![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা। আমি অফিসে আমার ডেস্কে বসে আছি। এমন সময় এক মাঝবয়সী লোক আসলো। তিনি একটি সরকারী অফিসে চাকরী করেন। লোন নিতে চান। আমি বসতে বললাম। তিনি না বসে দাড়িয়ে রইলেন। আমি আবারও বসতে বললাম।
তখন তিনি বললেন:- স্যার, আমি সুইপার।
আমি বললামঃ- আচ্ছা, বসেন ।
তারপরও তিনি দাড়িয়ে রইলেন। আমি আবার বললাম:
-"ভাই, দুইটা চেয়ার খালি, যে কোন একটাতে বসেন। বসে কথা বলেন।"
তিনি বললেন:- "স্যার, আমি সুইপার,ঝাড়ুদাড়। আমাদের চেয়ারে বসা নিষেধ আছে।"
আমি বললাম: "কে নিষেধ করছে?"
তিনি বললেন: "অফিস থেকে নিষেধ আছে।"
আমি কিছুটা অবাক হলাম, কিছুটা বিস্ময় নিয়ে ভদ্রলোকের দিকে তাঁকালাম। তিনি আমার দিকে হাতজোড় করে দাড়িয়ে আছেন।
আমি বললাম:- "দেখেন, এটা আপনার অফিস নয়, আমাদের অফিস, ব্যাংকের অফিস। আর আপনি ব্যাংকের সম্মানিত কাস্টমার। এই চেয়ারগুলো সকল কাস্টমারদের জন্য। আমাদের কাছে সব কাস্টমারই সমান। আপনি বসেন। আপনি না বসলে আমি আপনার সাথে কথা বলবোনা।"
আমি জোড় করাতে তিনি বসলেন। তারপর আমি তাঁকে লোন নেয়ার নিয়মকানুন বলছিলাম। এমন সময় তার অফিসেরই আরেকজন অফিসার আসলেন আমার সাথে লোনের বিষয়ে কথা বলতে। তাঁকে দেখে সুইপার ভদ্রলোকটি লাফ দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন। ওই অফিসারের কাছ থেকে প্রায় দুই হাত দুরে গিয়ে হাত জোড় করে দাড়িয়ে পড়লেন!!
------------------------------------।
আজকের ঘটনাঃ
আমি আমার বাসার কাছে পান্থপথে মেইন রাস্তার ধারে একটা সিঁড়িতে বসে আছি। অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে সন্ধার দিকে প্রায়ই বসি। এখানে একটা ছেলেকে প্রায়ই বসে থাকতে দেখি, তার সাথে আগে আমার কথা হয়েছে। কিছুটা সহজ সরল। সে ও সুইপার। খুব ভোরে রাস্তা ঝাড়ু দেয়। বিকাল বা সন্ধেটা বসে বসেই কাটায়। কিছু পড়াশোনা জানে মনে হয়। হাতে পত্রিকা বা ম্যাগাজিন,এটা সেটা থাকে। আজকেও একটা পত্রিকা হাতে নিয়ে বসে আছে। অন্যদিন আমি পাশে বসলে কেমন আছি জিঙ্গেস করে, আজ তেমন কিছু জিঙ্গেস করলো না। কি যেন ভাবছে। আমি বসে মোবাইলটা হাতে নিয়ে নেটে ব্রাউজ করা শুরু করি। এমন সময় ছেলেটি এগিয়ে আমার আরও কাছাকাছি আসলো, এসে বসলো:
-ভাই!
-হুমম, বলো।
-আমার শরীর গন্ধ করে কি-না শুকে সত্যি সত্যি বলেনতো!!
এমন প্রশ্নে আমি বিস্মিত হলাম। মোবাইল থেকে চোখ তুলে তার দিকে তাঁকালাম, তাকিয়ে বললাম:
- না তো! কিন্তু কেন?
-না এমনি। আচ্ছা ভাই, আমরা কি দেখতে আপনাদের মতো না?
-আমরা কারা?
-আমরা মানে সুইপাররা।
-তা হবে না ক্যান? সব মানুষই তো দেখতে মানুষের মতো!
