নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পাঠক বলছি।

কুয়াশায় জড়ানো পথে ধীর পায়ে হেঁটে চলি, পেছনে ফেলে যাই কিছু হতাশা, কিছু শঙ্কা আর..... সময়ের আর্বতনে জমাট বাধাঁ ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের মনিকোঠায় লুকিয়ে রাখা মৃত ভালবাসার রক্তিম পদছাঁপ

নীল আতঙ্ক

একজন অশ্লীল ১০+ লেখক,জীবনের একটা অংশ জুড়ে আছে হুমায়ন আহমেদ।রাজাকার একশত কোটি হাত দূরে থাকুন।কিছুটা আস্তিক কিছুটা নাস্তিক।কল্পনাবিলাসী।

নীল আতঙ্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরবতা এক প্রকার হাতিয়ার; বন্ধুকে সমর্থনের, শত্রুকে নিধনের

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

"আদর... বাঁদর... চাদর..." মৃত্যুর পূর্বে বাবার মুখ নিঃসৃত তিনটি শব্দ। তিন সহদর বাবার কবরের সামনে দাঁড়াইয়া ভাবিতেছে, এ তিন শব্দের রহস্য।

বড় ভাই নিরবতা ভাঙ্গিয়া, হটাত বলিয়া উঠিল, "বাবা, তোমার আদরের বাঁদর গুলাকে (ছোট ভাইদের) শাসনে রাখিব, আর তোমার এক মাত্র সম্বল মূল্যবান চাদরখানা যত্নে রাখিব।"

মেঝ ভাই তফাত দূরে দাঁড়াইয়া হাক উঠাইল, "বড় ভাই কিঞ্ছিত ভুল হইতেসে। বাবা আপনাকে বাঁদর ডাকিত। বাবা বলিয়াছেন, আদরের (ছোট ভাই) দায়িত্ব বাঁদরের, চাদরের দায়িত্ব আমার।"

ছোট ভাই (আদর) এতক্ষনে মুখ খুলিল, চাদরখানা এক টান দিয়া বলিল, "বাবা বলিয়াছেন, প্রিয় আদর, বাঁদরদের (বড় ভাইদের) হাতে পড়ার আগেই চাদর নিয়া দাও ভো-দৌড়।"

আল্লাহ-ই ভালো জানেন বৃদ্ধের তিন শব্দের শব্দার্থ। তবে শব্দ যেমন অর্থহীনও হতে পারে, তেমনি একই শব্দের নানাবিধ অর্থ বিতর্কেরও জন্ম দিতে পারে। এরচেয়ে শব্দহীনতাই (নিরবতা) কি শব্দময় নয়??!!

হে শব্দময় মানুষগুলো, জেনে রাখ, "নিরবতা এক প্রকার হাতিয়ার; বন্ধুকে সমর্থনের, শত্রুকে নিধনের।"

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

নিয়ন আলোয় সন্ধ্যা বলেছেন: হুম

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

নীল আতঙ্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া পড়ে দেখার জন্য।
ভালো থাকবেন :)

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

আহলান বলেছেন: জ টি ল

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

নীল আতঙ্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
গতকাল আর আজকের দিনের একটা নীরব প্রতিবাদ আমার পক্ষ থেকে।
ভালো লাগলো দেখে ভালো লাগছে।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

কাবিল বলেছেন: হে শব্দময় মানুষগুলো, জেনে রাখ, "নিরবতা এক প্রকার হাতিয়ার; বন্ধুকে সমর্থনের, শত্রুকে নিধনের।"


ভাল লাগল

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

নীল আতঙ্ক বলেছেন: মন্তব্য পড়ে আমারও অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া :)
ভালো থাকবেন......
পাশে থাকবেন :)

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমার মাথার উপ্রে দিয়া গেল নাকি? জটিল!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২০

নীল আতঙ্ক বলেছেন: হাহাহাহা।
ভাইয়া আসলে ভাইয়া আমাদের সধারন মানুষ এর অবস্থান টা একটু বুঝাতে চেয়েছি।
মনে হয় ঠিক ভাবে পারিনি :(
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ভালো বলছেন। নিরবতার ভাষাই সবচেয়ে শক্তিশালী।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২১

নীল আতঙ্ক বলেছেন: চেষ্টা করেছি মাত্র ভাইয়া।
আমাদের সাধারন মানুষের হাতিয়ার বলতে তো এখন এই একটাই হাতিয়ার বাকি আছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: হে শব্দময় মানুষগুলো, জেনে রাখ, "নিরবতা এক প্রকার হাতিয়ার; বন্ধুকে সমর্থনের, শত্রুকে নিধনের।"

নিরবতায় বন্ধু যতোটা সমর্থন পায়,
শত্রু তার চেয়ে বেশী উছলায়।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

