![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
সকাল বেলা যখন বাসা থেকে বের হই, ড্রাইভার বল্লো
- স্যার আপনাদের দারোয়ান ব্যাটা স্মার্ট আছে।
আমি বল্লাম, হুম।
জানি বাকী বৃত্তান্ত তিনি বলবেন
- স্যার যেই শুনছে কারেন্ট থাকবো না, অমনি দৌড় দিসে পানি তুইলা রাখার জন্য।
মনে মনে বল্লাম, যাক বাসায় আইপিএস আছে, সমস্যা নাই।
-০-
কতক্ষণ পর বউ ফোন দিলো
- অ্যই, তোমার সোলার দিয়া কি ব্লেন্ডার চালানো যায়!
টিনের চালে কাক, আমি তো অবাক! ঘটনা কী? আমার মাষ্টার্সের থিসিজের জন্য টুকটাক যন্ত্রপাতি যখন কিনি তখন বউ কম ঘ্যানঘ্যান করেন নাই। তিনি স্বয়ং সোলারে ইন্টারেস্টেড! অবাক হওয়া ঢুক গিলে বল্লাম
- সোলার দিয়া চালাইবা কেন?
- বাসায় ইলেক্ট্রিসিটি নাই। প্রিয়'র খিচুড়ি ব্লেন্ড করতে হবে।
বাসায় যে সোলার আছে তা দিয়ে ব্লেন্ডার চলার কথা না। বল্লাম
- টেবিলের উপর একটা ডিসি টু এসি ইনভার্টার আছে দেখো।
- হুম পাইছি
- এর লাল ক্লিপটা লাগাও আইপিএসের ব্যাটারীর লাল বাটনে ...
কিন্তু নাহ, এই ইনভার্টারও ব্লেন্ডার চালাইতে পারলো না। আবার ইনস্ট্রাকশান দেওয়া শুরু করলাম
- ঐ বক্সটা খোলো, এই প্যাকেটটা খোলো, দেখো আরেকটা ইনভার্টার আছে....
অবশেষে তিনি পারলেন। ব্ল্যান্ডার চলার ঘু ঘু শব্দ শুনতে পাইলাম।
-০-
ইলেক্ট্রনিক্স আমার যতটা পছন্দ, আমি সহ আমার যন্ত্রপাতিগুলো গিন্নির কাছে ঠিক ততটাই ....। এর পরেও তিনি এই মহা অসম্ভবকে সম্ভব করলেন, তা ও আবার ফোনের ইনস্ট্রাকশানে! এবং সকাল বেলা জেনেও কেন তাকে জানালাম না যে বিদ্যুৎ থাকবে না তার জন্যও কোন শীতল বাক্য বিনিময় করলেন না!
কারন তিনি এখন মা হয়েছেন। পুত্রের খাবারটা রেডি করতে তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।
আমার মাও আমার জন্য এমনই অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতেন। মা'কে দেখতে খুব ইচ্ছা করে, খুব। মা রে ও মা... , মাটির ঘরে তুমি কেম আছোগো মা?
©somewhere in net ltd.