নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিথ্যার অন্বেষণে

অকৃতজ্ঞের চেয়ে অধম

এস কে এস আলী

আশায় আশায় বুক বেঁধে রই

এস কে এস আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কোন পথে

২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪



সেদিন মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে দেখলাম একটি ছেলে যার বয়স সম্ভবত ৪ থেকে ৫বছরের মত হবে ।তার পরনে ছিল পান্জাবী পায়জামা ।জামাটি অনেকটা ময়লাযুক্ত ছিল ।দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ছেলেটি কোন স্বচ্ছল পরিবারের না ।তবে তার চেহারাটি ছিল অত্যন্ত মায়াবী ।ফর্সা চেহারার কালো দুটি চোখ সামনের দিকে তাকিয়ে আছে এক গভীর দৃষ্টিতে ।মনে হয় বর্তমানের সে একজন একাগ্র চিন্তানায়ক ।তার নামাজ পড়ার মধ্যে ছিল পূর্ণ মনোযোগ আর গভীর ভাব ।যদিও হয়তো সে জানেনা যে নামাজের মধ্যে কি বলতে হয় ।পেছন থেকে অন্য দুটি ছেলে (যারা তার চেয়ে বয়সে বড় হবে )মুখ টিপে হাসছিল আর সেই ছোট্র ছেলেটির মনোযোগ তাদের দিকে ফেরাতে চাইছিল ।আমি ছেলেটির পাশে বসার কারণে তার ব্যতিক্রমধর্মী ভঙ্গিমার জন্য তার থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলামনা ।কিন্তু নামাজ ছাড়া তার আর কোনদিকেই ভ্রূক্ষেপ ছিলনা ।সম্ভবত এই কারণে যে সে আজ এমন একজনের সামনে সিজদা করতে এসেছে যিনি সারা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা,নিয়ন্ত্রণকর্তা আর যিনি এ পৃথিবীর সকল ক্ষমতার অধিকারী,যার নির্দেশগুলো পালন করার জন্যই তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে আর একমাত্র তারই কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য সে হাজির হয়েছে এবং সে এই বিশ্বাসটুকুও করছে যে তার প্রতিটি ভাল এবং মন্দ কাজের জন্য তাকে যথাযথ পুরস্কার এবং শাস্তি দেয়া হবে সেইদিন যেদিন সে থাকবেনা ।ছেলেটির দিকে তাকিয়ে মনে হল সে এখন যে জিনিসটি বিশ্বাস করছে,এখন তার যে নিস্পাপ চিন্তাভাবনা,এ চিন্তাভাবনা নিয়েই সে যদি বেড়ে উঠে বড় হয়ে সে কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে পারেনা অথবা নিজে কোন অন্যায় করতে পারেনা ।কারণ তার মন জানবে যে সে যে নিয়ণ্ত্রণকর্তার উপর বিশ্বাস এনেছে তিনি অন্যায় করতে নিষেধ করেছেন ।এরকম লাখো লাখো নিস্পাপ শিশু নিয়েই আমাদের এ সমাজ ।মহানবী (স) বলেছেন প্রতিটি শিশুই মুসলমান হিসেবে জন্মগ্রহণ করে অথচ তার পিতামাতা কাফির বা মুশরিক বানায় | ছোট্র ছেলেটির এখন যে চিন্তাভাবনা আর সে যখন এ চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়েই বড় হচ্ছে আর এ নিষ্পাপ চিন্তাভাবনার মানুষেই যদি এ সমাজটা ভরপুর থাকতো তাহলে হয়তো এখানে শোনা যেতনা ইভটিজিং এর আর্তনাদ,এসিড নিক্ষেপের মত ঘৃণ্য কাজ,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাইয়ের ঘটনা,টাকার লোভে একজন আরেকজনকে খুন করার ঘটনা দিয়ে পত্রিকাগুোল ভরপুর থাকতনা,বখাটেদের অত্যাচারে অসংখ্য মেয়েকে ঝরে পড়তে হতোনা স্কুল বা কলেজ থেকে ।গরিবের ধন ধনীদের মাধ্যমে চুরি করতে গিয়ে অবশ্যই বিবেকে টান পড়তো,অসহায় খুজে পেত তার নিরাপদ আশ্রয়,ঘুষ,দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সরকার কর্তৃক জনগণের সম্পদ লুটের ঘটনাও ঘটতনা ।শান্তির সুবাতাসে সমাজের প্রতিটি কলকব্জা ভরে যেত ।অথচ মানুষের মন থেকে যখনই সৃষ্টিকর্তার ভয় বিলীন হয়ে যায় তখনই সে স্বেচ্ছাচারী হয়,প্রবৃত্তির তাড়নায় সে যা ইচ্ছা তাই করতে থাকে ।