নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরনার্থী

পরিচয় নেই। আমি শুধুই শরনার্থী।

শরনার্থী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিন শেয়ালের গল্প (ধেঁরে শেয়াল হতে অনুপ্রানিত হয়ে লেখা)

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২



শেয়ালের প্রতিকী ছবি- 'নব্য ছাগু'

কেহ ইহাকে স্যাটায়ার বলিয়া অভিযুক্ত করিলে আমার কুনু দোষ নাই, ইহা কেবল-ই একটা সুখপাঠ্য সাহিত্য মাত্র যাহার কারো সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ অথবা সংশ্লিষ্টতা নাই। যদি কেহ সংশ্লিষ্টতা খোঁজেন তাইলে পিলিজ নিজ দায়িত্বে খুঁজিবেন, লেখক কোন দায়ভার গ্রহন করিবেন না।

এক জঙ্গলে খুবই ধূর্ত তিনটা শেয়াল ছিল। ধুর্ততাই বোধ করি তাদের একত্রিত হবার মূল কারন। অন্যান্য শেয়ালদের মত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জঙ্গলে খাবার সংগ্রহ করাটা তাদের নিকট ছিল রীতিমত বিরক্তিকর। আর তাই এই বিরক্তি এবং অক্লান্ত পরিশ্রম থেকে পরিত্রান পেতে চুরি বিদ্যাটা তাদের নিকট অধিকন্তু শ্রেয় মনে হয়েছিল, এবং তাহারা ইহাতে বেশ পারদর্শিও ছিল। অন্যের খাবার চুরি করে অথবা খাবার চুরি করতে প্রায়ই তারা জঙ্গলের পাশের গ্রামগুলোতে রাতের বেলা ঢুঁ। কেউ কিচ্ছুটি জানতেও পারত না। অন্যান্য দিনের মত, একদিন রাতে তারা আবারো গ্রামের এক রঙওয়ালার মুরগীর ঘরে হানা দেয়। শেয়ালদের এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট, ওৎ পেতে থাকা রঙওয়ালা শেয়ালগুলোকে প্রচন্ড রকম দৌড়ানি দেয়। বেগতিক অবস্থায়, দৌড়ানি খাওয়া চতুর শেয়ালগুলো গিয়ে পরে রঙওয়ালার নীল রঙের খালে (যেখানে রঙ গোলানো হয়)।

পরিস্থিতি শান্ত হলে, নীল রঙএর খাল থেকে উঠে শেয়ালগুলো দেখে যে তাদের পুরো গায়ের রঙ নীল হয়ে গিয়েছে। শেয়ালকুলে আর কোন মান-ইজ্জ্বত থাকছে না ভেবে, তারা খুব ভেঙ্গে পড়ে এবং মনের দুঃখে নদীর তীর ধরে হাটতে থাকে। মাদী শেয়ালটা কেউ কেউ করে কানতে কানতে বলতে থাকে- শরীরের এই রঙ নিয়ে কিভাবে আমরা শেয়াল সম্প্রদায়ের কাছে ফেরত যাব? যদি তারা আমাদের অস্বীকার করে? ধেঁরে শিয়ালটা হঠাৎ 'হুক্কুউরেকা-হুক্কুউরেকা' বলে চিক্কুর পারতে থাকে। মাদী শেয়াল আর খেকি শেয়ালটা তাকে মনযোগ দিয়ে শোনে এবং সমস্বরে গেবনের শেষবারের মত হুক্কা-হুয়া, হুক্কা-হুয়া গগন বিদারী রব তোলে।

সোজা জঙ্গলে গিয়ে তারা প্রথমে ভাগ-বাটোয়ারার উপর ভিত্তি করে তাদের কিছু চামচিকা তৈরি করে এবং তাদের মাধ্যমে জঙ্গলের সকল পশু এবং প্রেস ডেকে (বাঘ, সিংহ, ভল্লুক, উল্লুক, শেয়াল, বিড়াল, বিটিভি, এনটিভি, আল-জাজিরা, বিবিসি ও অন্যান্য) একটা জরুরী সভার আয়োজন করে। সভায় উপস্থিত সকলেই বিচিত্র এই নীলরঙা প্রানী তিনটিকে দেখে যার পরনাই হতবাক হয়ে যায়। কেউ কেউ মাদী শেয়ালটার প্রেমেও পড়ে যায়। চালাক তিন শেয়াল জঙ্গলের প্রানীকুলের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করতে থাকে। তারা বলে, আমাদের দেখে হতবাক হবার কিছুই নাই। আমরা ঈশ্বর প্রেরিত, ঈশ্বরের বার্তা বাহক। ঈশ্বর আমাদের পাঠিয়েছেন, এই জঙ্গলের দায়িত্ব গ্রহন করে জঙ্গলের সকল পশুকুলকে সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের জন্য। আমরা সবার থেকে আলাদা এবং উন্নত, আপনারা আমাদের কথা শুনুন অন্যথায় কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য। তাদের বক্তব্যের মাঝে মাঝে চামচিকারা তাদের জোড়ালো বিশ্বাসের জানান দিতে থাকে আর মারহাবা মারহাবা রব তুলতে থাকে। সকলে ধূর্ত শেয়ালদের কথা মেনে নেয় এবং নীল তিন শেয়ালকে জঙ্গলের রাজা মনোনীত করে। রাজা হবার পর নীল শেয়ালরা খাবার সংগ্রহ করবার মত বিরক্তিকর ঝামেলা হতে মুক্তি নিয়ে শুধু হুকুম করতে থাকে। জঙ্গলের বাকী শেয়ালদের তারা দাস বানাতে শুরু করে। আর যারা তাদের দাসত্ব মেনে নিত না, তাদের উপর নেমে আসত অত্যাচার।


