![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় বাঁদুর,
শুনছি আজকাল হৃদয়ের মালিকানায় নিজের নামটা বেশ ঘটা করেই লিখে নিয়েছ! ঘটনা কি! হুম? আর লিখে নিয়েছ তো নিয়েছ তাই বলে অবহেলায় পরিত্যাক্ত করে রেখে দিতে হবে! এই যে মনের আনাচে কানাচে তেলাপোকার মতো উড়ে ঘুড়ে বেড়াও, ধরতে গেলেই কেন হাওয়া হয়ে যাও শুনি! আর অনেক বই পড়তে পড়তে মাথাটাতো খেয়েছ বুঝলাম তাই বলে নিজেকে গল্পের হিরো ভেবে নিয়ে মুখে দাঁড়ি- গোঁফের জঙ্গল ঝুলিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াতে হবে?! বাস্তবে হিরো তো দূর, হিরোর চামচা থেকেও যে কতটা খাটাশের মতো তোমাকে লাগে সেটাও কি তোমাকে মুখে বলে দিতে হবে! এই ছেলে এই শুনো, তোমাকে এই মর্মে আল্টিমেটাম দিয়ে দিচ্ছি যে চিঠিটা পাওয়ার সাথে সাথেই নিজেকে সুধরে নিবে নয়ত... আর শুনো তুমি প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করো না কেন? হলদে দাঁতে হাসতে তোমার লজ্জা করে না? আমার তো দেখলেই ইচ্ছে করে তোমার নাক বরাবর একটা ঘুষি দিয়ে সেখানেই বেঁহুশ তোমাকে ফেলে রেখে আসি!
আচ্ছা ঠিক আছে উড়ানচন্ডি ছেলে তুমি সে না হয় বুঝলাম তাই বলে একটা দিনও কি ক্যাম্পাসে পরিপাটি হয়ে চুল আচঁড়ে আসা যায় না? নাকি বাসায় তোমার চিরুনি নেই হুম? সে আগে বলে দিলেই তো পারতে। এবার আসছে জন্মদিনে আমি তোমাকে চিরুনিই গিফট করব, এরপরও যদি দেখি কোন একদিন এলোচুলে এসেছ সেদিন দেখবে কি করে তোমার সবগুলো চুল একটা একটা করে তুলে ফেলি আমি। তুলে কি আমি এখনও ফেলতে চাই না বলো? তোমার ঐ চোখ দু'টোই তো যত সর্বনাশ করল!
আচ্ছা তোমার ঐ চোখের দিকে তাকালে আমার কি হয় বলতো, আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় কেন? আমি যেন হারিয়ে যাই, যেন ডুবে যাই অতল ঘব্বরের কালো অন্ধকারে! কেন বেঁচে থেকেও আমি প্রতিনিয়তই মরে যাই তোমার দৃষ্টির চোরা বালিতে ডুবে গিয়ে?! এই তুমি জানো অনেক ভেবেও না আমি বুঝতে পারি না যে এমন একটা বদ চেহারার লোককে আল্লাহ কেন গরুর মতো বড় বড় কাজল কালো এতটা ভয়াবহ সুন্দর দু'টো চোখ দিবে! আমাকে তো দিলো না, এটা অন্যায়! আর এই যে তুমি, মুখশধারী গিরগিটি, বলি লজ্জা করে না তোমার ঐ পবিত্র দু'টো চোখ দিয়ে অন্য মেয়েদের দেখতে? ক্যাম্পাসের মেয়েরা সুন্দর হলেই ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে দেখেতে হবে কেন? উফ! রাগে আমার পিত্তি জ্বলে যায়! শুনো মশা দেখেছ কিন্তু মশার দাঁত তো দেখনি তাই আগেই সাবধান করে দিচ্ছি ভালো হয়ে যাও নয়ত কোনদিন না জানি ঐ চোখ দু'টো তুলে শো-কেসে মার্বেল হিসেবে সাজিয়ে রাখি, তখন বুঝবে!! উফ ভাবা যায়! মানুষ নাকি এতটা নিলজ্জ হয়? জানো আমি বেহায়া দেখেছি কিন্তু তোমার মত নিলজ্জ আমি আমার জীবনেও দেখিনি। বলি তোমার লজ্জা বলতে কি কোনদিনও কিছু হবে না?! একটা মেয়ে তোমাকে লুকিয়ে দেখছে, মনে মনে ভালোবেসে প্রতিনিয়ত জ্বলে পুড়ে মরছে সেদিকে তোমার একটুও খেয়াল নেই?! এত কেন অবহেলা করো তুমি আমাকে? এত কিসের ভাব তোমার? আমার কষ্ট হয় না বুঝি? আমার খারাপ লাগে তুমি কি একটুও বুঝ না?
মনের বারান্দায় রোদ হয়ে ঘুড়ে বেড়াও আর হৃদয়ের মন্দিরে দেবতার আসনে বসে থেকেও দেখতে পাও না যে ক্রমশ চোখের পাতায় কালো মেঘ জমাট বদ্ধ হয়ে আকঁড়ে ধরছে আমায় বিষন্নতায়! কখন না জানি প্রচন্ড বর্ষণে ভাসিয়ে দিবে তোমাকে, তখন আবার প্রশ্ন করো না যেন কেন অশ্রুর বণ্যায় ভাসিয়ে দিলাম তোমায়!
তারচেয়ে না হয় একবার ডেকে বললেও তো পারো, এই মেয়ে এই এত যে ভালোবাস আমাকে তা লুকিয়ে কেন রাখ? চোখে চোখে আর কি কথা হবে, তোমার যে টিকটিকির মত ছোট ছোট চোখ! তারচেয়ে মুখে যদি বলতে না পারো তবে আক্ষেপ ছেড়ে এসো হৃদয়ে হৃদয়ে কথা বলি। অশ্রুর বণ্যা রেখে এসো ভালোবাসার বণ্যায় ভাসিয়ে দিয়ে যাও, অনেক অনেক ভালোবাসা দিয়ে আমাকে উঁড়ায়ে দিয়ে যাও....."
দেখে নিও তুমি, একদিন আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসায় ঠিক উঁড়িয়ে দিব, ঐ মেঘের নীলিমায় তোমাকে আমি গড়ে দেব স্বপ্নের নীড়। সেখানে শুভ্র মেঘের ভেলায় তুমি উঁড়ে উঁড়ে বেড়িও। আমি তো শুধু বলব, তোমার ঐ মেঘের ভেলায় আমারে নিবা মাঝি?!!!
ইতি,
(তুমি ডাকলেই হতে পারি)
তোমার ইঁদুর।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৯
এ.টি. নূর শেখ লিটা বলেছেন: ছবিটা গুগল থেকে নেয়া। আমারও ছবিটা অনেক পছন্দ হয়েছে আপা
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব খুব ভালো লেগেছে
০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৮
এ.টি. নূর শেখ লিটা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আর শুনো তুমি প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করো না কেন? "
-ইয়াক, বাকীরা ক্লাশরুমে থাকে কি করে?
৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
এ.টি. নূর শেখ লিটা বলেছেন: হাহা.... :p
এইটা কিছু হইল?!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
কানিজ রিনা বলেছেন: স্বর্গীয়ছব।