-"তাহলে আপনাকে বা ওই দোকানদারকে কেউ জড়াইয়া ধরলে তো পত্রিকায় নিউজ হয়না। আমাদের ধরলে পত্রিকায় নিউজ হয় ক্যান? আমরা কি খুব খারাপ মানুষ?"
আমি কিছুটা আঁচ করতে পারলাম তারপরও খোলাসা করার জন্য জিঙ্গেস করলাম: "পরিস্কার করে বলোতো কি বলতে চাচ্ছো?"
-"ভাই, রংপুরে এক সুইপার মহিলাকে এডিসি ম্যাডাম জড়াইয়া ধরে স্বান্তনা দিছে, কারণ ওই মহিলার ছেলে এক্সিডেন্টে মারা গেছে। আর সেটা আজকে কয়েকটা পত্রিকায় আইছে। এই যে আমার হাতে একটা। সবাই এডিসি ম্যাডামকে অনেক বড় মনের মানুষ বলছে। কেন ভাই? আমাগোরে ছুইলে কিংবা জড়াইয়া ধরলেই বড় মনের মানুষ হয়ে যাইবো ক্যান ? আমরা এত নিকৃষ্ট কোন দিক দিয়া? খারাপ কেমনে হইলাম?"
আমি ছেলেটির কাঁধে হাত রাখলাম। হাত রেখে বললাম:-
-"ভুল কথা। তোমরা মোটেও খারাপ না,নিকৃষ্টনা। যারা তোমাদের নিকৃষ্ট মনে করে তারাই নিকৃষ্ট। তারাই খারাপ। আর যে এডিসি ম্যাডাম ওই মহিলাকে জড়িয়ে ধরেছে সে মোটেই তোমার-আমার চেয়ে বড় নয়, তোমার-আমার সমান এবং আসল মানুষ। আসল মানুষের সংখ্যা খুব কম হওয়াতে এটা উদাহারন হয়েছে। একদিন আর এটা হবেনা। মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, শুদ্ধ হচ্ছে। এমন একদিন আসবে যেদিন সব পেশার মানুষকে মানুষ সমানভাবে সম্মান করবে। রিকশাওয়ালা, শ্রমিক,কুলি কিংবা সুইপারকে কেবল তাদের পেশার জন্য তাচ্ছিল্য করে কথা বলবেনা। বয়সের ভিত্তিতে স্নেহ করবে,শ্রদ্ধা করবে। চরিত্রের ভিত্তিতে ঘৃণা করবে,ভালবাসবে।"
আমার কথাগুলো সে মনোযোগ দিয়ে শুনে, স্বান্তনা পায় কিন্তু আশ্বস্ত হয়না। হয়তো ভাবে এর কথায় আর কি হবে? আশেপাশে তো দেখতেছি সবাই আমাদেরকে কেমনে দেখে! এমনটা চলছে,চলবেই!!
সাড়ে আটটার মতো বাজে, ক্ষুধা লাগতেছে। আমি বাসায় যাওয়ার জন্য উঠে পড়ি। উঠতে উঠতে ছেলেটিকে বলি: "আশাহত হইয়ো না, দেখো একদিন সব বদলে যাবে!"
