![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
বুঝলাম না, স্বপ্নও দেখি আজকাল ক্ষমতা অনুযায়ী দেখা শুরু করলাম!
গত পরশু বৃষ্টির রাত। রোমান্টিক ঠান্ডায় দিলাম ঘুম। ঘুমের মধ্যেই স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। একেবারে বাস্তবের মত স্বপ্ন। দেখলাম একটা জ্বীন আমি বস্ করে ফেলছি। কিন্তু সমস্যা হইলো, বড়ই বেয়ারা জ্বীন! একটা কথা যদি সে শুনে! বল্লাম
- দুই হাত সামনে পাইতা ধর। তোর কপালে শনি আছে।
জ্বীন আমারে ধমক দিয়া কয়
- ফালতু কথা রাখেন তো! হাত পাইতা দিলেই কি আপনে বেত দিয়া বারি দিতে পারবেন মনে করছেন?
রাগে দাতে দাত চাইপা দিলাম ঝাড়ি
- হাত পাত্তে বলছি পাত।
হারামজাদা হাত পাতলো ঠিকই। কিন্তু যেই বেত দিয়া বারি দিতে যাই, হাত ভেদ কইরা বেত সাঁই কইরা পার হইয়া যায়। হাতে আর বারি লাগে না। জ্বীন বদের বাচ্চা বদ অপমানের হাসি হাসে।
স্বপ্ন যে দেখতেছিলাম মনেই নাই। একেবারে বাস্তব মনে হচ্ছে। কেবলই মনে পড়তেছে, আজ পর্যন্ত যত জ্বীন বস্ করার কাহিনী শুনছি, এমনতো শুনি নাই! অর্ডার দেয়ার সাথে সাথে কাজ করে দেয় এমন শুনছি। আমার কপালে পড়লো এমন বেত্তমিজ!
ব্রেইন সুপার কম্পিউটারের মত কাজ করা শুরু করলো। ভাবলাম, দাড়া দেখাইতেছি খেইল।
বল্লাম
- শুকনা মরিচ আগুনে পোড়া দিয়া, শরিষার তেল মাখায়া তোর নাকে দিতাছি খাড়া।
ওমা! তাতেও ভয় পায় না! এইটাই জ্বীন শায়েস্তা করার সব চাইতে বড় অস্ত্র। জ্বীনের বাচ্চা উল্টা আমারে বলে
- বিয়ার আগে আছিলা মরিচ, এখন নিজেরইতো জামরুলের মত বিস্বাদ হইয়া গেছো। শুকনা মরিচ আগে তুমি খাও মিয়া।
রাগে আমার গা গরম হবার কথা! দেখি রাগের ঠেলায় গা আমর ঠান্ডা হওয়া শুরু করছে। হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে দেখি সারা শরীর আসলেও বরফের মত ঠান্ডা হয়ে আছে। কোন মানে হয়! স্বপ্নেতো এট লিষ্ট নিজেকে একটু পাওয়ারফুল দেখাটা দরকার ছিলো ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
গুরুজী বলেছেন: হুম