| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাখাওয়াত হোসাইন রিফাত
সত্যের পথে এক বলিষ্ঠ কন্ঠ।আমার সত্যই আমার শক্তি।আমি সমাজ আর রাষ্ট্রের অন্যায় নীতি মানি না।সমাজ আমার কাছে বিষধর সাপ,আর রাষ্ট্র আমার কাছে তার সৃষ্টিকর্তা।অন্যায় প্রতিবাদ করতে আমি কখনো ভয় পাইনা।কেননা,আমার সত্যই আমার পথ দেখাবে।
প্রচন্ড ঠান্ডায় কুয়াশা ভেদ করে হো হো করে এগিয়ে চলছে বাসটা।রাস্তার দুধারে মাত্র কয়েকহাত সামনে পর্যন্ত দেখা যায়।ড্রাইভার বাসের হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে।যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।কিন্তু তবুও ড্রাইভার গাড়িটাকে দৌড়িয়ে নিচ্ছেন।যাত্রীদের সবার চোখেমুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।যেনো এই বুঝি,তারা প্রত্যেকেই মারা যাবেন।মনে মনে হয়তো,ড্রাইভারকে প্রচন্ড গালাগাল করছেন।কিন্তু তবুও তিনি তার আপন মনে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন।আর সবাই যখন ভয় আর ঠান্ডার মাঝামাঝি জায়গাটায় দাঁড়িয়ে সবগুলো জানালা বন্ধ করে দিয়েছেন,তখন শুধু ড্রাইভারের পাশে দরজার দিকটায় থাকা কন্ট্রাক্টরের বসার সিটটায় বসা ছেলেটার চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে।তার জানালা বন্ধ করার তাগিদ নেই।মরে যাওয়ার ভয় নেই।প্রচন্ড ঠান্ডায় একমনে শুধু সামনে তাকিয়ে আছে।চোখের কোণটায় বিন্দু বিন্দু পানি এসে ভর করেছে।হয়তো লোকজন না থাকলে সে চিৎকার করে কেঁদে উঠতো।
ওর নাম শুভ্র।কক্সবাজার থেকে রাতের বাসে করে কুমিল্লায় আসছে সে।এখন ভোর হয়ে গেছে।আর একটু পরই তার প্রিয় মানুষটা বিয়ের পিড়িতে বসবে অন্য একজন অচেনা লোকের সাথে।অনেক চেষ্টা করেছে নিজেকে তার প্রিয় মানুষটার বিয়ে থেকে দূরে রাখতে।কেননা সে জানে,যেকোন মুহুর্তেই সে যেকোন কিছু করে বসতে পারে।তাই,গতকালই কক্সবাজার চলে গিয়েছিলো।কিন্তু যেই বুঝতে পারলো,এখানে থাকাটা তার পক্ষে অসম্ভব,সে ছুটতে শুরু করলো তার গন্তব্যের পথে।আর একটু পরই বাস থেকে নেমে পড়বে সে।আর তারপর,যাই হোক না কেনো,তার প্রিয়তমকে সে আপন করে নেবে।
বিকেল তখন ৪ টা বাজে।ইতুর বিয়ে হয়ে গেছে।কিন্তু তবুও তাকে তার স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হলো না।তাকে রেখেই বরপক্ষ চলে গিয়েছে।ইতু খুব অবাক হলো।বুঝতে পারছিলোনা চারিদিকে কি ঘটছে।একজন এসে বললো,"তোকে আরো কিছুদিন পর নিয়ে যাবে।এখন আপাতত এখানেই থাকবি।"পালটা প্রশ্ন করার সুযোগ ইতু পেলো না।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো।ইতুকে শুভ্রদের বাড়িতে নিয়ে আসা হলো।এখনো সে কিছুই বুঝতে পারছেনা।শুভ্র তার বড় ফুফুর ছেলে।সবকিছুই কেমন ঘোলাটে মনে হতে লাগলো।এক সময়,ভয়ানক একটা সাইরেন বাজিয়ে লাশবাহী একটা এম্বুলেন্স শুভ্রদের বাসার সামনে এসে দাঁড়ালো।তাতে রাখা লাশটা একটা বিছানায় মোড়ানো।তা থেকে রক্ত ঝরছে।টাটকা রক্ত।লাশটাকে নিচে নামানো হলো।কয়েকজন কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে সেটা দেখার চেষ্টা করলো।ইতু সামনে এগিয়ে গেলো।লাশের মুখের কাপড়টা আস্তে আস্তে খুলে দেওয়া হলো।ইতুর চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে এলো একটা চেহারা।সে এক পা পেছনে সরে এলো।বোবা হয়ে গিয়েছে।কিছু বলার ভাষাই নেই,তার মুখে।শুধু নিষ্প্রাণ চোখে তাকিয়ে থাকলো লাশটার দিকে।
পরেরদিন খবরের কাগজে দুটি কলাম এলো,"প্রচন্ড কুয়াশায় বাস উলটে খাদে পড়ে নিহত বাসের সবাই।" আর "সদ্য বিয়ে হওয়া এক কিশোরীর আত্মহত্যা।"

২|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১
সাখাওয়াত হোসাইন রিফাত বলেছেন: মজা করছেন? নাকি সিরিয়াসলি?
৩|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এটা কেমন প্রশ্ন ভাই ? আগে বলেন লেখাটা কি সত্যি ,নাকি মজা করে লিখেছেন ?
৪|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
সাখাওয়াত হোসাইন রিফাত বলেছেন: হ্যা সত্য ঘটনা অবলম্বনেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: তার মানে মেয়েটি লাশ দেখার পর আত্মহত্যা করেছে ? কি নির্মম কাহিনী । লেখা টা পড়ার পর কেন জানি চোখ টা ছল ছল করে উঠলো ।