![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
ভাই,
আমি আপনার সাথে একমত। ক্যন্টনমেন্টে শুধু সৈনিকরাই থাকে না। তাদের পরিবার এবং সাথে দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসাবে অনেক সিভিলিয়ানও সেখানে থাকে। কিন্তু সেই সিভিলিয়ানরাও একেবারে বেহিসাবী আমজনত না। অবশ্যই কোথাও না কোথাও তার লগ রাখা হয়। অবশ্য সেই কথাটাও আসছে না। এর আগেই অনেকগুলা জিনিস বড় বেখাপ্পা লাগছে।
১) তনুর বন্ধুদেরও বাসায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। (রেফারেন্স-০১)
২) তনুর বড় ভাই নাজমুল হোসেন বলেন "আমাদের এখন ক্যান্টনমেন্টের বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা এখন চাইলেই বাইরে যেতে পারি না"। (রেফারেন্স-০২)
৩) তদন্তে অগ্রগতি নেই, পরিবারকে জেরা (রেফারেন্স-০৩)
যাক আর রেফারেন্স না দেই। এতেই কি বুঝা যাচ্ছে না, ধর্ষণ ও খুনের মত ঘা যে পরিবারটা বয়ে বেড়াচ্ছে, তাদেরকে আরো বেশী ক্ষমতার চাপ দেওয়া হচ্ছে? এখন তনুর বড় ভাইটাকে ক্ষমতার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যদি তনুর মা বাবা মিডিয়াকে বলে "আমার একটাই ছেলে, আর কোন ছেলে মেয়ে ছিলো না। তনু কে আমি জানি না। শুনছি এই নামের একজনকে রেপ করে মেরে ফেলছে" তাহলে কি অবাক হবে কেউ?
আর্মিতে জনগণরাই ভর্তি হয়। মায়ের পেট থেকে কেউ আর্মি হয়ে আসে না। আর আর্মিরা জনগণের জন্যই। কেউ হয় তবলতে পরে যে নাহ আর্মি জনগণের জন্য না। আর্মি হইলো দেশের জন্য। আর আর্মি কি পুলিশ নাকি? যে ইনারা জনগণকে কোন কৈফিয়ৎ দিবে? আমার কথা হইলো, আরে ভাই জনগণই যদি না থাকে তো দেশের সীমানা, মাটি, সার্বভৌমত্ব দিয়া কি ধুইয়া পানি খাইবেন? পানিটাওবা খাইবো কে?
আর্মিরা ব্যারাকেই থাকে। এই নিয়া কেউ নাক গলাইতে যায় না। বাজেটের কত অংশ আর্মির পিছনে খরচ হয় এই নিয়াও জনগণের কোন মাথা ব্যথা নাই। কিন্তু সাধারণ জনগণ যখন ব্যারাকের এলাকায় ধর্ষিত হবে, খুন হবে তখনতো জনগণ এর বিচার চাইতেই পারে? নাকি? এই ধর্ষণ, খুন যদি একজন আর্মি পার্সোন হইতেন, তবু জনগণ তার বিচার চাইতো। কারন আর্মিরাতো বাইরের কেউ না। তারাতো আমাদেরই লোক। আমাদেরই কারো ভাই, বোন, মা, বাপ, আত্মীয়, বন্ধু।
কিন্তু পার্টিকুলার এই ঘটনায় আর্মি কি কোন সহযোগীতা করছে রহস্য উৎঘাটনে? আমরা সাধারণ লোক। মিডিয়ায় যতটুকু আসে, অতটুকু পড়েই আমরা জানি। আর কয়েকটা নিউজ মিলায়ে হয়ত দুই এ দুইএ চার মিলাই। তাই হলফ করে বলতে পারি না, আর্মি কোন সহযোগীতা করছে কি না। কিন্তু তা যে মিডিয়াতে আসছে না, তা প্রায় নিশ্চিৎ। কারন আসলে হয়ত চোখে পড়তো। বিষয়টা আপাতত মনে হচ্ছে, আর্মির ভিতরের কেউ জড়িত, আর্মি তাই ক্ষমতা দেখায়ে ধামা চাপা দিতে চেষ্টা করছে, এবং নিকট ভবিষ্যতে হয়ত সফলও হয়ে যাবে। এক ইস্যুতে জনগণ এতদিন আটকে থাকবে না। কারন এরই মধ্যে গায়িকা কৃষ্ণকলির বাসার কাজের মেয়েটাকেও সম্ভবত এরাই মেরে ফেলছে। এই মেয়েটা অভাগী, তনু হত্যার মত সে মিডিয়া কাভারেজ পায় নাই।
তনু হত্যার ঘটনাও প্রথম প্রথম মেইনষ্ট্রিম মিডিয়ায় আসে নাই। হয়ত ভয়ে কেউ সাহস পায় নাই নিউজটা করার। অথবা ভয় দেখানোর কারনে কেউ সাহস পায় নাই। বিষয়টা যাই হোক, ঘটনাটা কিন্তু ভয়েরই। বিষয়টা হাস্যকর না? আমার দেশের আর্মি, আমার নিরাপত্তার জন্য, আমার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আর্মি, অথচ আমরা কি না তাদেরকেই ভয় পাচ্ছি! যেখানে সকাল বিকাল আসা যাওয়ার পথে আর্মিদেরকে আমাদের ফুলের তোড়া দিয়ে বলা উচিৎ, ভাই আপনারা আছেন বলেই নিশ্চিন্তে ঘুমাই। এট লিষ্ট এই চিন্তা নাই যে বর্গীরা এসে হানা দিবে। এই দায়ভার কার? এই ভয়ের দায়বার কে নিবে? জনগণ হুদায় আর্মিকে ভয় পায়? নাকি আর্মিরা ভয় দেখায়? নাকি আর্মির সাথে জনগণের সম্পর্কটা ভয়েরই থাকা দরকার?
কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট থেকে আমার বাড়ী যাবার দুইটা রাস্তা। একটা হইলো শহর ঘুরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ দূরে। আরেকটা নদী পার হয়ে রিক্সা দিয়ে, এই পথটা ১৫ কিলোমিটারের মত। কিন্তু সব সময় আমরা শহর ঘুরেই যাই। অথচ কেউ যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করতো, কুমিল্লার কোথায়? আমি গর্ব করেই বলতাম ক্যান্টমেন্ট থেকে দশ পনেরো কিলোমিটার উত্তরে। কিন্তু এখন এই পরিচয় দিতে আমার একটু হলেও বাধবে। তনুর কথাটা মাথায় আসবে। তনু হত্যায় এই ক্যান্টনম্যান্টের লোকগুলা যে রহস্যময় ভূমিকা পালন করছে এই বিষয়টা নিয়ে লজ্জা লাগবে? এইটা কি আমার হীনমন্যতা? নাকি ক্যান্টমেন্টের লোকজন এইটাই চায়? জনগণ তাদের কাছ থেকে ভয় পেয়ে দূরে থাকুক। তাদের নামটা পর্যন্ত মুখে আনার দরকার নাই। ব্লাডি সিভিলিয়ানের আবার তাদের সাথে কিসের সম্পর্ক!
এখনকার জামানায় যার হাতে একটা মোবাইল আছে সেই সাংবাদিক। যার একটা ফেসবুক একাউন্ট আছে সেই সাংবাদিক। এমন ওপেন মিডিয়ার যুগে এমন নিরবতা বড়ই পীড়াদায়ক। আমি জানিনা কোন অফিসার এখন ঐ ক্যান্টমেন্টের দায়িত্বে আছেন। তিনি আমার এই লেখা দেখবেন না। যদি দেখেনও জানি না উনি আমাকেও ধামাচাপা দিয়ে দিবেন, নাকি সহজ ভাবে বিষয়টা নিয়ে প্রেসকে ডেকে বলবেন, ভাই আসেন আমরা কলঙ্কমুক্ত হইতে চাই। আসেন, তদন্তে যদি বের হয় কালপ্রিট আমার ভিতরের তাহলে তাকে ব্যারাক থেকে আইনের হাতে তুলে দিবো। আর যদি বাইরের হয় তাহলেও ধরতে গেলে আমার সর্বোচ্চ্ সাহায্য করবো।
(নোট: "বাংলাদেশ মিলিটারি আইন সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে ভিকটিম যদি মিলিটারি, নেভাল বা এয়ার ফোর্সের অন্তভূর্ক্ত কেউ না হয় সেক্ষেত্রে হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিচার কোর্ট মার্শাল করতে পারে না। আইন আমাদের এতটুকু আশ্বস্ত করে যে হত্যাকারি যদি সেনাসদস্য হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিচার দেশের প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়াতেই সম্পন্ন হবে। ", রেফারেন্স: ০৪)
এত বড় লেখার জন্য সরি ভাই। সহজ কথা, অপরাধী সে যেই হোক বিচার চাই। অপরাধী যদি আমি নিজেও হই, আমি আমার বিচার চাই। ব্যাস, এর চাইতে বড় কথা আমি জানি না।
০১) Click This Link
০২) Click This Link
০৩) Click This Link
০৪) Click This Link
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
দুরন্ত লেখক বলেছেন: কথা গুলো ভালই লিখছেন,,,,,
আসলে আর্মিদের মধ্যে হয়তো কেউ করছে কাজটা
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
বিজন রয় বলেছেন: বিচার নাই।