নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্বেলে দাও সন্ধ্যাবাতি

জীবন গঠনে নিজেস্ব প্রতিক্রিয়ার দায় বেশি, ঘটে যাওয়া ঘটনার ভূমিকা সামান্য।

সন্ধ্যাবাতি

...

সন্ধ্যাবাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যানোনিমাস য়ুজার, কুৎসিত মনন এবং একটি মামলা

২৫ শে জুলাই, ২০০৭ দুপুর ২:৪৯

প্রায় দেড় মাস আগে খবরের কাগজে একটা খবরে চোখ আটকে গিয়েছিল। ইন্টারনেটের একটা ফোরামে নারী অবমাননার ব্যাপারে মামলা নিয়ে। তখন পড়ে বেশ ভালো লেগেছিল, ব্লগস্পটে একটা ব্লগ লিখেছিলাম। এখন ব্লগে আলোচনার বিষয় বস্তু দেখে মনে হচ্ছে, দেয়া যায় এখানে।





----------------------------------------------



জুন ১৮, ২০০৭



কালকে একটা খবর পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ। কখনও খবরের কাগজ কাটাকুটি করে রেখে দেয়ার অভ্যাস নেই, কিন্তু কালকে ট্রেইনে বসেই পেপার থেকে ছিঁড়ে খবরটা আলাদা করে ব্যাগে ভরে রেখেছি। জমিয়ে রাখব খবরটা, নিয়মিত পত্রিকা চেক করব মামলার অগ্রগতি দেখার জন্য।



খবর হচ্ছে, ইন্টারনেটে একটা ফোরাম নিয়ে। সেখানে আমেরিকান ল' স্টুডেন্টদের আনাগোনা বেশ ভালোই। তো সেখানে, সাধারন ফোরামে যেসব নোংরামি হয় ওসব হতো। গালাগালি, ব্যক্তিগত আক্রমন। এই নোংরামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দুই নারী! আমেরিকার য়েইল ল' স্কুলের দুই জন ছাত্রী মামলা ঠুকে দিয়েছে যারা নোংরামি করছিল তাদের বিরুদ্ধে!



যেই থ্রেড নিয়ে মামলা করেছে সেটায় এমন কিছু বক্তব্য ছিল-- 'স্টুপিড বিচ টু এন্টার য়েইল ল'। সেখানে কয়েকজন সদস্য বেশ কিছু কুৎসিত কথা বলেছে, বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে, যেগুলো ওই ছাত্রীগণ 'হেরাসিং রিমার্কস' বলেছেন। 'দে টু অলসো স্যুড এ ফরমার ম্যানেজার অফ দ্যা সাইট বিকজ হি রিফিউজড টু রিমুভ ডিসপারেইজিঙ ম্যাসেজেস'--তারা ফোরামের একজন প্রাক্তন ম্যানেজারের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন, কারণ তিনি আক্রমনাত্মক কথাগুলো সরিয়ে ফেলতে অস্বীকৃতি জানান। খবরে লেখা আছে, 'এনাদার উইমেন এনডিউয়ারড সিমিলার এটাকস', আরেকজনও একই ধরণের আক্রমন সহ্য করে গিয়েছেন। পড়ে মনে হলো, এই রকম হ্যারাসমেন্টের স্বীকার মেয়েরাই বেশি হয়। তবে সবচেয়ে খুশির খবর হলো, নতুন সম্ভবনা দেখা গিয়েছে, এই মামলার আসামী, যারা 'এনোনিমাস য়ুজার' ছিল, তাদের পর্দার আড়াল থেকে বের করে আনবে আদালত!



আমি খবর পড়ছিলাম আর বলছিলাম. ইয়েস, ইয়েস! গো গার্লস! খুব বেশি দিন হয় নি পাবলিক ফোরাম ব্যবহার শুরু করেছি। এর মধ্যে এমন সব কথা বার্তা শুনেছি যা সারা জীবনে শুনি নি, আশা করি কখনও শুনতে হবে না। শুধু তাই কি, কত জনে বানিয়ে বানিয়ে গুজব শুরু করে দিয়েছে! এই গুজবগুলো এমন, যেগুলোর প্রভাব শুধু ভার্চুয়াল জীবনে সীমাবদ্ধ থাকে না, ব্যক্তিজীবনেও চলে আসে। ও আসলে ছেলে, ও আসলে ৪০ বছরের এক বুড়ো লোক, ও আসলে একা লিখে না, একই একাউন্ট থেকে আরও অনেকে লিখে। ও হ্যান, ও ত্যান। এসব গুজব চালু করে মোটামোটি ব্যক্তি আক্রমনটা হালাল করে নেওয়া আর কি। এসব কেন করে মানুষ? আয়না দেখে না মানুষগুলো? রাতে ঘুমাতে পারে তো?



