![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
কোনকিছু হইলেই আমরা উন্নত দেশের উদাহরণ দেই।
আচ্ছা আমরা কি উন্নত দেশের মত আয়কর দেই সরকারকে?
আমাদের সরকার কি আদৌ পারে সঠিক ভাবে আয়কর আদায় করতে?
সরকারের নিজেরই যদি টাকা না থকে তো সরকার পলিসি ইম্প্লিমেন্ট করবে কিভাবে?
আমি সপথ করে বলছি-
আমি নারীদের সিকিউরিটির জন্য এক্সট্রা ইনকাম টেক্স দিতে রাজি আছি।
দেশের অর্ধেক নারী। তারাও সমানভাবে পথ চলবে। রাতের নিশি দিশিতে পথে প্রান্তরে থাকবে। হয় কাজ করে ঘরে ফিরবে। নয়ত ঘুরতে বের হবে।
যারা বলেন মেয়েদের স্বাধীনতার জন্য পুরুষের মেন্টালিটি বদলানো দরকার। তাদের প্রতি বিনয়ের সাথে বলছি, ঐসব বরাহনন্দনদের মেন্টালিটি কখনোই বদলাবে না। এরা মুখে বলবে নারীকে নাকি ধর্মে অনেক সম্মানের জায়গা দিয়েছে। অথচ এরাই নারীকে নোংড়া ভাষায় গালি দিবে। নারী দেখলে ঝাপায়ে পড়বে।
দরকার হচ্ছে শাস্তির। কঠিনের উপর কঠিন শাস্তির। আর এই জন্য দরকার পুলিশ। পুরুষ পুলিশ দরকার নাই। নারীর জন্য নারী পুলিশই যথেষ্ঠ। কয়েক লক্ষ নারী পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হোক। যাদের কাজ হবে শুধুমাত্র নারীদের সিকিউরিটি দেওয়া। নিজেদেরকে এরা নিজেরা ভালোই সেভ করবে। আর পরিসংখ্যান বলে, নারীরা পুরুষের মত এত ঘোষও খায়না।
নারীর চলন, বলন, ড্রেস নিয়ে যারাই কথা বলবে তাদেরকে নারী-পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করুন। নারী-পুলিশ দিয়ে গুলি করান। আইনটা শক্ত হোক।
যার যেমন খুশি ড্রেস পড়বে, চলবে, ফিরবে। অন্যে বলার কে? আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
সুখী মানুষ বলেছেন: আকীফাহ্,
সভ্যতা, শালীনতার সঙা কিন্তু সবার কাছে এক না। এখন বলেন, একজনের কাছে মনে হলো, বোরকা পড়ছে অথচ শরীরের মাপ আন্দাজ করা যায়। অতএব শুরু করে দিলো যৌন হয়রানী। -- তাই কি আপনি চান?
বাংলাদেশ কিন্তু ইসলামিক রাষ্ট্র না। আমাদের রাষ্ট্র চলে নিজেদের বানানো নিয়ম অনুযায়ী। যার নাম সংবিধান। দেশটা সব ধর্মের লোকের। এবং সমান ভাবে সবার।
নারী পুলিশরা মোটেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না যদি তাদেরকে সেইরকম অস্ত্র দেওয়া হয়।
আমি আমার মত কারো উপর চাপাচ্ছি না। আমি আমার বউকেও ড্রেসকোড চাপিয়ে দেই না। তার স্বাধীনতা আছে ড্রেস চোজ করার। এইটা আমার বিশ্বাস। আপনার বিশ্বাস ভিন্ন হতেই পারে। তাকে আমি সম্মান করি।
কিন্তু বিশ্বাস না মিল্লেই ধর্ষণ করে তার জবাব দিতে হবে। যৌন হয়রানী করে তার জবাবা দিতে হবে? এই কথা আপনি সমর্থণ করছেন!
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: ভাইয়া, বোরকা পড়লেই কিন্তু পর্দা হয়না, পর্দা করার জন্য যে শ্রত দেওয়া হয়েছে তা পূরন করতে হবে তবেই পর্দা করা হবে। তেমনি শালিনতারও নির্দিষ্ট সঙ্গা আছে তবে সবাই তা মানতে চায় না।
বাংলাদেশ ইসলামিক রাষ্ট্র হোক বা না হোক,সভ্য মানুষ হিসেবে মার্জিত পোষাক পড়া অবশ্যই বাঞ্চনীয়।
আর অস্ত্র দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কতটুকু সম্ভব?
হুম, ড্রেস চোজ করার সাধীনতা আছে কিন্তু কেউ যদি ভুল করে, সীমা লঙ্ঘন করে তবে তা শুধরে দেয়ার দায়িত্বও কিন্তু বিবেকবানদের ঘাড়ে বর্তায়।
ভাইয়া, সবশেষে আপনি বললেন- "কিন্তু বিশ্বাস না মিল্লেই ধর্ষণ করে তার জবাব দিতে হবে। যৌন হয়রানী করে তার জবাবা দিতে হবে? এই কথা আপনি সমর্থণ করছেন! "
না ভাইয়া, এটা আমি সমর্থন করছিনা। আপনি কি দুনিয়ার এমন কোনো জায়গা পাবেন যেখানে সব মানুষই সভ্য মানুষ? কিছু তো পশু সভাবের মানুষ থাকেই তাই না?
