নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বস্ত বেঈমানের গল্প

shoytanlekhok

শয়তান সম্পর্কে কি বলার আছে? সবাই জানে সে আপনার প্রত্যক্ষ শত্রু। কিন্তু এখানে সে সবার বন্ধু।

shoytanlekhok › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ণোগ্রাফী:পর্ব-১: যে ১০টি কারণে একটি ছেলে/মেয়ে প্রথম পর্ণো অভিজ্ঞতা লাভ করে

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

পর্ণোগ্রাফির বিস্তার ও প্রভাব সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তি বর্তমান সমাজে খুজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু, সবকিছু জানা সত্ত্বেও ব্যক্তিত্ব ধ্বংসকারী এই মানসিক রোগ আমাদের সমাজে বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে। এর মূল কারণ, পর্ণো অভিজ্ঞতার প্রকৃত ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা। কয়েকটি ধারাবাহিক পর্বের মধ্য দিয়ে আপনাদের সমানে পর্ণোগ্রাফীর কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবো। এর মধ্যে থাকবে:



*কীভাবে একটি ছেলে/মেয়ে প্রথম পর্ণো অভিজ্ঞতা লাভ করে?

*কীভাবে একটি ছেলে/মেয়ে পর্ণো দেখার অভ্যাস গড়ে তোলে?

*কীভাবে অভ্যাসটি আসক্তিতে পরিণত হয়?

*পর্ণো আসক্তির ভয়াবহ পরিণতিসমূহ কি?

*পর্ণো আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় কি?



সতর্কবাণী:

শুরুতেই বলে রাখা দরকার, অধিকাংশ যুক্তি-তথ্যই আমার ব্যক্তিগত জীবন, আশ-পাশের পরিবেশ, বন্ধু-বান্ধবের অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া। বেশ কিছু তথ্য ইন্টারনেটের অসংখ্য কাউন্সেলিং সাইট থেকে সংগ্রহ করা। কিছু অবশ্য আমার ব্যক্তিগত অভিমত। সুতরাং, এসকল তথ্যের বিপরীত যুক্তি থাকাটা অসম্ভব কিছু নয়।



যাদের উদ্দেশ্য করে লেখা:

এলেখাটি মূলত আমি পর্ণোগ্রাফী সম্পর্কে অজ্ঞ অভিভাবক, সকল বয়সী নারী এবং পর্ণোগ্রাফী থেকে মুক্তির উপায় খুজতে থাকা আসক্ত কিশোর-যুবকদের লক্ষ্য করে লিখছি। আমাদের সমাজের অনেক নারীই ছেলেদের মাত্রাতিরিক্ত পর্ণোআসক্তির আসল রূপটি কথা জানেন না। তাই, অনেকেই নিজের সংগীর এই দোষটিকে প্রশয় দিয়ে থাকেন। ফলে সমস্যাটি আরো গুরুতর হয়। কারণ, অপ্রকৃত নেশার বস্তুকে প্রশয় দিলে প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি অবশ্যই বাধাপ্রাপ্ত হবে।



আমাদের অভিভাবকগণ পর্ণোগ্রাফীর অস্তিত্ব সম্পর্কে অবগত হলেও কীভাবে তাদের ছেলে-মেয়েরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তা অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য বেশ কিছু বাস্তব চিত্র ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার চেষ্ট করা হবে।



পর্ণোগ্রাফী কি?



কৃত্রিম যৌনউদ্দীপনা সৃষ্টিকারী সকল মাধ্যমই পর্ণের অন্তর্ভূক্ত। এর মধ্যে রয়েছে স্থিরচিত্র, ভিডিও, গল্প (চটি নামে বিশেষ আলোচিত), অডিও রেকর্ড (ফোনসেক্স), কার্টুন-অ্যানিমেশন এমনকি মাল্টিমিডিয়া গেমস। বর্তমানে বিনোদনের সকল মাধ্যমেই পর্ণোগ্রাফী বিস্তার লাভ করছে।তবে বাস্তব যৌন অভিজ্ঞতা যেমন- পতিতা সংগ লাভ পর্ণোগ্রাফীর অংশ নয়। পর্ণোগ্রাফী মূলত বাস্তব অভিজ্ঞতাটির একটি কৃত্রিম চিত্রায়ণ।



প্রথম পর্ণো অভিজ্ঞতা: কখন?



