নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নানা দেশ কত কথা

শোভন শামস

আমার দেখা নানা দেশের কথা সবার জন্য - পাঠকের ভাল লাগাতেই আনন্দ

শোভন শামস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংল্যান্ডের দিনগুলো-১

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

হঠাৎ করেই জানতে পারলাম প্রায় একমাসের জন্য আমাকে ইংল্যান্ডে যেতে হবে। বাংলাদেশ থেকে বিলেত যাওয়ার কথা শুনতাম অনেক এখন আমারও বিলেত যাওয়ার সুযোগ এসেছে এটা ভাবতেই ভাল লাগল। সময়টা সেপ্টেম্বরের দিকে । ইংল্যান্ডে তখন আবার আমাদের দেশের তুলনায় বেশ ঠান্ডা আবহাওয়া । তাই শীতের প্রস্তুতির জন্য কেনাকাটা করতে গেলাম। ভিসার জন্য ব্রিটিশ এম্বেসীতে ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। প্রয়োজনীয় ম্যাপ,পরিচয় পত্র ও আনুষংগিক কাগজ পত্র দিয়ে দিল এখানে । যাওয়ার অন্যান্য প্রস্তুতি চলছে সমানতালে । বাংলাদেশ বিমানে টিকেট করলাম । ঢাকা-ডুবাই-প্যারিস-লন্ডন । ডুবাইতে কয়েক ঘন্টার যাত্রা বিরতি আছে । তবে প্যারিসে সে সুযোগ নেই । এক ঘন্টা মাত্র সময় । ডুবাইর ভিসাও নিতে হবে । ইংল্যান্ডের ভিসা ও ডুবাই ট্রানজিট রুট হওয়াতে ডুবাই এর ভিসা পেতে কোন সমস্যা হয়নি। যথানিয়মে এয়ারপোর্টের ফর্মালিটিজ শেষ করে বাংলাদেশ বিমানে দ্বিতীয় বারের মত দেশের সীমানা পার হওয়ার প্রস্তুতি নিলাম । ডুবাই এয়ারপোর্টে বিমান সময়মত ল্যান্ড করল । মালপত্র হিথরো এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে বুকিং করে দিয়েছি । ডুবাইতে হাতের ব্যাগ নিয়ে নামলাম, আলো ঝলমলে এয়ারপোট । অনেক চেকিং ও অন্যান্য ফর্মালিটিজ শেষ করে ট্রানজিট লাউঞ্জে এলাম । ছয় ঘন্টার যাত্রা বিরতি এখানে, তেমন কোন কাজ নেই । তাই আস্তে আস্তে ডুবাইর বিখ্যাত ডিউটি ফ্রি শপ ঘুরে ঘুরে দেখছি কি কেনা যায় । ইলেক্ট্রনিক্স জিনিষের জন্য এই এয়ারপোর্ট ডিউটি শপ বিখ্যাত। এছাড়াও মিউজিক/ভিডিও প্লেয়ার খাবার দাবার, কসমেটিকস বই এসব পাওয়া যায়। সব কিছু এত সুন্দর ভাবে সাজানো যে পকেটে টাকা থাকলেই কিনতে ইচ্ছে করে । সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন্ড এলাকা, অকৃপন আলোর বন্যা ,দিনরাতের কোন পার্থক্য নেই । এয়ার পোর্টে অপেক্ষা করার ব্যবস্থাও আছে। বিভিন্ন রুটের ট্রানজিট যাত্রীরা চেয়ারে বা সোফাতে বসে ঝিমুতে পারে । মাঝে মাঝেই লাউড স্পীকার এ প্লেনের আগমন ও সময় জানানো হচ্ছে । এছাড়াও প্রায় কিছুক্ষণ পরপর বড় বড় মনিটরে প্লেনের সময় দেখা যায় । সুন্দর ও অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা । ডুবাই থেকে মিনোল্টা ক্যামেরা কিনলাম । লাউঞ্জে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। লন্ডনগামী বিমানে উঠার সময় হয়ে যাচ্ছে। প্লেনের গন্তব্য প্যারিসের আর্লি বিমান বন্দর। মোটামুটি ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বিমানে সময়টা কাটালাম। বিমান প্যারিসের মাটি ছুঁয়ে যাবে আইফেল টাওয়ার দেখা হবে না । কেমন যেন লাগল । বিমান বন্দরে একঘন্টা যাত্রা বিরতি । ট্রানজিট যাত্রীদের নামার অনুমতি নেই। তাছাড়া ফ্রান্সের ভিসাও নেই । এক ঘন্টা বিমানে বসে রইলাম। বিমান বোর্ডিং ব্রিজের সাথে লাগানো ছিল । প্যারিস থেকে বিমান লন্ডনের হিথরো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পথে উড়াল দিল । আধা ঘন্টার মধ্যেই হিথরো বিমান বন্দরে পৌঁছে গেলাম। বিশাল বিমান বন্দর এটা । ইউরোপের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত এই বিমান বন্দর, চারটা টার্মিনাল এখানে । ইমিগ্রেশন ফর্মালিটিজ শেষ করে লাগেজ নিয়ে বাইরে এলাম । আমার গন্তব্য কেন্ট এর রচেষ্টার শহর । লন্ডন থেকে ট্রেনে সেখানে যেতে হবে। টিউবে করে হিথরো থেকে একটা ট্রেন বদল করে আমরা ভিক্টোরিয়া ষ্টেশনে এসে পৌছালাম।



