নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনি কি গল্প পড়তে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন

নিত্য নতুন জিনিষ দেখছি নতুন করে শিখছি ফেইসবুকে আমি http://facebook.com/rupam71

রুপম শাহরিয়ার

রুপম শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসক ধর্মঘটের সময় যদি কেউ মারা যান তবে তার দায় কার?

০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

২০১২ সালের ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল ইসলামেরমলদ্বারের অস্ত্রোপচার করার সময় শরীরের ভেতর সুচ রেখে দেন চিকিৎসক মো. সুরমান আলী। তিনি চট্টগ্রামমেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাপারোস্কপিক, কলোক্টেরাল ও জেনারেল সার্জন। অস্ত্রোপচারের পর প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগতে থাকেন আমিনুল। তাঁর মনে হতে থাকে, অপারেশনের স্থানে কিছু একটা রয়ে গেছে, একথা চিকিৎসককেওজানান তিনি। পরে আরও দুই দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়। আমিনুলের ধারণা, এই দুই দফা অস্ত্রোপচারে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে আসলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতারণা করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। শারীরিকঅবস্থা আরও খারাপ হলে চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে হয় তাঁকে। গত বছরের ৩০ জুন অ্যাপোলো হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে সুচটি বের করেন সেখানকার চিকিৎসক। এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলাকরেন আমিনুলের মা। আরেকজন চিকিৎসক জাকির হোসেন অবশ্য দাবি করেন, যে অস্ত্রোপচারটির সময় শরীরে সুচ রেখে দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন। তাঁর কাছে আমিনুল এসেছিলেন অন্য একটি সমস্যা নিয়ে। তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।আত্মসমর্পণের পর সুরমান আলীর জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

চিকিৎসকদের পেশা ঝুঁকিপূর্ণ এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। চিকিৎসার ত্রুটি বা অবহেলার কারণে রোগীর নানা সমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্তহওয়ার ঘটনা এ দেশে যেমন ঘটছে, বিদেশেও এর নজির আছে। কিন্তু ব্যতিক্রম তো নিয়ম নয়। আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা প্রায় নিয়মে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেকি না, এ প্রশ্নটিই আজ বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভুলচিকিৎসার কারণে, অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ আত্মীয়স্বজন হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকে ভাঙচুর চালানোরঘটনা পত্রপত্রিকায় দেখা যায় প্রায়ই। এটা কাঙ্ক্ষিত নয় মোটেই, এতে শেষ পর্যন্ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় অন্যান্য চিকিৎসাপ্রার্থীকে। তদুপরি অনেক সময় চিকিৎসকদের ত্রুটি ছাড়াও রোগীর আকস্মিক মৃত্যু তো ঘটতে পারে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ আত্মীয়স্বজনের এসব হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গেচিকিৎসকদের ওপরএকধরনের অবিশ্বাস বা আস্থাহীনতার সম্পর্ক আছে কি না ভেবে দেখতে বলি চিকিৎসক সমাজকে।

অধিকাংশ রোগ নির্ণয়কেন্দ্রের সঙ্গে চিকিৎসকের যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ আছে। এসব কেন্দ্রে রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের শতকরা ৩০ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ান্তে চিকিৎসকের কাছেপৌঁছে দেওয়া আজ অলিখিত নিয়ম। বেশির ভাগ রোগনির্ণয় কেন্দ্রে টেকনিশিয়ানদের দেওয়া রিপোর্টের ওপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা শুধু স্বাক্ষর করে দায়িত্ব সারেন, এমন অভিযোগও নতুন নয়। ফলে একেকটি রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে একেক রকম রিপোর্ট পাওয়া যেমন আজ স্বাভাবিক ঘটনাহয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি রোগীর দেহে ভুল করে দুরারোগ্য রোগের অস্তিত্বআবিষ্কারের মতোঘটনাও তো ঘটছে। এ ছাড়া ওষুধ কোম্পানিগুলোর ‘উপহার-উপঢৌকন’ গ্রহণ যেখানে নিয়মিত ও স্বাভাবিক ঘটনাহয়ে দাঁড়ায়, সেখানে চিকিৎসকদের নৈতিকতার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।