চামচিকাদের কাজ ছিল, রাজার হুকুমে জঙ্গলে একে অন্যের সাথে গ্যাঞ্জাম-কলহ বাঁধিয়ে রাখা আর বিদ্রোহ দমন করা। কেউ রাজার বিরুদ্ধে টু শব্দটি করলে চামচিকা-রা আলাদা-আলাদা হয়ে সেখানে এমন ভাবে ঝাপিয়ে পড়ত যেন তারা জঙ্গলের নিরীহ প্রজা কিন্তু এমন দরদী রাজাগনকে তারা খুব ভালোবাসেন, রাজার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তারা তা কিছুতেই মেনে নেবেন না। বিদ্রোহীকে তারা মেরে-রক্তাক্ত্ব করে জঙ্গল থেকে বের করে দিত আর তাদের এই বিদ্রোহ দমনে বেশিরভাগ সময় তিন নীলরঙা শেয়ালও ছদ্মবেশে সামিল হয়ে দল ভারী করত।

এভাবেই চলছিল জঙ্গলের রাজনীতি আর রীতি-নীতি। লেজ গুটিয়ে, নীল শেয়ালের ভয়ে বাঘ-সিংহ সকলেই এক ঘাটে পানি খাচ্ছিল, কেউ কেউ জঙ্গল ত্যাগ করেছিল। নীল শেয়ালের অত্যাচারে সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছিল জঙ্গলের সাধারন-শেয়াল সম্প্রদায়ের কারন তাদের উপরই অত্যাচারের মাত্রাটা ছিল তীব্র থেকে তীব্রতর। কথায় কথায় তাদের উপর নেমে আসত রাজার নানা অবিচার, অত্যাচার।


নীল রাজাদের অত্যাচার হতে রেহাই পাবার জন্য জঙ্গলের বুড়ো শেয়ালটা একদিন জঙ্গলের বাকী শেয়ালদের নিয়ে মিটিং ডাকে। এজেন্ডা-ডিসকাসন-একশন এর মাধ্যমে তারা একটা মিটিং মিনাটসও তৈরি করে ফেলে, যেখানে নীল শেয়ালেরা যে আসলে ঈশ্বর প্রদত্ত কেউ নয় বরং ভন্ড-কপট-প্রতারক এবং শেয়াল সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের অন্যায়-অবিচার নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বুড়ো শেয়ালটা বলে, নীল শেয়ালেরাও আমাদের মত শেয়াল, শুধু তাদের গায়ের রঙটা নীল তোমরা কি তা এতদিনেও বুঝতে পার নাই। যে নীল, গ্রামের নীল চাষীদের কাছে পাওয়া যায়। জঙ্গলের সকল অঘটন, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, মারামারি-র জন্য যে তারা দায়ী তোমরা কি বুঝতে পারনা? বাকী শেয়ালেরা নিজের সাথে রাজাকে মেলাতে থাকে, তাদের ছদ্মবেশ মেলাতে থাকে। তারা সমস্বরে বলে উঠে-কথা সত্য! রাজা আর কেউ নয় তারাও আমাদের মত শেয়াল কিন্তু বেশ ধূর্ত। তারা সকলে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা এই নীল শেয়ালের ধূর্ততা জঙ্গলের পূর্বের রাজাদের কাছে এমন ভাবে ধরিয়ে দেবে যে তারা আর পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। ফায়ার ফক্সের প্রস্তাবটা ছিল, জঙ্গলের যখন গুরুত্বপূর্ন সভা চলবে সেদিন তারা কেউ সভায় যাবে না বরং পাশে আড়ালে থেকে সকলে মিলে সমস্বরে ‘হুক্কা হুয়া’বলে ডেকে উঠব। সত্যি শেয়াল হলে, তারা অবশ্যই প্রতি উত্তর না করে থাকতে পারবে না।


যথারীতি জঙ্গলরাজের মাসিক সভা চলছে। বাঘ-ভাল্লুক-উল্লুক সকলেই উপস্থিত শুধু শেয়াল সম্প্রদায় ছাড়া। বড়ই গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- এবারের ইস্যুটা ছিল জঙ্গলের বিদ্রোহ দমন। জঙ্গলরাজগন তাদের মাল্টি সূত্রে খবর পেয়েছেন যে জঙ্গলে নীল-রাজত্বের বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে আর সেটার নেতৃত্ব দিচ্ছে 'ফায়ার ফক্স' নামক একটা শেয়াল। কি করে এই ফায়ার ফক্সকে দমন করা যায় সেই আলোচনা যখন চলছিল তখন জঙ্গলের বাকী শেয়ালেরা সমস্বরে ডেকে উঠে ‘হুক্কা হুয়া-হুক্কা হুয়া'। এত কাছ থেকে এমন হুক্কা হুয়া ডাক শুনে মাদী শেয়ালটা ভেতরটা 'কুই কুই' করে ওঠে। ধেঁরে শেয়ালটা খুব কষ্ট করে নিজেকে, মাদী শেয়ালটাকে আর হুলো শেয়ালটাকে দমিয়ে রাখে হুক্কা হুয়ার প্রতি-উত্তর প্রদান করা থেকে। জংলী শেয়ালেরা ডাকের পর ডাক দিতে থাকে। খুব কষ্ট করে তারা প্রতি উত্তর করা থেকে বারংবার নিজেদের বিরত রাখে, কিন্তু কতক্ষন! দীর্ঘ দিন হুক্কা হুয়া ডাক না দিতে পারা, ধূর্ত শেয়ালেরা একটা সময় আর নিজেদের ধরে রাখতে পারে না।


তিনটাই আকাশের দিকে মুখ উচু করে সমস্বরে ডেকে ওঠে ক্যায়া-হুয়া!!



মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

বিজন রয় বলেছেন: একবছর পর পোস্ট করলেন!!!!!

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

শরনার্থী বলেছেন: জ্বি আমি এমনেই পোস্ট করি তয় আপনাদের সাথে রইছি সর্বক্ষন।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

কার্তিক দা বলেছেন: শিয়াল মামার গপপো =p~ :)

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

শরনার্থী বলেছেন: উপভোগ করুন!

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: হচচে টা কি :)

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

শরনার্থী বলেছেন: শিয়াল মামা হুক্কা হুয়া ডাক দিসে শ্যাস পযযন্ত!
রবীন্দ্রনাথ আর নব্য ছাগু শিয়াল মামা থিক্কা অনুপ্রানিত হইয়া আমিও একখান সুখপাঠ্য রচনা করিবার প্রয়াস করিলাম আরকি! কইলেন না কেমুন হইচে?

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

শরনার্থী বলেছেন: রিমাইন্ডারঃ এই ব্লগে কেহ মাল্টি বাজি করতে আসলে কমেণ্ট মুছে দেয়া হপে কুনু উত্তর না দিয়ে। ব্যাক্তিগত আক্রমন সহ্য করা হপে না কোনভাবেই।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



পুরাতন গল্পকে টেনেটুনে অনেক লম্বা করেছেন, ঘনত্ব কমে গেছে

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

শরনার্থী বলেছেন: জ্বি ভাই বুঝছি যে গল্পের ঘনত্ব কমে গিয়েছে। এরপর চেষ্টা করব ভাব-গাম্ভীর্যতা বজায় রেখে গল্প লেখার। ধন্যবাদ জানবেন।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

পাপুয়া নিউগিনি বলেছেন: গফ রে গফ ! শিয়াল গুলান কেঠা ?? নাম জানতে মুঞ্চায় =p~

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

শরনার্থী বলেছেন: আপনে তাইলে গল্পটা পড়েন নাই। গল্প পইড়া মন্তব্য করলে শেয়ালের নাম জিগাইতেন না। একটা ধেঁরে শিয়াল, একটা মাদী শেয়াল আর একটা হুলো শেয়াল। আপনে খারাপ স্টুডেন্ট!

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

শরনার্থী বলেছেন: ডুডু পাখির বাচ্চা নামক জনৈক ব্লগার এখানে ব্যাক্তিগত আক্রমন, অযাচিত মন্তব্য এবং তার নিজের বংশ পরিচয় ফাঁস করে দেবার কারনে তার মন্তব্যের প্রতি-উত্তর না দিয়েই যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সেগুলো মুছে ফেলা হল বলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ব্যাথিত।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

সময়ের ডানায় বলেছেন:
তিন শেয়ালকে কি ব্লগ থেকে বের করার যোগাড় করলেন নাকি? :P

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

শরনার্থী বলেছেন: বের করব ক্যান ভাই? বের করার আমি কে বলেন! আমি তো নিজেই অন্যের দ্বারা বিতারিত। তবে আমি সত্যের পক্ষে। গল্পটায় আমার চাওয়া, ধূর্ত শেয়ালেরা তাদের শয়তানিগুলো বন্ধ করে জঙ্গলের সকল প্রানীকুলকে মূল্যায়ন করা শিখুক তাদের ছদ্মবেশী খেলাটা বাদ দিক। যদিও গল্পের মূল লেখক আমি নই। :) :)

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৮

বাণী হাসান বলেছেন: দারুন গল্প
:D

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৩

শরনার্থী বলেছেন: সব উপরওয়ালার ইচ্ছা!

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৩

রু রু পাখি বলেছেন:

আমার নাম রুরু। এখন আমি একটা শেয়াল আর মুরগীর গল্প বলবঃ


এক গ্রামের এক গেরস্থের বাড়ি ছিল অনেক পোষা মুরগি।
বাড়ির পেছনে ছিল একটা বাঁশবন। সেখানে থাকত এক শেয়াল।
একদিন বিকেলবেলা, গেরস্থের গিন্নি উঠোনে দানা ছড়িয়ে দিয়েছে, মুরগিরা সেই দানা খেতে ভীষণ ব্যস্ত, সেই ফাঁকে শেয়াল গিয়ে ঢুকল মুরগিদের ঘরে।
ঢুকে দেখে, বাঃ, বেশ কতগুলো ডিম পড়ে আছে দেখছি। খিদেয় তখন শেয়ালের পেট চোঁ চোঁ করছে। সে কপাকপ কপাকপ আট-দশটা ডিম গিলে ফেলল। তারপর হেলতে দুলতে, ঢেঁকুর তুলতে তুলতে ফিরে গেল বাসায়। অনেকদিন পর আজ বেশ পেট ভরে খাওয়া গেল।
ওদিকে সন্ধেবেলা মুরগিরা ঘরে ফিরে দেখে ডিম-টিম হাওয়া। তারা খুব খানিক কোঁকর কো কোঁকর কো করল, কিন্তু ডিমগুলো গেল কোথায় কিছুই বুঝল না।
শেয়াল তো গর্তের ভেতর ঢুকে, পেটে হাত বোলাতে বোলাতে আরাম করে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘোঁত ঘোঁত করে নাক ডাকছে তার।
রাত গভীর হল। হঠাৎ শেয়ালের ঘুমটা গেল ভেঙে। পেটটা কেমন আইঢাই করছে যেন। হঠাৎ পুটুস করে একটা আওয়াজ, তারপর খসমস খসমস শব্দ। আওয়াজটা হল কোথায়? একটু পরে আবার পটাস, আবার খসখস খরখর। তিনবারের বার শেয়াল বুঝল আওয়াজটা আসছে তার পেটের ভেতর থেকে। হয়েছে কী, শেয়ালের পেটের ভেতর বেশ গরম পেয়ে সেই ওমে ডিমগুলো সব ফুটতে শুরু করেছে, আর একটা একটা করে বেরিয়ে আসছে মুরগিছানা, ঘুরে বেড়াচ্ছে পেটের ভেতর।পরদিন সকালে মুরগিরা দেখে, তাদের ঘর থেকে শেয়ালের পায়ের ছাপ চলে গেছে বাঁশবন অবধি। দেখে তো তারা বুঝে গেল ডিমচুরি কার কাজ! মিছিল করে কোঁকর কো কোঁকর কো করতে করতে তারা চলল শেয়ালের কাছে, হাতে ঝান্ডা, মুখে স্লোগান।
‘ডিম চুরি করল কে?
শেয়াল ছাড়া আবার কে?
চুরি কেন জবাব দাও,
ডিমগুলো সব ফেরত দাও।
মোদের ডিম মোদের ছানা,
নজর দেওয়া পষ্ট মানা।’
মুরগিদের ডাকাডাকিতে কিছুক্ষণ পরে শেয়াল গর্ত থেকে মুখ বার করল, “ক্যা হুয়া? ক্যা হুয়া?”
“এইও! আবার ভালোমানুষের মতো বলা হচ্ছে কেয়া হুয়া! কেয়া হুয়া তুমি জানো না? আমাদের ডিমগুলো সব ফেরত দাও বলছি ভালোয় ভালোয়। নইলে আন্দোলন চলছে, চলবে।”
“তোমাদের ডিম? আরে রাম রাম! তোমাদের ডিম আমি চুরি করব কোন দুঃখে? ওইটুকু-টুকু ডিমে কি আমার পেট ভরে? বয়েই গ্যাছে তোমাদের ডিম খেতে। আমার কি খাওয়ার অভাব? এই তো কাল রাতে মন্ত্রীর ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন ছিল। জব্বর খাইয়েছে। এত খেয়েছি, কী বলব, এখনও ঢেঁকুর উঠছে।”
এই বলে শেয়াল হেউ করে বিশাল এক ঢেঁকুর তুলল। আর সেই ঢেঁকুরের সঙ্গে তার মুখ থেকে ফুড়ুৎ করে বেরিয়ে এল ছোট্ট এক মুরগিছানা।
শেয়াল ভারী অপ্রস্তুত হয়ে ব্যাপারটা সামাল দেবার জন্য বলল, “এই রে! এই ছানাটা আবার এল কোথা থেকে? কখন এসে আমার গর্তের ভেতর লুকিয়ে ছিল দ্যাখো।”
বলতে না বলতেই ফের বিরাট এক ঢেঁকুর, তার সঙ্গে আরও দুটো মুরগিছানা বেরিয়ে সোজা তাদের মায়ের কোল ঘেঁষে জুটল।
“আরে আরে, দ্যাখো কতগুলো ছানা এসে সেঁধিয়েছে আমার গর্তে!”
মুরগিরা একসঙ্গে কলরব করে উঠল, “ইঃ, আমাদের কি গাধা পেয়েছ নাকি? আমরা কিছু বুঝি না? পষ্ট দেখছি ছানাগুলো তোমার মুখ থেকে বেরোচ্ছে!”
শেয়াল চেপে মুখ বন্ধ করে প্রাণপণ চেষ্টা করল যাতে ফের ঢেঁকুর না ওঠে, কিন্তু তার পেটের ভেতর মুরগিছানারা তখন বাইরে তাদের মায়ের গলা শুনে ফেলেছে, বেরোবার রাস্তাও চিনে গেছে। একের পর এক ঢেঁকুরের সঙ্গে ফুরফুর ফুরফুর করে বাকি ছানাগুলোও বেরিয়ে এল বাইরে।
ছানা ফেরত পাওয়ার খুশিতে হৈচৈ করতে করতে মুরগির দল ফিরে গেল ঘরে। শেয়াল মনমরা হয়ে গর্তে বসে রইল।বাড়ি ফিরে একটা চালাক মুরগির মগজে একটা বুদ্ধি গজাল। সে ভাবল, ব্যাপারটা তো মন্দ নয়! রোজ যদি শেয়াল এসে ডিমগুলো খেয়ে যায়, আর পরদিন সকালে গিয়ে তার পেট থেকে ছানাগুলো বার করে আনা যায়, তাহলে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘণ্টা ডিমের ওপর বসে তা দিতে হয় না। বিকেলে সাজুগুজু করে একটু হাওয়া খেতে বেরোনো যায়; সবাই মিলে একটু হাসিঠাট্টা, গল্পগুজব, খেলাধুলো করা যায়।