ভিক্টোরিয়া ষ্টেশন, লন্ডন

ভিক্টোরিয়া ও চ্যারিংক্রস লন্ডনের দুইটা বড় ট্রেন ষ্টেশন । এখানে বিভিন্ন টিউব লাইনের ট্রেন ও ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট ট্রেন চলাচল করে । এর মধ্যে টিউবে চলাচলের জন্য ম্যাপ নিয়ে নিলাম । পর্যটকদের জন্য অনেক ফ্রি বই ও ম্যাপ বিমান বন্দরে ও ট্রেন ষ্টেশনে ষ্ট্যান্ডে রাখা আছে । টিউব রেলের বা পাতাল রেলের বিভিন্ন সংকেত রং ও জোন সম্বন্ধে জানলাম । কাউন্টারে গিয়ে কেন্ট গামী ট্রেনের টিকেট কিনলাম । রচেস্টার ছোট শহর সেখানে এই ট্রেন থামে না। তাই কাছাকাছি বড় ষ্টেশন ছেএথাম এর টিকেট কিনলাম। বেশ পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর ট্রেন মানুষ তেমন নেই। আরামদায়ক চেয়ার ,সিটে গিয়ে বসলাম । ৪০ মিনিটের জার্নি টাইম , দুপাশের দৃৃশ্য দেখতে দেখতে চলছে ট্রেন । বেশ দ্রুত চলছে ট্রেনটা,সময়টা সেপ্টেম্বর মাস , চারিদিকে সবুজ ছোট ছোট পাহাড় এর ঢালে চাষাবাদ করা হয়েছে । ফসল ফলে আছে , মানুষ বা বাড়ীঘর তেমন নেই । ছোট ছোট শহর পার হওয়ার সময় কিছু ঘরবাড়ি ও মানুষ দেখা যায় ।

ছেএথাম ষ্টেশনে নেমে টেক্সি নিলাম । ঠিকানা দেয়াতে আমাকে রচেষ্টার নিয়ে গেল । রচেষ্টার শহরটা ছোট তবে বেশ সাজানো ,আমার থাকার জায়গা পাহাড়ের উপর। রাস্তা দিয়ে নীচে নেমে গেলে আবাসিক এলাকা ও তারপর শহর । রাস্তার পথচারীর জন্য ফুটপাথ আছে । বাসাগুলো সবই প্রায় ডুপ্লেক্স টাইপ একই রকম দেখতে । গ্যারাজ আছে একটা, সামনে একচিলতে লন এবং লোহার গেইট এক ব্লক বা ২/৩ ব্লক নিয়ে একই রং ডিজাইন। ফুটপাতে রাস্তা পার হতে হলে সিগন্যালের ব্যবস্থা আছে । শব্দ ও সবুজ সিগন্যাল জ্বলে উঠলে সবাই রাস্তা পার হয় । শহরটা ছোট সবজায়গায় লিখা আছে ‘নেবার হুড ওয়াচ’ প্রতিবেশীরাই পুলিশের কাজ করে । এখানে হাইওয়েতে হাঁটার নিয়ম নেই ও হাইওয়েতে ফুুটপাথ নেই ।

প্রথম উইকএন্ডে নাস্তা সেরে ভাবলাম ছেএথাম শহর ঘুরে দেখব বাস ষ্ট্যান্ডে এসে অপেক্ষা করছি। ১ ঘন্টা হয়ে গেল বাস আসে না,পরে টাইম টেবল দেখলাম সকালে ২টা বাস যায় আর কোন বাস নাই। সবকিছু হিসেব করে চলে এখানে। একজন স্থানীয় ইংরেজ দেখতে পেলাম হেঁটে আসছে তখন । তাকে বাসের কথা বলাতে বলল বিকেলে বাস যাবে , ছেএথাম মাত্র ১০ কিঃমিঃ, হেটেই যাওয়া যায় । সেও শহরে যাচ্ছে আমি যাব কিনা জানতে চাইল । দুজন গল্প করতে করতে রওয়ানা হলাম । রচেষ্টার থেকে ছেএথাম যেতে মধ্যে একটা ছোট শহর আছে । মানুষ তখনও ঘুমিয়ে আছে । কেউ উঠে নাস্তার আয়োজন করছে । মোটামুটি ঘুমন্ত শহর । রাতে সবাই ছুটির দিনের আনন্দ করেছে ক্লাবে, এখন ঘুমাচ্ছে।