সাধারণত ছেলেরা ক্লাস ৬-৮ এ পড়ার সময় প্রথম পর্ণ দেখে থাকে। মেয়েরা মূলত কিছুটা দেরীতে ১১-১২শ শ্রেণীতে দিকে পর্ণে আগ্রহী হয়। কিছুক্ষেত্রে মেয়েরাও ছেলেদের মতো ক্লাস ৮-৯ এই পর্ণোমুভির দর্শকে পরিণত হয়।



যে ১০টি কারণে একটি ছেলে/মেয়ে প্রথম পর্ণো অভিজ্ঞতা লাভ করে:



০১. পিয়ার প্রেশার:

শতকরা ৯৫ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা বন্ধু-বান্ধবের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রথম পর্ণ দেখতে আগ্রহী হয়। এর পেছনে তাদের নানা ধরণের চিন্তা কাজ করে। যেমন—



অমি মতিঝিল কলোনীতে থাকে। প্রতিদিন বিকালে সে কলোনীর মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। কিন্তু, দলভাগের সময় তাকে কেউ দলে নিতে চায় না। কারণ, বড়ভাইদের সাথে তার সম্পর্কটা খুব গাঢ় নয়। অমি প্রায়ই চিন্তা করে কেন তার অন্য বন্ধুরা বড়ভাইদের এতো আপন? একসময় সে বুঝতে পারে অমির বন্ধুরা বড়ভাইদের সাথে প্রায়ই তাদের বাসায় যায়। সেখানে তারা মুভি দেখে, গল্প করে। একদিন সেও তাদের সাথে যেতে চায়। এক বড়ভাই বলে, তাদের দলের মেম্বার হতে হলে বাজারের সিডির দোকান থেকে একটা সিডি কিনে আনতে হবে। অমি রাজি হয়ে যায়। সমবয়সী ও বড়ভাইদের সান্নিধ্য লাভের জন্য সে তাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে পর্ণোরাজ্যের অসুস্থচর্চায়।



০২. নিজেকে বড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা:



ক্লাসের সবাই সাকিবকে বাচ্চা-শিশু বলে পরিহাস করে। অষ্টমশ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তার সহপাঠীরা টিফিন পিরিয়ডের আড্ডায় সাকিবকে ডাকে না। সাকিব নিজ এসে পরলেও তারা বলে, “ওই থাম! বাচ্চা পোলাপান আইসে! ওর সামনে এগুলা বলিস না!” একদিন সাকিব ঠিক করেই ফেলে তার সহপাঠীরা যে বিষয়ে আলোচনা করে নিজেদের বড় ভাবে সেও তা জানতে চায়। অনেক অনুরোধের পর একদিন সায়েন্স ফেয়ারের প্রজেক্টের কাজ করার নাম করে সাকিব ও তার ৪ বন্ধু একসাথে রাতে সাকিবদের বাসায় থাকে। রাত ১২টার দিকে যখন তারা সবাই ক্লান্ত তখন সালমান তার পেনড্রাইভ বের করে বলে, “দোস্ত, আস! তোকে আজ বড় বানাই!” এভাবেই শুরু হয়।



০৩. পারিবারিক পরিমণ্ডলে পর্ণোগ্রাফীর উপস্থিতি:



সাবরিনা কখনো জীবনে পর্ণো দেখেনি। মন থেকে সে এসব ঘৃণা করে। তার কলেজের বন্ধুরা অনেকবার তাকে জোরাজুরি করেও পর্ণ দেখাতে পারেনি। এবার কুরবানির ঈদের ছুটিতে সে গ্রামে আসার পর লক্ষ্য করে সবগুলো কাজিন সন্ধ্যার সময় ছাদে যায় এবং ফোনে কি যেন দেখে। সাবরিনা লক্ষ্য করে তার ছেলে-মেয়ে সব কাজিনরাই তা দেখতে আগ্রহী। এতোদিন সে নিজের সহপাঠীদের আচরণকে খারাপ ভেবে পরিহার করে এসেছে। কিন্তু, পরিবারের ঘনিষ্ঠ আপনজনরা যখন একসাথে পর্ণ দেখে তখন সাবরিনার কাছে সেটা আর ঘৃণ্য বস্তু মনে হতে থাকে না। সে ভাবতে থাকে সবগুলো ভাইয়া-আপু-এমনি ছোট ভাইগুলাও একসাথে দেখছে। তারও হয়তো দেখা উচিত। একদিন সেও উকি মারে মোবাইলে চলতে থাকা সে ৩জিপি ফরম্যাটের ভিডিওতে।



পারিবারিক পরিমণ্ডলে পর্ণের গ্রহণযোগ্যতা থাকলে নিতান্ত অনাগ্রহী ছেলে-মেয়েরাও তা দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠে। বিশেষ করে যেসকল যৌথ পরিবারে কাজিনরা ছেলে-মেয়ে একসাথে বসে পর্ণ দেখে তাদের সবার কাছেই ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক হয়ে যায়।



০৪. সেক্স এডুকেশনের অভাব:



সেক্স ব্যাপারটা আমাদের দেশে এখনো ট্যাবু হয়েই রয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেক্স এডুকেশন আমাদের দেশে একেবারেই অনুপস্থিত। সেক্স এডুকেশনের ক্ষেত্রে ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশী বঞ্চিত। মেয়েরা মা-বড় বোনের কাছ থেকে মাসিক-রজ:চক্র সংক্রান্ত প্রাথমিক ধারণা গুলো লাভ করে থাকে। কিন্তু, বয়:সন্ধিকালে ছেলেদের সাথে কীহয় তা নিয়ে বাবা কিংবা বড়ভাই কোনদিনই কথা বলে না। অনেক মা নিজেই এ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকেন। এসময় ছেলেদের সেক্স গাইড হয় তারই কোন এক বন্ধু। এভাবেই এসময় একটি ছেলে পরিবার অপেক্ষা বন্ধুদের আপন ভাবতে শুরু করে।



সেজানের ক্ষেত্রেও ঘটনাটা সেরকমই হয়েছিল। ক্লাস সেভেনের প্রথম দিকের কথা। একদিন সে স্কুলে এসে প্রচন্ড লজ্জায় এককোণায় বসে থাকে। কারো সাথে কথা বলে না। তার খুব কাছের বন্ধু হাবিব এসে সেজানের সাথে কথা বলতে চায়। সেজান গতরাতে অবচেতন মনে দেখা এক স্বপ্নের কথা হাবিবকে বলে। সে বোঝাতে চায় স্বপ্নে সে যা দেখেছে তা না বুঝলেও সেটা তার অত্যন্ত ভালো লেগেছে। কিন্তু, সকালে পায়জামাতে লেগে থাকা ছোপ ছোপ দাগের রহস্য সে বুঝতে পারে না। সেজান ধারণা করে, তার নিশ্চয়ই কোন রোগ হয়েছে। তখন হাবিব হাসতে হাসতে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। সে সেজানকে বোঝায় আসলে তার সাথে কি হয়েছে! সেজান অবাক হয়ে হাবিবের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে, “তুই এতো কিছু কীভাবে জানিস?” হাবিব বলে, “তোকে কাল আমার বাসায় নিয়ে একটা সিনেমা দেখাবো। দেখবি তুই অনেক কিছুই জেনে গেছিস”। সেক্স জিনিসটা কী তা নিয়ে সিজানের বিন্দুমাত্রও ধারণা ছিল না। কিন্তু, জিনিসটা যে প্রচন্ড আকর্ষণের সেটা সে গতরাতের স্বপ্নে সৃষ্ট উত্তেজনা থেকেই বুঝতে পেরেছিল। তাই তার অতিউত্সাহী মন সানন্দে হাবিবের বাসায় যায় পুরো ঘটনাটা বুঝে দেখার জন্য।



মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের জন্য বয়:সন্ধিকালে যৌনশিক্ষার অপ্রতুলতা ছেলেদের উচ্চ পর্ণোআসক্তির হারের পেছনে প্রধাণ কারণ হয়ে থাকতে পারে।



০৫. বিপরীত লিংগ সম্পর্কে অজ্ঞতা:



আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মোটামুটি ছোটবেলা থেকেই ছেলে-মেয়েদের আলাদা শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করা হয়। এমনকি ছেলে মেয়েদের পৃথক স্কুলে পাঠদান করানোটাকে স্কুলের উচ্চমানের মাপকাঠি হিসেবেও অনেক সময় বিবেচনা করা হয়। তাই, একটা ছেলে তার বয়:সন্ধিকালে বিপরীত লিংগের প্রতি সৃষ্ট আকর্ষণ কোনভাবেই মেটানোর সুযোগ পায় না। আমাদের একেবারে শহরেও হয়তো ক্লাস ৯-১০ এ উঠার আগে একটা ছেলে একটা মেয়ের সাথে কথা বলার সুযোগ লাভই করে না। কিন্তু, বয়:সন্ধি তো অনেক আগেই তাদের দরজায় কড়া নেড়েছে। তাদের সে আগ্রহ তখন মেটায় পর্ণোছবি! বিপরীত লিংগ সম্পর্কে নূন্যতম ধারণাও অনেক সময়ই আমাদের ছেলে মেয়েদের থাকে না।



হাসান কলেজে উঠার পর থেকেই প্রথম মেয়েদের সাথে কথা বলা শুরু করেছে। জান্নাত হাসানের খুব ভালো বন্ধু। একদিন হাসির ছলে জান্নাত হাসানকে জিজ্ঞাসা করে বসে, “দোস্ত, তোদের সবসময় এতবড় একটা জিনিস নিয়ে জিন্সের প্যান্ট পড়ে ঘুড়ে বেরাতে অস্বস্তি লাগে না?” প্রশ্নটা শুনে হাসান রীতিমত আকাশ থেকে পড়ে। ও উত্তর দেয়, “দোস্ত জিনিসটা সবসময় বড় থাকে না, প্রয়োজনের সময় বড় হয়”। জান্নাত উত্তর শুনে অনেক অবাক হয়। কারণ, প্রায় ৪ বছর আগে তার মাসিক শুরু হয়েছে। সেক্স ব্যাপারটাও সে বুঝে। অথচ সে ছেলেদের এই অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপারটা জানতো না? জান্নাতের মনে হতে থাকে ছেলেদের সম্পর্কে সে অনেক কিছুই হয়তো জানে না। তাই, সে হাসানকে বলে তাকে একটা ভালো দেখে পর্ণো ভিডিও দিতে। সে শুধুই ছেলেদেরকে জানার জন্য দেখতে চায়।



০৬. পিতামাতার যৌনজীবন:



অনেক পিতামাতাই হয়তো জানেন না তারা নিজেরাই মনের অজান্তে ছেলে-মেয়েদের মাঝে অকালে যৌন অনুভূতি সৃষ্টি করে থাকেন। ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মারাত্মক। কারণ, বাবা-মাকে সবাই নিজের আদর্শ হিসেবে দেখে। তাদের দেখে শেখা যেকোন কিছুই সন্তান অত্যন্ত স্বাভাবিক বলে মনে করতে পারে। এমনটাই হয়েছিল ফয়সালের সাথে।



