নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পাঠক বলছি।

কুয়াশায় জড়ানো পথে ধীর পায়ে হেঁটে চলি, পেছনে ফেলে যাই কিছু হতাশা, কিছু শঙ্কা আর..... সময়ের আর্বতনে জমাট বাধাঁ ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের মনিকোঠায় লুকিয়ে রাখা মৃত ভালবাসার রক্তিম পদছাঁপ

নীল আতঙ্ক

একজন অশ্লীল ১০+ লেখক,জীবনের একটা অংশ জুড়ে আছে হুমায়ন আহমেদ।রাজাকার একশত কোটি হাত দূরে থাকুন।কিছুটা আস্তিক কিছুটা নাস্তিক।কল্পনাবিলাসী।

নীল আতঙ্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হত্যা ( ছোট গল্প )

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫১

এভাবে নয় আরেকটু কাছে আস; চেপে ধর, মুখে নাও । হ্যাঁ, হ্যাঁ ঠিক ভাবেই হচ্ছে । এবার নীচের দিকে নাম, হাত রাখ । ভিজে উঠল ? এবার ভেজা জমিনে লাঙল নামাও । চাষ কর, প্রথমে ধীরে তারপর দ্রুত । কি সাংঘাতিক দুষ্টু তুমি হায়দার । শিখলে কেমন করে এইসব ? আর এতদিন কোথায় ছিলে ? কি অদ্ভুত রকমের পাগলামি তোমার কামনায় !

শুন, ভালোবাসার কথা বলনা কোনদিন । কামনা বাসনার সাথে ভালোবাসা মেলাতে নেই তাতে অধিকার জন্মায় । আর বুঝতেই পারছ আমার পক্ষে সংসার ত্যাগ করে যাওয়া সম্ভব নয় ।



অনেক দিন হল এই অন্ধকারে আছি । যতবার আমি বিছানায় পেতেছি এই নষ্ট দেহ ঠিক ততবার ওদের হিংস্রতায় আমি কুঁকড়ে গেছি । হাতের থাবায় ভেঙেছে আমার বুকের পাঁজর । কান্না গুলো না ঝরে শুকিয়ে গেছে চোখের ভেতরেই !

জানো হায়দার, তোমার মত আর কেউ পারেনি আমাকে ভেজাতে । কেউ পারেনি ঝরাতে । তোমার মত আর কেউ পারেনি কাঁপাতে এই বুক । ভয় নয়, ভরসা পাই তোমার উপর । এক আশ্চর্য মাদকতা অনুভব করি ।



জানো এটাও যে এক প্রকার শিল্প এই ধারণাটিই কারো নেই । থাকবে কেমন করে ? রিক্সাওয়ালার কি সেই ধারণা থাকে ? বড়লোকের বখাটে ছেলের কি তা থাকে, ইসলামপুরের কাপড়ের ব্যবসায়ির কি তা থাকে ? থাকে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষকটির ? কিংবা মাতাল লোক গুলো- যারা গভীর রাতে বাড়ি না ফিরে ছুটে আসে এখানে ?

সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে । মিনিটেই মাখতে চায় অনুর্বর রস । এখানেও মানবিকতা দেখাতে হয়; এখানেও ধীরে প্রবেশ করতে হয় আর প্রস্থান দ্রুত । তাতে উভয়ের জন্যেই ভাল ।



দিন যায় কথা বাড়ে। সময় ধরে পৌঁছে যায় হায়দার সাবিনার সাজানো গোছানো কামরায় । প্রথম প্রথম হায়দার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকত । বসে থাকত চেয়ারে আর ভাবত জীবন কি বিচিত্র ! কাগজের নোট মানুষকে কি না করাতে পারে ! এখন আর হায়দারের অপেক্ষা নেই । আসবার আগে একটা কল করলেই হল- অপেক্ষার ছুটি ।

‘’সাবিনা আমি কি তোমার সাথে বাইরে দেখা করতে পারি ?’’ হায়দার বলে । ‘কেন ? এখানেইতো বেশ সময় কাটে আমাদের হায়দার । আমি এখানে থাকা অবস্থায় যারা আসে আমি তাঁদের ওরা আমার । বাইরের আমি আমার নিজেরই নই অন্য কারোরতো প্রশ্নই উঠে না । পৃথিবীর সব আলো নিভে গেল আমি হয়ত তাঁদের হব যারা আমার কাছ থেকে দূরে আমি যাদের কাছ থেকে ।

হায়দারের ভাল লাগেনা, আজ আশাহত হয়ে ফিরে যায় ।

সাবিনাকে ভালবাসতে না চাইলেও পারছেনা । মানসিক দুর্বলতার নিয়ন্ত্রণ কে করবে ?