আর এ প্রবৃত্তি যাতে বেপেরোয়া হয়ে না উঠে,অতিমাত্রার স্বেচ্ছাচারী ক্ষতিকর মনোভাব যাতে ছোটবেলা থেকেই মুছে যায় তার জন্য এই শিশুগুলোকে ছোটবেলা থেকেই সেরকমধর্মী শিক্ষায়ই শিক্ষিত করে তোলা দরকার,KviY GB wkïivB GKw`b eo nবে কেউ ডাক্তার ইন্জিনিয়ার সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা মণ্ত্রী এম পি ।এজন্য প্রয়োজন এমনই ধরনের একটি কার্যকরী ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা,যে শিক্ষাব্যবস্থার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই শিশুরা সৎ,দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে ।আমরা সে শিক্ষাব্যবস্থাকে কখনোই সমর্থন করবনা যে শিক্ষাব্যবস্থা মানুষকে এমন স্বেচ্ছাচারী করে গড়ে তুলে যে সে অন্যায়কে অন্যায় বলে মনে করেনা অশ্লীলতাকে খারাপ হিসেবে দেখেনা কারণ অশ্লীলতা কখনো সভ্য সমাজের সংস্কৃতি হিসেবে স্থান পেতে পারেনা ।আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার ধারনা এমন হয়ে গেছে যে,স্কুল,কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরি করে টাকা উপার্জন করবো আর সে উপার্জনটা হোক বৈধভাবে অথবা অবৈধভাবে ।ঠিক একারনেই অসংখ্য মেধাবী ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,উদ্যোক্তা বের হয়ে আসছে ঠিকই কিন্তু আমাদের সমাজের কোনো পরিবর্তন হচ্ছেনা যদিও দুর্নীতি দূর করার জন্য বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা নেয়া হয়,মানব বন্ধন করা হচ্ছে,রোডশো করা হচ্ছে তারপরও বিভিন্ন কোম্পানী,ব্যাঙ্ক এমনকি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ভয়াবহ আকারের দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসছে ।যার কারণে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ।যার কারনে সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি সাধারণ জনসাধারনের ক্ষোভ এবং বিতৃষ্ণা বেড়েই চলেছে শুধুমাত্র দুর্নীতিপরায়ণ মণ্ত্রী এমপি তাদের চেলাচামুণ্ডা এবং দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়া কারণ তারাতো দিনদিন আঙ্গুল ফুরে কলাগাছ হচ্ছে রাতারাতি । আমাদের এ শিক্ষাব্যবস্থায় পর্যাপ্ত ধারাবাহিক নৈতকিতার অভাব থাকার কারনেই প্রতিদিনই অসংখ্য মেয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছে এবং দিন যত যাচ্ছে তা বেড়েই চলেছে ভয়াভহ আকারে ।দেশকে সত্যিই যারা ভালোবাসি বলে স্বীকার করি আমার মনে হয় এ বিষয়গুলোর উপর নজর দেয়া দরকার ।আমাদের এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার বা এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সমর্থন করা দরকার যারা শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাবে যাতে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ এ শিশুরা উপযুক্ত নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠবে এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাবে দেশ ও জাতি,যে শিক্ষাব্যবস্থা এ শিশুদেরকে অশ্লীতাকে খারাপ মনে করা,অন্যায়কে অন্যায় মনে করা এবং তার প্রতিবাদ করা শেখাবে,পেশাজীবী হওয়ার পর জনগণের সম্পদকে আমানত বলে মনে করবে আর তা যথাযথ সংরক্ষণ করবে ।যে শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত জনশক্তি এমন বিচারব্যবস্থাকে সমর্থন করবেনা যেখানে বিচারকের বিবেক বলতে কিছু থাকেনা,টাকার লোভে অন্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তি বা ন্যায়বিচারপ্রার্থী উল্টো দন্ডিত বা অনেকক্ষেত্রে প্রতারিত হয়,মানবাধিকার হয় চরমভাবে লঙ্ঘিত হয় ।