নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পাঠক বলছি।

কুয়াশায় জড়ানো পথে ধীর পায়ে হেঁটে চলি, পেছনে ফেলে যাই কিছু হতাশা, কিছু শঙ্কা আর..... সময়ের আর্বতনে জমাট বাধাঁ ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের মনিকোঠায় লুকিয়ে রাখা মৃত ভালবাসার রক্তিম পদছাঁপ

নীল আতঙ্ক

একজন অশ্লীল ১০+ লেখক,জীবনের একটা অংশ জুড়ে আছে হুমায়ন আহমেদ।রাজাকার একশত কোটি হাত দূরে থাকুন।কিছুটা আস্তিক কিছুটা নাস্তিক।কল্পনাবিলাসী।

নীল আতঙ্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারন, সন্তানটি মেয়ে!!!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

ঘটনা ১ :
গাইনী ওয়ার্ড এ ব্লক চলে। সন্ধ্যায় দেখলাম, লেবার রুমের বাইরে এক মহিলা ফোনে বলতেসে, সুন্দর হইছে। মায়ের মতই হইছে। একটু পর বুঝলাম, তার মেয়ের বাচ্চা হয়েছে এবং সন্তানটি মেয়ে। তাই তার বেয়াইবাড়ি পক্ষকে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা! যাই হোক, সকালে হিস্ট্রি নিতে গিয়ে সেই সুন্দর মাকে পেয়ে গেলাম। বাচ্চাটা আসলেই সুন্দর, ছোট্টো একটা পরী। কিন্তু বাচ্চার কোনো কাপড় নেই। আমি মাকে বললাম, এভাবে রাখসেন কেন? কাপড় কই? সে খুব বিরক্ত হয়ে বলল, কাপড় আসে নাই এখন ও! বুঝলাম, সন্তানটি মেয়ে বলে তাকে এই পৃথিবীতে সুন্দরভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয় নি!

ঘটনা ২:
ইন্টার্ন, পেডি ওয়ার্ড। সকালে ওয়ার্ড এ গেলাম, রাউন্ড চলে। এর মধ্যে শুনি একটা বাচ্চা খারাপ হয়ে গেছে। দৌড়ালাম, ততক্ষনে সব শেষ। septicemia with severe anaemia with heart failure! বাচ্চার নানী বলতেছে, দুই মাস ধরে বাচ্চা অসুস্থ, "দাদী আসতে দেয় নি হাসপাতালে, ছেলে হলে কবেই নিয়ে আসতো।" মা বুক চাপড়ে কাদছে, বাবা চুপ!

ঘটনা ৩:
আমার রুমমেটের কাছে শুনা ঘটনা! তার কয়েকজন ফ্রেন্ড এর সাথে বাইরে, হঠাত হৈ চৈ। শুনে সিনজি এর মধ্যে ডেলিভারি হয়ে গেছে। মেয়ে সন্তান, তাই সেখান থেকেই তারা ফেরত গেল। হাসপাতাল আর আনলো না। অনেকেই বুঝালো, কোনো লাভ হল না। কারন সন্তানটি মেয়ে!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১২

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময়ে মেয়ে সন্তান জন্মানো মানে একটা ভয়াবহ বিরক্তিকর বোঝা কাঁধে চেপে বসা। তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আইডিয়া নিতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের অসমাপ্ত উপন্যাস 'নবীজী' এর সুচনা পর্ব।

আধুনিক সমাজেও মেয়েরা না আছে বাবার আদরের না আছে স্বামীর সম্মানের পাত্রী হয়ে। কাজেই নিম্নবিত্তের ঘরে মেয়ে সন্তান জন্মানোর মানেই তো হল একটা আনপ্রোডাক্টিভ বারডেন - এই বাস্তবতা কি অস্বীকার করার কোন উপায় আছে? তাহলে কোন যুক্তিতে তারা মেয়ে সন্তান জন্মে লোক দেখানো খুশী প্রকাশ করতে যাবে?

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

নীল আতঙ্ক বলেছেন: 'নবীজী' এর সুচনা পর্ব আমার পড়া।
ঠিকই বলেছেন এত্ত বড় পাপ জন্ম দিয়ে আবার খুশি পালন করাতো রীতিমতো ফাঁসি তে চরানোর মতো অন্যায় :(

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

আহলান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক .... সবাই মানুষ .... কিছু নরপশুর জন্য অবশ্য গোটা সমাজের এই অবস্থা ..... আমরা জ্ঞ্যনার্জন করি চাকরির জন্য , শিক্ষিত হবার জন্য না .....

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

নীল আতঙ্ক বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাইয়া।
আসলেই আমরা জ্ঞ্যনার্জন করি নাকি বাধ্য হই করার জন্য এটাও প্রশ্ন।
তবে মানুষ হওয়ার জন্য না এটা অন্তত বলতে পারি জওর দিয়ে।
সৃষ্টির সেরা জীব হলাম কিন্তু মান রাখতে পারলাম না :(

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। এটা আদি এবং বর্তমান। তবে জিনিসটা ভাবলেই খারাপ লাগে

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

নীল আতঙ্ক বলেছেন: সত্যি কথা বলেছেন :(

৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইসলাম এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তি পথ দিয়েছ সবচে সুন্দর । আর আমরা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ।ছি বলেই আবার আইয়ামে জাহেলিযা বা অজ্ঞতার সময় ফিরে আসছে।

ইসলাম জ্ঞান দিয়েছে। আলো দিয়েছে। ৩ টি নারী শিশুকে সুন্দর রুপে মানুষ করলে জান্নাতে অঙ্গীকার দিয়ে উদ্ধুদ্ধ করেছে।

অথচ তথাকথিত আধুনিকতার নামে ইসলাম থেকে সরে গিয়ে আমরা আবার অন্ধকার যুগেই ফিরে যাচ্ছি!!

৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

নীল আতঙ্ক বলেছেন: সুন্দর করে ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:




এরকম পরিত্যাক্ত ও বঞ্চিত বেশ কয়েকটি মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া গিয়েছে, যাদের ভরণপোষণ ও লালনপালনের দায়িত্ব নিয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে এ প্রতিষ্ঠানের মহতি উদ্যোগের জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

নীল আতঙ্ক বলেছেন: কথা সত্যি......... কিন্তু সংখ্যা তে তুলনা করলে তা অনেক নগণ্য......... তবে অবশ্যই ভালো উদ্যোগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.