নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝড়া পাতা

কোনও কিছু নিজে থেকে পুরনো হয় না। আমরাই বেওকুফ, ভুলে গিয়ে গিয়ে পুরনো করি সব কিছু। নইলে মনে রাখার মতো কত দিনরাত, বিকেল গড়িয়ে প্রথম গোধূলি দেখা, লাইব্রেরির কোণের টেবিলে বসে আমাদের প্রথম প্রেমের ইন্তেজ়ার…

সিদ্ধা

Nothing in this world is IMPOSSIBLE ,,,coz the word IMPOSSIBLE itself says I M POSSIBLE..

সিদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার তখন ও এখন

২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬


১৮৭২ সালের লালবাগ কেল্লা

২০০৮ সালের লালবাগ কেল্লা

১৯০৪ সালে তোলা ছবিতে ঢাকার লালবাগ কেল্লার মধ্যে ঢাকার মুঘল গভর্ণর শেরশাহের কন্যা পরি বিবির সমাধি।


পরি বিবির সমাধি... ২০০৮। পেছলে কিল্লার মসজিদ।

শাহ সুজা(শাহ জাহানের পূত্র), ঢাকায় গভর্ণর হয়ে আসার পর কেল্লার ভেতরের আবাস পছন্দ হয় নি তার। তাই তার নির্দেশে তৈরী হয় বড় কাটরা নামক এই প্রাসাদ। কিন্তু শাহজাদার সে প্রাসাদ পছন্দ হয় নি। পরে সেটাকে হোটেল বা কারাভান সরাই হিসেবে রুপান্তরিত করা হয়। চার্লস ড'ইয়েলির আঁকায় ১৮২৩ সালের বড় কাটরার ধ্বংশস্তুপ।

বড় কাটরার ধ্বংশস্তুপ... ২০০৮। এখন অবস্থা আরো খারাপ। একটি মাদ্রাসা চলে এখন এর ভেতর।

১৮৮৫ সালের চকবাজার। পেছনে চকবাজার শাহী মসজিদ

এখনকার চকবাজার!

ঢাকেশ্বরী দেবীর নামে নাম ঢাকার। সেই ঢাকেশ্বরী মন্দির... ১৯০৪ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতা বল্লাল সেন, সেই ১২ এর শতকে।

ঢাকেশ্বরী মন্দির এখন।

৮০০ বছর আগে ঢার প্রতিষ্ঠা কালে তার এক দিকে ছিল বুড়িগঙ্গা, আর বাকি তিন দিকে ছিল দোলাই খাল। বৃটিশ পিরিয়ডে তারই ওপর ঝুলন্ত সেতু, ১৮৮০।

দোলাই খালের সেই সেতু।

দোলাই খাল এখন রাস্তার নিচ দিয়ে বয়ে চলা বক্স-কালভার্ট। ওর ওপর এখন ধোলাইখাল সড়ক। এই হল অবশিষ্ঠ দোলাই খাল।

১৯০৪ সালের নর্থব্রুক হল। তখন এটি ঢাকার টাউন হল।

আজকের নর্থব্রুক হল লাইব্রেরি বা লালকুঠি।

আজকের নর্থব্রুক হল লাইব্রেরি বা লালকুঠি।

ঢাকার নবাবদের বাস ভবন আহসান মঞ্জিলের সামনের লনে স্যার ফুলার এর সম্মানে গার্ড অব অনার, ১৯০৫।

স্টীমার ঘাটাটা এখনো আছে ওখানে।

১৯শতকের টর্নেডোয় বিধ্বস্ত আহসান মঞ্জিল।

১৯৮০র দশকে সংস্কারের পর আহসান মঞ্জিল।

১৮৭৫ এ ঢাকার নবাবদের শাহী উদ্যান, রমনা।

ব্যাস্ত ঢাকার মাঝখানে একফালি সবুজ, আজকের রমনা পার্ক।

শাহবাগের রমনায় নবাবদের বাগান বাড়ি। ১৯০৬ সালে এই বাগান বাড়িতেই গঠিত হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ।

সেই বাগান বাড়ি... ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের নিরব সাক্ষী, আজকের 'মধুর ক্যান্টিন'। মধূদা, মধুসূদন দাস নিজেও সেই হত্যাযজ্ঞের শিকার।

ঢাকার উপকন্ঠে মীর জুলার তোরন, পেছনে রমনা কালীবাড়ীর চূড়া।

মীর জুমলার তোরনের রেপ্লিকা। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ফলে বৃটিশরা এটি ভেঙ্গে ফেলে, কিন্তু পরে বৃহত্তর আন্দোলনের মুখে সেটিকে আবার তৈরী করে দেয়া হয়। আর রমনা কালীনাড়ি ১৯৭১ এর ২৫শ মার্চ রাতে গুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী।

রমনার জিমখানা ক্লাবে রমনা রেসকোর্স। ১৮০০ শতকের শেষের দিকে তোলা ছবি।

ঠিক সেই জায়গাটাতে এখন ঢাকা শিশুপার্ক। আর রেসকোর্সের বাকি জায়গাটাতে উদ্যান।

নবাবদের বাগান বাড়ির(এখনকার মধুর ক্যান্টিন) লন।

সেই লনে বিশাল এলাকা জুড়ে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট।

ঢাকার ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশান, ১৯০৪।

রেলের লাইন সরে গিয়েছে অনেক আগে। এখন এখানে রাস্তা দখন করে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড।

বেগম বাজারের করতলব খান মসজিদ।

বেগমবাজার মসজিদ এখন!

মিডফোর্ড মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ঘাট! আনুমানিক ১৮৮৫।

আজকের মিডফোর্ড কলেজ বা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।

১৮৮০ সালের ওয়াইজ ঘাটে মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ।

আজকের ওয়াইজ ঘাট ও সদরঘাট এলাকা।

ঢাকার এক সময়ের সিটি সেন্টার, ও পরে ঢাকা কলেজ। এখন আর এর অস্তিত্ব নেই, ১৮৭২ সালের ছবি।

শুধু ঢাকা না, বাংলাদেশের কেন্দ্র এখন জাতীয় সংসদ ভবন। বৃটিশ ঢাকার কেন্দ্র থেকে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার দূরে।

তথ্য এবং ছবি internet,wikipedia

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

মশিকুর বলেছেন:
পুরনো দিনের ছবি দেখতে সব সময়ই ভাল লাগে। এই যেমন ১৫-২০ বছর আগের ছবিও মনে ভাসে, পরিবর্তনটা অনুভব করা যায়, কিন্তু আফসোস তখন ক্যামেরা এত সহজলভ্য ছিল না।

পোস্টে +

শুভকামনা।।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার শেয়ার । ভাল লাগলো অনেক ।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.