![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বদলি খেলোয়ার, যে একজন star player'এর injury'র সুবাদে খেলা শেষ হবার ৫ মিনিট আগে মাঠে নেমে ২টি গোল করে খেলার ফলাফল ঘুরিয়ে দেয়।
সন্ত্রাসবাদ ও অবিচার। এই দু'টি টার্ম একে অপরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। যখন কেউ তার প্রতিপক্ষকে নিজ হাতে হত্যা করে তা হয় সন্ত্রাসবাদ। আর এই একই কাজ যখন একটি রাষ্ট্র একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করে, তা হয় অবিচার।
অধিকাংশ সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও এই অবিচার। When victims refuse to become victims, they are called Terrorists!
একটি নতুন টার্ম বাংলাদেশের বাজারে চলে এসেছে - রাষ্ট্রীয়-সন্ত্রাস। যেই কাজ সরকারের বাহিরে থেকে করলে সন্ত্রাসী আখ্যা পাওয়া যায় সেই কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দোহাই দিয়ে পুলিশ+ছাত্রসংগঠণ দিয়ে করানো।
পাশাপাশি চলছে তথ্য সন্ত্রাস। সত্য কে মিথ্যা আর মিথ্যা কে সত্য বানানোর হলুদ সাংবাদিকতা। এই কাজ মহামারি আকারে শুরু করে বিগত বি.এন.পি-জামাত জোট সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মধ্য দিয়ে। লীগ সরকার ও পিছিয়ে নেই। বঙ্গবন্ধু কে রীতিমতো Semi-God এ পরিণত করার চেষ্টা। জামাতকে ১০০% রাজাকার পার্টি বানানো এবং তার সাথে যারাই আছে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই এখন রাজাকার। সদ্য দাখিল পাশ করা শিবিরের ছেলেটি ও রাজাকার। জন্মের আগে রাজাকার মায়ের পেটের সন্তান টি ও রাজাকার।
ইসলামে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই তার প্রমাণ খুব পরিষ্কার। মক্কা জীবনের ১৩ বছরে কোন হত্যা/যুদ্ধ/সংঘর্ষের চিহ্ন নেই। অথচ মুসলমানদের কম পিড়া দেয় নি কাফের সম্প্রদায়। উলঙ্গ করে হত্যা করা হয়েছে, নবী (সা.) সালাত রত অবস্থায় তাঁর কাঁধে উটের নারী-ভুঁড়ি রেখে দিয়ে হাসাহাসি করা হয়েছে। তাঁকে ঢিল মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে, পাগল/কবি বলা হয়েছে কিন্তু একজনকে ও হাত তোলার অনুমতি দেয়া হয় নি। কারণ তখন মুসলমানদের কোন রাষ্ট্র ছিল না। তারা ছিল কাফের রাষ্ট্রের নাগরিক। তখন হাত খুললে তারা সন্ত্রাসী নামেই পরিচিত হতেন।
অতঃপর যখন অত্যাচার তার সীমা লঙ্ঘন করল এবং আল্লাহ্ (সুব.) কাফের দের অবকাশের সীমা নির্ধারণ করে দিলেন তখন হিজরতের হুকুম চলে আসল। মদিনায় শান্তিময় পরিবেশ তৈরি হল। দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রমের ফসল এই মদিনা। রসুল (সা.) সেখানে প্রথম যে কাজটি করলেন তা হল মসজিদুন-নাবাবি স্থাপন করলেন। তাকে ঘিরে গড়ে তুললেন একটি রাষ্ট্র। আইন-শাসন-বিচার ব্যবস্থা। তৈরি হল (সম্ভবত) বিশ্বের প্রথম সংবিধান "মদিনার সনদ"। শুরু হয় শস্ত্র জিহাদ। দীন কে টিকিয়ে রাখার জিহাদ। অন্যায় কে প্রতিহত করার জিহাদ। দীনের প্রচার প্রসারের জিহাদ। সেই রাষ্ট্রে ইসলাম ও রসূল (সা.) এর নামে অপপ্রচারের শাস্তি ছিল মৃত্যু দণ্ড।
এখন প্রশ্ন হল, আমরা কি ইসলামি রাষ্ট্রে বসবাস করছি? নাকি কাফের রাষ্ট্রে? সহজ উত্তর। এই রাষ্ট্রের আইন কি মদিনার রাষ্ট্রের আদলে গড়া নাকি কাফের রাষ্ট্রের আদলে গড়া? সুতরাং এই রাষ্ট্রের অধিবাসী মুসলমান গণ যতই সংখ্যা গুরু হবার দাবী করুক আসলে তারা সংখ্যা লঘু। কাজেই সুন্নত হবে মক্কী জীবনের আদর্শ গ্রহণ করা।
মনে রাখতে হবে, শাস্তি প্রদান করা রাষ্ট্রের কাজ, ব্যক্তি/সংগঠনের নয়। আমাদের জিহাদ হবে দীনের প্রচার করা এবং এমন একটি রাষ্ট্রের স্থাপনার জন্যে প্রচার করা যেখানে ইসলামের আইন পালন করা হবে। আইন নিজ হাতে তুলে নেয়ার কোন সুন্নত ইসলামের ইতিহাসে নেই।
হুমায়ুন আজাদ, রাজীব, অভিজিৎ দের হত্যা করে আপনি আপনার ক্ষোভ মেটাতে পারবেন মাত্র। তাতে পরকালের কোন লাভ তো হবেই না বরং ক্ষতি হবে মাত্র।
#রাজীব_হত্যা #অভিজিৎ_হত্যা #হুমায়ুন_আজাদ_হত্যা
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: সম্পূর্ণ ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: শাস্তি প্রদান করা রাষ্ট্রের কাজ, ব্যক্তি/সংগঠনের নয়। আমাদের জিহাদ হবে দীনের প্রচার করা এবং এমন একটি রাষ্ট্রের স্থাপনার জন্যে প্রচার করা যেখানে ইসলামের আইন পালন করা হবে। আইন নিজ হাতে তুলে নেয়ার কোন সুন্নত ইসলামের ইতিহাসে নেই।
হুমায়ুন আজাদ, রাজীব, অভিজিৎ দের হত্যা করে আপনি আপনার ক্ষোভ মেটাতে পারবেন মাত্র। তাতে পরকালের কোন লাভ তো হবেই না বরং ক্ষতি হবে মাত্র।
সম্পূর্ণ সহমত