ফয়সাল ক্লাস ৫ এ পড়া পর্যন্ত বাবা-মার সাথে একই বিছানায় ঘুমাতো। সে খুব স্পষ্ট মনে করতে পারে যখন খুব ছোট ছিল তখন প্রায়ই রাতের বেলা তার ঘুম ভেংগে যেত। সে দেখতো আব্বু-আম্মু যেন কী করছে! ওর খুবই লজ্জা লাগতো। তাই, সে শুয়ে ঘুমিয়ে থাকার ভান করতো। তার মনে আছে, আম্মু আব্বুকে খুব আদর করছিল। এরপর একদিন তার রাতে ঘুম ভাংগে টিভির লাইটের কারণে। তখন ফয়সাল ক্লাস ৪ এ পড়ে। আব্বু তখন অফিসের কাজে চিটাগাং গিয়েছিল। আম্মু আর সে ঘুমুচ্ছে। কিন্তু, হঠাত্ আম্মু টিভি ছেড়ে এএক্সএন-এ মিস ইউনিভার্স অনুষ্ঠান দেখতে থাকে। ঘুমে আচ্ছন্ন ফয়সালের চোখ যা দেখে তার কিছুই বিশ্বাস করতে পারে না। সে শুধু নিজের শরীরে কেমন যেন অস্বস্তি অনুভব করে।



ক্লাস ৬ এ পড়ার সময় থেকেই সে আব্বুর কম্পিউটারে গেম খেলে। সে প্রায়ই লক্ষ্য করে আব্বু অনেকগুলো ফোল্ডার ঘেটে প্রায়ই কিছু ফাইল লুকিয়ে রাখে। ফয়সাল কিছু না বুঝেই একদিন সে ফোল্ডারে ঢুকে যায়। ফাইল গুলো চালু করেই বুঝতে পারে সে কি দেখতে পারছে। দুজন বিদেশী নারী-পুরুষ ঠিক ছোটবেলায় রাতের বেলা ঘুমের ঘোরে দেখে ফেলা আব্বু-আম্মুর কাজগুলো করছে। ফয়সালের তখন এটাকে আর খারাপ কিছু মনে হয়ে না। দেখে কিছূটা ভালোও লাগে। মাঝে মাঝে সে আব্বুর ল্যাপটপে সে ফোল্ডারটি খুলে ফেলে!

একদিন সে আব্বু-আম্মুর বিছানার নিজে একটা প্যাকেট খুজে পায়। খুলে দেখে সেখানে কিছু বেলুন আছে। খুশি হয়ে ফয়সাল সেগুলো নিয়ে ফোলাতে থাকে। দেখতে পেয়ে আম্মু ছুটে আসে এবং ফয়সালকে প্রচন্ড মারধর করে। ফয়সাল বুঝতে পারে না কেন। পরে একদিন আব্বুর ল্যাপটপের সেই ফোল্ডারে এই বেলুনের আসল কাজ দেখতে পায়। সে বুঝতে পারে এটা আম্মু আব্বুদের বেলুন, তার জন্য নয়!



০৭. ভালোবাসার মানুষটির অনুরোধ:



সোহাগ এবং সভ্যতার সম্পর্ক প্রায় ৭ মাসের। তারা দুজনেই ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে তাদের সম্পর্ক হয়ে। সোহাগ প্রথম পর্ণো দেখেছিল ক্লাস এইটে পড়ার সময়। সভ্যতা কখনোই দেখেনি এসব। সোহাগ প্রায়ই সভ্যতাকে অনুরোধ করে, অন্তত জানার জন্য, শেখার জন্য হলেও একটা বারের মতো পর্ণো দেখো। সভ্যতা ভাবতে থাকে হয়তো সোহাগ ঠিকই বলছে। ছোটবেলা থেকেই সে একটু বেশীই লাজুক। তার সহপাঠীরাও সবাই পর্ণ দেখে। এখন সোহাগও অনুরোধ করছে দেখতে। এতে নাকি ভবিষ্যতে বাবু নিতে সুবিধে হবে। চিন্তা ভাবনা করে সভ্যতা রাজি হয়ে যায়। পরদিন ক্লাসের পরে সোহাগ একটা পেনড্রাইভ দিয়ে যায়। শুরু হয় সভ্যতার বিনাশ!