যিনি সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টি সম্পর্কে তো তাঁর জ্ঞানই অধিক। তিনিই যখন বলে দিয়েছেন নারীর পোষাক ও নিরাপত্তা কেমন এবং কোথায়, তখন আমাদের বানানো নিয়ম, আইন, কোড কতটুকু আমাদের উপকার আসবে!!!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
সুখী মানুষ বলেছেন: শুধরায়ে দেওয়াটা যেন ভদ্রভাবে হয়।
শুধরায়ে দেওয়াটা যেন গায়ে হাত দিয়ে না হয়।
আপু শোনেন, আমার মোদ্দা কথা হচ্ছে। নারীর অপমান যেন না হয়। রাত বিরাতে একটা মেয়ে যেন টেনশন নিয়ে রাস্তায় না হাটে। দিনে দুপুরে রিক্সা থেকে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনেই অপমান করা হয়। সেখানে আপনি সৃষ্টিকর্তার কথা বলছেন? সৃষ্টিকর্তা কি ঐসব নরপশুদের বিষয়ে কিছু বলেন নাই?
সৃষ্টিকর্তার সমস্ত আইন কি শুধু নারীদের বিরুদ্ধেই!
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: জি ভাইয়া, অবশ্যই ভদ্রভাবে শুধরাতে হবে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে। আমি আমার অনেক পরিচিত বোনদেরকেই বুঝিয়েছি দৃষ্টি কটু ড্রেস পরার ব্যাপারে, আল্লাহ্র রহমতে তাঁরা বুঝেছেন। শুধু মুসলিম না অমুসলিম বোনেরাও বুঝেছেন। আমি নিজের চোখে তাদের পরিবর্তন দেখেছি।
আচ্ছা ভাইয়া, আপনি বলতে পারবেন, লক্ষ লক্ষ পুরুষের ভিড়ের মাঝে বা রাতে মেয়েরা কখোনো কি নিরাপদ ছিলো, আছে বা হবে কখনো ? ? ? ! ! !
ভাইয়া, সব পুরুষ কি আপনার মত নারীকে সন্মান দিচ্ছে?
দিনের বেলায়ইতো দেখি অনেক শিক্ষিত পুরুষ বাসে উঠে "নারী-পুরুষ সমান অধিকার" এই অজুহাতে মেয়েদের গা ঘেঁষে মহিলা সীটে বসে যায় আর মেয়েরা তখন কিছু বললে সবাই পুরুষের পক্ষ নিয়ে বলে গা ঘেঁষে বসতে না পারলে সিএনজি তে চড়ে চলে যান!!!
দেখুন, সৃষ্টিকর্তা কি বলেছেন আপনিও ভালো করেই জানেন ভাইয়া। সবাইকেইতো তিনি দৃষ্টি সংযত করে চলতে বলেছেন আর নারীদেরকে পর্দা করতে বলেছেন। তিনি এজন্যই তা বলেছেন কারন এতে নারী-পুরুষ উভয়েরই বিপদের আশংকা আছে।
অথচ পর্দা তো অনেক দূরের কথা, এখন এমন অবস্থা হচ্ছে যে ভালো রুচিবোধ সম্পন্ন মানুষের জন্য চোখ মেলে চলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে আর কুরুচি বোধ মানুষের জন্য সুবিধা হচ্ছে।
যাই হোক ভাইয়া, অনেক কথা বলে ফেললাম, কিছু মনে করবেন না প্লিজ। আপনাকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কিছু বলিনি, যা বলেছি বাস্তবতার নিরিখে এবং আমি একজন মেয়ে হিসেবে এই সমাজে চলতে গিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি। আসলে এ সমাজের কোথাও নারীরা নিরাপদ নয় ।।
আপনার "প্রিয়" কেমন আছে?
অনেক অনেক ভালো থাকুন আপনি, আপনার পরিবার।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫০
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: ভাইয়া, আপনার লিখা প্রায়ই পড়া হয়। বেশ ভালো লিখেন আপনি। তাই একটা শ্রদ্ধাবোধ থাকে আপনার প্রতি। কিন্তু আজ এই লিখাটা অন্যরকম লাগলো। আপনার সাথে ঠিক মানাচ্ছেনা যেন।
আচ্ছা ভাইয়া, আপনি বললেন " যার যেমন খুশি ড্রেস পড়বে, চলবে, ফিরবে। অন্যে বলার কে? আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।" - এই কথাটা কি ঠিক হয়েছে?
সভ্যতা, শালীনতা এই শব্দগুলো তো মানুষের জন্যই ব্যবহার হয়, তাই না? যেমন খুশি চলা কি মানুষের জন্য? এখন অনেক মেয়ে এমন ড্রেস পড়ে রাস্তায় বের হয় যা দেখলে আমি মেয়ে হয়ে লজ্জা পাই।
স্রিষ্টিগত ভাবে কিছু কারনেই ইসলামে ছেলে- মেয়েদেরকে ফ্রি মিক্সিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে। এখন কেউ মানুক আর না মানুক, এর ফল আমরা ভোগ করছি। কিন্তু আমরা তা ভেবে দেখিনা।
আর মহিলা পুলিশ তো নিজেই তার নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছে ।
এদেশের নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য সরকার যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে সে অনুপাতে তারা কতটুকু দায়িত্ব পালন করে? বরং হয়রানির শিকার হয় বলে তাদের কাছ থেকে মানুষ দুরে থাকার চেষ্টা করে। দয়া করে আর তাদেরকে বাড়তি টেক্স দেওয়ার কথা বলবেন না। তারা বেশ ভয়ঙ্কর ॥