হাঁটতে হাঁটতে ছেএথাম শহরে চলে এলাম । ১০ কিলো মিটার হেঁটে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম পথে মার্স-চকলেট বার ও পানি খেলাম। হাত ব্যাগে পানি ও এই চকলেট বারগুলো নিয়ে গিয়েছিলাম। এখানে এখন সবচেয়ে সুন্দর আবহাওয়া তবে আমার জন্য ৭/৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা বেশ ঠান্ডা, তাই জ্যাকেট পড়ে ছিলাম, বাতাস খুব বেশী তাই ঠান্ডা ও লাগে সব সময় । শহরটা ছোট, দেখার তেমন কিছুই পেলাম না । রবিবারে এখানে সানডে মার্কেট বসে। সাধারণ লোকজন তাদের বাসা থেকে হাতে বানানো জিনিষ পত্র সোপিস,খাবার দাবার ইত্যাদি বিক্রি করে । দাম বেশ কম, জিনিষ গুলো সুন্দর। ফটোফ্রেম, ইকেবানা, ফুলের তোড়া ইত্যাদি সবকিছু এখানে পাওয়া যায় । কিছুক্ষণ শহরে ঘুরে ট্যাক্সি নিয়ে ফিরে এলাম । সপ্তাহে ৫ দিন কাজকর্ম ২ দিন ছুটি , ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয় হয় । তাই রাতে তেমন বাইরে যাওয়া হতো না । রাতে এখানে বার আছে । স্থানীয় লোকজন সপ্তাহে ২/১ বার বারে যায়। এখানে মানুষ বাংলাদেশের মত নিজেদের বাসায় কাউকে দাওয়াত তেমন একটা দেয় না । সামাজিকতা রক্ষা করার জন্য তারা বারে এসে কয়েক চুমুক বিয়ার বা অন্যান্য পানীয় খেয়ে গল্প গুজব করে সপ্তাহান্তে। বারে বিভিন্ন রকম খেলাধুলা যেমন ডার্ট থ্রো, কার্ড ,পুল ইত্যাদি খেলার সুযোগ আছে। আমার সাথে বোতসয়ানার এক ছেলে ছিল নাম রোনাল্ড, সে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ডিসকো কিংবা ক্লাবে চলে যেত । প্রায় শেষ রাত পর্যন্ত সে ড্যান্স করত বিভিন্ন বান্ধবীর সাথে এবং শেষ রাতে চোখ লাল করে ফিরে আসত । প্রতিদিন দেখতাম তার চোখ লাল । সব পয়সা সে এই বাবে শেষ করত । আফ্রিকা থেকে এসে তাদের শাসকদের দেশে আনন্দ উপভোগ করছে এটাই তার আনন্দ । ব্রিটিশরা ও এর মত এত ঘন ঘন ক্লাবে বারে বা ডিসকোতে যেতে চায় না বা পারে না। সপ্তাহ গুলো ভালভাবেই কেটে যেত। সকাল বেলা উঠে নামাজ তারপর রেডি হয়ে নাস্তা করতে যেতাম। নাস্তায় সিরিয়াল দুধ, ব্রেড,বিভিন্ন ভাবে ভাজা ও সেদ্ধ ডিম বাটার জেলি কফি, ফ্রুটস ইত্যাদি থাকত। প্রথমেই এক গ্লাস জুস, এরা পানি তেমন একটা খায় না । পানি চাওয়াতে ছোট্ট একটা গ্লাসে পানি এনে দিল পরে ২ বার চাওয়াতে ওয়েট্রেস হেসে আমার জন্য এক জগ পানি নিয়ে এলো ।