সভ্যতারই আরেক বন্ধু সন্ধ্যা। সে খুবই দুষ্ট প্রকৃতির। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময়ই সে সভ্যতাকে যা বলতো তা শুনে সভ্যতার খুবই লজ্জা লাগতো। কিন্তু, কলেজে পড়ার সময় সন্ধ্যার বয়ফ্রেন্ড হয় আকাশ। সে খুবই লাজুক প্রকৃতির ছেলে ছিল। সন্ধ্যা দেখলেও, আকাশ জীবনে কখনো পর্ণ দেখেনি। ব্যাপারটা নিয়ে সন্ধ্যা খুবই লজ্জা পেত। তার বান্ধবী সভ্যতার বয়ফ্রেন্ড সভ্যতাকে পেনড্রাইভে পর্ণো দিয়ে যায়। অথচ সন্ধ্যার নিজের বয়ফ্রেন্ড কেমন যেন সেকেলে! সন্ধ্যা আকাশকে পুচকে ভাবতে থাকে, নানা সময় তাকে করতে থাকে অপমান। অবশেষে একদিন আকাশ সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে দেখেই ফেলে কী আছে সে ছবিতে! আকাশ ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।



০৮. অসুস্থ বিনোদনের উস্কানি:



রাত ৯.০০ টার পর জামিদের বাসার সবাই একসাথে টিভি দেখতে বসে। তাদের মূলত পছন্দ রিয়েলিটি শো এবং হিন্দি সিনেমা। বাসার সবাই মিলে আধুনিক যুগের হিন্দি সিনেমার আইটেম সং গুলো উপভোগ করে। জামি মাত্র ক্লাস ৮ এ উঠেছে। তখনো তার বয়:সন্ধিকাল শুরু হয়নি। কিন্তু, এসব আইটেম সং দেখে তার দেহে প্রায়ই এক ধরণের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। সে লজ্জায় কাউকে বলতে পারে না। সোফায় বসে সে পায়ের উপর পা তুলে চেপে রাখে। পাছে কি হয় তা যদি কেউ দেখে ফেলে! একদিন ক্ষুদে গান রাজ অনুষ্ঠানে পড়শী নামের একটি মেয়েকে সে গান গেতে দেখে। মেয়েটা তো ঠিক জামির বয়সী! মেয়েটাকে গেঞ্জি পড়া অবস্থায় কী সুন্দর লাগছে! জামির অনুভূতি গুলো আরো তীব্রতর হয়। সেদিন রাতে বাসার সবাই “ব্যান্ড বাজা বারাত” হিন্দি সিনেমাটি দেখছিল। মাঝখানে আনুশকা শর্মার মদপ্য অবস্থায় রাতে ঘুমুতে যাবার কিছু দৃশ্য ছিল। আম্মু তখন চ্যানেল চেঞ্জ করে দেয়।

পরদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে জামি টিভি ছাড়ে। আম্মু তখন গোসলে। ভিসিডি চ্যানেলে তখন আবার “ব্যান্ড বাজা বারাত” দেখাচ্ছে। এবার জামি দেখতে পায় কীভাবে আনুশকা শর্মা আসলে রাতে ঘুমুতে গিয়েছিল। জামি নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। পরে কী হবে তা ভেবেই সে অস্থির! দৌড়ে সে গোসল করতে চলে যায়। কি হচ্ছে বুঝতে না পেরে বিকাল বেলা খেলতে গিয়ে আসিফকে সে জিজ্ঞাসা করে। আসিফ বলে, “দোস্ত, তোর বড় হওয়া দরকার!” সেদিন জামি বাসায় ফেরার সময় কল অফ ডিউডি গেমের সিডির প্যাকেটে কিছু নিয়ে আসে।



