নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://ianamblog.wordpress.com

আই আনাম

বলতে চাই অনেক কিছু কিন্তু কেন যেন বলতে পারি না

আই আনাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি বাঁশ তরিকা

২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

ঢাকা শহরে ট্রাফিক কন্ট্রোলের জন্য আমি একবার একখানা তরিকা বের করেছিলাম। সেই তরিকার নাম আমি দিয়েছিলাম “বাঁশ তরিকা”।



আমরা প্রায়ই দেখি ট্রাফিক পুলিশ হাত দেখিয়ে থামতে বললেও বিভিন্ন বাস, প্রাইভেট কার আর মোটর সাইকেল জোড়ে টান দিয়ে বেরিয়ে যায়। এদেরকে আটকানোর কোনো ব্যবস্থা বেচারা লাঠিয়াল পুলিশের কাছে থাকে না।



একদিন দেখলাম সোনারগাঁ হোটেলের সামনে পুলিশ ‘দড়ি তরিকা’য় ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে। হাত দেখানোর পর কোনো গাড়ি যেন বের হয়ে যেতে না পারে সেজন্য তারা দড়ি টেনে একদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং অন্যদিকের রাস্তার দড়ি ছেড়ে দেয়। *বাঙালির মগজ চাচা চৌধুরীর চেয়েও প্রখর। আমার বাঁশ তরিকা অনেকটা ঐরকমই।



ডিএমপি ট্রাফিকের একটা বাঁশ ইউনিট থাকবে। তাদের কাজ হবে মোড়ে মোড়ে মুলি বাঁশ নিয়ে দাঁড়ায় থাকা। ট্রেন আসার সময় সময় যেমন করে রাস্তা আটকানো হয় সেভাবে লাল বাতি জ্বলার পর তারা রাস্তায় বাঁশ ফেলবে।



এই তরিকায় বড় গাড়ি আটকানো গেলেও পিচ্চি মোটর সাইকেল আলারা ঠিকই চিপাচাপা দিয়ে টান দেয়ার চেষ্টা করবে। এদেরকে আটকানোর আরেকটা কারিগরি আছে।



সিগন্যালের একটু সামনেই পুলিশের বাঁশ ইউনিট কচি বাঁশ নিয়ে দাঁড়ায় থাকবে। যখনই মোটর সাইকেলআলা মাতব্বর খালতো-তালতো ভাইরা জোরে টান দিয়ে বের হয়ে যেতে চাইবে তখনই পুলিশ তাদের হোন্ডার মধ্যে কচি বাঁশ হান্দায় দিবে। এতে যেটা হবে তারা হুমড়ি খায়া পইড়া থোতামোতা ভাইঙ্গা ফেলবে।



এই সিস্টেম কয়েকদিন চালু রাখলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। বাঁশ হান্দানোর এই টেকনিকের নাম আমি দিয়েছি “বাঁশ চিকিৎসা”। বাঁশের ডলা না দিলে বাঙালি ট্রাফিক আইন মাইনা চলবে না কোনোকালেও।



**খুব খিয়াল কৈরা দেখলাম, বাঁশের উপ্রে ঔষধ নাই**

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাঁশের উপ্রে ঔষধ নাই

কথাটা খারাপ কন নাই !!! B-)) B-)) B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.