![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেওয়ালে যারা ‘বিক্রয় হইবে’ লেখা আর সাথে একটি ফোন নম্বর দেওয়া লিফলেটটি দেখেছেন, সেটাই আসলে ট্রুম্যান থিওডর গুডউইনের ‘গুডউইন কোম্পানি’র বিজ্ঞাপন। যদিও সে এখনও জানেন না, তিনি আসলে কি বিক্রি করবেন? দুই দিন হল তিনি তার ব্যাবসাটি শুরু করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কাছে কোন ফোন কল আসেনি।
ক্লায়েন্টকে অফার করার মত কোন পণ্যই নেই তার কাছে বরং তিনি ভাবছেন, তার ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনে তাদের কে ডেলিভার করবেন। আপাতত তার ব্যাবসা নিয়ে তিনি এইটুকুই ভাবতে পেরেছেন। একটি চারতলা বাড়ির চিলেকোঠায় সে তার অফিসটি ভাড়া নেন এবং এখনও এখানে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। একটি ফ্যান, একটি ফিলামেন্ট লাইট, একটি আম কাঠের বানানো টেবিল ও চেয়ার আর একটি টকটকে লাল রঙের টেলিফোন সেট। হ্যাঁ, এই গল্পের সময়টা ১৯৮৭ সাল।
এই টেলিফোনসেট টি তার বাসায় বহুদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পরে ছিল। এক সময় তার বাবা এটা ব্যবহার করতেন ওনার স্টাডি রুমে। কার্নিলিয়ান রেড কালারের রোটারি ডায়েলের এই ফোন সেট টি সোভিয়েত দেশ-এর তৈরি। এই সেট টির দিকে তকিয়েই গত দুই দিনে মোট ১৬ ঘন্টা পার করে দেন থিওডর। তবুও সে আশাহত হন নি কারণ এই ফোন সেট টির দিকে তাকালে একটা জোশ তার মধ্যে এসে ভর করে। সে নিজেকে বলে, ফোন আসবেই; তা কাল হোক বা পরশু।
৩য় দিন ফোন আসে দুপুর আড়াই টায়। কল দেন মিলি নামের একজন মাঝবয়সী ভদ্রমহিলা। তার বাসার জন্য একটি টেলিফোন সেট দরকার, সেকেন্ড হ্যান্ড হলেও চলবে; কিন্তু সোভিয়েত মেইড এবং কন্ডিশন গুড হতে হবে। আর হ্যাঁ আরেকটা বিষয়,দ্যা কালার সুড বি রেড।
ওই দিনের পর থেকে থিও’র কাছে আর কোন ফোন কল আসেনি।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৪
হোল্ডেন ফোর্ড বলেছেন: গল্পটি পরার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। না এটা আমার মৌলিক লেখা, তবে অন্য কোন গল্পের সাথে মিলে গেলে বেশ লজ্জাই পাবো, তবে কোন বিদেশী গল্প অবলম্বনে এটা লেখা না? আবারো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৬
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: শেষ লাইনটা পড়ে মনের ভেতর কেমন জানি করে উঠলো। এটা কি কোন বিদেশী গল্প অবলম্বনে লিখা?