![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
সিঙ্গাপুরের মোস্তফা সেন্টারে মজার একটা বিষয় আছে। হাজার হাজার পারফিউমের বোতল। প্রত্যেকটা মডেলের সারিতে একটা'র মুখ খোলা। অর্থাৎ গন্ধটা কেমন তা দেখে নিন।
এই আইডিয়াটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। কারন এমনিতেতো গন্ধ দেখতে দেখতেই ডিসপ্লের বোতল অর্ধেকে নেমে যায়। কিনতে গেলে ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে আন্দাজ করতে হয়, কোনটার উপর দিয়ে নির্যাতন কম গেছে তা বুঝার জন্য।
পারফিউম দেখছি আর হাটছি। শেষই হয়না, কত বড় সুপারমল!
হাটতে হাটতে চলে আসলাম, মেয়েদের প্রসাধনীর এরিয়াতে। এমন সময় একেবারে যাহা ভাবি নাই তাহা ঘটিয়া গেলো। বিদেশিনী বরতে আমরা যা বুঝি। ফর্সা, স্লিম, সুন্দরী ঠিক এমন একজন আস্তে করে আমার হাত ধরে সুন্দর করে একটা হাসি দিলো।
আমি কিছুটা বিব্রত। বেকুবের মত আমিও একটা হাসি দিলাম। তবে বুদ্ধি করে হাতটা সরিয়ে নিলাম না। দেখি না কী হয়।
মেয়েটা আস্তে করে একটা ক্রিম নিলো সেল্ফ থেকে। আমার দিকে তাকিয়ে সুন্দর করে বল্লো-
- ম্যা আই প্লিজ?
আমি ততোধিক সুন্দর করে বল্লাম
- ও প্লিজ প্লিজ সিউর
একটা আল্ট্রাভায়োলেট গামা রিমোভার না জানি কি ঘোড়ার ডিমের ক্রিম। মেয়েটা সুন্দর করে আমার হাতে মালিশ করে দিচ্ছে। একটু পর বল্লো
- দেখলে কত ফর্সা হয়ে গেছে?
আমি মনে মনে বল্লাম, হাতের ময়লাগুলো উঠে গেছে। তাই ফর্সা দেখাচ্ছে। এখানে ক্রিমের বাহাদুরীর কিছু নাই। কিন্তু মুখে বল্লাম
- ওয়ান্ডারফুল
মেয়েটা মনে হয় মনে করলো আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা, ক্রিমটা যে কাজের। তাই হাতের আরেকটা জায়গায় সে ক্রিম মাখিয়ে ঘষা শুরু করলো।
এত আগ্রহ নিয়ে মেয়েটা বিক্রি করতে চাচ্ছে। হয়ত তার বিক্রির নির্দিষ্ট টার্গেটও আছে। আজকের টার্গেটের অবস্থা মনে হয় কেরোসিন। তাই এত বেশী আগ্রহ।
মনেমনে ঠিক করে নিলাম এই ক্রিমটা আমি কিনবো। ভাবছি, ক্রিমটা দেওযার কথা এখনি তাকে বলে ফেলবো? নাকি ক্রিমটা যে কাজের তা প্রমান করার আরো কিছুক্ষণ সুযোগ তাকে দিবো!
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
বটের ফল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: থাক ! আরেকটু পরীক্ষাই হয়ে যাক