খাড়া পাহাড়ী রাস্তা দিয়ে বাস ঘুরে ঘুরে পাহাড়ের চূড়ার কাছাকাছি ইনস্টিটিউশনে পৌছাত। বাইরে শীতের বাতাস ৬-৭ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সাথে ইংলিশ চ্যানেল এর ঠান্ডা ঝড়ো বাতাস । রুমের ভেতর তা বোঝার উপায় নেই । মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয় ,মাটি প্রচন্ড আঠালো একবার পায়ে বা জুতাতে লেগে গেলে ওয়াটার স্প্রে ছাড়া পরিস্কার করা যায় না । ক্লাসের ফাঁকে ১০ মিনিট করে বিরতি। প্রত্যেকটা ব্লকে কফি মেশিন লাগানো আছে । মিল্ক চকলেট চা,কফি একই মেশিনে পাওয়া যায়। ২০ পেন্স ফেলে যা খেতে চাই সে বোতামে টিপ দিলে গরম পানি ,কফি, চা,চকলেট এর গুড়া কাপে এসে পড়ে এরপর গুলিয়ে নিতে হয় । চিনি আলাদা পাত্রে রাখা আছে পরিমান মত সবাই নিয়ে নেয় । লাঞ্চের জন্য একঘন্টা বিরতি তখন ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে খেতে হয়, লেমন জুস যত খুশী এবং সবশেষে ফল, কাষ্টার্ড বা ফ্রুট পুডিং জাতীয় মিষ্টি খাবার, পেট ভরে যায় এবং স্বাদ ও অপূর্ব , মাঝে মাঝে ব্রেড ও মাংসের টুকরা ও রান্না হয় ।

আমাদের বাসের ড্রাইভার ছিল বুড়ো ইংরেজ, এশিয়ানদেরকে তেমন পছন্দ করত না, ও দিকে জার্মান কিংবা অষ্ট্রেলিয়ান হলে হেসে কুটি কুটি , পারলে কালো বা এশিয়ানদেরকে সময় শেষ বলে ফেলে চলে যেতেও দ্বিধা করে না । দুই এক দিন ওকে ক্লাসের ফাঁকে দেখলাম কি করে দেখি । সারাদিন ছোট্ট একটা রেডিওতে কি যেন শুনে এবং বাসেই বসে থাকে । খেতেও যায় না কোথাও। একদিন ফাঁক পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি বাড়ীতে যাও না প্রথমে হাঁ না বলে কথা না বলার চেষ্টা করল। পরে বললাম তুমি লাঞ্চ করবে না । কিছুক্ষণের মধ্যে সে একটু ফ্রী হলে বলল বাড়ীতে বুড়ি ছাড়া কেউ নেই । ছোট্ট দুই রুমের বাসা , চাকুরী থেকে রিটায়ার এর পর একশত পাউন্ড মাসে পেনশন পায় এ টাকায় চলে না তাই বাস ড্রাইভারের চাকুরী নিয়েছে । কথা বলতে বলতে চোখ দিয়ে তার পানি চলে এলো । ছেলেরা বড় হয়েছে দুরে থাকে কোন খোজ খবর নেয় না । টাকা পয়সাও দেয় না । সকালে কিছু খেয়ে আসে আর সন্ধ্যায় গিয়ে খায় । আমাকে বলল এসব কথা যেন কাউকে না বলি । এদেশে মানুষের দুঃখের কথা কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করে না এবং কেউ বলেও না । এটাকে সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত সমস্যা বলে মনে করে । এর পর থেকে আমাদের প্রতি তার আচরণ একদম পাল্টে গেল । রাস্তায় থেমে পারলে আমাদেরকে বাসে তুলে নেয় । হেসে কথা বলে ভালই লাগল মানুষের মন পরিবর্তন করতে পেরে ।

