![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাস সেভেনে এসে দেখলাম ক্লাসের ছেলেরা টিফিনের সময় কাধে ব্যগ নিয়ে চলে যেত। কিন্তু তারা আর স্কুলে আসত না। বুঝতাম না তখন এরা কি করত। একদিন এক বন্ধুকে জিগাস করলাম এরা এমনভাবে টিফিনের সময় কোথায় যায়। আমার বন্ধু বলল "এরা বাসায় চলে যায় আর এটাকে বলে স্কুল চুরি করা। তাহলে আর বাকি ক্লাস গুলো করতে হয় না, বাসায় গিয়ে ইচ্ছা মত টিভি দেখা এরা।" আমার এই বন্ধুও অনেক বার স্কুল চুরি করেছে। তখন ভাবতাম এতে কোন সমস্যা হয় না। কারন ক্লাস সেভেনে স্কুল চুরির জন্য শাস্তি দিত না।
.
একদিনের ঘটনা।
টিফিনের পরের ঘন্টায় আয়েশা ম্যাডামের ক্লাস। আর তার ক্লাস নিয়ে ক্লাসের সব স্টুডেন্ট খুব ভয়ে থাকে। সবসময় হোম ওয়ার্ক এবং ক্লাস ওয়ার্ক দেখেন আর না পারলে ইহা মোটা এক বেত দিয়ে পেটাতেন।
একদিন ওনার হোম ওয়ার্ক করি নাই এবং ক্লাসের পড়াও পড়ি নাই। তাই ওনার পিডা খাওয়ার খুব ভয় লাগছিল। আমি এগুলো নিয়ে ক্লাসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ আমার এক বন্ধু অফার করল স্কুল চুরি করতে। অনেক চিন্তার পর রাজি হলাম।
.
টিফিনের সময় স্কুল থেকেই আমাদের টিফিন দেয়। তারপর টিফিন খেয়ে নিজের ব্যাগ কাধে নিয়ে আমরা ৩ বন্ধু বেরিয়ে পড়লাম। স্কুলের সামনে দিয়ে গেলে স্যাররা দেখে যাবে তাই পিছনের ঝোপ ঝাড় দিয়ে সোজা গেলাম রেলস্টেশন। আমাদের স্কুলের পিছনে ছিল রেলস্টেশন।
কিন্তু সেখানে ঘটল ঘটনা। আমরা তিনজন স্কুল দ্রেস পরা অবস্থায় দোড়াচ্ছিলাম। রেল স্টেশনের পুলিশ আমাদের দোড়াতে দেখে সন্দেহ করলেন। আরও পুলিশ নিয়ে আমাদের থামালেন। আমাদের সোজা নিয়ে গেল স্টেশন মাষ্টারের রুমে। নিয়ে জিগাস করল
-কোথায় যাচ্ছ?
-বাসায় যাচ্ছি।
-দোড়াচ্ছ কেন?
-স্যররা দেখলে পিটাবে তাই।
-স্কুলের জিনিষ চুরি করলা নাকি।
-বিশ্বাস করেন আমরা কিছু চুরি করি নাই, আমরা চোর না স্টুডেন্ট।
কিন্তু পুলিশের বিশ্বাস হল না। আমাদের ৩ জনকে ভালোভাবে চেক করলেন। সন্দেহ জনক কিছুই পেলেন না।
তারপর আমাদের বল্লেন
-তাহলে তোমরা স্কুল চুরি করে পালাচ্ছিলে।
-জি।
-এখন স্কুলে খবর দিব?
-না না স্যার, এরপরের ঘন্টায় অনেক কড়া মেডাম, স্কুলের পড়া শিখি নাই, এখন দেখলে তো আরও পিটাবে।
-স্কুলের পড়া শিখ নাই, আবার স্কুল পলায়ন?
তিনি শাস্তি সরুপ আমাদের ওই রুমে ২০ বার কান ধরে উঠ বস করতে বললেন।
আমরা তা করলাম।
তারপর তিনি বললেন "প্রতেকদিন পড়ে শিখে স্কুলে যাবে, আর কখনো স্কুল পলায়ন করলে জেলে ডুকিয়ে দিব।"
এতক্ষন অনেক গম্ভির ভাবে কথা বলছিলেন। কিন্তু কথা শেষ করে তিনি একটু হাসলেন। ভয় কেটে গেল।
.
