নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের মনের চেপে রাখা কথাগুলোকে কাব্যিক রুপ দিয়ে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তা বাস্তবায়ন করা।।।।

sish hasan

আমি শিস।পাবনা জেলার নয়নামতি গ্রামে আমার জন্ম।আমার বাবার নাম মাহমুদ হাসান,মায়ের নাম জোবায়দা বেগম।বাবা-মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে আমি দ্বিতীয় সন্তান।আমি পাবনা জেলা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র।।।।লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা,ইন্টারনেট,কবিতা আবৃত্তি এই সকল কাজ করতে আমার ভালো লাগে।।।।

sish hasan › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে চেপে রাখা কথা

২০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গুণীজনে বলেছেন "ভাবিয়া
করিও কাজ,করিয়া ভাবিও না"
কিছু করার আগে আমাদের অবশ্যই ওই কাজের
ভালো-খারাপ,উপকারী-ক্ষতিকারী দিক
বিবেচনা করে দেখা উচিত।।।
কেননা একটি ভুলের জন্য একদিন,এক বছর,এক
শতাব্দী অথবা সারাজীবন মানুষককে সেই
ভুলের মাশুল দিয়ে হয়।।।।
ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় আবেগে বশীভূত হয়ে কিছু ভুল
করে ফেলি,যার মাশুল আজ ও আমার দিতে হচ্ছে চলার
পথের প্রতিটা মূহর্তে,প্রতিটি ধাপে।
ভুল তো মানুষই করে,আমিও বয়সের দোষে সেই সময়ে কিছু
ভুল করেছি যার জন্য আমি অনুতপ্ত।
কিন্তু সেই ভুল শুধরানোর সুযোগ আমাকে এই নিষ্ঠুর
সমাজ দেয় নাই।
যতোবারই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি ততোবারই
আমাকে জঘন্যভাবে অপমান করা হয়েছে আর এই কাজ
সবচেয়ে বেশী করেছে আমার স্কুলের শিক্ষক মন্ডলী।
পরীক্ষার হলে এমন ভাবে আমি অপমানিত হয়েছি যে
পরীক্ষা দেওয়া বাদ দিয়ে বাসায় চলে আসতে বাধ্য
হয়েছি।
যে বন্ধুদের জন্য আমি আমার জীবনের ভুলগুলো করেছি
সুযোগ পেলে তারাও আমাকে ছেড়ে কথা বলেনি।
শিক্ষক,বন্ধু-বান্ধব,বড়ভাই,ছোটভাই,কাছের মানুষজন
সবাই সুযোগ পেলেই আমাকে ব্যাবহার করেছে।
যখন বিপদে পড়েছে তখনি এই শিসের কথা মনে পড়েছে।
আর আমিও যান্ত্রিক রোবটের মতো ফোন পাওয়া মাত্র
ছুটে গিয়েছি।।।যে যখন,যে কাজে ডেকেছে নিজের
জীবন বাজি রেখে,খেয়ে না খেয়ে,নিজের প রিবারকে
দুশ্চিন্তায় রেখে কাজ করে দিয়েছি নিঃস্বার্থভাবে।
এইসবের জন্য আজ আমি প্রায় সবার চোখেই খারাপ।আজ
আমার বন্ধুর বাবা-মা বলে আমি খারাপ,মারামারি
করি।।।হা হা হা
কিন্তু aunty/uncle কেউ কোনদিন বলতে পারবে না যে
নিজের জন্য আমি কোন খারাপ কাজ করেছি অথবা
নিজের স্বার্থচিন্তা করে কারো গায়ে হাত তুলেছি।।।