ফিরতে ফিরতে মনে মনে ধন্যবাদ দেই এডিসি তনিমা তাসনিম ম্যাডামকে। উপরের স্তরের এই মানুষগুলোর ভিতরের ভালমানুষটা যদি এভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে তবেই না সমাজে পরিবর্তন আসবে, মানুষগুলোতে পরিবর্তন আসবে। শ্রেণীভেদ মুছে যাবে!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
সপ্নচোরা বলেছেন: বলেছেন: “প্রতিটি মানুষ তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু পেয়ে, বেঁচে থাকুক।”
আপনাকে ধনব্যাদ।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
রানার ব্লগ বলেছেন: ছুয়ুনা ছুয়ুনা ছি !! ও সে চন্ডালীনির ঝী !! এই যুগ থেকে আমরা আজো বের হতে পারিনি। এটাই হাতাশার ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
সপ্নচোরা বলেছেন: সেই দিনটি আসবে আশাকরি যেদিন চন্ডালীনির ঝি কে ছুতে কারও গা ঘিনঘিন করবেনা। আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমিও আশায় আছি আপনার মতঃ
//আসল মানুষের সংখ্যা খুব কম হওয়াতে এটা উদাহারন হয়েছে। একদিন আর এটা হবেনা।//।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালথাকুন সবসময়।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
মানবী বলেছেন: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সবচেয়ে বড় কুফল বলে মনে হলেও এধরনের ঘৃন্য শ্রেনী বিভেদ মনে হয় আরো আগে থেকেই প্রচলিত ছিলো। সেই রাজা রাজরার আমল আর তারপর জমিদার প্রজার সেই বৈষম্য।
আজ আমরা মোবাইল ফোনে আলাপ করি, ঘরে ঘরে টিভি আর স্যাটেলাইট চ্যানেল, ইন্টার নেটের মাধ্যমে মূউর্তেই ছুঁয়ে যাই পৃথিবীর অপর প্রান্তরের মানুষের জীবন অথচ চোখ খুলে ভালো করে তাকালে দেখবো এই শ্রেনী বৈষম্যের কারনে আজও আমরা সেই প্রাচীন যুগেই পরে আছি।
ব্যাংকের অ্ভিজ্ঞতা পড়ে নিজের অনেক অনেক অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়লো।
শৈশব থেকে বাবা মা আমাদের মানুষের মাঝে ভেদাভেদ করা শিখান নাই, তাই মন্ত্রী আর ঝাড়ুদার আমাদের কাছে সমান ব্যবহার পায়। মানুষের বয়স আর আচরনের উপর তাঁর প্রতি ব্যবহার নির্ভর করে, তাঁর শিক্ষা, পেশা(নিজের শিক্ষক ব্যতিক্রম) বা সামাজিক অবস্থান নয়। এধরনের মানসিকতার কারনে শৈশব থেকেই বন্ধু বান্ধবদের বিভিন্ন মন্তব্য শুনে এসেছি, সেসব লিখতে বসলে মন্তব্য দীর্ঘ হয়ে যাবে।
আপনার মানসিকতা ভালো লেগেছে জেনে। আমাদের দেশের সামাজিক আঁধারা আপনার মতো মানুষদের আলোয় আলোকিত হবে একদিন, এই স্বপ্নটা এখনও বেঁচে আছে।
পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকুন।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
প্রেতরাজ বলেছেন: সেই দিনের স্বপ্নে বিভোর যেদিন দেখব সমাজের থেকে এই শ্রেণীবৈষম্য চিরতরে উধাও হয়ে গেছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
সপ্নচোরা বলেছেন: আপনাদের মতো এই মানসিকতার মানুষগুলোতে যখন দেশ ভরে যাবে সেইদিন শ্রেণীবৈষম্য চিরতরে উদাও হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
কিরমানী লিটন বলেছেন: সুমন কর বলেছেন: এমন একদিন আসবে যেদিন সব পেশার মানুষকে মানুষ সমানভাবে সম্মান করবে। রিকশাওয়ালা, শ্রমিক,কুলি কিংবা সুইপারকে কেবল তাদের পেশার জন্য তাচ্ছিল্য করে কথা বলবেনা। বয়সের ভিত্তিতে স্নেহ করবে,শ্রদ্ধা করবে। চরিত্রের ভিত্তিতে ঘৃণা করবে,ভালবাসবে।" --- এই সুদিনের অপেক্ষায় আছি।
প্রতিটি মানুষ তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু পেয়ে, বেঁচে থাকুক।
ভালো একটি লেখায়, ভালো লাগা রইলো।
চমৎকার পোষ্টের জন্য সাধুবাদ -শুভকামনা জানবেন ...