পত্রিকার সম্পাদক,সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবী,মালিক,রেডিও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক,সাংবাদিক,কর্মকর্তা-কর্মচারী সকল সচেতন দেশবাসীর প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান আমাদের এমন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রচার প্রচারণা চালানো উচিৎ যে শিক্ষাব্যবস্থা এমন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে যারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেনা,অশ্লীলতাকে অবশ্যই খারাপ দৃষ্টিতে দেখবে যে নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থার বদৌলতে ছেলেমেয়েরা ছোটবেলা থেকেই এমনভাবে বেড়ে উঠে যাতে সে যখন বড় হয় আর রাস্তাঘাটে চলতে থাকা যে কোন মেয়েকে ইভটিজিংয়ের পরিবর্তে নিজের বোনের বা মায়ের দৃষ্টিতে সম্মান করে চলে ।দিন যত যাচ্ছে ইভটিজিং আর শ্লীলতাহানির পরিমাণও ততই বেড়েই চলছে আর পত্রিকার পাতা খুললেই সে ভীতিকর সংবাদগুলো সামনে আসে ।এর কি কোন শেষ নেই?যুক্তরাষ্ট্রে নৈতিকতাবিহীন এরকম শিক্ষাব্যবস্থা থাকার কারনেই বিবাহের পূর্বেই তরূন যুবক যুবতীরা অবৈধ দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে,শুরু করে লিভ টুগেদার এবং ।প্রকাশ্যে তারা মিনি স্কার্ট পরিধান করে ঘুরে বেড়ায় যা ছেলেদেরকে ইভটিজিং করতে উৎসাহিত করে ।সেখানে সেটা তাদের কালচার কিন্তু আমরাতো বাংলাদেশী, এরকম পোশাক আশাক আমাদের দেশে এখনও অশ্লীলতা হিসেবেই দেখা হয় ।আমার যতদূর মনে হয় কোন অভিভাবকই চাননা যে তার বোন বা মেয়েটি অশ্লীল বা কুরূচিপূর্ণ পোশাক পরিধান করে রাস্তাঘাটে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়াক যার কারনেই বেশিরভাগ মেয়েরা ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে থাকে ।আমি আবারও পত্রিকার সম্পাদক,সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবী,মালিক,রেডিও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক,সাংবাদিক,কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল সচেতন দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান করব যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে যে নতুন প্রজন্ম বেরিয়ে আসছে তারা কোন্ শিক্ষাব্যবস্থায় বেড়ে উঠছে তারা কি যুক্তরাষ্ট্রের লিভটুগেদারের সংস্কৃতি নিয়ে বেড়ে উঠছে নাকি সত্যিকারের নৈতিক শিক্ষা নিয়েই বেড়ে উঠছে ।আমাদের সংস্কৃতি যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লিভটুগেদার আর সমকামিতার সংস্কৃতি হিসেবে কোনোমতেই স্থান না পেতে পারে সেই বিষয়গুলো আমাদের নিয়ণ্ত্রণে আনা দরকার ।আর আমরা সভ্য দেশের সভ্য জাতির সভ্য এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে আসন্ন সামাজিক অবক্ষয় আর কলুষিত সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করার জন্য সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবী,মিডিয়াকর্মী এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের নিজনিজ অবস্থান থেকে কতটুকু চেষ্টা করে যাচ্ছি সেটাও নিবিড়চিত্তে খেয়াল এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার ।















মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.