আমিনুলের মায়েরমতো সবাই আদালতে যান না বটে, কিন্তু বিশ্বাসে তো ফাটল ধরে। বলি না এ দেশে যোগ্য,দক্ষ ও ভালো চিকিৎসক নেই। কিন্তু নানা কারণে দেশের চিকিৎসক ও পুরো চিকিৎসাব্যবস্থা আজ ভাবমূর্তির সংকটে। চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ‘প্রতিবাদ কর্মসূচি’ সেই সংকটকে আরও গভীর করবে।

সুরমান আলীর বিরুদ্ধে মামলাও গ্রেপ্তারের বিষয়টি যদি অন্যায় ও অন্যায্য মনে হয়, আদালতে যেতে পারত বিএমএ। আইনি লড়াইয়ের পরিবর্তে রোগীদের জিম্মিকরে ‘পেশাগত মর্যাদা অটুট রাখার’ প্রক্রিয়াটি তাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই থাকল। আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত যেমন বলেছেন, ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নামে চিকিৎসকদের এই আন্দোলন বেআইনি। এর মাধ্যমে তাঁরা আদালত অবমাননারধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে অপরাধীকে ছাড়ানোর জন্য আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।’

মাত্র কয়েক দিন আগে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ধর্মঘটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চমেক শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির ওপর ছাত্রশিবিরের কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন ইন্টার্নি চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। এতে একদিকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন রোগীরা, অন্যদিকে তাঁদের আত্মীয়স্বজন পড়েছিলেন কঠিন দুর্ভোগে। রোগীর দেখভাল করা, দোকান থেকে ওষুধ বা বাড়ি থেকে খাবার আনা-নেওয়ার সুযোগও পাননি অনেকে।

ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ আমাদের দেশে নিয়মিত ঘটনা। সতীর্থেরওপর হামলা-সহিংসতা হলে তার প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করবেন ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা। কিন্তু মেডিকেলকলেজের শিক্ষার্থীদের তো মনে রাখতে হবে, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি মানুষের সবচেয়ে দুঃসময়ের আশ্রয়স্থলও!

যা-ই হোক, চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের প্রসঙ্গটিতে ফিরে আসি। আর কদিন এ কর্মসূচি চলবে এমন এক প্রশ্নের জবাবেবিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি বলেছেন, যত দিন পর্যন্ত এ মামলা প্রত্যাহার ও আটক চিকিৎসককে মুক্তি দেওয়া না হবে, তত দিন এই কর্মসূচি চলবে।

সবিনয়ে প্রশ্ন করি, এই সময়ের মধ্যে যেসব রোগী চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়বেন, মৃত্যুবরণ করবেন—তার দায়কার? এই রোগীদেরঅনেকেই দিনের পর দিন এই চিকিৎসকদের চেম্বারে গিয়ে টাকা দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন, চিকিৎসার ধারাবাহিকতা রক্ষার ন্যূনতমদায়টাও কি অস্বীকার করতে পারেন তাঁরা? মানুষের জীবন-মরণের ব্যাপারটি সামনে রেখে যাঁরা ‘সংশ্লিষ্ট মহল’-এর সঙ্গে দর-কষাকষি করতে চান, তাঁদের কর্মসূচিকে আর যা-ই হোক ‘মানবিক’ বলার উপায় নেই।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

এক্সপেরিয়া বলেছেন: চিকিত্‍সকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই সোচ্চার থাকব....

২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: অবশ্যই।
তারা চিকিৎসক বলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে না।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কার দায় ? সবার একটু নমনীয় থাকা উচিত ! ভুল ও করেছেন আবার লাফাবেন ও ! মানতে পারিনা , ভুল মানুষের হতেই পারে ! স্বীকার করেন !

