![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
হারুনতো আবার ফিরা আসছে। জিজ্ঞাসা করলাম
- হারুন ছিলা কই এই কয় দিন?
হারুন মুচকি মুচকি হাসে। বলে, দেশের বাড়ী গেছিলাম। আমি টেনশন নিয়া বললাম
- তোমার গাছ তলায় দেখি আরেকজন ভিক্ষা করে বইসা।
এইবার হারুন মজা পাইলো। আনন্দে ডগমগ হয়ে থুতু ফেল্লো। দুই হাটু বুকে জড়ায়ে হারুন বসে, অর্ধেকটা থুতু তার হাটুতেই পড়লো। থুতু মুছতে মুছতে বললো
- সুন্দর কইরা একটা মাইয়া বসছিলো না?
সুন্দরী কি না এই তর্কে গেলাম না। বললাম
- হুম
হারুন, আনন্দে আরেকবার থুতু ফেললো। অর্ধেক যে থুতু হারুনের হাটুতে পড়ে, তা পরিষ্কার করতে করতে বললো
- এইবারও তারেই দিয়া যামু। হে ছাড়া অন্য কেউ বসলে আমারে জানাইবা, এক্বেবারে হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা দিমু।
বললাম
- তুমি মাস তিনেক পর আসলা। আবার যাইবা কই?
- দেশে যামু, ভোট আসতাছে না!
বাহ্ হারুন দেখি ভোট অধিকারে ভালো সচেতন। তাও একটু পরীক্ষা করার জন্য বললাম
- ভোট হইলেই বাড়ী যাইতে হইবো কেন হারুন?
এতদিন পর হারুন আমার সাথে কথা বলে বেশ মজা পাচ্ছে। আনন্দে আবার থুতু ফেললো। হাটুর থুতুটা মুছতে মুছতে বললো
- তোমার যে বুদ্ধি! এই বুদ্ধি লইয়া চলো ক্যামনে? ভোটের দাম জানো তুমি? না হইলেওতো পাঁচশো টাকা বেচুম ভোটটারে।
হারুনের সময় নষ্ট করলাম না, চলে আসলাম। মনে মনে বললাম, চলতে আর পারি কই হারুন! পদে পদে তো হোঁচট খাই এই কম বুদ্ধির কারনে। তাও অন্তরে ভালোবাসাটা পুষে রাখি বলে হোঁচট খাইলেও, আটকায়ে যাই না।
©somewhere in net ltd.