আইডিয়াটা সে অন্য মুরগিদের শোনাল। সবাই তো এককথায় রাজি, “হ্যাঁ হ্যাঁ, দারুণ হবে। রোজ রোজ কাঁহাতক বসে বসে তা দেওয়া যায়! প্রচণ্ড একঘেয়ে ব্যাপার। চলো, আজ ফের শেয়ালকে নেমন্তন্ন করে আসি।”
দু-একটা ভিতু মুরগি অবশ্য বলল, “না বাবা, আমরা ওর মধ্যে নেই। শেষে যদি শেয়াল ডিমগুলো হজম করে ফেলে?”
অন্য মুরগিরা সবাই মিলে তাদের দাবড়িয়ে দিল, “ঠিক আছে, দরকার নেই তোমাদের যাওয়ার। থাকো তোমরা ঘরে বসে, তা দাও বেশ করে। ভিতুর ডিম কোথাকার!”পরদিন সকালে মুরগির দল ফের মিছিল করে চলল শেয়ালের বাসায়।
“শেয়াল ভায়া, শেয়াল ভায়া, আছো নাকি?”
শেয়াল গর্ত থেকে মুখ বার করে বলল, “ক্যা হুয়া? ক্যা হুয়া?”
“বলছি, আজ সন্ধেবেলা আমাদের বাড়িতে তোমার নেমন্তন্ন, ডিম খাওয়ার। তুমি ডিম খেতে খুব ভালোবাসো কিনা!”
শেয়ালের তো শুনেই জিভ থেকে লালা ঝরতে লাগল। তাও সে গম্ভীর হয়ে বলল, “খুব মুশকিলে ফেললে গো তোমরা! আজ যে পণ্ডিতমশাইয়ের নাতির অন্নপ্রাশনে আমার নেমন্তন্ন।”
“তা, অন্নপ্রাশনের খাওয়া তো দুপুরবেলা! আমাদের নেমন্তন্ন হল সন্ধেয়। কোনও কথা শুনছি না ভায়া, যেতেই হবে তোমায়।”
“বেশ, কী আর করা! যেতেই হবে বলছ যখন, যাব না হয়।”সন্ধে হতে না হতে শেয়াল হাজির মুরগিদের ঘরে। ভিতু মুরগিগুলো ভয়ে ভয়ে তাদের ডিম আগলে বসে রইল। আর বাকিরা মহা উৎসাহে শেয়ালকে আদরযত্ন করে তাদের ডিম খাইয়ে দিল।
শেয়ালের সেদিন খাওয়া জোটেনি। জুটবে কী করে? সারাদিন তো পড়ে পড়ে ঘুমোয়!
খিদের মুখে প্রায় একডজন ডিম কপাকপ গিলে ফেলল সে। মুখে অবশ্য বলে চলল, “ওফ, এত খাওয়া যায় নাকি? দুপুরে পণ্ডিতমশাই যা খাইয়েছেন! তার ওপর আবার তোমাদের নেমন্তন্ন।”
খেয়েদেয়ে পেট ফুলিয়ে শেয়াল চলল গর্তে, আর মুরগিরা দল বেঁধে চলল সিনেমা দেখতে।
গভীর রাতে ফের শেয়ালের পেটে শুরু হল খসখস, খড়মড়, ফরফর। পেট ভরে খাওয়ার আমেজে শেয়াল তখন গভীর ঘুমে। তার ঘুম ভাঙল না।পরদিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মুরগির দল কোঁকর কো কোঁকর কো করতে করতে হাজির। সে ডাক শুনেই ডিম ফুটে বার হওয়া মুরগিছানারা লাইন দিয়ে বেরিয়ে এল শেয়ালের পেট থেকে, একের পর এক ঢেঁকুরের সঙ্গে।
খুশি মনে মুরগিরা সেদিন সন্ধেবেলার জন্যও শেয়ালকে নেমন্তন্ন করে ছানা-টানা আগলে নিয়ে ফিরে গেল বাড়ি।
শেয়াল ভেবে দেখল, মজা মন্দ নয়। বিনা পরিশ্রমে রোজ সন্ধেবেলা যদি এমন পেট ভরে ডিম খাওয়া জোটে, রাতে জবরদস্ত ঘুম হয়, তাহলে আর চাই কী? সারাদিন আয়েস করে গর্তের ভেতর শুয়ে-বসেই কাটানো যায়। সূর্য ডুবতে না ডুবতেই হেলতে দুলতে চলল সে মুরগিদের বাসায়।
এদিকে ভিতু মুরগিগুলোরও মনে সাহস এসেছে। অন্য সবার সঙ্গে তারাও তাদের ডিম শেয়ালের পাতে বেড়ে দিল।
দিনসাতেক এরকম চলার পরে গেরস্থের তো পাগল পাগল অবস্থা! সে বেচারা প্রতিদিন সকালে মুরগির ঘর থেকে ডিম তুলে নিয়ে ঝুড়িতে করে বিক্রি করতে যেত বাজারে। সাতদিন হল সে একটাও ডিম পায় না। সকালে গিয়েই দ্যাখে সবকটা ডিমই ফুটে মুরগিছানা হয়ে গেছে। ডিম বেচেই তার সংসার চলে। সে এখন খায় কী? তার ঘরে চাল বাড়ন্ত, ডাল বাড়ন্ত। সামান্য মুড়ি কেনারও পয়সা ফুরিয়ে এল। মুরগিছানাগুলো বড়ো করে যে বাজারে বিক্রি করবে, তার জন্যও তো তাদের খাবার কিনতে হবে, পয়সা লাগবে! সে গিন্নির সঙ্গে গভীর পরামর্শ করতে বসল।