কেমন যেন বদলে যেতে থাকে হায়দার কিন্তু সাবিনা বদলাতে চায় না । কারণ সাবিনা জানে এই বদলানোয় বদলে যাবেনা জগত সংসার ও তার বহু দিনের পুরনো রীতিনীতির ধারকরা । আর যাবেনা বলেই হায়দারের চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করে না । অনেক ইচ্ছাকে অস্বীকৃতি জানায় ।



সাবিনা নেই, তাঁর খোঁজে হায়দার বেরিয়ে যায় পথে । সাবিনা পথে পথে খুঁজে বেড়ায় নিরাপদ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার । বুকের ভেতর ঝড় ওঠে সাবিনার । আশ্রয় খোঁজে নিজের ভেতরেই । ভেতরের আশ্রয়টাই যে সবচায়তে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ ।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: valo laglo kintu duibar keno vai?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

নীল আতঙ্ক বলেছেন: বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :)
আমি নিজেও জানি না দুই বার কেন আসলো :(
চেষ্টা করছি ঠিক করে নিতে......
ধন্যবাদ ভুল টা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০২

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

নীল আতঙ্ক বলেছেন: বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :)
পাশে থাকবেন আশা করি :)

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: রূপাজীবাদের জীবনের নির্মম কাহিনী গল্পে উঠে এসেছে। হায়দারের ডাকে সাবিনার সাড়ানা দেয়ার অবশ্যই যৌক্তিক কারণ আছে। হায়দারের যে ভালোবাসা উতলে উঠেছে সেটা সাময়িক মোহ। মোহ কেটে গেলে সাবিনাকে সে রূপাজীবা হিসাবেই দেখবে। কষ্টের জীবনে সাবিনাদেরও অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। তারাও বুঝে দু'দিন পর হায়দারদের মতো প্রেমিকাদের মোহ কেটে গেলে তাদের স্থান হবেই এই পতিতালয়ই। কারণ সভ্য সমাজে তারা যে অপাংক্তেয়। সুতরাং পতিতালয় না ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে।

নিরাপদ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুঁজে বেড়াচ্ছে সাবিনা। গর্ভের সন্তানকেই সে সবচেয়ে নিরাপদ ভাবছে, আবার তাকেই কিনা হত্যার জন্য নিরাপদ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুঁজে বেড়াচ্ছে? ফিনিশিংটা একটু কেমন জেনো মনে হল।

এই ধরণের গল্পে যে আবেদন সৃষ্টি করা কথা ছিল, সেটা গল্পের শুরুর জন্য মনে হয় ঠিক ভাবে হয়ে উঠে নাই। শুরুর দিকের বর্বণাগুলোকে এতো স্পষ্ট করে না লিখে অন্য ভাবে লেখা যেতো মনে হয়। বাক্যগঠনে আরও একটু মনোযোগের দরকার ছিল। গল্পের প্লট ভালো ছিল। কিন্তু আরও একটু যত্নের প্রয়োজন ছিল। তারপরও বলবো আপনার প্রয়াস যথেষ্ট ভালো হয়েছে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১০