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
সপ্নচোরা বলেছেন: সুদিনের অপেক্ষায় আছি
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: কাগজ কলমে শিক্ষিত না হয়ে প্রকৃত শিক্ষার হার বাড়লে এই শ্রেণি বিভেদ থাকবে না।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: Social Stratification. সামাজিক স্তরবিন্যাস।
এই সামাজিক স্তর বিন্যাসটাই আমাদেরকে অসামাজিক করে রেখেছে।
সৃষ্টির পর থেকে মানুষ এত চেষ্টা করে আজকের অবস্থানে এসেছে - তবুও এখনও সেই উচ্চ-নিন্ম শ্রেণীটা রয়েই গেছে।
কেউই মানতে চায় না - এই নিন্মদের কারণেই আজকে এই উন্নতি সভ্যতার। আর সভ্যতা ওদেরকেই বলি দিচ্ছে।
আপনার গল্পের ছলে বলা কথা গুলো বেশ ভালো লেগেছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
জুন বলেছেন: সবাই এডিসি ম্যাডামকে অনেক বড় মনের মানুষ বলছে। কেন ভাই? আমাগোরে ছুইলে কিংবা জড়াইয়া ধরলেই বড় মনের মানুষ হয়ে যাইবো ক্যান ? আমরা এত নিকৃষ্ট কোন দিক দিয়া? খারাপ কেমনে হইলাম?"
আমাদের এই উপমহাদেশ ছাড়া এই শ্রেনী বৈষম্য সভ্য জগতের আর কোথাও আছে কি না জানি না । তবে বর্ন বৈষম্য অনেক সভ্য দেশে প্রকাশ্যে না থাকলেও নীরবে নিভৃতে ঠিকই চলে আসছে ।
কবে আমরা এর হাত থেকে মুক্তি পাবো ? কবে সুইপার শ্রেনীকে জড়িয়ে ধরলে বিশাল হৃদয়ের অধিকারী বলে পেপারে হেডিং হবো না । সেই শুভদিনের প্রতীক্ষায় । অনেক ভালোলাগলো আপনার সচেতনমুলক পোষ্ট স্বপ্নচোরা ।
+
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সপ্নচোরা ,
আপনি একটি স্বপ্ন দেখাতে চাইছেন । কিন্তু দেখার চোখ কই ?
সহ ব্লগার রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: Social Stratification. সামাজিক স্তরবিন্যাস যা আমাদেরকে অসামাজিক করে রেখেছে, সেটাই আমাদের দেখার চোখকে অন্ধ করে রেখেছে ।
সহ-ব্লগার রানার ব্লগ বলেছেন: ছুয়ুনা ছুয়ুনা ছি !! ও সে চন্ডালীনির ঝী !! এই যুগ থেকে আমরা আজো বের হতে পারিনি। একদম ঠিক কথাটি বলেছেন ।
সহ-ব্লগার প্রবাসী পাঠক এর কথামত বলি - কাগজ কলমে শিক্ষিত না হয়ে প্রকৃত শিক্ষার হার বাড়লে এই শ্রেনী বিভেদ থাকবে না।
আর সবশেষে সহ-ব্লগার মানবী র কথার সাথে গলা মিলিয়ে বলি - আপনার মানসিকতা ভালো লেগেছে । আমাদের দেশের সামাজিক আঁধারা আপনার মতো মানুষদের আলোয় আলোকিত হবে একদিন, এই স্বপ্নটা এখনও বেঁচে থাকুক।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৮
সপ্নচোরা বলেছেন: এই স্বপ্নটা এখনও বেঁচে থাকুক
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪১
স্পর্শিয়া বলেছেন: ফিরতে ফিরতে মনে মনে ধন্যবাদ দেই এডিসি তনিমা তাসনিম ম্যাডামকে। উপরের স্তরের এই মানুষগুলোর ভিতরের ভালমানুষটা যদি এভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে তবেই না সমাজে পরিবর্তন আসবে, মানুষগুলোতে পরিবর্তন আসবে। শ্রেণীভেদ মুছে যাবে!!
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ তনিমা ম্যাডামের মত হোক এটাই চাওয়া।
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন সবসময়।
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১
পাঠক মানব বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯
সপ্নচোরা বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই
ধন্যবাদ ভালো থাকুন সবসময়।
১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
আবু শাকিল বলেছেন: পরিবর্তন আসুক সবার মাঝে ।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
সপ্নচোরা বলেছেন: পরিবর্তন আসুক সবার মাঝে ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১
প্রামানিক বলেছেন: ফিরতে ফিরতে মনে মনে ধন্যবাদ দেই এডিসি তনিমা তাসনিম ম্যাডামকে। উপরের স্তরের এই মানুষগুলোর ভিতরের ভালমানুষটা যদি এভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে তবেই না সমাজে পরিবর্তন আসবে, মানুষগুলোতে পরিবর্তন আসবে। শ্রেণীভেদ মুছে যাবে!!