আরেকজন বাংলাদেশী ব্রিটিশ এর সাথে পরিচয় হয়েছিল ডাঃ আনিসুদ্দিন নাম । বাড়ী বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায়, ভারত ভাগের আগে ডাক্তারী পাশ করে লন্ডনে চলে আসে। এরপর একজন আইরিশ বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নার্সের সাথে প্রেম, প্রনয় ও বিয়ে। সে সুবাদে বৃটেনের নাগরিকত্ব পায়, তাও ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছর আগের কথা । ষাটের উপর বয়স ভদ্রলোকের স্ত্রী ও সিনিয়ার নার্স হিসেবে রিটায়ার্ড করেছে । লন্ডনে একটা বাড়ী আছে। স্ত্রী থাকে ম্যানচেষ্টারে সেখানেও নিজস্ব বাড়ী আছে একটা । তিন মেয়ে । ভদ্রলোক বেশ কাল এবং দুঃখ করে বলেন মেয়ে গুলোও তার রং পেয়েছে । তবে স্বভাব চরিত্র এদেশের ,বিয়ে করেছে জার্মান ও অন্যান্য দেশের ছেলেদেরকে এখন মার সাথে যোগাযোগ করে । বাপকে পছন্দ করে না । প্রচন্ড একাকী ও কষ্টের জীবন তার । নিজে রান্না করে খায় তা না হলে বাইরে খেতে হয়। স্ত্রী ও মেয়েরা তার জন্য বিল গুলো পাঠিয়ে দেয় পে করার জন্য। শেষ জীবনে এসে তার দুঃখ আইরিশ মেয়ে বিয়ে করা ঠিক হয়নি । প্রথম জীবনে সবাইকে ইংরেজই মনে হতো, তখন এসব আইরিশ এংলো সেক্সন বুঝার মত সময় ও বয়স ছিল না। যৌবন এর টানে ভেসেগেছে তখন আর এখন দুঃখে বুক চাপড়াচ্ছে । দেশের কারোর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেনি । নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। এখন বাংলাদেশেও তার কোন শুভাকাংখী নেই । দেশে গিয়ে একবার একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল । তার টাকায় জমি কিনে দিয়েছিল আত্মীয় স্বজনরা, ঘরও করা হয়েছিল । স্কুলের বোর্ড ও অন্যান্য সাজানো বাবদ অনেক টাকা খরচ করে ছিলেন তিনি । পরে লন্ডনে ফেরার আগে দেখেন যে কে যেন স্কুলের বোর্ড তুলে ফেলে দিয়েছে এবং এখানে এসে শুনতে পান সব বেদখল হয়ে গিয়েছে । মনের দুঃখে দেশের সাথেও যোগাযোগ করেন না । তাঁকে কেন যেন মানষিক রোগীর মত মনে হলো ।

পরের সপ্তাহে লন্ডন যাওয়ার জন্য রচেষ্টার ষ্টেশনে এলাম। টিকেট করে ৩০ মিনিট ট্রেনের জন্য অপেক্ষা । সব ট্রেন এখানে থামে না । ট্রেন এসে থামলে ষ্টেশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত মাষ্টারকে লন্ডনের কথা বলতে ট্রেনে উঠতে বলল । এখানে ষ্টেশনে একজন মাত্র লোক । সেই টিকেট বিক্রি , সিগন্যাল দেয়া স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত । সব কাজ সে একাই সামলাচ্ছে সুন্দর ভাবে । ৪০ মিনিটের মধ্যে লন্ডন ভিক্টোরিয়া ষ্টেশনে পৌছে গেলাম । ভিক্টোরিয়া ষ্টেশন বিশাল এলাকা নিয়ে । এখানে ইন্টারসিটি ট্রেন ,পাতাল ট্রেনের বিভিন্ন লাইনের ট্রেন বদল করার ব্যবস্থা আছে । লন্ডন শহরে টিউব রেল সারা লন্ডনের নীচে দিয়ে চলছে । ৬ টা জোনে সমস্ত নেটওয়ার্ক ভাগ করা । বিভিন্ন এলাকায় যাবার জন্য বিভিন্ন লাইন আছে । টিউব এর সুদৃশ্য ম্যাপে বিভিন্ন রং দিয়ে এই লাইনগুলো দেখানো আছে । এত সুন্দর ম্যাপ ও গাইড বই গুলো দেখে যে কেউ লন্ডন শহর ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবে । লন্ডনে বাংলাদেশীদের থাকার জন্য বাংলাদেশ সেন্টার আছে। এখানে লন্ডন প্রবাসীরা থাকে ও বাংলাদেশ সম্পর্কীত বিভিন্ন অনুষ্ঠান এখানে বা এদের তত্ত্বাবধানে করা হয়। বাংলাদেশ সেন্টারের কাছের টিউব ষ্টেশন নটিংহিল গেইট ।



নটিংহিল গেইট এলাকা

ভিক্টোরিয়া থেকে ম্যাপ দেখে নটিংহিল গেইট ষ্টেশনের জন্য রওয়ানা হলাম । পাতাল থেকে উপরে উঠেই দেখলাম ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড, এর যে কোন এক পাশ দিয়ে গেলে বাংলাদেশ সেন্টার পাওয়া যাবে । ২/১ জন পথচারীকে জিজ্ঞাসা করলাম তখন এক মেয়ে বলল একটু এগিয়ে গিয়ে পাওয়া যাবে সেই ঠিকানা। তার বয় ফ্রেন্ড ছিল আফ্রিকান বংশোদ্ভুত, মেয়েটা আমাকে সাহায্য করেছে দেখে সে বিরক্ত বোধ করছিল । যাক জায়গা মত চলে এলাম । এখানে সব বাড়ীঘর এক রকম অনেক গুলো বাড়ী পাশাপাশি লাগানো । সবগুলো দোতলা সাথে বেসমেন্ট বা মাটির নীচের ঘর আছে ।