নীল আতঙ্ক বলেছেন: আমার লেখা কেও এতটা ব্যাখ্যা করবে আছা ছিল না......... আপনার কমেন্ট টা পড়ে ভালো লাগলো।
আসলেই সাবিনার সাড়া না দেবার ব্যাপার টার ঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা আমার দেওয়ার উচিৎ ছিল......... কিন্তু আমার লেখার জোর তেমন নেই তাই পারিনি ঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে............ গর্ভের সন্তান কে নিরাপদ ভাবছে ঠিকই কিন্তু সাবিনা নিজে কি তার সন্তানের জন্য নিরাপদ??? এই সন্তান এর ভবিষ্যৎ বলে কি কিছু আছে ভাইয়া? এই কারনেই হত্যা...... কষ্টের হত্যা............ ভালোবাসা কে হত্যা......... নিজেকে হত্যা...... বাঁচার জন্য হত্যা।
আরেকটা টা ব্যাপার ঠিক ঠিক ধরে ফেলেছেন প্রথমের বর্ণনা গুলো এই রকম হওয়া উচিৎ হইনি............ সত্যি কারন টাই বলি......... নূতন লিখছি কেও পরছে না......... টাই ভাবলাম প্রথমে এই রকম কিছু বর্ণনা থাকলে মানুষ অন্তত গল্প টা তে ধুঁকবে...... হটকারিতা জানি...... ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন ভাইয়া আশা করি......... কথা দিলাম সামনে আরও চেষ্টা করবো।
আপনার মূল্যবান বক্তব্বের জন্য অনেক বেশি ধন্যবাদ

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

তুষার কাব্য বলেছেন: ভাল লাগল ...

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০১

নীল আতঙ্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া.........
পাশে পাবো আপনাদেরকে এই আশাই থাকলাম :)

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভালো লেগেছে। মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য প্রশ্নের উপরে একটা সবুজ তীর চিহ্নে ক্লিক করলে একটা ঘর আসবে সেই ঘরে লিখুন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১১

নীল আতঙ্ক বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া
আমি আসলে ব্যাপার টা সত্যি জানতাম না...... কাও কে বলতে লজ্জা লাগছিলো তাই জানাও হচ্ছিলো না............ আপনি বুজতে পেরেছেন আর এখন জানতে পারলাম......... তাই অনেক গুলো ধন্যবাদ আপনার জন্য ।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০০

আজিজার বলেছেন: ভালো লেগেছে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

নীল আতঙ্ক বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
পাশে পাবো আশা করি।
ধন্যবাদ :)

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:



চমৎকার বিষয় কিন্তু তাড়াহুড়োর ছাপ আর অগোছালো লেখা। আরো চেষ্টা করুন। আপনি ভালো লিখতে পারবেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

নীল আতঙ্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :)
আসলে ১ মাস ও হইনি লেখা শুরু করেছি ঠিক ধড়তে বা ঘুছিয়ে ভাব টা সত্যি প্রকাশ করতে এখনো পারি না......... চেষ্টা করে যাচ্ছি ভাইয়া।
তাড়াহুড়ার ব্যাপার টাও সত্যি একটা লেখা নিয়ে বেশি সময় বসে থাকতে পারি না......... :(
আমি আসলে ভাইয়া আমার বাংলা লেখা ঠিক করার জন্য লেখা শুরু করেছি...... বাংলা লিখই লিখতে ভুলতে বসেছি......... তাই লিখে অবশ্যই যাব।
আর ভাইয়া আপনাদের সাহায্য পেলে একদিন হইত লিখতে লিখতে, লিখতে শিখে যাব।
পাশে থাকবেন ভাইয়া......... :)

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৩

অপ্রতীয়মান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
নিয়ম ভেঙ্গে অনিয়মে গিয়ে আর নিয়মে ফিরে আসা যায় না। একটা অদৃশ্য দেয়াল বাধা হয়ে থাকে এর মাঝে।


শুভ কামনা জানবেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

নীল আতঙ্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া............ চেষ্টা করেছি......
ভালো লেগেছে জেনে অনুপেরনা পেলাম...... ভালো থাকবেন ভাইয়া।
পাশে পাবো সব সময় সাহায্যের জন্য এই আশায় রইলাম।

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লিখেছেন । ++

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

নীল আতঙ্ক বলেছেন: লেখার চেষ্টা করছি...... তেমন ভালো হয়নি জানি.........
তারপরেও আপনার ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগলো :)
ধন্যবাদ ভাইয়া :)

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো। জীবনধর্মী লেখা।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

নীল আতঙ্ক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.