সুন্দর কথা বলেছেন। ধন্যবাদ
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
সপ্নচোরা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৭
নতুন বলেছেন: অনেকে এখনো মনে করে যে সমাজে এই শ্রেনীবিভাগের দরকার আছে।
অনেক অফিসার ভুলে যায় যে তারাও চাকুরে... হয়তো বেতন আর সুবিধা অন্যদের চেয়ে বেশি। কিন্তু ঐ সুইপার আর বিভাগীয় প্রধান দুজনেই চাকুরে।
মানুষের মন বড় না হলে সবাইকে একই রকমের মানুষ ভাবতে পারেনা।
আমাদের নিজেদের মাঝেই আছে অনেকে ড্রাইভার, কাজের মানুষের জন্য ড্রইং রুমে মোড়া/টুল রাখে যাতে বাড়ীর মালিকের সাথে ছোফায় না বসে।
বাসার কাজের মানুষ রান্না ঘরে খেতে দেয় একই ডাইনিং টেবিলে খায় না।
সমাজে অনেক পরিবত`ন দরকার।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫
আহলান বলেছেন: সবাইকেই এই ব্যপারে সচেতন হতে হবে .... তাহলেই পরিবরর্তন সম্ভব ...
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২০
তাল পাখা বলেছেন:
when you betray
somebody else,
you also betray yourself.
A very helpfull status to change our mind.
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
সপ্নচোরা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই ধরনের শ্রেনী বৈষম্য আমাদের দেশে এক ধরনের প্রচলিত হয়েই গেছে। যখনই ব্যতিক্রমের কথা শুনি, তখনই মনে আশা জেগে উঠে!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
সপ্নচোরা বলেছেন: পরিবর্তন আসবে সেই অপেক্ষায়..
ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২২
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: মানুষগুলোর ভেতরে আসুক পরিবর্তন। মুছে যাক শ্রেণীভেদ।
ভাল লাগা রইল ভাই।
পরিবর্তন আসবেই।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
সপ্নচোরা বলেছেন: পরিবর্তন আসবেই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: পরিবর্তন রাতারাতি আসবে না তবে আসবে এক সময়ে; আসতেই হবে।
২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বদলে যাওয়ার মিছিল শুরু হোক আজ হতেই, এখন হতেই । আমি আছি আপনার পাশে।
২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
রাবার বলেছেন: উপরের স্তরের এই মানুষগুলোর ভিতরের ভালমানুষটা যদি এভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে তবেই না সমাজে পরিবর্তন আসবে, মানুষগুলোতে পরিবর্তন আসবে। শ্রেণীভেদ মুছে যাবে!!
একমত
২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কই আর বদলালো?
শতবছরতো হতেই চলল প্রায়- জাতীয় কবি সেই আক্ষেপ আর স্বপ্নের কথা বলে গেলেন..
কুলি কবিতায়...
দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে,
বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।
বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!
কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্?
রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে,
রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে,
বল ত এসব কাহাদের দান! তোমার অট্টালিকা
কার খুনে রাঙা?-ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি হঁটে আছে লিখা।
তুমি জান না ক’, কিন- পথের প্রতি ধূলিকণা জানে,
ঐ পথ, ঐ জাহাজ, শকট, অট্টালিকার মানে!
আসিতেছে শুভদিন,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ!
হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,
পাহাড়-কাটা সে পথের দু’পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!
তুমি শুয়ে র’বে তেতালার পরে আমরা রহিব নীচে,
অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা আজ মিছে!
সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা-রসে
এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে!
তারি পদরজ অঞ্জলি করি’ মাথায় লইব তুলি’,
সকলের সাথে পথে চলি’ যার পায়ে লাগিয়াছে ধূলি!
আজ নিখিলের বেদনা -আর্ত পীড়িতের মাখি’ খুন,
লালে লাল হ’য়ে উদিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ!
আজ হৃদয়ের জমা-ধরা যত কবাট ভাঙিয়া দাও,
রং-করা ঐ চামড়ার যত আবরণ খুলে নাও!