বাংলাদেশ সেন্টারে বাবু ভাইকে পেলাম উনি এখানের দায়িত্বে । সেন্টারের ৩ তলার একটা ঘরে থাকেন। ব্রিটিশ সিটিজেন, পড়াশোনা করার জন্য এসে পরে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আচার আচরণ বেশ ভাল এবং সাহায্য করার জন্য সব সময় প্রস্তুত । বেসমেন্ট এ রান্নার ব্যবস্থা । গ্রাউন্ড ফ্লোর এ ৩/৪ টা রুম। ২ টা রুমে ৩ জন করে বোর্ডার এর থাকার ব্যবস্থা । আমি ৩ জনের রুমে গেলাম । গেষ্ট কম ছিল তাই আমার সাথে আর কেউ ছিল না । রাতের বেলা তার সাথে কথা বললাম ,লন্ডন শহরের জন্য পাতাল রেলের ৭ দিনের টিকেট কিনে নিতে বললেন ৪ টা জোনের। এই জোনগুলোতে বেশী ষ্টেশন । বাকী জোনের কোন জায়গায় যদি যেতে ইচ্ছে করে তবে অতিরিক্ত টিকেট কিনে নিলেই হলো। একদিন দুইদিনের জন্য নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার টিকেট কিনে নিলে সাশ্রয় হবে বলল । আমি পরবর্তী সপ্তাহে এসে প্রায় ২ সপ্তাহের মত এখানে থাকব বললাম । এখানে থাকা ও পরিবেশ বেশ আন্তরিক ও ভাল লাগল তাই এখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম । রাতের বেলা কে এফ সি’তে গিয়ে ডিনার করে নিলাম, রাতে আর তেমন ঘোরাফেরা করলাম না ।

বাবু ভাই অনেক বছর ধরে লন্ডনে আছেন । বাংলাদেশ সেন্টার ব্রিটিশ সরকারেরই একটা সংস্থার মত । এখানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ পায় । এরা মাঝে মাঝে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে । দেশ থেকে তিনি তার ভাইকে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য নিয়ে এসেছেন । ভাই রাতে কাজ করে ও দিনে পড়াশোনা । দু ভাই মিলে রান্না করে রাখে পরে কিচেনে এসে তা খেয়ে যায়। কিচেনে দেখলাম একটা রাইস কুকারে ভাত রাঁধা আছে । আরেকটা পাতিলে কলিফ্লাওয়ার ও গরুর মাংস রান্না করা। পাতিল থেকে কেকের মত ভাত এক পিস কেটে নিয়ে সাথে মাংস ও সব্জী এক চামচ নিয়ে খাচ্ছে পরে প্লেট চামচ ধুয়ে রেখে যাচ্ছে। আবহাওয়া এত ভাল এবং ঠান্ডা এমন যে ৩/৪ দিন এই একবার রান্না করা খাবার ওভেনে গরম করে খাওয়া যায় । অন্য কোন গেষ্ট যদি রান্না করতে চায় করার ব্যবস্থা আছে । আমি রান্নার বদলে বাইরে খাওয়ার পক্ষপাতি । কয়েকদিন আছি ঘুরে ফিরে সময় কাটাতে চাই । সকাল বেলা টিকেট করে বাংলাদেশ এম্বাসীর অবস্থান দেখে এলাম । নটিংহিল গেট থেকে দুই ষ্টেশন পরে নেমে একটু হেঁটে গেলেই বাংলাদেশের দুতাবাস , ছুটির দিন তাই সব বন্ধ । পাতাল রেল ষ্টেশনে পর্যটকদের জন্য র‌্যাকে রাখা বিভিন্ন ধরনের গাইড বুক ও বিভিন্ন জায়গা দেখার বর্ণনা সহ অনেক বই থেকে কিছু বই নিলাম । এছাড়া পাতাল রেলের ম্যাপ সংগ্রহ করলাম। এটা বেশ কাজে লাগে । রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত এই ট্রেন চলে। লন্ডনে অবস্থান কালীন আমি প্রতিরাতে আটটার ভিতর রুমে ফিরে আসতাম। কারণ দোকান পাট প্রায় সব এ সময় বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলে অফিস শেষ হওয়ার পর আস্তে আস্তে অফপিক আওয়ার শুরু হয় এবং ভীড় আস্তে আস্তে কমতে থাকে সেই সাথে অনেক ষ্টেশন বন্ধও হয়ে যায় ।