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: কেউ দায় নেবে না । কারণ এদেশে প্রভাবশালীদের শাস্তি হয় না ।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: আমার কথা হচ্ছে ভুল যখন করেছে শাস্তি হোক। তাই বলে ডাক্তাররা চিকিৎসা বন্ধ করবে কেন?

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাংলাদেশের চিকিৎসকরা অবহেলা করেন এমন অনেক অভিযোগ আছে।ব্যাপরটা কষ্টদায়ক। মানবসেবায় নিবেদিত হওয়ার মনমানসিকতা না থাকলে তাদের ডাক্তার হওয়া অনুচিত। সুন্দর পোস্টে ভাল লাগা ।

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০১

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার সাথে একমত সেলিম ভাই।
মানুষ ডাক্তারদের অনেক বিশ্বাস করে। ডাক্তারদের উচিত আরো যত্নবান হওয়া।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৭

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: কার দায়? এক কথায় স্বাধীনের পর থেকে স্টার্ট করে বঙ্গবন্ধু-জিয়া-এরশাদ,খালেদা, হাসিনা সবাই দায়ী। এরা দেশটাকে উৎসাহের সাথে নানা ভাগে বিভক্ত করে গেছেন। কারও মাঝে পেশাগত দায় বোধ জাগ্রত না করে - সর্ট কাটের সিসটেম টা এরা ভালই শিখায় গেছেন। রাজনৈতিক বিভক্তি ছাড়াও, নানা পেশাজীবি সংগঠন, সমিতি, উমিক তমুক, হাবি জাবি করে ব্যস্ত অপ্রয়োজনীয় সময় কাটানোর ফলে সবারই মোটমাট রেসপন্সিবলিটি নামক জিনিষ্টার করপুরের মত উবে গেছে। দায়ীত্ববোধ থেকে আজ আমরা বেশি গুরুত্ব দেই নিজের স্বার্থ রক্ষাকে। প্রয়োজনের তাগিদেই আমরা আজ শক্তিশালী এক একটা গোত্রভুক্ত এবং অন্যকে একহাত দেখে নেওয়ার মারাত্নক ছোয়াছে রগাক্রান্ত। জানিনা বুঝাইতে পারলাম কিনা!

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩০

নাইট রিডার বলেছেন: ভাল লিখেছেন

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪০

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার কথা বুজেছি পাস্ট পারফেক্ট ভাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪২

আরজু পনি বলেছেন:

সাধারণ জনগনেরও যেমন ধৈর্য্যশীল আচরণ করা উচিত, তেমনি ডাক্তারেরও আরো অনেক বেশি মানবিক ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

ডাক্তারদের ভাবা উচিত দেশের মানুষের প্রত্যাশা আর যে কোন পেশার চেয়ে তাদের প্রতি বেশিই।।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৮

মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: সরকারী হাসপাতাল বন্ধ না. .প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ. .মরণাপন্ন কোন রুগীকে প্রাইভেট চেম্বারে নেয় না. .নেয় হাসপাতালে. .ডাক্তারদের বাড়তি ইনকাম আসে এই চেম্বার থেকে কারণ ১৭হাজার টাকা দিয়ে কারো সংসারই চলে না. .ডাক্তারদের বিনা দোষে হাতকরা পড়ানো যাবে. .উঠতে বসতে গালাগাল দেয়া যাবে কিন্তু ডাক্তাররা তাদের হয়রানির প্রতিবাদে চেম্বার বন্ধ রাখতে পারবে না..খুব ভাল কথা..এগুলা বড়লোক ধান্দাবাজদের শায়েস্তা করতে করা..গরীব আর মরণাপন্নরা সরকারী হাসপাতাল আর ক্লিনিকগুলোতে সেবা পাচ্ছে..কেউ মরছে না..শুধু গাড়িওয়ালাদের গরীবদের সাথে হাসপাতালের বেন্চিতে বসতে হচ্ছে..প্লাস দিতে পারলাম না সরি..