আকাশের আজ যত বায়ু আছে হইয়া জমাট নীল,
মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্ এ বুকে, খুলে দাও যত খিল!
সকল আকাশ ভাঙিয়া পড়-ক আমাদের এই ঘরে,
মোদের মাথায় চন্দ্র সূর্য তারারা পড়-ক ঝ’রে।
সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি’
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শোনো এক মিলনের বাঁশী।
একজনে দিলে ব্যথা-
সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা।
একের অসম্মান
নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান!
মহা-মানবের মহা-বেদনার আজি মহা-উত্থান,
উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে কাঁপিতেছে শয়তান!
নবীজি যেই আহবান করে গেলেন ১৪০০ বছর আগে.. একজন হাবসী ক্রীতদাস আর মুনিবের মাঝে কোন পার্থক্য নেই তাকওয়া ছাড়া!
কিন্তু মোল্লারা সেই শিক্ষাটাও যেন ভুলে গেছে!!!!
জেগে থাকুক স্বপ্নেরা পূরণ হবে বলে।
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
আব্দুল্যাহ বলেছেন: এর সবকিছুই মানবতা।
আমি যখন ২০০৬ এ মাদ্রাসার ছাত্র তখন গ্রামে থাকতাম, যোগাযোগ ছিল খুবই খারাপ। সাইকেল চালিয়ে ৪কি:মি: দুরে গিয়ে ক্লাস করতাম, তখন গ্রামে গ্রামে সুইপাররা একটি বালতি কাধে ও হাতে ঝাড়ু নিয়ে ঘুরে বেরাত কাজের জন্য। আমি তাদের দেখা হলে সাইকেল করে নিয়ে যেতাম। বিস্বাস করবেন না, মাদ্রাসায় যেখানে ছেলেরা কুকুর দেখলেও ঘুরে চলত তারা আমার এমন কাজ দেখে অবাক হয়েছিল, কিন্তু তাদের কাছে এই আমিই ভালো মানুষ।
আমার এলাকায় পাগল প্রায় এক লোক আছে, যাকে ছোট থেকেই অন্যের জমিতে কাজ করতে দেখছি। একদিন তাকে বাসা থেকে ০৯ কি:মি থেকে একটি টিন নিয়ে হাটতে হাটতে বাসায় যেতে দেখে মোরট সাইকেলে তুলে নিয়েছিলাম। আমি কখনোই ভাবিনি এমন বয়সেও সেই মানুষটিকে আগে কেউ মোটরসাইকেলে চড়ায়নি। যাবার পথে অনেক কষ্ট হয়েছিল, কাধে টিন, তারপর নটুন যাত্রী। মামা বলে ডাকা সেই লোকটি সেদিন আমার শার্টের একটি বোতাম ও চুলশুন্য বুকটার অমুল্য কিছু চুল তুলে ফেলেছিল।
২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এমন একদিন
আসবে যেদিন সব পেশার
মানুষকে মানুষ সমানভাবে
সম্মান করবে। রিকশাওয়ালা,
শ্রমিক,কুলি কিংবা সুইপারকে
কেবল তাদের পেশার জন্য
তাচ্ছিল্য করে কথা বলবেনা। বয়সের
ভিত্তিতে স্নেহ করবে,শ্রদ্ধা করবে। চরিত্রের
ভিত্তিতে ঘৃণা করবে,ভালবাসবে।" --- এই
সুদিনের অপেক্ষায় আছি।
স্বপ্ন দেখে যাচ্ছি
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
সুমন কর বলেছেন: এমন একদিন আসবে যেদিন সব পেশার মানুষকে মানুষ সমানভাবে সম্মান করবে। রিকশাওয়ালা, শ্রমিক,কুলি কিংবা সুইপারকে কেবল তাদের পেশার জন্য তাচ্ছিল্য করে কথা বলবেনা। বয়সের ভিত্তিতে স্নেহ করবে,শ্রদ্ধা করবে। চরিত্রের ভিত্তিতে ঘৃণা করবে,ভালবাসবে।" --- এই সুদিনের অপেক্ষায় আছি।
প্রতিটি মানুষ তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু পেয়ে, বেঁচে থাকুক।
ভালো একটি লেখায়, ভালো লাগা রইলো।