রাতে এসে গাইড বই গুলো পড়ে দর্শনীয় স্থান কি কি দেখব ঠিক করে নিলাম । আগামী সপ্তাহ থেকে ছুটি শুরু হবে তখন সে সব জায়গায় ট্রেনে করে ঘোরা যাবে । পরদিন সকাল বেলা আবার ভিক্টোরিয়া ষ্টেশন থেকে আমার গন্তব্য কেন্টের দিকে রওয়ানা হলাম । পরের শনিবার সমস্ত মালপত্র নিয়ে বাংলাদেশ সেন্টারে এসে হাজির হলাম । আগেই বলে রেখেছিলাম তাই আমার জন্য রুম রেখে দিয়েছিল একটা । টিউব ষ্টেশন থেকে ৭ দিনের ট্রাভেল পাস কিনলাম , দুইকপি ছবি চাইল। একটা ছবি টিকেটের এক পাশে প্লাষ্টিক এর পেপার তুলে লাগিয়ে দিল । সুন্দর কার্ড হোল্ডারে একপাশে টিকেট ও অন্য পাশে ছবি সহ পরিচয় পত্র কার্ড দিয়ে দিল । টিকেট পাঞ্চ করে ষ্টেশনে ঢোকার ব্যবস্থা । টিকেট চেকার আসলে ছবি সহ টিকেট দেখাতে হয় শুধু । প্লাষ্টিকের ছোট কার্ড হোল্ডারটা লাল রং এর, বেশ মজবুত, সাথে একটা ছোট হাত ব্যাগ, টিকেট , কোমরের বেল্টে টাকা পয়সা ও পাসপোর্ট ইত্যাদি নিয়ে লন্ডন শহর ঘুরে দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ।সাথে সব সময় খাবার জন্য বিশাল ৪০০ গ্রামের ক্যাডবেরী মিল্কবার ও বোতলে পানি নিয়ে নিতাম । এরপরও যদি কিছু খেতে ইচ্ছে করত তবে টিউব ষ্টেশনের ভেন্ডার মেশিনে পয়সা ফেলে কোক বা পানি নেয়ার ব্যবস্থা আছে । বেশী খেতে ইচ্ছে করলে আশে পাশের কে এফ সির দোকানে ঢুকে লাঞ্চ প্যাক নিয়ে নিতাম।

কেন্টে থাকা কালীন টেশকো নামের বড় ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে যেতাম, সেভিং লোশন, রেজর, সাবান শ্যাম্পু, কোক পানি ইত্যাদি কেনার জন্য। এসব দোকান মনে হয় মধ্যবিত্ত লোকজনের জন্য এবং জিনিস পত্রের দাম তুলানামূলক ভাবে কম । টেসকোর নিজস্ব ব্রান্ডের জিনিষের দাম আরও কম । এসব দোকানের পাশে ছোট ছোট আরও দোকান আছে এগুলোতে দাম একটু বেশী হলেও অনেক লোকজন আসে কেনাকাটার জন্য । কারণ বড় দোকানে ঢুকলে অনেক সময় চলে যায়। লাইন ধরে পে করতে হয় ইত্যাদি অনেক সমস্যা আছে ।

লন্ডনে টিউব ষ্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেই ওই এলাকার দোকান পাট । একবার একটা দোকানে ঢুকলাম সেখানে দেখি সেলসম্যানরা কালো, আমি জিজ্ঞাসা করলাম আফ্রিকান কিনা, বলল ক্যারিবিয়ান । আমাকে বলল ভারতীয় কিনা আমি বললাম বাংলাদেশী । তারপর কিছু কেনাকাটা করলাম । টাকা বের করার সময় যখন ২০০/৩০০ পাউন্ড মানিব্যাগে দেখল তখন বলল ওহ তুমি তো বেশ ধনী। প্রথমে ধরে নিয়েছিল ভারতীয়রা কেনাকাটা করবে না । কথায় কথায় বলল অভিবাসী লোকজন আছে বলে লন্ডনে ৮ টার পরও এখন দোকান পাট খোলা থাকে ব্রিটিশরা ৮ টার পর কোন কাজ করতে চায় না । এরা ৮ ঘন্টা করে ডিউটি করে ঘন্টা ভিত্তিক বেতন পায় তেমন আহামরি কিছু না ।