নীল আতঙ্ক বলেছেন: লাফাবে............ কামড়াবে.... মেরে ফেলবে......... একদিন এই ভাবে নিজের ভিতরের পশু টাকেও আর বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না বলে আমার ধারনা।
ভুল হতে পারে ভাইয়া ধারনা না।
ধন্যবাদ পড়ে দেখার জন্য।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: নিরবতার ভাষা অনেক শক্তিশালী।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৭

নীল আতঙ্ক বলেছেন: আমারও তাই ধারনা ভাইয়া।
ধন্যবাদ......... ভালো থাকবেন :)

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নীরবতার ভাষা শব্দময় হলেও সব ক্ষেত্রে নীরবতা কিন্তু অন্যায়কে মেনে নেয়ারও শামিল। ভালো কাজে জোড়াল সমর্থন বা নীরব সমর্থন মেনে নিতে পারলেও অন্যায় কাজে নীরবতা মেনে নেয়া উচিৎ না, তাতে অন্যায় প্রশ্রয় পায়। আমরা বাস্তবতার খাতিরে অনেকেই অনেক অন্যায় চোখে দেখেও মুখে নীরব আছি বলে আমাদের সমাজে অন্যায়ের মাত্রা বাড়ছে বৈ কমছে না।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

নীল আতঙ্ক বলেছেন: কথা সত্যি ভাইয়া...... ডিনাই করবো না.........
আসলে আমি ছোট পরিসরে চিন্তা করে লিখেছিলাম.........
গঠন মূলক কমেন্ট এর অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আশা করি ভবিষ্যতে সব গুলো দিক তুলে ধড়তে পারবো।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৬

অপ্রতীয়মান বলেছেন: মানুষের মনে যা থাকে তা যেমন শব্দ রূপে বের হয় তেমনি শব্দ দিয়ে মানুষের মনের চিন্তাটাকে বাইরে আনা যায়। প্রকৃত উদাহরণ আপনার গল্প। বাবা কি বলেছেন তার থেকেও গুরুত্ব পাচ্ছে বাবার "চাদর" এর দায়িত্বের। যার মানে অর্থ যাই বুঝিয়ে থাকুক চাদরের দায়িত্ব কিংবা মালিকানা কেউ ছাড়তে রাজি নন।

শিক্ষণীয় গল্প
ভালো লাগলো :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

নীল আতঙ্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আসল ব্যাপার টা বুজতে পারার জন্য।
সত্যি একটা কথা বলি ব্লগ এ না লিখে এত্ত দিন ফেসবুক এ লিখে অনেক গুলো দিন নষ্ট করেছি। এই পোস্ট টাই যদি ফেসবুক এ দিতাম তাহলে কমেন্ট আসতো,
"কিছুই তো বুজলাম না।"
"একটা চাদর নিয়ে এত্ত টানাটানি ক্যান?"
"কি বুঝাতে চেয়েছেন আপনি নিজে বুজতে পেরেছেন।"
আরও অনেক।

চাদর যে এইখানে একটা প্রতিকি ব্যাপার এটাই কেউ বলতো না।
ভালো লাগলো ভিয়া আপনার কমেন্ট টা...... আপনারা পাশে থাকলে লেখার সাহস পাচ্ছি।
ভালো থাকবেন :)

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

আফিয়া মাল্টিফ্যারিয়াস বিজ বলেছেন: আপনার লেখাটা ভালো লাগলো ভাই , তাই রি - রাইট করে দিলাম।



বি:দ্র: গল্পটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তাই জীবিত আথবা মৃত কারও সাথে মিলে গেলে বা কারও সেন্টিমেন্টে আঘাত করলে লেখক কোন ক্রমেই দায়ী নয়।

আপনারা কি জানেন ?
মগের দেশে একজন রাজা ছিলেন। তার তিন সন্তান ছিলো। বড় ছেলে "জন-তা", মেঝ মেয়ে "খালে-যা" আর ছোট মেয়ে "খুশি-না"। উল্লেখ্য, এদেশে নিয়ম ছিলো রাজার গায়ের চাদর যার হবে তিনিই সে দেশের পরবর্তী রাজা হবেন।

তো অনেক দিন রাজত্ব করার পরে স্বনামধন্য রাজা যখন হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়, তখনও রাজা কাউকে তার চাদর দিয়ে যাননি অর্থাৎ রাজ্যে-রাজা শুন্য। তাই রাজা তার তিন সন্তানকে ডেকে পাঠালেন। এমনি পরিস্থিতিতে বাবাকে দেখতে উনার তিন সন্তানই একত্রে তার কাছে আসলো।যদিও তারা এমনিতে একে অন্যের মুখও দেখতে পারেন না।