সবচেয়ে আঘাত পেয়েছিলাম একজনের আচরনের কথা শুনে। সেইজন নাকি আমার অবর্তমানে, ব্লগের বাইরের আড্ডায় বলেছে আমাকে ফোন করেছেন, ফোন ধরেছে এক ছেলে। এভাবেই তিনি নিজের সততা আর আমার ছেলে হওয়া দুইটা বিপরীতে রেখে প্রমান করে দিলেন আমি ছেলে! জনপ্রিয় মানুষ, তাঁর সততা নিয়ে সন্দেহ করার প্রশ্নই আসে না! অন্যদিকে আমি... যার কথা বার্তা পাবলিক এমনিই পছন্দ করে না। দ্যা চয়েস ইজ ইজি! অথচ তাঁকে আমি কখনও নাম্বারই দেই নি আর আমার ফোন আজ অব্দি আমি ছাড়া অন্য কেউ ধরে নি। কেন একজন শুধু শুধু নিজের অর্ধেক বয়সী একটা মেয়েকে নিয়ে এভাবে মিথ্যা কথা বলবে? (আক্ষরিক অর্থেই তিনি আমার মায়ের বয়সী)। আরও কত কুটনামী! দুভার্গ্যক্রমে, আমার কানে চলে এসেছে বেশ কিছু, ব্লগের বাইরে বলা হলেও। নিতান্তই দুভার্গ্য! আমার দুর্ভাগ্য। মানুষের পবিত্রতায় বিশ্বাস করতে চাই, সেই বিশ্বাসে চিড় ধরে তাই। যে বলেছে তার জন্য দুর্ভাগ্য। আমার চোখে অনেক ছোট হয়ে গেল তাই।



আমি শুধু আমার কথা বললাম। নেট ব্যবহারকারী মেয়েদের সবারই কোন না কোন সময় এমন ব্যপারের স্বাদ পেতে হয়েছে হয়তো। যারা পায় নি, তারা একটা গুনের জন্যই পেয়েছে--চোখ বন্ধ, কান বন্ধ, মুখ বন্ধ, নখ নেই, দাঁত নেই, বিষ নেই। সে যাক গে, নেটে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করুক, তাও মানা যায়, কিন্তু ব্যক্তি আক্রমন কেন? তার চেয়েও বড় কথা, একজনের অবর্তমানে অসত্য কথা বলে কুটনামী কেন???



আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, বাঙালী ছেলেরা অনেক কুটনামী করতে পারে, মেয়েদেরকেও হার মানায়। কুটনামী ব্যপারটা খারাপ, মেয়েরা করলেই খারাপ লাগে। ছেলেরা করলে অতিরিক্ত রকমের বাজে লাগে। আমার সাথে আদর্শিক মত পার্থক্য আসলে একটা অজুহাত। আমেরিকার ওই ল' স্টুডেন্টদের পিছনে লেগেছে যেই ছেলেগুলো, ওদের আবার কিসের আদর্শিক মতবিরোধ? ওই একই 'টাইপের' ছেলেগুলো সুযোগ পেয়ে একই কাজে লেগেছে আমার পিছনে। এরা স্কুলে, কলেজে, ইউনিভার্সিটিতে, কর্মক্ষেত্রে, নিজের বাসায়, যেখানে সুযোগ পাবে তাদের ভিতরের জানোয়ার বের হয়ে আসবে। কুৎসিত চেহারা বের হয়ে আসবে। এই একই কুৎসিত চেহারার একটা ফর্ম হতে পারে কোন ছেলের উপরও একতাবদ্ধ হয়ে মেরুদন্ডহীন, অর্থহীন আক্রমন। সোজা ইংলিশে "বুলিং"। একজন সত্যিকারের "পুরুষ" যা কখনই করতে পারে না।