আর এবার আসি চিকিৎসায় অবহেলায়..নিডলের ভাঙা অংশটি দূর্ঘটনাক্রমে থেকে যাওয়ায় পরবর্তীতে ডা: সুরমান বিনা ফি তে দুইবার এবসেস ড্রেন করে দেন..এটি অস্ত্রপ্রচার না..অনেকটা ফোড়া কাটার মত ব্যাপার..ডা: সুরমান তাকে সুচটি বিনামূল্যে বের করে দেবার আশ্বাসও দেন..কিন্তু তারা অপেক্ষা নাকরেই ভারত চলে যান..এসে ২৫লাখ টাকা দাবি করেন ক্ষতিপুরণ রুপে..একবছর নানাভাবে হুমকি ধামকিও দেন..শেষ পর্যন্ত আদায় করতে না পেরে মামলা করেন..পুলিশ উনাকে হাতকরা পড়িয়ে থানা হাজতে নেন..উনার মত এত বড় ডাক্তারের এই ভুল অবশ্যই কাম্য নয়..উনি দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি পাবেন..কিন্তু কথা হল কোন ১ম শ্রেণির কর্মকর্তাকে পুলিশ খুনের মামলা ছাড়া হাতকড়া পরাতে পারে না..মেডিকেল নেগলিজেন্স একটি জামিনযোগ্য অপরাধ..এবং অপরাধ প্রমাণের আগে জেল হাজতে পাঠানোও আইন বহির্ভূত..

কিন্তু কথা হল আপনারা এক পক্ষীয় কথা শুনেই নেমে পরেছেন ডাক্তারের গলা কাটতে..অথচ কিছুদিন আগেও সাভারের ঘটনায় আপনারা তাদের বললেন ২য় ঈশ্বর..এ কি শুধুই সস্তা ফেমের জন্য?কিংবা আপনারা একবারও ভেবে দেখেছেন কি সরকারী হাসপাতালের এত কম সুযোগ সুবিধায় আপনারা বেঁচে আসেন কি করে?এ দেশে অসুস্থ মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা সবচেয়ে বেশী আসে মেডিকেল গুলো থেকে..সবচেয়ে বেশী রক্তদাতা এই মানুষগুলোই..আমাদের দায়িত্ব আপনাদের চিকিৎসা দেয়া..আর্থিক সহায়তা বা রক্ত দেয়া না..তবুও যখন আপনাদের বেশীরভাগকে ডাক্তারদের শত্রু ভাবতে দেখি তখন আপনাদের রক্তচোষা ছাড়া কিছু মনে হয় না..

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৯

কালো রাজপুত বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত পোষন করছি

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: মায়াবতী নীলকন্ঠি আপু আপনার মনে হয় সরকারী হাসপাতাল সমন্ধে কোন আইডিয়া নাই। সেখানে বেডে রুমে বারান্ধা এবং কখনো কখনো সিড়িতেও শোয়ানো হয়। আর শহরে কয়েটা সরকারী হাসপাতাল আছে? হাতে গোনা ৩ থেকে ৪ টা। আর কোন ডাক্তারকে জেলে ডুকানো হইছে এই জন্য তো ডাক্তাররা রোগী দেখানো বন্ধ করতে পারে না! ৬০ লক্ষ মানুষের একটা শহর কি শুধু ৩ থেকে ৪ টা হাসপাতালেই চলবে?