বাবা যেন কি বলতে চাইলেন, তিন ছেলেমেয়েই বাবার মুখের কাছে কান রাখলেন। বাবা কি যেন বিড়-বিড়িয়ে বললেন তিন জনের কেউই তা পুরোপুরি শুনতে পারলেন না। শুধু "ওরে, " আদর... বাঁদর... চাদর..." টুকু ছাড়া। এর পরপরই রাজা মারা গেলেন। রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এলো। রাজাকে দাফনের ব্যবস্থা করা হলো। রাজ্যের সকল প্রজা সমাবেত হলো। কিন্তু এত শোকের মধ্যেও তিন সন্তানের কারও চোখে কোনো পানি নাই। তারা শুধু ভাবছে মৃত্যুর পূর্বে বাবার মুখ নিঃসৃত ঐ শব্দের কথা। ভাবছে ঐ তিন শব্দের রহস্য।।।

ইতোমধ্যে, যখন বাবার দাফন সম্পন্ন হয়েছে এবং তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া শুরু হবে।

ঠিক তখননি ছোট বোন "খুশি-না" হাউমাউ করে কান্না শুরু করলেন। আর্তনাতের সাথে চিৎকার করে বাবার কবরের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, "বাবা, তোমার আদরের দুই বাঁদরকে আমি তোমার কথা মতই শাসনে রাখব, আর তোমার চাদরের মর্যাদা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আমি এসবের কিছুই চাইনি শুধু তোমার শেষ কথা বলে ফেলতে পারলাম না."

এতক্ষন ছোট বোন "খুশি-না"র আর্তনাদের মর্মার্থ অনুধাবন করে মেঝ বোন "খালে-যা" রিতীমতো চমকাইলেন তবে সাথে সাথেই সম্বিত ফিরে পেলেন। মনে মনে বললেন আমি কি রে তোর চেয়ে কম জানি। সে আরও জোরে চিৎকার করে কান্নার শুরু করে দিলেন আর কাছে যেয়ে ছোট বোন কে জড়িয়ে ধরে মাথায় হত বুলিয়ে সান্তনার সুরে বললেন, ওরে বোন আমার, তুই ছোট তাই বুঝিসনি। বাবা বলে গেছেন " আমার আদরের দুই বাদঁরকে মানুষ বানানো পর্যন্ত চাদরের দায়িত্ব তোমার।

বড়ভাই একটু সহজ সরল তাই এই অবস্থায় ঠিক কি করবে আর কি বলবে তা বুঝে উঠতে পারলো না। তাই আস্তে ধীরে "খালে-যা আর খুশি-না" কে পাশ কাটিয়ে বাবার কবরের কাছে হাটু গেড়ে বসে পড়লেন।
মনে মনে বাবাকে বললো, বাবা আমি বড়, তুমি আমাকেই বেশী আদর করতে, কিন্তু আমার কথা তোমার দু'মেয়ে একবারও ভাবলো না। এরপর বাবার মাথার কাছে থাকা চাদরটি "জন-তা" হাতে নিলেন।
এরপর সবার উদ্দেশ্যে বললেন "বাবা বলেছিলো,
ওরে আমার আদর(জন-তা),
বাদরের হাতে পড়ার আগে চাদর,
নিয়ে তা দিও ভো-দৌড়।

বলা শেষ হতেই চাদর হাতে"উল্টা দিকে তিনি ভো-দৌড় শুরু করলেন।

এতক্ষন রাজ্যের প্রজারা সব দেখছিলেন, তারা মনে মনে বললেন আমাদের প্রান প্রিয় রাজা অবশ্যই এগুলো বলেননি তিনি নিশ্চই বলেছিলো,
"ওরে আমার আদরের সন্তানরা রাজ্যকে বাদরের হাত থেকে বাচাঁতে আজ থেকে এই চাদরের দায়িত্ব তোমাদের সকলের।"

গল্পটি এখানে শেষ হয়েও শেষ হলো না..................................

আপনাদের কি মনে হয় রাজা কি বলে থাকতে পারে ?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

নীল আতঙ্ক বলেছেন: অসাধারন ভাইয়া............ আমার আর বলার কিছুই নেই......... আমার লেখা টা এখন না থাকলেও চলে............ যা নিয়ে গল্প টা সেই জিনিশ আপনার লেখা টাই আরও পরিষ্কার ভাবে ফুটে এসেছে............ দারুণ।
তবে এই গল্পের আসলেই শেষ নেই, চাদর এর পিছনে দৌড়ানোর শেষ ও বলতে গেলে নেই।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
অসম্ভব ভালো লাগলো............ প্লাস কি দেওয়া যাবে?
দিয়ে দিলাম :)
++++++++++++++++++

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: হে শব্দময় মানুষগুলো, জেনে রাখ, "নিরবতা এক প্রকার হাতিয়ার; বন্ধুকে সমর্থনের, শত্রুকে নিধনের।"+++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

নীল আতঙ্ক বলেছেন: এত্ত গুলো প্লাস......... অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :)
ভালো থাকবেন............ পাশে থাকবেন :)

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

তোজি বলেছেন: মজা পেয়েছি ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

নীল আতঙ্ক বলেছেন: জটিল বিষয়ে লিখে মজা দিতে পেরেছি দেখে ভাইয়া নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে :)
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
আশা করি পাশেও থাকবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.