এদিকে পরপর সাতদিন চুটিয়ে নেমন্তন্ন খাওয়ার পর শেয়াল দেখল, তার আর তেমন খিদে পাচ্ছে না। পেটটা কেমন ফুলে ঢোল হয়ে উঠছে আস্তে আস্তে। আর পেটের ভেতরে সারাক্ষণ কী সব যেন খসখস গজগজ করে। পাশ ফিরলে খচমচ আওয়াজ, চলতে ফিরতে ঘচরমচর। তার সঙ্গে পেটে একটা চিনচিনে ব্যথা। লোভের বশে নেমন্তন্নও ছাড়তে পারছে না সে। সন্ধে হলেই রওনা দেয় মুরগিদের ঘরের দিকে। কিন্তু খাওয়ায় আর তেমন রুচি নেই তার।গিন্নির সঙ্গে পরামর্শ সেরে আটদিনের দিন গেরস্থ ঠিক করল সে পাহারায় বসবে; বিকেল থেকে লুকিয়ে চোখ রাখবে মুরগির ঘরের দিকে। এই রহস্য তাকে উদ্ঘাটন করতেই হবে।
সেইমতো সেদিন মুরগির ঘরের ছাঁচের বেড়ার ফাঁক দিয়ে সে দেখল, শেয়াল এল, ডিম খেল, তারপর হেলতে দুলতে বাঁশবনের দিকে চলে গেল। আর তার পোষা মুরগিরা কিনা আদর করে শেয়ালকে বসিয়ে তার পাতে একের পর এক ডিম বেড়ে দিল।
পরদিন ভোরবেলা মুরগিরা যখন মিছিল করে শেয়ালের গর্তের দিকে রওনা হল, তখন গেরস্থও একটু তফাতে লুকিয়ে লুকিয়ে চলল। হাতে নিল মস্ত এক কাঠকাটা করাত। আজ এর একটা হেস্তনেস্ত করেই সে ছাড়বে! গেরস্থকে অবাক করে দিয়ে মুরগিদের কোঁকর কো ডাকের সঙ্গে সঙ্গে শেয়ালের মুখ থেকে বেরিয়ে এল একের পর এক মুরগিছানা। মুরগিরা সেই ছানাপোনা নিয়ে খুশিতে হৈ চৈ করতে করতে ফিরে চলল বাসায়। শেয়াল ফের গর্তে সেঁধোল।
গেরস্থ একটা মোটা গাছের আড়ালে ওত পেতে রইল, শেয়াল কখন গর্ত থেকে বেরোয় সেই আশায়। সে বুঝে গেছে, এই শেয়ালটাই যত নষ্টের গোড়া, তার যত ভোগান্তির কারণ। একে ভিটেছাড়া না করতে পারলে সে আর কোনওদিন মুরগির ডিম পাবে না।
এদিকে একটু পরেই শেয়ালের প্রচণ্ড পেটব্যথা শুরু হল। সে এমন ব্যথা যে, সে গর্তে শুয়ে শুয়ে গোঙাতে লাগল। একটু নড়াচড়া করলেই পেটে কীসব খচমচ গজগজ আওয়াজ, তার সঙ্গে মারাত্মক ব্যথা। শেয়াল মনে মনে ঠিক করল, ঘাট হয়েছে, অনেক হয়েছে নেমন্তন্ন খাওয়া, আর নয়। ডিম খেতে খেতে তার মুখের রুচিই চলে গেছে। পেটটা ফুলে ঢোল হয়ে থাকে সবসময়।
ব্যথা একটু কমলে পরে শেয়াল ভাবল একবার ডাক্তার দেখিয়ে নিলে হয়। ডিম খেয়ে খেয়ে কী না কী ব্যারাম বাধিয়ে বসেছি। ওষুধ খাওয়া দরকার। গর্ত থেকে বেরিয়ে সে চলল ডাক্তারের চেম্বারে।
গেরস্থ এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল। সেও পেছন পেছন লুকিয়ে লুকিয়ে করাত বাগিয়ে চলল।
ডাক্তার শেয়ালকে দেখে পেটটা টিপেটুপেই বললেন, “এক্ষুনি এক্স রে করতে হবে।”
শেয়াল ভয়ে আঁতকে উঠল, “ওরে বাবা রে, এক্স রে! নিশ্চয়ই খুব ব্যথা লাগবে, না ডাক্তারবাবু? মরে-টরে যাব না তো?”
“ধুর বোকা! এক্স রে করলে ব্যথা লাগে নাকি?”
“লাগে না? ইনজেকশন দিলেই তো কী ভয়ানক ব্যথা লাগে, এক্স রে করলে নিশ্চয়ই তার চেয়েও বেশি লাগবে! আমি ইনজেকশন ভয় পাই।”
ডাক্তার গম্ভীরভাবে বললেন, “বাজে কথা বোলো না। ওই টেবিলে চুপচাপ চিত হয়ে শুয়ে পড় গিয়ে।”
এক্স রে প্লেট আলোর সামনে ধরে ডাক্তার বললেন, “এসব পেটের মধ্যে কী? সাদা সাদা। ডিমের খোসার মত! পেট ভর্তি কাগজের কুচি নাকি? কী খেয়েছ তুমি? এ তো এক্ষুনি অপারেশন করে বার করতে হবে দেখছি।”
গেরস্থ এতক্ষণ ডাক্তারের চেম্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে চুপিচুপি সব দেখছিল। তাড়াতাড়ি ভেতরে ঢুকে এসে বলল, “হ্যাঁ ডাক্তারবাবু, ডিমের খোসা। এ ব্যাটা রোজ আমার মুরগির ঘরে ঢুকে সব ডিম খেয়ে যায়, ডিম ফুটে ছানাগুলো সব পালিয়েছে, খোসাগুলো জমে আছে পেটে। অপারেশন করবেন তো? এই নিন স্যার, করাত এনেছি।”
এই বলে সে তার ভয়ংকর কাঠকাটা করাতখানা ডাক্তারবাবুর দিকে বাড়িয়ে দিল।
সেই দেখে ভয়ে শেয়ালের তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া!
“ওরে বাবা গো, অপারেশন! করাত! মেরে ফেলল গো, কে আছো বাঁচাও… বাঁচাও…” বলতে বলতে টেবিল থেকে লম্ফ দিয়ে নেমে সে ল্যাজ গুটিয়ে পোঁ পা দৌড়।
সেই যে সে একজিট ভেলোসিটিতে ছুটে পালাল, আর কোনওদিন ওই গ্রামের ত্রিসীমানাতেই ঘেঁষেনি। লোকালয় ছাড়িয়ে সোজা গিয়ে ঢুকল গভীর বনে।

