![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
পার্থক্যতো আছেই!
মেয়ে-ছেলেতে পার্থক্য করি না টাইপ কথায় আমার আপত্তি আছে।
কারন কথাটার মধ্যে মেয়েদেরকে জোর করে একটু জাতে তোলা হচ্ছে মনে হয়। জোর করে জাতে তোলার কিছু নাই। মেয়ে মেয়েই, ছেলে ছেলেই। ডান চোখ আমার ডান চোখ, বাম চোখ আমার বাম চোখ। দুইটা কখনোই এক না এবং দুইটার কোনটারই গুরুত্ব কম না।
তবে হ্যাঁ, প্রশংসা ছেলেরা না পেলেও মেজর কোন সমস্যা নাই। কিন্তু একটা মেয়ে যদি প্রশংসা না পায় তাহলে তার কনফিডেন্স লেভেল একেবারেই কমে যায়। আর কনফিডেন্স ছাড়া মেয়ে বড়ই অসহায়। অতএব-
১) পাশের মেয়ে যিনি আছেন সম্পর্কে তিনি যেই হোন একটু প্রশংসা করুন। হোক সে সিম্পল, যেমন - বাপরে! আপনার তো দেখি জোড়া ভ্রু!
২) প্রশংসা প্রতিদিন করতে না চাইলেও সমস্যা নাই। একটু গুরুত্ব দিন। যেমন হয়ত খোলা চুলে আছেন তিনি, তো আপনি বলতে পারেন - খোলা চুলের চাইতে আপনাকে দুই বেণীতে ভালো দেখায়। এতে তিনি বুঝবেন তার প্রতি মানুষজন খেয়াল করেন। তাকে মানুষজন গুরুত্ব দেন। তিনি খুশি হবেন।
৩) কোন কিছু প্রশংসা করার মত না পেলে অন্য পথ ধরুন। যেমন - বাহ আপনার ড্রেসের মেচিং এর প্রশংসা না করে পারা যায় না। অথবা, আচ্ছা এই সেন্ডেল আপনি কোত্থেকে নিলেন! আমি অনেক দিন ধরে (মা, বোন, বউ) এর জন্য এমনই এক জোড়া সেন্ডেল খুঁজছি!
৪) ফেসবুকে হয়ত দেখলেন কোন মেয়ে বন্ধুর পিকচারে, ষ্টেটাসে এক হাজারেরও বেশী লাইক, কমেন্ট। তবু নিজের লাইক, কমেন্টটা দিতে ভুলবেন না। কারন মেয়েরা যত ব্যস্তই হোন না কেন, কে কে তাকে গুরুত্ব দিলো সব খুঁতিয়ে খুঁতিয়ে দেখেন! আর গুরুত্বের পরিমান কম হয়ে গেলে কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেন। একই মেয়ে উইথ কনফিডেন্স মাধুরী উইদাউট কনফিডেন্স মধরী।
ছেলে বন্ধুরা মনে রাখবেন, ছেলেরা কিন্তু মেয়েদের ভালোবাসে কেবল সুখী একটা মুখ দেখার জন্য। আর একটা মেয়েকে সুখী করতে গেলে গয়না, বাড়ী, গাড়ী ইত্যাদির চাইতেও একটু প্রশংসা, একটু গুরুত্ব, একটু শ্রদ্ধা বেশী কার্যকরী। (জীবন থেকে নেওয়া)
©somewhere in net ltd.