আমার খুব দু:খ হয়, ওরা কখনও শ্রদ্ধা করার মত নারীদের নিজের জীবনে পায় নি নিশ্চয়ই। নারীদের যে শ্রদ্ধা করা যায়, তা বুঝে নি কখনও। সোজা সরল কোন নারীকে মা হিসেবে পেয়েছে, এক ধমকে চুপ করিয়ে রাখা যায়। বোনের প্রতি একমাত্র দায়িত্ববোধ ভালো পাত্রস্থ করা। নারীদের শ্রদ্ধা বলতে 'মা বোনের ইজ্জত' ছাড়া আর কিছু বুঝে না। মা অথবা বোন না হলে কাউকে শ্রদ্ধা করা নিষেধ! তার মানে নিজের বউকে শ্রদ্ধার দায় থেকে মুক্তি দেয়া যায় অনায়েসে। অফিসের কলিগ মেয়েটাকে নিয়েও তাই কুৎসিত কথা বলা যায়, সে তো আর মা বোন না! কিউরিয়াস--নিজের মা বোনের ইজ্জতে হাত লাগলে তেড়ে আসবে, এদিকে নিজের হাত লুট করতে থাকবে অনেকের ইজ্জত, সেই ব্যপারে কোন অসুবিধা নেই। একজন নারীর ইজ্জত যে শরীর সর্বস্র না, সেটা বুঝবে কতদিনে কে জানে!



মানুষগুলো মানুষ হোক! আর মামলায় জিতে আসুক নারীদ্বয়.. সমস্ত শুভ কামনা।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৬/-১

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:০৮

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: দূর হোক আছে যতশত কালো
প্রতিস্থাপনে এগিয়ে আসুক ভালো

২| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:১১

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: নির্বোধ বোধ আমার আমি পুরুষ-
ঈশ্বরের কাছাকাছি।
নারী প্রভুত্ব আমার মজ্জাগত।
তুমি দুর্বল,
পদতলে আমার স্বর্গসুখ তোমার;
তুমি উর্বর হও আমার কর্ষণে,
আমার গমন তোমার অভ্যন্তরে
জীবন তোমার সার্থক করে।

নারী, তুমি আমায় আলো দেখিয়েছো পৃথিবীর,
তোমার গর্ভের নিরাপদ আশ্রয়ে কেটেছে আমার ভ্রুণদশা,
তোমার স্তন-সুধা আমার শৈশবের একমাত্র জীবিকা।
তোমার স্নেহের ছোঁয়া মূলধন আমার নিষ্ঠুর এই পৃথ্বে বেঁচে থাকার।
কিন্তু হায়! বারে বারে, যুগে যুগে
আমি ভুলে যাই তোমার মাতৃত্বের অবদান।

অবোধ পুরুষ আমি-
মুদ্রার অপিঠটাকে দেখিনা
দেখতে গেলেও যুগযুগান্তরের বিশ্বাসের শিকড়টাকে
উপড়ে ফেলতে পারিনা...

নারী, আমি পুরুষ-
তোমাকে বোঝার বোধহীন এক নির্বোধ।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:১৪

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: ফরহাদ মাজহারের কবিতাটার কথা না বলে পারছি না-

আমি তোমার সামনে আবার নতজানু হয়েছি নারী
না, প্রেমে নয়, আশ্লেষে নয়; ক্ষমা চেয়ে
তোমার দয়া দিয়ে আমার হৃদয় ধুয়ে দেবার প্রার্থনায়।
আমার ভিতর যে পুরুষ তাকে আমি চাবুক মেরে শাসন করেছি
তাকে হাঁটু মুড়ে বসতে বলেছি তোমার সামনে
আমি ক্ষমা চাই- ক্ষমা করে দাও।
শুধু আমাকে নয়, সমস্ত পুরুষকে তুমি ক্ষমা করো
আমি আজ সমস্ত পুরুষের হয়ে তোমার ক্ষমাপ্রাথর্ী
পুরুষ তোমার সামনে আবার নতজানু হয়েছে নারী
তাকে ক্ষমা করে দাও।