জামির ছোট ভাই সাফি একদিন টিভিতে একটি অ্যাড দেখে ফেলে। সে সরাসরি আম্মুকে জিজ্ঞাসা করে মেয়েটা ছেলেটাকে কেন মেডেল পড়িয়ে দিচ্ছিলো? আম্মু বলে, “তোর এতো কিছু জানতে হবে না”। ছোট্ট সাফির মনেও প্রশ্ন সৃষ্টি হলো, কি করলে সে মেডেল পাওয়া যাবে?



৯. সেলিব্রিটি পর্ণ স্ক্যান্ডাল:



সারা কোনদিনই পর্ণ দেখেনি। ব্যাপারটা সে খুবই ঘৃণা করে। তার সব বন্ধুরা দেখলেও ব্যাপারটা তার একেবারেই সহ্য হয় না। অনেক জোড়াজুরি করেও তাকে কেউ পর্ণো ছবি দেখাতে রাজি করাতে পারেনি। হঠাত্ একদিন ক্লাসের সবাই বলাবলি করতে থাকে, “মডেল প্রভার পর্ণ বের হয়েছে”। সারা মডেল প্রভাকে খুব ভালো করেই চিনে। তার নাটকগুলোও সারা দেখেছে। মেয়েটা কী কিউট! এর পরের কিছুদিন ব্যাপারটা বন্ধু মহলে আলোচনার প্রধান বিষয়। সারারও আগ্রহ বাড়তে থাকে। অবশেষে কোচিংএ এসে সে পাশের মেয়েটিকে বলে, “আমার বিশ্বাস হয় না এটা আসল প্রভা! সে এমন করতে পারে না!” সহপাঠী মেয়েটি বলে, “না এটা আসল প্রভাই। বিশ্বাস কর আমি দেখেছি। তু্ই দেখবি?” সারা কেবল নিশ্চিত করতে চায় এটা আসল প্রভা কিনা! এর বেশি কিছু তো সে কখনো চায়নি।



১০. পরিচিত মানুষের মতো দেখতে পর্ণোমডেল:



সামিয়া ক্লাস টেনে পড়ে। জীবনে সে কয়েকবার পর্ণো ছবি দেখার চেষ্টা করেছে। কোনবারই সে ভালো লাগাতে পারেনি। একদিন ফাবিহা এসে বলে, “দোস্ত জানিস, একটা পর্ণ আছে আমার কাছে। মেয়েটাকে দেখেতে আমাদের স্কুলের নুসরাত আপুর মতো মনে হয়”। সামিয়ার মনে হয় আসলেই ব্যাপারটা সত্যি কিনা! সামিয়া অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে দেখতে চায়। এবার তার ব্যাপারটা ভালো লাগে। স্কুলে নুসরাত আপুকে দেখলেই তার পর্ণের দৃশ্যগুলো চোখে ভেসে উঠে!



এরকম আরো হয়তো হাজারো পরিস্থিতির উদাহরণ দেয়া যাবে যখন একটি ছেলে অথবা মেয়ে পর্ণোছবি দেখতে সম্মত হয়ে যায়। কোন পরিস্থিতির জন্যই আসলে তাকে দোষ দেয়া যায় না। সে শুধুই নিজের প্রবৃত্তিজাত আচরণগুলোই করেছে। এভাবেই হয়তো কেবল আগ্রহ, জানার ইচ্ছা, পিয়ার প্রেশার থেকে শুরু। ধীরে ধীরে এই পর্ণো আসক্তি তাকে নিয়ে যায় অধ:পাতের শেষ সীমায়।