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৫

শরনার্থী বলেছেন: গল্পডা এট্টু বড় হইচে তয় বালাইচে। শেয়াল গল্প আমি কুব বালা পাই।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

সাসুকেকি বলেছেন:

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৬

শরনার্থী বলেছেন: ও ভাউ! আমি তো হাসতে হাসতে পেট ফাইটা মইরা যাইতাসি। এত্ত পতিবা লইয়া আপনে গুমান ক্যামতে?

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১৪

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: সুন্দর গল্প সাজিয়েছেন ভাই। মুগ্ধতা রইল।

০৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৩০

শরনার্থী বলেছেন: ভাউ, ১২ নম্বর ফটো কমেণ্টটা আমার এপিক লাগসে। আমার গল্পের থেকেও এপিক এইটা, একবারে বুঝায়া দিসে নব্য ছাগু কি!! ঘটনা পরিবর্তকটা কেমুন জানি ন্যাতায়া গেল ব্লগে। আর রসিয়ারেও মাইনসে ফেসবুকে পচায়া দিসে। এত্তু অবিচার কেনু, কেনু, কেনু???

১৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একটু নয় বেশ মজাই পেলাম।। ধন্যবাদ।।

০৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৩৪

শরনার্থী বলেছেন: ১৭০০ মালতি পিঠ চাপড়ানী আর গালগল্পের পুস্তে অখন ১৭ তা লিক কমেন্ত পড়তাসে যার ১০ টাই আবার পা-চাটা ঘটনা পরিবর্তক আর রসিয়া বন্দুর!! আপনে মগা পাইচেন ধন্যবাদ। তয় ব্লগটা আর আগের মত নাই রে ভাউ, মাইনসে কালি ধইরে দেয়।

১৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

মানবী বলেছেন: পোস্ট পড়ে মনে হয়েছিলো এমনি গল্প, পরে দেখি মাল্টিনিক দিয়ে নির্লজ্জভাবে আত্মপ্রশংসার সমালোচনা!!
এই বিষয়ে মজার একটি পোস্ট এসেছিলো দুদিন আগে।

এধরনের নির্লজ্জ আচরণকারীরা যেহেতু আত্ম মর্যাদাবোধহীণ হয়ে থাকে, শত সমালোচনা এদের স্পর্শ করেনা। এখন থেকে এধরনের সব মা্ল্টি নিক ব্লক!!!

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ শরনার্থী।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

শরনার্থী বলেছেন: স্যালুট তো আপনাকে মানবী! এই ইস্যুটা প্রথম আপনি বের করেছেন।

সত্যি কথা কি মানবী, তারা আসলে ব্লগটাকে যাচ্ছেতাই বানিয়ে যার সাথে যা ইচ্ছা আচরন করছিল যেটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আম-ব্লগারদের নিকট আজকে তাদের পেছনের ভয়ংকর পাশবিক চেহারাটা পরিস্কার। কিন্তু ঐ যে একটা কথা বলে না, খারাপ মানুষের লজ্জ্বা নাই। তাদেরও হয়েছে সেটাই। ফেসবুকে তাদের নিয়ে মানুষ ছিঃছিঃ করছে। ব্লগে সাধারন ব্লগারগন এখনো কিছু বলছেন না কারন তাদের ভয় টা এখনো ভেঙ্গে যায়নি। তারা ভাবছে যদি আজকে এই তিন শয়তানের বিপক্ষে কথা বলি তাহলে মাল্টি দিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে তারা ব্লগ ভাসাবে।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুপ্রিয় সুহৃদ!

