেখো, ওই হলো নিষ্ঠুর সভ্য সমাজ, দেখো ওই সভ্য সমাজ তোমার সমবয়েসী ছোট্ট শিশু গুলোকে দিয়ে নির্মম ভাবে অমানুষের মত কঠোর পরিশ্রম করাচ্ছে৷ এরা হলো শিশু শ্রমিক, এদেরও মা-বাবা নেই তোমার মত৷ এরা দু-মুঠো ভাতের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে৷ ওই দেখো ওই শিশুটাকে, কত ভারী ভারী ইট গুলো মাথায় তুলে, বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সভ্য সমাজের উচু উচু ইমারত গড়তে৷ কতইবা মূল্য দেবে এই সভ্য সমাজ তাদের এই কঠোর পরিশ্রমের? কিছুই না৷ এবার তুমি নিজের দিকে দেখো, কোনো পরিশ্রম করতে হয় না তোমাকে তাদের মত, বিনা পরিশ্রমেই দু-বেলা তুমি খেতে পর পানি ডাল, নুন এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাত৷ তাদেরকে ওই সভ্য সমাজ বিছানায় শুতে দেয়না, তাই তারা ফুটপাতে কুকুর বেড়ালের পাশে শুয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটায়৷ এবার নিজেকে দেখো, মসজিদের পবিত্র মেঝেতে পবিত্র জায়নামাজে মহান আল্লাহ তোমাদেরকে ঘুমনোর সৌভাগ্য করে দিয়েছেন৷ ওই শিশু গুলোকে সভ্য সমাজ কোনো শিক্ষার আলো দেয় না, আর তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে উত্তম এবং মূল্যবান কুরআন এবং হাদিসের জ্ঞান৷ আল্লাহর দেয়া আর কোন কোন নেয়ামতকে তোমরা অস্বিকার করবে৷ এত নেয়ামত দানকরি আল্লাহর জন্য তোমার এই সামান্য জীবনটাকেও তুমি উত্সর্গ করতে পারবে না৷ কেইবা আছে তোমার এই পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া? ওই একমাত্র আল্লাহর অনুরোধে সামান্য জিহাদটুকুও করতে পারবে না?
এতিম শিশু তখন অবুঝের মত বলে উঠে
- অবশ্যই পারবো হুজুর, কেন পারবো না? আমার জীবনতো আল্লাহরই৷ হাজার বার আল্লাহর হুকুমে জিহাদের ময়দানে আমার এই সামান্য জীবনকে উত্সর্গ করতে পারবো৷ বলুন কি করতে হবে আমাকে?
- আপাতত তেমন কিছু করতে হবে না, এখন শুধু আমাকে খেলাফতি মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটা একটু মুখস্ত শুনাও৷
এতিম অবুজ বাচ্চা তখন সুর দিয়ে গাইতে শুরু করে

“পাক সার জামিন সাদ বাদ,
কিশ্বওয়ারে হাসিন সাদ বাদ৷
তু নিশানে আজমে আলিশান আরজে পাকিস্তান,
মারকাজে ইয়েকিন সাদ বাদ৷”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.