![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
কুকুরের লেজ কেঁটে তিনি প্রমান রেখেছিলেন যে এই কুকুরটা তার।
আমরা তাকে ডাকতাম চাম্পু বুবু। ইদানিং মজা করে বন্ধুদরে মহলে কারো কারো নাম দেওয়া হয় চাম্পু। কিন্তু ঐ বুবু (দাদী)'র নাম আসলেও ছিলো চাম্পু।
কিছুদিন পর দেখি ঐ কুকুর আমাদের বাড়ীতে এসে হাজির। মা তাকে ভাতের মার খেতে দিলেন। ব্যাস্ কুকুর আমাদের বাড়ীতে স্থায়ী আবাস গড়ে বসলো। চাম্বু বুবুদের বাড়ী আমাদের বাড়ী থেকে প্রায় আধা কিলো দূরে। খাল পার হয়ে তবেই যেতে হয়। কুকুর যে তার আমাদের বাড়ীতে আছে তা তিনি টের পেলেন বেশ কিছুদিন পর। আমাদের বাড়ীতে এসেই অভিযোগ করলেন
- কি গো শরীফের মা (আমার বড় ভাইয়ের নাম শরীফ) আমার কুত্তা তোমার বাড়ীতে ক্যান?
- জেডি আম্মা আমি তো জানি না কুত্তা কার। নিজে নিজেই আসছে
- কুত্তা নিজে আহুক আর কেউ ধইরা আনুক, কুত্তার লেনজা (লেজা) কাডা দেইকখাওকি তুমি ঠাহর পাইলা না যে কুত্তাডা কারো পালা কুত্তা!
- আমি তো জেডি মনে করছি কোন দুষ্ট পুলাপান লেজটা কাইটা দিসে।
লেজ কাটার কাজটা দুষ্টদের বলায় তিনি তা মোটেও পছন্দ করলেন না। গড়গড় করতে করতে কুকুরকে কোলে তুলে নিয়ে চলে গেলেন।
কয়দিন পর কুকুর আবার ঠিক আমাদের বাড়ী। এবার চাম্পু বুবু সরাসরি আমাদের বাড়ী এসে হাজির। কাউকে কিচ্ছু বল্লেন না। বিড়বিড় করে খালি বল্লেন, তাবিজ করছে, তাবিজ না করলে আমার পালা কুত্তা আইয়া পরে!
তিনি এবার ছাগলর পাশাপাশি রশি দিয়ে কুকুরকেও বেঁধে রাখলেন গাছের সাথে। আমরা ছেলেরা মজা করে দেখতে যেতাম সেই রশিয়ে বাঁদা কুকুরকে।
-০-
ছোট্ট ঘটনাটা কেন বল্লাম?
বাসায় দাত মাজার ব্রাশ আনার পর খেয়াল করলাম দুইটা ব্রাশ হুবহু এক না হলেও অনেকটা এক। গিন্নির ঝারি খাবার আগে তাই বুদ্ধি করে নিজের ব্রাশের লেজে চাকু দিয়ে কেটে "এ" লিখে রাখলাম। এ ফর অরুণ। গিন্নি ব্রাশ দুইটা দেখেই হুংকার দিলো
- দুইটা ব্রাশ এক রকম আনলা কোন আন্দাজে?
উত্তরতো আমার কাছে প্রস্তুত। কিন্তু সময়মত কোন কিছুই বলার স্কোপ পাওয়া যায়না। যতক্ষণে দেখালাম আমার ব্রাশে সাইন কাটা আছে ততক্ষণে তিনি গজগজ করতে করতে পাশের রুমে চলে গেলেন। এমন ব্রিলিয়ান্ট একটা আইডিয়ার কোন দামই দিনি দিলেন না।
-০-
চাম্পু বুবুর কুকুরের লেজ কাটা, আমার নিজের ব্রাশে দাগ কাটা এইসব নিয়ে যখন ভাবছি তখন মনে হলো-
আরে! দেবদাশওতো তার পার্বতীর কপালে দাগ কেঁটে দিয়েছিলো।
যাক, এতটুকু ভেবেই আজ হ্যাপি থাকলাম।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
নির্বোধ পাঠক বলেছেন: বেশ মজা পেলাম।
তো, আপনি কি করবেন?
সুযোগ বুঝে গিন্নীর মান কেটে দিবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার হয়েছে গল্প কথা