লন্ডনের একটা জিনিষ ভাল লেগেছিল এদের কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ভালো দোকান থেকে জিনিস কিনলে তা বেশ ভাল । তবে ফুটপাথ বা সস্তার দোকানে ইদানিং কমদামী গ্যারান্টি বিহীন জিনিষ পত্রও পাওয়া যায়। লন্ডনের একটা ইউনিভার্সিটিতে এক বোন একই সময়ে এমফিল করার জন্য এসেছিলেন । তিনি একা হোষ্টেলে থাকেন, তাই আমার সাথে দেখা করার তাঁর খুব ইচ্ছা । তখন মোবাইল ফোনের প্রচলন তেমন ছিল না। কয়েন বুথ থেকে দেশেও কথা বলতাম এবং লন্ডনে কথা বলার জন্য কয়েন বুথ গুলো ছিল অন্যতম ব্যবস্থা । একদিন তাকে বললাম তিনি যেন তাঁর হোষ্টেল এর পাশের টিউব ষ্টেশনে থাকে । সময় যা দিলাম তা না জেনেই । পরে দেখলাম জায়গাটা বহুদুরে এবং নতুন একটা লাইন এ ট্রেন বদল করে যেতে হয় এবং সব সময় সার্কেল বা সেন্ট্রার লাইনের মত ট্রেন নেই । উনি আমার জন্য ঘন্টা দুই অপেক্ষা করে চলে গেলেন । পরে দুরত্ব যখন জেনে গেলাম সেভাবে সময় দিলাম । আমি ষ্টেশন থেকে বাইরে এসে দেখি উনি দাড়িয়ে । আমার জন্য অপেক্ষা করছেন । বলল সময় কাটে না । তাই আগেই বের হয়ে এসেছেন । তাঁর সাথে হেটে হোষ্টেলে গেলাম । নীচে নাম্বার লক লাগানো । দরজা খুলে লবিতে তারপর প্রতি ফ্লোরের জন্য আলাদা কোড নাম্বার , এরপর ব্লকের জন্য আলাদা নাম্বার । অবশেষে নিজের রুমের দরজার জন্য আলাদা নাম্বার আছে । উনার রুমে গেলাম একটা সিংগেল বেড, টেবিল চেয়ার টেবিল লাইট অর্থাৎ পড়াশোনার পরিবেশ । ব্লকের জন্য কমন রান্নাঘর আছে । সেখানে যে কেউ চাইলে রান্না করে খেতে পারে । ব্লকে বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্র ছাত্রী একসাথে থাকে । নিজস্ব রুম আছে সবার। সেখানে এক বাংগালী ছেলে মেয়ের দেখা হলো । ছেলেটা কলকাতা থেকে এসেছে ডাক্তারী পড়ছে,কালচে চেহারা মুখে দুই চারটা দাড়ি চুল একটু লম্বা একটু অগোছাল ভাব । মেয়েটার এদেশেই জন্ম ও বেড়ে উঠা বাবা মা ভারতীয়, এদেশের নাগরিক। ডাক্তার ছেলেটার সাথে মেয়েটার প্রেম ,মেয়েটার আগ্রহ অতিরিক্ত মনে হলো । ছেলেটার নাগরিকত্বও নেই। মেয়েটা ছেলেটার অতিরিক্ত যতœ নিচ্ছে তবে ছেলেটা কেন যেন আমল দিচ্ছে না। তাদের গলাগলি বেশ লাগল মেয়েটা বাসা থেকে কি যেন নিয়ে এসেছে , দুজনে মিলে খাচ্ছে। কিছুক্ষণ গল্প করে আমরা বের হলাম আমার কেনাকাটা কিছু ছিল তা করলাম স্থানীয় স্লেজেনজার ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর থেকে । বিকেল বেলা আপাকে বিদায় জানিয়ে রুমে ফিরে এলাম ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

অরুনোদয় বলেছেন: +++......পরবর্তি লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ।আমার কুরদিস্তানের উপর লিখা গুল পরবেন আসাকরি।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

েবনিটগ বলেছেন: কতদিন আগের কথা?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

শোভন শামস বলেছেন: প্রথমে ১৯৯২ তারপর ২০০৪ এ গিয়েছিলাম।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

নিমচাঁদ বলেছেন: ব্রিটিশ কিনবা বাংলাদেশ এম্বেশী নয়, হাইকমিশন হবে । অনেক দিন আগের বর্ণনা মনে হলো।তবে লন্ডন পালটায় নাই। সব কিছুই ওরা ঐতিহ্য অনুসারে ধরে রাখে ।প্রায় দু তিন মাস পরপর আমাকে লন্ডন যেতে হয় তবে টুরিষ্টের চোখে কখনো লন্ডনকে দেখা হয় হয়নি , অযোচিত ব্যস্ততার জন্য । আপনার চোখে দেখে ভালোই লাগলো ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ ।++

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা :)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

শোভন শামস বলেছেন: আমার কুরদিস্তানের উপর আগের লিখা পড়বেন আশাকরি।আপনার মন্তব্য উৎসাহ বারাবে। ধন্যবাদ।++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.