![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
জাতির (পুরুষ) উপকার হবে ভেবে একটা ব্যাক্তিগত কথা শেয়ার করছি।
বউ রাগ করে আছে। কিছু একটা ভুলে গেছি নিশ্চয়ই। ভাবলাম, ডেটফেট রিলেটেড কিছু হবে না। কারন জন্মদিন থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশেষ দিনগুলো আমার কাছে গুগুল কেলেন্ডারে উইথ নটিফিকেশন লেখা থাকে।
একে একে ঘরের ঝুল ঝাড়ু কিনে আনা থেকে শুরু করে বউরে কবে কি জুয়েলারী দিবো প্রমিজ করছিলাম সব চেক, রিচেক করা শুরু করলাম। নাহ্, কিছুতেই কিছু মনে পড়ছে না। সব তো ঠিকই আছে...
বউ রাগ করে যে বাড়ী মাথায় তুলেছে তা না। তা হলেই ভালো হতো। কারন যত গর্জে তত বর্ষে না। সে খুব শীতল একটা ভঙ্গি নিয়ে সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্লাসে করে ঠান্ডা পানিও দিয়েছে বাসায় ঢুকার সাথে সাথে। রান্নাও করা আছে টেবিলে। ষ্টারপ্লাসে সিরিয়ালও চলছে। রুটিনে কোন হেরফের নাই। কিন্তু একটা কিন্তু আছে বুঝা যাচ্ছে। কি সেই কিন্তু...!
খাওয়া দাওয়াও করলো। একটা সময় দেখি ফুঁৎ ফুঁৎ করে কাঁদতেছে। খুব অপরাধীর মত চুপিসারে পাশে গিয়ে বসলাম, উঠে গেলো না। ধীরে ধীরে অনেক প্রশ্ন করলাম, রোমান্টিক একটা কণ্ঠ নিয়ে।
- বউ, আজকে কি কোন বিশেষ দিন ছিলো, যে ভুলে গেছি?
-নাহ
- কিছু কি আমার নিয়ে আসার কথা ছিলো?
- (কোন উত্তর নাই। কিন্তু বুঝা যাচ্ছে এইটাও না)
এমন করে মাথায় যত বুদ্ধি আসে সব কিছু দিয়ে ট্রাই করলাম। নাহ তালাতো কিছুতেই খুলছে না!
একটা সময় মাথায় আগুন ধরে গেলো। আরে!!! সমস্যাটা তাহলে কই? এবার তার মতই শীতল ভঙ্গী ধরলাম। ইচ্ছা করে ধরা না, অটোমেটিক হয়ে গেলো। বলা শুরু করলাম।
- শুনো, তুমি মাথায় জটাওয়ালা কোন দরবেশ বিয়ে করো নাই। বলো, বট গাছের নীচে টিয়া পাখী নিয়ে যে বসে থাকে এমন দরবেশ দেখে বিয়া করছিলা? আরে ভাই, বিয়া করছো ইঞ্জিনিয়ার মানুষ। এতক্ষণ গুগুল সার্চের বাপ চালাইলাম মাথার মধ্যে কিছুইতো পাচ্ছি না! সমস্যাটা কোথায়?
এবার সে একটু ভয় পেয়েছে। (অবশ্য স্ত্রীরা ভয় পায় না, হয়ত একটু নরম হয়েছে)। মারাত্বক, একেবারে মারাত্মক অভিমান নিয়ে বল্লো
- আজ কয় দিন ধরে শরীরটা ভালো লাগছে না। তুমি খেয়ালই করছো না।
- শরীর ভালো লাগছে না মানে? তোমার জ্বর না, সর্দী না কিচ্ছু না।
- জ্বর সর্দীই রোগ, আমার খারাপ লাগতে পারে না?
- পারে বাট বলতে তো হবো?
- সব কিছু তোমারে বলে বুঝাতে হবে কেন?
- বলে বুঝাতে হবে কারন আমার মন বোঝার বুদ্ধি নাই। যেই জায়গাটায় এই বুদ্ধিটা থাকার কথা। এই জায়গাটাও খালি করে এখানে ভালোবাসা ভরে দিয়েছে সৃষ্টিকর্তা। সো, যা আছে মাথায় তার পুরাটাই ভালোবাসা। আর এই যে পেন পেন করো, তোমারে আমি বুঝি না, বুঝি না। কিন্তু বুঝার চেষ্টা তো অসীম আছে। আছে না?
-হুম আছে। (একটু নরম হয়ে)
- তো? তোমারে বোঝার এই চেষ্টাটা যে তোমারে ঘিরে আমার কাজ করে এইটাই ভালোবাসা। আর শুকুর করো যে আমি মন বুঝি না। যদি একবার মন বুঝে যাই তাহলে তোমারই বিপদ। তখন তুমি একটা কথা বলার আগেই বুঝবো ঠিকই। সাথে সাথে অন্য মেয়েদর মনও বুঝা শুরু করে দিবো। তখন ভালো হবে?
বউ তখন পুরা নরমাল। মা গো মা, মেয়ে মানুষ কিভাবে পারে এমন শীতল রাগের মূর্তি থেকে মায়াবীনী হয়ে যেথে নিমিষেই!
বউ তখন একটু ঢং করেই বল্লো
- তোমার সাথে একটু মেয়েলী ঢং ও করা যায় না। আজব মানুষ একট।
----০-----
তো স্বজাতি বিবাহিত বন্ধুরা, কি শিখলেন?
"সততার সাথে ভালোবেসে যান। সংসারে রাগ অভিমান কোন ঘটনাই না"
(ঘটনাটা বছর তিনেক আগের...)
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তোমার সাথে একটু মেয়েলী ঢং ও করা যায় না। আজব মানুষ একট।
এই শিখার শেষ নাইগো ভাইজান!!!!
নিত্য আকাশের মতো এ আয়োজন!
বোঝা বড় দায়
++