রাস্তায় একবারো না দাড়িয়ে সোজা গেলাম বাসায়। আম্মুতো খুবই গরম? স্কুল পলায়ন কেন করলাম। অনেক শাসন করল আম্মু। আম্মুকে আর রেলস্টেশনের কথা বললাম না। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম আর কিছুক্ষন আগের ঘটনা চিন্তা করছিলাম। হঠাৎ এক অবাক কান্ড দেখলাম। আমার স্কুলের অনেক ছাত্র বাসায় চলে যাচ্ছে। আমার এক ক্লাসমিটের বাসা ছিল আমার পাশের বাসায়। সে বাসায় চলে আসল। তখন আমি তাকে জিগাস করলাম সেও কি আমার মত স্কুল চুরি করল কিনা। কিন্তু ও যে উত্তর দিল তা শুনে আমি তো আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছে। টিফিনের পর আর কোন ক্লাস হয় নি।
আমি কি উত্তর দিব তা ভেবে কুল পাচ্ছিলাম না। শুধু চিন্তা করছিলাম এত কষ্ট কষ্টই রয়ে গেল। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে আর কখনো স্কুল চুরি করব না। কিন্তু প্রতিজ্ঞাটি আর রাখা হয় নি।
২| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
মোঃ জুম্মা বলেছেন: স্কুল পালানোর সুযোগ হয়নি কারণ স্কুলের প্রচীর ছিল মারাত্মক রকম উঁচু । আপনা ঘটনা শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
৩| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০০
ইউক্লিড রনি বলেছেন: ভাই, ছুডোকালে বড্ড ভোদাই ছিলেন দেখচি।
লিখা সুন্দর হইসে।
৪| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৬
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: প্রথম প্রথম তো একটু ভোদাই ছিলাম। তবে আস্তে আস্তে কাইটা উঠতে বেশি দিন লাগে নাই।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, ভাল লেগেছে, নস্টালজিক হলুম।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৩
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৪
তুরাগ হাসান বলেছেন: ভাই আমরা ক্লাস ৯ ১০ এ , পুরা ক্লাস ের ৪৮ টা ছেলে এক সাথে পলাইতাম।
আমাদের ক্লাস এর ১০ টা ছেলে যাইত গার্লস স্কুল এর সামনে। ১০ টা যাইত , রূপসার ঘাটে প্রেম করতে। ১০ টা যাইত বাসায় ( আবাল গুলা আর কি )
আর বাকি পোলাপাইন আমরা সার্কিট হাউজের মাঠে ক্রিকেট খেলতাম। golden days man
৮| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: চোরা রুপম
৯| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০১
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: তুরাগ ভাই ক্লাস ৯, ১০ তো পুরা আমাদের স্কুলের মত আপনারটা। সরকারি স্কুলতো তাই স্কুল চুরির জন্য ধরত না।
১০| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:২৪
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন:
আইচ্ছা এই কাহিনী :প কতবার পলাইছি হিসাব নাই
১১| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪১
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: স্কুল পালানির অভিজ্ঞতা দেখি সবারই একটু আকটু আছে!
১২| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০৬
বাংলার হাসান বলেছেন: জ্বি আপনার স্কুল পালানো সার্থক। বানান ভুলের হালকা কিছু দিলাম, আপনার স্কুল পালানোর সনদ হিসেবে।
জিগাস না জিজ্ঞাসা হবে
দেখা না দেখে হবে
দ্রেস না ড্রেস হবে
দোড়াচ্ছিলাম না দৌড়াচ্ছিলাম হবে
দোড়াতে না দৌড়াতে হবে
১৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২১
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: হা হা হা
১৪| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৩৪
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: হাসান ভাই ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০২
অনন্ত আরেফিন বলেছেন: কলেজিয়েট স্কুল নাকি?? আমার স্কুল পালানোর প্রিয় রুট ছিল বিএনসিসির রুম এর রাস্তাটা
১৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০৫
আদিম পুরুষ বলেছেন: স্কুল পালিয়ে টাইটানিক দেখেছিলাম সিনেমা হলে। ক্লাস এইটে।
১৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: আমাদের সময়তো সিনেমা হলে যেতেও রুচিয়ে দিত না, এত খারাপ পরিবেশ ছিল।
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: স্কুল পালানি আসলেই দারুন এডভেঞ্চার ছিল...... কলেজে উইঠা এতো পালাই তাও তখনকার মতো ফিলিংস হয় না.....
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: ৯-১০ এ কত্ত যে পালিয়েছি। প্রিন্সিপালের রুমের সামনে দিয়ে ভুত কসরত করে পালাতে হতো। কোন কোন দিন বাচ্চাদের ছুটি হলে ওদের সাথে দৌড় দিতাম। কোন দিন প্রিন্সিপাল/ভাইস প্রিন্সিপাল টের পেলে দারোয়ান দিয়ে ডাকাতো। ডাকদিলে বরং পেছনে না তাকিয়ে খিচে হায়া দিতাম