গৃহপালিত পশুর মতো তোমাকে ব্যবহার করেছে পুরুষ।
আখ মাড়াইয়ের কারখানার মতো তোমার জাং চেপে
তারা উৎপাদন করেছে সন্তান।
টেলিভিশন বাঙ্রে মতো তোমার ভিতর তারা ঠেসে দিয়েছে তাদের জগৎ;
নীলিহ শিখার মতো জ্বলতে জ্বলতে তুমি তা প্রতিদিন প্রচার করে যাচ্ছো।
ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামের মতো অপ্রাণিবাচক তোমার অস্তিত্ব-
প্লাস্টিকের পুতুলের মতো প্রাণহীন।

তোমার নাম হতে পারতো কাঠকয়লা
তোমার নাম হতে পারতো হাতুড়ি
তোমার নাম হতে পারতো সেলাই-কল
তোমার নাম হতে পারতো মাদী কুকুর
নর মানবেরা ঠাট্টা করে তোমার নাম রেখেছে নারী
এই সব জেনে তোমার সামনে আমি নতমুখে এসে দাঁড়িয়েছি নারী
আমি পুরুষ, আমাকে ক্ষমা করো।

প্রতিদিন কেউ না কেউ স্বামী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে।
প্রতিদিন কেউ না কেউ পশু-স্বভাবিক কামুক তোমার মুখে এসিড মারে।
প্রতিদিন এগার বছর বয়সী বালিকাকে ধর্ষণ করে এগারজন পুরুষ।
কেনাবেচা চলছে তোমাকে নিয়ে
যেন তুমি শাক-সবজি-আলু-পটল-খাসির মাংস!
তোমার স্তন তারা মাপছে ফিতে দিয়ে
তোমার কোমর তারা মাপছে ফিতে দিয়ে
তোমার ঊঁরু তারা মাপছে ফিতে দিয়ে
দাড়িপাল্লায় ঝুলিয়ে ওজন করছে তোমাকে
তোমার দাঁত চুল নখ পরখ করে সাব্যস্ত করছে তোমার মূল্য।

তোমার নাম হতে পারতো মোগলাই পরোটা
তোমার নাম হতে পারতো জাপানী হোন্ডা
তোমার নাম হতে পারতো ডানহিল সিগারেট
তোমার নাম হতে পারতো পুষি বিড়াল
অর্ধসভ্য মানুষ তোমার নাম রেখেছে অর্ধাঙ্গিনী।
এই সব জেনে তোমার সামনে আমি নতমুখে এসে দাঁড়িয়েছি নারী
আমি পুরুষ, আমাকে ক্ষমা করো।

তুমি প্রজননযন্ত্র, তাই তোমার নাম জননী।
তুমি রমণযোগ্য, তাই তোমার নাম রমণী।
ঘোড়াশালে ঘোড়া, হাতিশালে হাতির মতো মহলে মহলে থাকো,
তাই তোমার নাম মহিলা।
গৃহে গৃহী আসবাবপত্রের মতো শোভা পাও,
তাই তোমার নাম গৃহিনী।

আমি পুরুষ শব্দের সমান অর্থবহ উচ্চারণে
তোমার নামকরণ করতে চাই নারী
কিন্তু পারি না।
অক্ষম লজ্জায় আমি তোমার সামনে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছি
আমি পুরুষ, আমাকে ক্ষমা করো।

আজ আমি -
আজ আমি তোমাকে বলতে এসেছি
পুরুষ শব্দের অর্থ হচ্ছে কর্তৃত্ব
এবং তোমার কর্তৃত্ব গ্রহণ করার সময় এসেছে নারী
পুরুষকে গ্রহণ করো- গ্রহণ করো।।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:২২

ঘোড়ার ডিম বলেছেন: আরে খাইসে! মৃন্ময় ভাইয়ে দেখি পুরাই ভাবে আছে :=)


আচ্ছা নারীগো পক্ষে মামলার উকিল কেডায়? জজই বা কে? পুরুষই তো? জিতলে তো পুরুষের রায়েই জিতবো! নাকি?

