নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝড়া পাতা

কোনও কিছু নিজে থেকে পুরনো হয় না। আমরাই বেওকুফ, ভুলে গিয়ে গিয়ে পুরনো করি সব কিছু। নইলে মনে রাখার মতো কত দিনরাত, বিকেল গড়িয়ে প্রথম গোধূলি দেখা, লাইব্রেরির কোণের টেবিলে বসে আমাদের প্রথম প্রেমের ইন্তেজ়ার…

সিদ্ধা

Nothing in this world is IMPOSSIBLE ,,,coz the word IMPOSSIBLE itself says I M POSSIBLE..

সিদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৈত্রের আঙিনায়

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

ভদ্রমহিলার চোখ প্রায় ছলোছলো। বুকে সবুজ কার্ড আটকানো এক কর্মীর কাছে প্রবল অভিযোগ জানাচ্ছেন তিনি, ‘শখ করে চুলে একটু পলাশফুল লাগিয়েছিলাম, আপনাদেরই কর্মী বললেন খুলে ফেলতে, পলাশ তোলা নিষিদ্ধ এখানে। কিন্তু ওই দেখুন, ওই উনি তো দিব্যি পরেছেন।’ কর্মী বেচারা আর কী করেন, বললেন, ‘এত মানুষের মধ্যে সকলের পলাশ ফুল কী করে ধরা সম্ভব বলুন! পরিবেশের কথাটা ভাবুন এক বার।’ দৃশ্যটা শান্তিনিকেতনে এ বারের বসন্তোসবের। গোটা চত্বর জুড়ে পোস্টারে লেখা পলাশ তুলবেন না, পলাশ হারিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থেকে রঙের উৎসব বোধ হয় একেই বলে। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালনের সূচনা করেছিলেন ১৯২৫-এ। ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল’ গানের সঙ্গে নাচ দিয়ে আজও শুরু হয় সেই বসন্তোসব। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘এ-বৎসর দোলপূর্ণিমা ফালগুন পার হয়ে চৈত্র-এ পৌঁছল। আমের মুকুল নিঃশেষিত, আমবাগানে মৌমাছির ভিড় নেই, পলাশ ফোটার পালা ফুরলো, গাছের তলায় শুকনো শিমুল তার শেষ মধু পিঁপড়েদের বিলিয়ে বিদায় নিয়েছে। কাঞ্চনশাখা প্রায় দেউলে, ঐশ্বর্যের অল্প কিছু বাকি। কেবল শালের বীথিকা ভরে উঠেছে মঞ্জরীতে।’ তখনও সকালে ও সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান হত। প্রথম দিকে রবীন্দ্রনাথ সকালের অনুষ্ঠানে থাকতেন না, বিকেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। সকালে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে আম্রকুঞ্জে সঙ্গীতের আসর বসত। গুরুদেবের বসন্ত ঋতুর গানগুলো একটার পর একটা গাওয়া হত। সুরের আর রঙের সেই উৎসব আজও চলেছে ঐতিহ্য বজায় রেখে। আজও তাকে ঘিরে অভিমান আর উৎসাহ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.