নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পাঠক বলছি।

কুয়াশায় জড়ানো পথে ধীর পায়ে হেঁটে চলি, পেছনে ফেলে যাই কিছু হতাশা, কিছু শঙ্কা আর..... সময়ের আর্বতনে জমাট বাধাঁ ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের মনিকোঠায় লুকিয়ে রাখা মৃত ভালবাসার রক্তিম পদছাঁপ

নীল আতঙ্ক

একজন অশ্লীল ১০+ লেখক,জীবনের একটা অংশ জুড়ে আছে হুমায়ন আহমেদ।রাজাকার একশত কোটি হাত দূরে থাকুন।কিছুটা আস্তিক কিছুটা নাস্তিক।কল্পনাবিলাসী।

নীল আতঙ্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

সৎ, আদর্শবান তোরাব মিয়া এলাকায় বেশ জনপ্রিয় । তাঁর স্বপ্ন-একদিন এলাকার মানুষ শিক্ষায় দীক্ষায় এগিয়ে গিয়ে আলো জ্বেলে ঘুচাবে সকল আঁধার । সেই লক্ষ্যে তোরাব মিয়া এলাকার তরুণদের সংগঠিত করে নীরবে নিবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যায় । ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত এই তোরাব মিয়া একদিন অনিচ্ছায় এলাকার মানুষের চাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ায় এবং যথারীতি বিপুল ভোটে জয়ী হয় । নির্বাচনের এমন ফলাফলে এলাকার সবাই খুশি । ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যেই এলাকায় কাজের তোরজোড় শুরু হয়ে যায় । তোরাব মিয়া শক্ত হাতে তদারকি করে কাজের । কাজের চাপে প্রায় প্রতিদিন গভীর রাতে বাড়ি ফেরে । নির্বাচনকালীন সময়ে তোরাব মিয়া কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এলাকার মানুষদের, সেইসব পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যায় সে।

দিন যায়, বছর যায় । শুরু আর মাঝের সময়টাতে গড়ে ওঠে পার্থক্য । যে তোরাব মিয়া বেশির ভাগ সময় একা চলতে পছন্দ করত, বেশি কথা বলত না সে তোরাব মিয়ার আশে পাশে এখন অনেক মানুষ । কথাও বলে বেশি । আসলে বলতে হয় । তরুণদের পছন্দের মানুষটি এখন আর তরুণদের নিয়ে বসে না । তাঁদের সাথে কথাও বলার সময় নেই এখন । তোরাব মিয়া দিনদিন স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায় । দিনবদলের সাথে সাথে তোরাব মিয়াও বদলে যেতে থাকে । এখন তাঁকে দেখা যায় গভীর রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরছে । একটি রাজনৈতিক দলেও ইতিমধ্যে যোগদান করেছে সে । পার্টি অফিসে অচেনা মানুষের আনাগোনা । এলাকার সন্ত্রাসীদের সাথে দিনদিন সখ্যতা বাড়িয়ে যায় সে । তাঁর এমন কার্যকলাপে ভীষণ কষ্ট পায় এলাকার মানুষ । কি থেকে যেন কি হয়ে গেল । এমনও রূপ হয় মানুষের ? ভাবতে থাকে সে মানুষেরা, যারা একসময় তোরাব মিয়ার খুব কাছের ছিল ।

এলাকায় বন্যা । গরীব মানুষদের মাথা গোঁজার ঠাই নেই । খাবার নেই । এইদিকে সরকারী অনুদানের টাকা পার্টির উন্নয়নের পেছনে খরচ হচ্ছে । স্কুলে হাঁটু জল দীর্ঘদিন, কিন্তু জল নিষ্কাশনে কোন উদ্যোগ নেই । এ ভাবেই চলছে এখন সব । এমন সব অবস্থার মাঝেই এলাকার তরুণরা একদিন তোরাব মিয়ার কাছে যায় স্কুলের নানান সমস্যা নিয়ে । তাঁদের মধ্যে অরুণ বলে- ‘চাচা সবইতো জানেন, দেখছেনও । কিছু একটা করুন’ । তোরাব মিয়া উত্তর দেয়- ‘’হবে, সবই হবে এত ভাবনা কেন ? সামনের মাসে বড় মেয়ের বিয়ে- দুই হাজার মানুষকে নিমন্ত্রণ করেছি । অনেক খরচ, ভাবতে হচ্ছে । তোমাদেরকেও আসতে হবে কিন্তু’’ । তাঁর কণ্ঠে বদলে যাবার সুর শুনতে পায় তরুণরা । আশাহত হয় । সবাইকে অবাক করে দিয়ে তোরাব আলী চলছে যে পথে সে পথেই হেঁটেছে আগে সবাই । এটাই নিয়ম ওপথের । এই পথ এমন করে হাঁটবার সকল ব্যবস্থাই করে রাখে । কেবল যোগ্য মানুষ চাই যে কিনা পথে পথে এঁকে যাবে কলঙ্কের দাগ-শুরু এবং শেষ মিলে মোট পাঁচ বছর ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রুপ বদলের খেলা রে সব দেখ খুলে নয়ন!!!!!

এভাবেই বদলে যায় মানুষ গুলো!! আমজনতার ভাগ্যই শুধু বদলায় না!!!

++++

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৪

নীল আতঙ্ক বলেছেন: আসলেই তাই............ :(
আমার ব্লগে প্রথম কমেন্ট করলেন আপনি......... ভাইয়া মিষ্টি না ঝাল খাবেন? :P

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

ধন্যবাদ। ঝাল মিষ্টি কিছূইনা। শুধূ ভালবাসা টুকু থাকুক বুকের ভতরে :)

লিখতে থাকুন।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১০

নীল আতঙ্ক বলেছেন: থাক বাঁচালেন ভাইয়া...... মাসের শেষ পকেট এর অবস্থাও ভালো না :P
ভালোবাসা নিয়ে পাশে থাকবেন এই আশা তেই রইলাম :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.