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:২৩

কালপুরুষ বলেছেন: খুব ভাল লিখেছিস। যারা তোকে নিয়ে এসব কথা বলে তারা কী জানে তুই আমার হইলেও হইতে পারিস ছেলের বউ? না জানলে বলে দিস, আমি তোর "হইলেও হইতে পারি" শশুর। তোর জামাই পড়ার জন্য লন্ডন যাবার চেষ্টা করছে।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৬

মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামান বলেছেন: বিপ্লব দিলাম।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৫

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: যে কষ্ট থেকে লিখেছেন লেখাটা, সেটা বুঝি ...শ্রদ্ধা জানাই নারীত্বকে ...
তবে, 'বাঙালী ছেলেরা অনেক কুটনামী করতে পারে'র জেনারেলাইজেশনটা একটু গায়ে লেগেছে :(

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৩

মানবী বলেছেন: ভালো লিখেছেন সন্ধ্যাবাতি তবে "আমি শুধু আমার কথা বললাম। নেট ব্যবহারকারী মেয়েদের সবারই কোন না কোন সময় এমন ব্যপারের স্বাদ পেতে হয়েছে হয়তো। যারা পায় নি, তারা একটা গুনের জন্যই পেয়েছে--চোখ বন্ধ, কান বন্ধ, মুখ বন্ধ, নখ নেই, দাঁত নেই, বিষ নেই। " এই কথার সাথে একমত নই।

সেই নোংরা ছেলেরা যেমন 'কখনও শ্রদ্ধা করার মত নারীদের নিজের জীবনে পায় নি' বলে আপনার মনে হয়েছে, তেমন কোন নারী ভাবতে পারেন আপনিও যথেষ্ট নারীর সাথে পরিচিত নন।

শুধু বাংলাদেশি কেন, পৃথিবীর সব দেশেই এমন বিকৃত মানসিকতার পুরুষ আছে। বাংলাদেশের সব ছেলেরা এমন বাজে নন।

ভালো লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। ৫

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৪:১৯

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ধন্যবাদ মৃন্ময়। ফরহাদ মাজহারের কবিতাটা অনেক ছুঁয়ে গেল।


কালপুরুষ,
হা হা হা। কমেন্টটা বাঁধাই করে টানিয়ে রাখব নে, কেউ কাছে ঘেষবে না।


ধন্যবাদ @ মিমোহু।


জ্বিনের বাদশাহ,
আমি কথাটা জেনারালাইজড করেই বলেছি। বাঙালী ছেলেরা যদি স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়, তাহলে কম বেশি কুটনামী করে। যদি স্বতন্ত্রতা থাকে, তাহলে করে না। কথাটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও সত্য, কিন্তু ছেলেদের কুটনামীটা কেন যেন মানতে কষ্ট হয়। আমি আমার পরিবারে তেমন ছেলেদের দেখি নি। পরিবারের বাইরে বাঙালী ছেলে খুবই কম চিনি। ব্লগ থেকেই অনেককে চিনি। এদের অনেকেই কুটনামীর এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যে জেনারাইলেজেশনটা হয়ে গিয়েছে... কষ্ট দেয়ার জন্য স্যরি। আমার এলাকায় একটা বাঙালী ছেলে থাকে, আমার ইউনিতেই পড়ে। ট্রেইনে এক সাথে কখনও সখনও যাওয়া হয়। পুরা এক ঘন্টায় সে স্রেফ কুটনামী করে। তারপরেও জানি এমন ছেলেরা আছে যারা করে না। কিন্তু তারা 'স্বতন্ত্র'। সাধারনের চেয়ে আলাদা। আমার সমস্ত শ্রদ্ধা তাদের জন্য অবশ্যই। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, পশ্চিমে ছেলেদের অবসেশন গাড়ি, বাড়ি, চাকরি, ভিডিও গেইমস, এরকম বস্তুগত অনেক কিছুতে বাড়াবাড়ি রকমের সীমাবদ্ধ বলে ওদের আলোচনায় হয়তো কুটনামী কম পেয়েছি... কি জানি। সে যাক গে, কুটনামী করে না এমন ছেলেরা যে নেই তা না। সেসব ছেলেদের, যাদের স্ট্রং পারসোনালিটি আর ক্যারেক্টার আছে, তাদের খুবই শ্রদ্ধা করি আমি।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৪:২৩