প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে অভ্যাস, অভ্যাস থেকে আসক্তি, আসক্তি থেকে বিপর্যয় এবং বিপর্যয় থেকে মুক্তির গল্প শুনতে অপেক্ষা করুণ পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

দয়ালু বলেছেন: প্রিয়তে ভাই

১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

shoytanlekhok বলেছেন: :ডি

২| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে অভ্যাস, অভ্যাস থেকে আসক্তি, আসক্তি থেকে বিপর্যয়

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২০

মুহামমদল হািবব বলেছেন: সুন্দর উপস্থপনা। ধন্যবাদ।

১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

shoytanlekhok বলেছেন: আমি নিজে উপস্থাপনার ধরণটি নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম... ধন্যবাদ আপনাকেও।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৪

জাতির মামু বলেছেন: মিলে যাচ্ছে।। চালিয়ে যান ।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

shoytanlekhok বলেছেন: মিলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক... খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বগুলো নিয়ে আসব।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

ইমাম হাসান রনি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট । ++ নেন :) :)

১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

shoytanlekhok বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

সুমন জেবা বলেছেন: ০৪. সেক্স এডুকেশনের অভাব:

আপনার সাথে একমত..সেক্স ব্যাপারটা আমাদের দেশে এখনো ট্যাবু হয়েই রয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেক্স এডুকেশন আমাদের দেশে অনুপস্থিত বলেই আসক্তিটা কাজ করে।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল পর্যবেক্ষন

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

সোহানী বলেছেন: সব ঘটনাই সত্য কিন্তু কিভাবে এর সমাধান হবে??? আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের কিভাবে এ ভয়াবহ সংক্রমনের হাত থেকে বাচাঁবো????

সরকার যদি স্বপ্রনোদিত হয়ে ওয়েবসাইট ও মুভিগুলো বন্ধ করে তাহলেই হয়তো আমরা ওদের বাচাঁতে পারবো।

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

shoytanlekhok বলেছেন: সরকার ওয়েব বন্ধ করলে লাভ হবে না। আরো হাজারো মাধ্যম আছে। সমাধানের উপায় কিছু ৫ম পর্বে দেয়ার চেষ্টা করব। আগে দেখি রোগ কতদূর, তারপর ওষুধ দেয়া যাবে।

তবে, প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে বাচ্চাদের বাচানোটা খুবই কঠিন হবে। আসক্তি রোধ করাটা হয়তো সম্ভব হবে...

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। ++++

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

shoytanlekhok বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও সুন্দর করে অনেকগুলো প্লাস দিয়েছেন।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে অভ্যাস, অভ্যাস থেকে আসক্তি, আসক্তি থেকে বিপর্যয় ক্রমিকটা এমনই...

মুক্তির উপায় আসলেই কি আছে?

প্রকৃতির এই সত্যকে তো বাদ দেয়া যাবেনা? আবার সেক্স এডুকেশনের নামে শেখাতে গিয়ে পাশ্চাত্যে যা হচ্ছে- টিনেজ পিতা-মাতার রেকর্ড! তাইবা ঠেকাবেন কি করে?


১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৩

shoytanlekhok বলেছেন: ভাই, আমাদের দেশেও টিনেজ পিতা-মাতা হচ্ছে অনেকেই। খালি সবাই গোপনে তা সেরে ফেলছে। আর সেক্স এডুকেশন কিন্তু এর জন্য দায়ী নয়। বরং, এর অভাবই অধিক দায়ী।

তবে, এটা সত্য, একেবারে মুক্তির উপায় আসলেই আছে কিনা জানি না। তবে, ফিরে আসার উপায় অবশ্যই আছে।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

স্পর্শের মধ্যে বলেছেন: শিক্ষা মূলক পোস্ট, চালীয়ে যান.।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.