![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
মা যে নয় মাস পেটে ধারণ করে তা ই না।
নয় দশে নব্বই বছর যন্ত্রনাও সহ্য করে।
ব্যক্তিগত উদাহরণ দেই। প্রিয়কে আমার কাছে রেখে তার মা গেছে কোন একটা কাজে। হয়ত তার কাঁথা ধুইতে বা খাওয়া তৈরী করতে। প্রায় পনেরো বিশ মিনিট একটানা সে আমার কাছে।
প্রথমে শুরু হইলো, ওরে কোলে নিতে হবে। খিচুনী দিয়ে ই ই ই করা মানে, আমারে কোলে নাও। নিলাম কোলে। কোন দিকে কাত হয়ে পড়ে যাওয়া মানে, আমি এই দিকে যাইতে চাই। গেলাম ডিরেকশন অনুযায়ী। ড্রেসিং টেবিলের দিকে ইশারা করলো, গেলাম। ভাবলাম পোলা দেখি মায়ের মত হইসে, খালি ড্রেসিং টেবিল আর ড্রেসিং টেবিল। ওমা, কাছে নেওয়ার পর দেখা নাহ আয়নার দিকে তাকাচ্ছে না। তার মানে মায়ের মত হয় নাই। এবার ইশারা করলো পাউডারের বক্স। নিলাম পাউডারের বক্সের দিকে। পাউডারের বক্সের মুখটা খুলে এদিক সেদিক উল্টায়ে দেখছে। ভাবলাম, যাক বাপের মত হইছে। খুটায়ে খুটায়ে সব জিনিস বিজ্ঞানীর মত দেখা শিখছে। পরে দেখি এইটা নিয়া দিলো মুখে! এবার আমি পুরা নিশ্চিৎ, পোলা বাপের মতই হইছে। বাপেরও সব জিনিস মুখে দেওয়ার কিঞ্চিৎ স্বভাব আছে।
একটু পর সে আবার ই ই ই শুরু করলো। তার মানে আমারে আবার কোলে নাও। নিলাম কোলে। এবার সে বাইরের দিকে হেলে পড়া শুরু করলো। তার মানে তারে নীচে নিয়ে যাও। সে নীচে গিয়ে ডরিমন কারে উঠবে। বাইরে মহা ঠান্ডা। আট মাসের পুত্ররে উপদেশ দিলাম, ব্যাটা বাইরে অনেক ঠান্ডা, বাইরে যাইতে হয়না। প্রথমে দুই তিন সেকেন্ড সে বুঝলো। মনে মনে খুশি হইলাম, যাক বাপের কথা শুনা শুরু করেছে। এরপর শুরু করলো, কান্না। এমন কান্না! বুঝলাম দুই তিন সেকেন্ড সে সময় দিয়েছিলো - এখনো সময় আছে আমারে নিয়া বাইরে যাও টাই সময়। ওর মা বাইরে থেকে হুঙ্কার দিলো, এইই... কী করছো তুমি! মিজাজটা গরম হয়ে গেলো! আমার পোলারে আমি করবো টা কী!
এমন করে পনেরো বিশ মিনিটের মাথায় সে আমাকে পাগল করে তুল্লো। হিসু করলো, প্যান্ট বদলে দিবো, শুরু করলো কান্না। অধৈর্য হয়ে বল্লাম,
- প্রিয়... থামবি!
ব্যাস্, গিন্নি এবার চড়াও হলো আমার উপর।
- তুমি ওরে তুই করে কেন বলতেছো!
- আরে যন্ত্রনা, তুমি তো বলো।
- হ্যাঁ বলি, একমাত্র আমিই তুই করে বলবো, তুমি কোন আন্দাজে বল্লা!
আমি কোন আন্দাজে বল্লাম তার উত্তর খোঁজে পেলাম না। শুধু মনে মনে আওরালাম -
আমার বউ হইসে মা
তার দেমাগ ধরে না
আমিওযে বাপ হইছি
মনেই করে না
(বাপরে বাপ পনেরো মিনিট রেখেই আমি অধৈর্য, ওর মা ওরে সামলায় কিভাবে!)
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০১
সুমন কর বলেছেন: ভালই বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: লেখায় +++
ওর মা সমলায় বলেই তুই করে বলার অধিকার সংরক্ষণ করে।