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: মানবী,
নারীদের সাথে পরিচয় আছে, কিন্তু খুব দৃঢ় হাতে প্রতিবাদ করার পাশাপাশি সব ধরণের নোংরামি থেকে বেঁচে আছেন, তেমন মেয়েদের আসলেই কম দেখেছি। কারণ, সেই সব মেয়েদের গায়ে নোংরা হাত দেয়ার জন্য বিকৃত মননের অভাব নেই যে! ওহ বলে রাখি, আপনাকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করি :)

আপনার দ্বিতীয় প্রতিবাদটার জবাব জ্বি.বা. কে করা মন্তব্যে দিয়েছি।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৪:৩১

কৌশিক বলেছেন: ব্লগস্পটে পড়েছিলাম।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৫

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: এই যে দেবরা যার দ্বারা আক্রান্ত হলেন, তার ভাষা থেকে আমি চিনতে পেরেছি। আজকে আবার সবগুলো ব্লগ পড়ে বিশেষ কিছু শব্দের ব্যবহার থেকে নিশ্চিত হলাম। তিনি আমাকে বহুত আক্রমন করেছেন কুৎসিত ভাষায়, অন্য নিকে। যেহেতু সেখানে একটা রাজনৈতিক রং দিয়েছিলেন, তাই অনেকেই মাথা হেলিয়ে দুলিয়ে সমর্থন দিয়েছে। ব্যাপারটা আসলেই কোন আদর্শিক কিছুতে সীমাবদ্ধ না, তিনি আসলেই নারীদের শ্রদ্ধা করতে জানেন না। দেবরাকে এমন আক্রমন করে প্রমান করে দিলেন নিজের চুড়ান্ত নোংরামি। তার মা, মেয়ে, বোন আর স্ত্রীর দুর্ভাগ্য!

জেনারাইলেজেশনটা এসেছে হয়তো অনেকটা এক ধরণের ফ্রাস্টেশন থেকে। নানা সময়ে অসংখ্য নোংরামিতে যত হাম দুম সমর্থন দেখেছি অনেকগুলো বাঙালী পুরুষ ব্লগারের, তাদের মেরুদন্ডের জোর নিয়ে খুব সন্দেহ হয়েছে! সেজন্য খারাপই লাগে এখানে আসতে। আমাকে একজন ব্লগার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, চক্রের (যে আরেকটা নামে ব্লগে আগে ছিলেন) যতগুলো ডিগ্রী আছে, আমি আরও একজনকে সাথে নিয়েও ততগুলো ডিগ্রী বাগাতে পারব না। আমি পড়ে হেসে ফেলেছি। একজন এভারেজ বাঙালী পুরুষের মন্তব্য। কবে বুঝবে মানুষগুলো, সত্যিই এইসব দেখন ডিগ্রীকে আমরা একটুও কেয়ার করি না। একটুও না। শিক্ষা একজন মানুষকে মহৎ করতে পারে নি, বরং তাকে নোংরামিতে চৌকশতা এনে দিয়েছে... শিক্ষার এর চেয়ে দু:খজনক পরিনতি আর কি হতে পারে? ওই ল' এর ফোরামের আক্রমনাত্মক পুরুষগুলা তো আইনজীবিই! মানুষ হতে পারে নি এখনও, আফসোস, এত বড় বড় আদর্শের কথা বলতে আসে!

আবারও দু:খিত জ্বিনের বাদশা, মানবী। সত্যিই বিশ্বাস করি ভালো, দৃঢ় চরিত্রের 'মানুষ' পুরুষেরা আছেন। অনেক আছেন। কেবল ব্লগে তাদের বড় অভাব!


