নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশাখ নিয়ে আমার মতামত

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১০

বড় ভাই শাষণ করছে ছোট ভাইকে
- মা'র সামনে জোরে কথা বলছিস! খান** ছেলে তোরে আইজ আমি জুতায়ে...।

পহেলা বৈশাখে যা ঘটলো তার উদাহরণ খোঁজছিলাম। এর চাইতে ভদ্র কোন উদাহরণ আর পেলাম না। কারন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠকের মন্তব্য পড়লাম। আমি নিউজ পড়ার পাশাপাশি এর ফিডব্যাকটাও পড়ি। বেশীরভাগ মানুষের মন্তব্য হলো
- ঠিকই আছে। কেন পহেলা বৈশাখ করতে বের হইছে? এ্ইসব কি ইসলামে আছে?
আমার উত্তর হলো, ভাইরে ইসলামেতো লাক্স সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথাও বলা নাই। আর বাংলাদেশতো ইসলামী-রাষ্ট্র না। আমাদের নিজস্ব সংবিধান আছে।

আর রাস্তায় মেয়েদের গায়ে হাত দেওযার কথা কি কোন ধর্মে বলা আছে? যে বাচ্চাটাকে নিয়ে মা বাবা ঘুরতে বের হয়েছে, তার সামনে তার মাকে যৌন নির্যাতন করার কথাকি কোন ধর্মে বলা আছে?

কেন সব কিছুতে এমন করে ধর্মকে টেনে আনেন আপনারা? সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনে ধারা বদলায়। হাজার বছর আগে গ্লাডিয়েটর ছিলো। তখন মানুষ ষ্টেডিয়ামের মত জায়গায় খেলা দেখতে যেতো। যেখানে একটা মানুষ, আরেকটা মানুষকে মেরে ফেলবে। এদেরকে বলা হতো গ্লাডিয়েটর। বছরের বিবর্তণে এই খেলা হয়ে গেলো মানুষের মাথার খুলি দিয়ে লাথি মারা খেলা। যা বর্তমানে রূপ নিয়েছে ফুটবল খেলায়।

পহেলা বৈশাখের বিষয়টাও এসেছে আয়কর আদায় করার একটা উৎসব হিসাবে। বর্তমানে জমিদারী প্রথা নাই। দোকানেও তেমন একটা বাকী দেওযার বিষয় নাই। আর যে বাকী দেওযা হয় তা যে নববর্ষেই পরিষ্কার করতে হয়, তাও না। তবে সেই উৎসবটা ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। বাঙ্গালী উৎসব-প্রিয় জাতি। আমরা এই আয়কর আদায় করার ঘটনাটাকে জাতীয় পর্যায়ের একটা উৎসবে পরিণত করে ফেলেছি। এইটা আমাদের যোগ্যতা, এইটা আমাদের গুনের কথা।

এই বাংলাদেশ কোন ধর্মের না। এই বাংলাদেশ ষোলকোটি মানুষের। যারযার ধর্ম তার তার। কিন্তু উৎসবগুলো আমাদের সবার। ঈদে, পূজায়, বড়দিনে আমরা সবাই সাবার উৎসবে যাই। আর পহেলা বৈশাখের উৎসবটাতো আরো বেশী করে সবার উৎসব।

মুখের কথা বাড়তেই থাকবে। খারাপ মানুষেরা বহুত কিছুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করবে। এইটাই স্বাভাবিক। সরকারের কাজ হবে, আইনটা যেন শক্ত থাকে তা নিশ্চিৎ করা। শাস্তির প্রমান থাকলে তখন কারো সাহস হবে না উল্টাপাল্টা কিছু করার, বা বলার।

শেষ করবো একটা ইংরেজী কথা দিয়ে। গডস লাভ ষ্টুপিড পিপল। বিকজ হি মেড সো মেনি অব দেম।

http://ajkerpatrika.com/epaper/
Page: 4

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এই দেশ আর জাতি যদি সত্যি সত্যি ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলত, তবে আওয়ামী লীগ সরকার এদেশে কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারতো না। ফলশ্রুতিতে ছাত্রলীগ বলে কিছু থাকতো না। এইসব দালাল ভিসি, প্রক্টর আর ফুলিশদের অপকর্মও তখন অনেকটা কমে আসত।

আলটিমেটলি, নববর্ষের এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনাও ঘটতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.