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫১

মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: ভাইরে বাংলাদেশের সাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কে তোমার যে কোন আইডিয়াই নাই এইটা খুব ভাল মত বুঝতেছি..বাংলাদেশে এখন মেডিকেল কলেজই আছে ২৩টা..প্রতিটা জেলা,উপজেলা,থানা,এমনটি ইউনিয়নগুলোতে আলাদা আলাদা সরকারী হাসপাতাল আছে..বেসরকারী চিকিত্‍সা নেবার সামর্থ্য আছে কতজনের এদেশে?সরকারি হাসপাতালই মানুষগুলোর ভরসা..আর হাসপাতাল সম্পর্কে আমার জ্ঞান?আমি সিটসংখ্যা হিসেবে বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম সরকারি মেডিকেল (বরিশাল মেডিকেল কলেজ) এ ফাইনাল ইয়ারে পড়ি..আর কিছু বললাম না :)

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৬

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: এই দেশের ডাক্তারদের আরো বেশি মানবিক হতে হবে।এটাই মুল কথা।

ধন্যবাদ

১৭| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৮

বহুব্রীহি বলেছেন: @মায়াবতি নীলকন্ঠী -

আপনি ডাক্তারী পেশায় কর্মরত বা অধ্যায়ন রত আছেন কিনা জানি না। আপনার কাছে একটা প্রশ্ন আমার বাংলাদেশে কর্তব্য পালনে অবহেলার কারণে ঠিক কতজন ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে গত পাঁচ বছরে? পরিসংখ্যান টা বলতে পারবেন?


এই লিংকে কষ্ট করে যান আর দেখেন আমেরিকার ফ্লোরিডা স্টেটে কেবল ২০১১ সালেই লাইসেন্স খুইয়েছেন একশ জনের উপরে। তাহলে বলতে হয় বাংলাদেশের ডাক্তাররা আমেরিকার চিকিতিসকদের চেয়ে বহু বহু গুন পারদর্শী কারন গত পাঁচ বছর তো বটেই গত পনেরো বছরে কারো লাইসেন্স বাতিল হয়েছে কিনা সন্দেহ।

আপই যেভাবে বলছেন - রোগী আরমান পরপর তিনবার একই ডাক্তারের কাছে পরিচর্যার পর যেই চিকিৎসকের ভুলের কারণে তার ত্রাহি মদূসূদন অবস্থা আবার তার কাছেই পুনরাবার অস্ত্রোপচার না কয়রে মহা মহা মহা ভুল করে ফেলেছেন? লাইসেন্স বাতিল তো দূর কি বাত ক্ষতিপূরন চেয়ে তিনি আরো বড় পাপ করেছেন?

তা পঁচিশ লক্ষ টাকাটা বড় নাকি একটা মানূষের জীবন এর মূল্য বড়?

যদি ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড এর কোন কান্টড়িতে এই জিনিশ হত তাহলে বিশাল মাল্টি মিলিয়ন ডলারের জরিমানা তো বটেই এর লাইসেন্স বাতিলের জন্য একবারের বৈ দুবার চিন্তা করত না মেডিকেল সমিতি। কারন তিনি যে ভূলটা করেছেন সেটা খুবই মারাত্মক এবং নভিস ভূল। ওর মত একজন বয়স্ক ডাক্তারের এই ভূলটি এটাই প্রমান কয়রে উনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ন রূপে অযোগ্য।

নিজের পেশাকে আর দশটা পেশার মত ভাববেন না। প্রতিটা ডাক্তারকে একটা পবিত্র শপথ (oath) নিতে হয়। সেটা মনে আছে তো?

একজন প্রকৌশলীকে যদি ত্রুটিপূর্ন ডিজাইনের কারণে ফৌজদারী মামলার আসামী করা যায় তবেই ডাক্তারদের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কারণে কেন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে না?

ভদ্রলোক সরাসরি আদালতে গিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছেন। কারন যেভাবে এক কোটি টাকা জামিন দিয়ে এই চিকিৎসককে ছাড়িয়ে নেয়া হল, চিকিৎসকরা যেভাবে রোগীদের জিম্মি করে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে এটা প্রমানিত এই পেশায় থাকা অনেকেরই আঈনের প্রতি শ্রদ্ধা নাই। তারা নিজেদেরকে জাবাবদিহিতার উর্দ্ধে ভাবেন। তারা এরকম আচরণ করে এটাই প্রকাশ করে দিলেন যদি আমিনুল তাঁদের কাছে সুবিচার চাইতে যেতেন তবে থাকে ঘোরানো হত, অপমান করা হত এবং সুরমান আলী এই ফাঁকে আরো মানূষের গলা কেটে নিজের পকেট বোঝাই করতেন।