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনি কি শুধুই শরণার্থী নাকি আরো কোন পরিচয় আছে।

আপনার পোস্টে সমর্থন জানিয়ে গেলাম। মাল্টিবাজি দেখতে দেখতে বিরক্ত।
আশ্চর্যের বিষয়, ব্লগ মাস্তান যিনি বিভিন্ন পোস্টে অনাহুতভাবে অপমানকর কমেন্ট করেন, কিন্তু চিহ্নিত কিছু মাল্টিবাজের পোস্টে যেয়ে চা খেয়ে আসেন।
সিণ্ডিকেটবাজী বন্ধ হোক। ব্লগে সবাই সমান এই নীতি প্রতিষ্ঠিত হোক।

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

শরনার্থী বলেছেন: ববসের সময় 'অগ্নিসারথি'-র হয়ে ক্যাম্পেইন করেছিলাম এবং কুপায়া ভোট দিয়েছিলাম তার পর থেকে ব্লগের সুপার গর্দভটা আমাকে দাদা-র মাল্টি বলা শুরু করেছে এবং যেখানে সেখানে ল্যাদায়া বেড়াইছে। আপনি জানেন না, সেসময় এই শুকর ছানা তিনটা কতটা ঘৃন্যভাবে এই ব্লগে দাদারে উপস্থাপন করেছে কারন একটাই দাদা-র মনোনয়নে তাদের গাঁ জ্বলে যাচ্ছিল। ববস থেকে মনোনয়ন নিয়ে আসার যোগ্যতা তো ইতর তিনটার নাই উলটা দাদা-রে ব্লগ থেকে আর ভোট পাইতেই দিল না। ফলাফল দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে দাদা হেরে গেল।
ব্লগের সব থেকে বড় শয়তান হল ঐ ঘটনা পরিবর্তক নামের বদমাইশটা। নানান নামে, নানান নিকে একে-তাকে জ্বালায়া বেড়ায়। অখন আবার নতুন নিকে আসতাছে বিড়ি লিয়ার রাহেমান নামে।

সমর্থন জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
সিন্ডিকেট বাজী আমারও কাম্য নয় ভাই কিন্তু এখন দেখছি ব্লগের এই নষ্ট সিন্ডিকেটটাকে ধ্বংস করবার জন্য আরেকটা সিন্ডিকেটবাজীর বিকল্প নাই।

ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

মানবী বলেছেন: ভাবছে যদি আজকে এই তিন শয়তানের বিপক্ষে কথা বলি তাহলে মাল্টি দিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে তারা ব্লগ ভাসাবে।"

- তিন? এই বিষয়টি আমার জানা নেই, বিশেষ করে ১৭ নং মন্তব্যের জবাব পড়ে মনে হলো ঘটনা আরো অনেক কম্প্লিকেটেড!
ব্লগে খুব নিয়মিত নই সেই সাথে অসৎ জনদের প্রতি বিতৃষ্ণা বোধ করি বিধায় তাদের পোস্ট অধবা মন্তব্য পড়ার আগ্রহবোধ করিনা।
তাই হয়তো এতো কিছু জানা নেই।

আমার পোস্টে মন্তব্যের ঘরে কয়েক জন নতুন ব্লগারের নাম উল্লেখ করেছে। তারা ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন এধরনের অসততার চর্চা করছে, পুরনোদের নাম কেউ উল্লেখ না করলেও মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হয়েছে সকলেই জানেন এবং তাদের অপছন্দ করেন। নৈতিকতাবোধের যথাযথ পারিবারিক শিক্ষার অভাবে হয়তো এমনটা ঘটেছে। যারা ফেসবুক, হোয়াটসআপ বা বিভিন্ন মেসেন্জারে গ্রুপিং করে ব্লগে এসে একে অন্যের পিঠ চাপড়ে দেয়, অথবা অন্য কাউকে আক্রমণ করে তারা হয়তো ছোট থেকে ভিলেজ পলিটিক্স দেখে বড় হয়েছে বিধায় এমনটা করে এবং এটাকেই সঠিক মনে করে।

গ্রুপিং এর এই নোংরামীটা বেশ পুরনো তবে আশার কথা হলো এধরনের কুরুচীপূর্ণ ব্লগারের সংখ্যা খুব কম। দু একজন অতি ধূর্ত হয়তো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে অনেক ব্লগারকে ধোঁকা দিতে সক্ষম হচ্ছে তবে দিন শেষে আপন ঘরে তারা তো সেই নীচ আর নোংরা মানুষটাই থেকে যাচ্ছে! সেখানেই তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয় যদিও বোধবুদ্ধির অভাব তা অণুধাবনে তারা অক্ষম!

মাল্টি নিয়ে ইতরামীর বিষয়টি আসলে আমি বের করেছি এমন নয়, বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্যের ঘরে কয়েকজন ব্লগারকে উল্লেখ করতে দেখেছি। তাঁরা আমারও অনেক আগে থেকে জানেন বলে মনে হয়েছে, তাই আমার কোন কৃতীত্ব নেই :-)

অনেক অনেক ভালো থাকুন শরনার্থী।

১৭| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

রাতু০১ বলেছেন: :) :D মজাই পেলাম।

১৮| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

পাপুয়া নিউগিনি বলেছেন: সাসুকেকি এডা কি দিল !! :-B
হা হা লু খু গে =p~

১৯| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: চোরের আম্মুর জিরাফের গলা! বহু জন্মের জনম মানুষদের এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক।

২০| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৭

সুরের সাহস বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!!!!

তোমার এত্ত সুন্দর লেখা পড়ে তোমাকে করলার জুস বানাই দিতে চাই!!!!!!
ভাইয়ুউউউউউ!!!!! B:-)

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কি ফায়ারফক্স ভাউ! :D

ঝিম মারি বসি থাক্লেন যে! #:-S

নাটক আড় কি করবেন না? কিলান্ত!? :|


নাটক গুলো ভাল ছিল। এখন তো আর এইভাবে হাসতে পারি না। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.