যা করেছি খোজ নিলে জানতে পারবেন আপনার
সন্তানের জন্য করেছি।।।
যে শিক্ষকেরা আজ আমাকে অপমান করে,সেই সকল
শিক্ষকের উদ্দ্যশ্যে বলতে চাই যখন আমাকে দরকার
ছিলো আপনি আমাকে দিয়ে কী কী কাজ করেছেন???
আপনে জানতেন এগুলো খারাপ কাজ,এগুলোর দ্বারা
আমার জীবনে ক্ষতি হতে পারে তারপরও আপনে নিজের
স্বার্থ রক্ষার জন্য এগুলো কাজ আমাকে দিয়ে
করিয়েছেন।।।অমক ছাত্র আমার নামে নালিশ করছে
হেডস্যারের কাছে শিশ তুই দেখ,অমক ছাত্র বেতন
দিচ্ছে না,দেখ তো কী করা যায়????
অমক ছাত্রের বাড়িতে অচেনা নাম্বার দিয়ে হুমকি
দিয়ে দে....অমক স্কুলের স্যারের বাড়িতে ছেলেপেলে
নিয়ে যা....
যখন আমি বুঝতে পারি এগুলো কাজ আমার জীবনের
ক্ষতি ডেকে আনছে তখন এসব কাজ থেকে নিজেকে
আড়াল করে নেই।আপনি তখন কী করেছেন???ভাড়াটিয়া
গুন্ডা দিয়ে আমার ওপর হামলা করেছেন তাতেও যখন
কাজ হ য় নাই।।।পাবনার একজন গডফাদারকে দিয়ে
আমাকে হুমকি দিয়েছেন।।।তাতেও যখন কাজ হয় নাই
আপনি কী করেছেন??? আমাকে স্কুলের মধ্যে বাপ-মা
তুলে গালিগালাজ করেছেন, সন্ত্রাসী বলেছেন।আমার
অংক খাতায় - কে + করে আমাকে ফেল করিয়েছেন।।।
এইসবের জন্য আপনাদের কিচ্ছু বলি নাই কারণ আপনারা
আমার শিক্ষক।।।
আমার বন্ধুদের মধ্যে চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র
করে ঠান্ডা মাথার রাজনীতি,কিছু বন্ধু আছে যারা বন্ধু
নয় বন্ধুরুপী শত্রু।।।
সুযোগ পেয়ে সবার কাছে খারাপ তুই বানিয়েছিস।ভুলে
গেছিস সেই দিন গুলোর কথা???যেই দিন তোর পাশে
কেউ ছিলো না ছিলাম আমি।
তোদের বিপদের জায়গা থেকে বের করে দিয়ে আমি
একা বিপদের সম্মুখীন হয়েছি।পুলিশের হয়রানির
শিকার আমি নিজে হয়েছি তোদের হতে দেই নাই।।।
তারপরও তোরা অনেক ষড়যন্ত্র করেছিস।।।
আমাদের পুরো ফ্রেন্ডসার্কেল নষ্ট করে দিয়েছিস।
কিচ্ছু বলি নাই কারণ তোরা আমার বন্ধু।।।
অনেকে অনেকভাবে ব্যাবহার করেছে বুঝতে পারি
নাই।।।
প্রতি পদে পদে use হতে হতেএখন আমি useless।
এতোদিন মানুষের জন্য করেছি আর না।।।
সবাই শুধু আমার দোষগুলোকেই দেখেছে,আমার অন্যকিছু
দেখে নেই।।।
চাঁদের ও তো কলঙক আছে।।।
এখন মানুষ চিনতে শিখেছি।
পেয়েছি কিছু ভালো বন্ধু,শিক্ষক,আর আমার কিছু
নিঃস্বার্থ শুভাকাঙ্ক্ষী।।।।
অনেকেই এখন দেখা হলে বলে কী রে থাকিস কই??ফোন
অফ থাকে কেন তোর????
আমি চুপ করে থাকি আর মনে মনে বলি সবার অন্তরালে
থেকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করছি।।।
জানি না কী মনে করে কথাগুলো লিখলাম???
কিন্তু কথাগুলো লেখার পর নিজেকে অনেক হালকা
লাগছে।।।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.