১৮| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫১

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: বহুব্রীহি ভাইয়ের সাথে একমত। ধন্যবাদ ভাই।

১৯| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: উনাদের নমনীয় হওয়া উচিত ।

২০| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: একমত ঘুড্ডির পাইলট ভাই।

২১| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

সোহাগ সকাল বলেছেন: ভালো বলেছেন। নিয়মিত পোস্টান।

২২| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০২

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৪

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: কি খবর?

২৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫০

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ভালো আছি। আর আপনাকে খুবই মিছ করছি ভাই।

২৫| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মায়াবতী নীলকন্ঠি কথাগুলো ঠিক বলেছে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

সোহাগ সকাল বলেছেন: একজন ডাক্তার তো আগে একজন মানুষ, তারপর ডাক্তার। মানুষের ভুল হতেই পারে। অন্যায় করলে ডাক্তার হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেই পাবে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

তাসজিদ বলেছেন: বাংলাদেশের ডাক্তার রা লোভি। টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

তাসজিদ বলেছেন: আবার তাদের পেশা নিয়ে কিছু বলবেন তারা ফুঁস করে উঠবে। X( X( X( X( X( X( X(

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

বাংলার হাসান বলেছেন: সুন্দর লিখছো রুপম।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রিপেনডিল বলেছেন: জরুরী চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে কখনো হাসপাতালে ধর্মঘট দেয়া হয় না। ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্বাধীন দেশে প্রতিবাদ, আন্দোলন করার অধিকার দেশের সব পেশার মানুষেরই আছে। আমেরিকার উদাহরন দিলেন লাইসেন্স হারানোর ব্যাপারে, তাহলে সেখানকার চিকিৎসা ব্যাবস্থার মত আমাদের দেশেও ব্যাবস্থা করা উচিত। উন্নত বিশ্বে সরাসরি বিশেষজ্ঞের কাছে কোন রোগী যায় না, আগে জেনারেল ফিজিশিয়ান দেখেন এরপর তিনি রেফার করেন। আমাদের দেশে জ্বর পাতলা পায়খানে হলেই বিশেষজ্ঞ খুজি। সুতরাং চেম্বারে চাপ তো বাড়বেই। একজন ডাক্তার চেম্বার করবেন কি করবেন না এটি তার সম্পূর্ন নিজস্ব ব্যাপার। তিনি তার কর্মক্ষেত্রে কি করছেন সেটাই দেখার বিষয়। আমাদের জরুরী চিকিৎসাসেবা দেবার জন্য সরকার হাসপাতালগুলোই যথেষ্ট, এছাড়া প্রাইভেট হাসপাতাল তো আছেই। লাইসেন্স হারানোর ব্যাপারে যে কথা বললেন এই নিয়ম আমাদের দেশেও আছে, কিছুদিন আগেই একজন ভুয়া ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে একজন ডাক্তার রোগী ব্যাপারে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা সেটা বিচার করার দায়িত্ব আরেকজন চিকিৎসকের, তিনি যদি রায় দেন তাহলে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিতে পারে। এটি পৃথিবীর সব দেশেই প্রচলিত।

উপরে একজন বললেন বাংলাদেশের ডাক্তারেরা লোভী, টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না তার জন্য পরামর্শ যে দেশের ডাক্তারেরা বিনা পয়সায় চিকিৎসা করেন সেখানে যান, এমন দেশ কিছু আছে, সেই দেশের নাম বাংলাদেশ। প্রায় বিনা পয়সায়, সরকারি হাসপাতালে লক্ষাধিক টাকার অপারেশন হয়। কিন্তু আমরা জাতি হিসেবে বড়ই আরাম প্রিয় তাই সরকারি হাসপাতালে না যেয়ে চেম্বার আর ক্লিনিকে দৌড়াই।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.