পড়েছিলেন? :) @ কৌশিক।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৫:১০

মাহমুদ রহমান বলেছেন: অ্যানোনিমাসের ব্যাপারটাই আসলে মূল সমস্যা করছে বলে মনে হয়। যে কেউ যা ইচ্ছা লিখতে পারছে। রিয়েল লাইফে সে তার সম্মানবোধ যাওয়ার ভয় করছে না। স্রেফ তার নিজের খায়েশ মিটাচ্ছে।

আমি সল্যুশন খুঁজছি, আপাতত পাচ্ছি না।

আপনার লেখা পড়া বোঝা যাচ্ছে, আপনি অতিশয় ক্ষুব্ধ। হয়ত ব্যাপক কষ্ট পেয়েছেন, আপনার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।@ সন্ধ্যাবাতি

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০০৭ রাত ২:৪৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: লেখা নিয়ে আর কি বলবো? বরাবরের মতই ভালো। ব্লগে এসে জীবনের আরেকটা দিক দেখেছি,মানুষগুলো কিভাবে মুখোশ পরে থাকে। এত বড় বড় নাম,যাদের নাম এমনকি পত্রপত্রিকায় পড়ে শ্রদ্ধায় মাথা নামিয়েছি,এখানে এসে দেখি এরাই স্বনামে বেনামে এমনভাবে কাপুরুষের মত যা-তা বলে যাচ্ছে(কাপুরুষ কেন বললাম? কারণ যা সামনে বলতে পারবে না,নিজের নামে পারবে না,বেনামে তাই বলে যায়),অবাক ব্যাপার না? মানুষের কত চেহারা। জানা কথা,ওদের দেখা যাবেনা,ধরা যাবেনা,তাই নিজেদের বিকৃত রূপটাকে,পশুটাকে বের করে দেয়া যাক এখানে। নিজেদের ফেরেশতা দাবী করিনা,আমাদের ত্রুটি আছে,কিন্তু নিজের জ্ঞানের অহংকারে মানুষকে মানুষ মনে না করার শিক্ষাটাও পাইনি। কি ভাবে ওরা নিজেদের,ওরা ভালো জানে,তবে মনে হয় মানুষ ওদের কি ভাবে,সেটা একবার ভেবে দেখলে পারতো।অনেক ভালো ব্লগার,যাদের লেখা পড়ার জন্য বসে থাকতাম,চলে গেছেন এখান থেকে,কারণটা,এই নোংরামি অহোরাত্রি আর কত ভালো লাগে? মেয়ে হলে আরো সুবিধা,অশালীন ২-১টা কথাতেই সরিয়ে দেয়া যায়,আহা কি বীরপুরুষ একেকজন।মানুষ হোক ওরা।
মৃন্ময় কে আলাদা ধন্যবাদ,ফরহাদ মযহারের কবিতাটার জন্য।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অবেলা বলেছেন: আপনি কি অসম্ভব কষ্ট পেয়েছেন সেজন্য সমব্যথী। রাসেলের মত জানোয়ার ব্লগার একবার আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। চোর নামের নর্দমার কীট একবার মা-বাপ তুলে গালি দিয়েছে। আপনার সন্দেহই ঠিক। সে আবার চক্র নামে ফিরে এসে গালিগালাজ শুরু করেছে। আপনি তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তবে বাংগালি ছেলেদের মেরুদন্ডের জোর নিয়ে আপনার কথা মানতে পারলাম না। আপনি বাংগালি ছেলেদেরকে কাছ থেকে খুব একটা দেখেছেন কি?

১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:২৭

বাকী বিল্লাহ বলেছেন: পুরুষ যে জানোয়ার এটা জানার জন্য জ্ঞানী হতে হয় না, যে কোন পুরুষ ভালো করে নিজের ভেতর দেখলেই স্পষ্ট হতে পারবে, স্বীকার করবে কি না তা আলাদা কথা। আস্তিক, নাস্তিক, ধর্মান্ধ, সাধু, বাউল সব পুরুষই জানোয়ার।
আমি জীবনের দীর্ঘ একটা সময় বিশ্বাস করেছি যে, সৃষ্টি হিসেবে নারী পুরুষের চেয়ে উন্নততর। কিন্তু এখন সে বিশ্বাস নেই। তাই যদি হবে, যুগের যুগ পুরুষ নামক জানোয়ার(যেভাবেই হোক না কেন) নারীর ভালোবাসা-শ্রদ্ধা-ভক্তি-আনুগত্য আদায় করতে পারতো না।
উপসংহার: নারী-পুরুষ উভয়েই জানোয়ার। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে জানোয়ারীত্ব প্রদর্শনের লড়াইয়ে পুরুষ এগিয়ে আছে..
এই যা।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩১

অহনা বলেছেন: আমার ভালো লেগেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.