![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাযাবর
কি ই বা হতো-
যদি সকালটা কাটতো মিষ্টি রোদের শিশির ভেজা মাঠে ঘুড়ি উড়িয়ে,
কি ই বা হতো যদি,
অপার আনন্দে নাটাই ধরে উড়ে চলা ঘুড়ির দিকে
তাকিয়ে থাকতে থাকতে হারিয়ে ফেলতাম নিজেকেই।
নিজেই বনে যেতাম ওই লাল, নীল ঘুড়ি।
কেমন হতো যদি, সজ্ঞানে ফিরতেই পেতাম পকেটে কারি কারি টাকা।
কেমন হতো যদি টাকারই দরকার না হতো ।।
ভাবতে ভাবতে মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো।
বসের ফোন।
“তোমার কালকের কোডটাতে বাগ ছিলো, এতো দায়সাড়া হলে চাকরিটা হারাবে পরেরবার, বুঝলে! এখনি এসে দয়া করে ডিবাগ করে দিয়ে যাও ”।
বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম।
রেডি হয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়লাম।
চলে গেলাম দিগন্তের কাছাকাছি।
প্রথমে ফোনটা, তারপর এটিএম কার্ড আর খুচরা টাকা সহ ওয়ালেটটা,
অবশেষে সকাল ঠিক ন’টা বাজা হাত ঘড়িটাকেও ছুড়ে দিলাম দিগন্তের দিকে।
শার্টের হাতা গুলো গুটিয়ে খালি পায়ে অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
ক্লান্ত হলাম, রোদে চামড়া ঝলসালাম, মাঝে এক বুড়িমা’র ঘরে পান্তাও খেলাম,
টানা দুদিন এই পরিব্রজন শেষে এক কুড়ে ঘর আবিষ্কার করলাম।
কোথায়? তা জানিনা, তা জানতে চাইও না।
ঐ ঘরের আশেপাশে সবুজ মাঠ।
ঘাস গুলো কেউ বোধয় কাটেনি কোনোদিন।
হঠাত দিন কালো হয়ে এলো।
দিনের হুঙ্কার গর্জন শেষে মুষোল ধারায় বৃষ্টি এলো।
দৌড়ে ঘর ছেড়ে মাঠে এলাম।
বৃষ্টির পরশ পেতেই মুহুর্তে আবার সেই ঘুড়ি হয়ে গেলাম,
মহানন্দে ঘুড়ি চারিদিকে উন্মত্ত হয়ে গেলো।
সজ্ঞানে এলে আনন্দ কান্নায় ফেটে পড়লাম ভেজা শরীরে।
অন্তরে আনন্দ ধারা অবিরাম ঝরে যাচ্ছিলো ।
ঘরটাতে এলাম। শরীরে কাপন ছিলো।
জ্বরও এসেছিলো সন্ধ্যা নাগাদ।
ও ব্যাপার না !
পরদিন সকালে চিরতরের জন্য চোখ দুটোকে বুজে দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: অপূর্ব দৃশ্যকল্প। ভালো লেগেছে।