![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোকন সারারাত ঘুমায়নি। ভোরের আলো ফুঁটে উঠেছে। কোনো এক গভীর চিন্তায় সে মগ্ন ছিল। কাল সন্ধ্যায় যে একঝাঁক পাখি উড়ে গেলো তাদের মনের কথা সে বুঝতে পেরেছিলো । তারা বোঝাতে চেয়েছিলো মানুষ অনেক অজ্ঞানী। এই জ্ঞান তারা আকাশের জ্ঞান বোঝাতে চায়নি, এ জ্ঞান তারা বাতাস সম্পর্কে জ্ঞান বোঝাতে চায়নি। তারা বোঝাতে চেয়েছে মানুষের আবেগ সম্পর্কে মানুষের নিজেদেরই অন্ধকারের কথা। মনের যে তরঙ্গ গুলো নিজেদের সম্পর্কে জানান দিতে চায়, চিৎকার করে বোঝাতে চায় তাদের উপস্থিতির কথা। তাদের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার কথা। কিন্তু, মানুষ তাকে হয় অবজ্ঞা করে অথবা তা নিয়ে বেমালুম অজ্ঞই থেকে যায়। রোকন দু-চোখ বুজেই সেই চিন্তা করছিলো। কিন্তু নির্ঘুম। নিজের আবেগকে আজ সে জানবে, রুদ্ধ তার সত্ত্বাকে সে অবমুক্ত করবে। কি তার ভালোলাগা, কি তার খারাপ লাগা। কি তার দুঃখ, কি তার রাগ। সে নিজের কাছেই ক্ষমা চাইলো এ অবধি নিজের সত্ত্বাকে সম্মান না দেয়ার অপরাধে।
পেশায় সে ব্যাঙ্কার, কাল সকাল থেকে বিকালেও সে ক্যাশ, চেক এসব নিয়ে কারোবার করেছে। হাতে তার এখনো এসবের গন্ধ যেনো লেগে আছে। সেই হাত থেকে আলতো গন্ধ আবার নাকে এসে লাগতেই তার খারাপ লাগা সত্ত্বাকে সে আবিষ্কার করলো। তাই হাত দুটো ধুয়ে ফেলার প্রচেষ্টায় যখনই শীতল, নম্র জলের স্পর্শ পেলো তখনই সে তার ভালো লাগা আবিষ্কার করলো।
চোখ দুটো আবার বুজলো কিছুক্ষনের জন্য। দ্রুত পায়ে হেঁটে ড্রয়ার থেকে ৫ টাকার বলপেন আর মাত্র একপৃষ্ঠা লিখে রাখা গল্পের খাতাটা বের করে লিখতে বসে গেলো। বন্ধের দিন ছিলোনা। তবুও সেদিন চেক-নোট মন থেকে ঝেরে ফেলে দিয়ে লিখে গেলো। সারাদিন ধরে অক্লান্ত লিখে গেলো। এখনো সে লেখে।
©somewhere in net ltd.