নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির সবচেয়ে বড় সমস্যা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

বিএনপির সবচেয়ে বড় সমস্যা: তারেক জিয়া নিজেই!

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিএনপি একসময় ছিল একটি শক্তিশালী দল। গ্রাম থেকে শহর, ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতি—সর্বত্রই ছিল তাদের প্রভাব। কিন্তু আজকের দিনে এসে বিএনপি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে। অনেক বিশ্লেষক নানা কারণ দেখালেও, বিএনপির পতনের সবচেয়ে বড় দায়ভার এক ব্যক্তির কাঁধে বর্তায়—তিনি হলেন তারেক রহমান, যিনি বর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

১. শিক্ষাগত যোগ্যতা: কেবল ইন্টারমিডিয়েট পাস
একজন জাতীয় দলের শীর্ষ নেতার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, তারেক রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেবল ইন্টারমিডিয়েট পাস।

উইকিপিডিয়া ঘেটে দেখা যায়, তিনি একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু ডিগ্রি অর্জনের কোনো প্রমাণ নেই।
একজন যিনি নিজেকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কল্পনা করেন, তার মৌলিক শিক্ষা না থাকা দলের জন্য লজ্জাজনক এবং দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

২. লন্ডনে ১৭ বছর, কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো ভূমিকা নেই
**২০০৭ সালে দেশ ছাড়ার পর থেকে তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন।
**এই সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার বারবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।
অথচ, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তারেক রহমানের একটি শব্দও উচ্চারিত হয়নি।

একজন তথাকথিত "জাতীয় নেতা"র জন্য এটি অবিশ্বাস্য ব্যর্থতা।
যিনি নিজেকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ভাবেন, তার ন্যূনতম আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।

৩. লন্ডনে তারেক রহমানের আয়-রোজগারের রহস্য
১৭ বছর ধরে তারেক রহমান লন্ডনে কীভাবে জীবনযাপন করছেন—এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই।

**তিনি কি চাকরি করেন?
**তিনি কি ব্যবসা করেন?
**নাকি শরণার্থী ভাতা খেয়ে জীবন কাটান?
এগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই। একজন জাতীয় রাজনৈতিক নেতার আর্থিক স্বচ্ছতা যেখানে অপরিহার্য, সেখানে তারেক রহমানের জীবনে এই অন্ধকার রহস্য তাকে আরও অবিশ্বস্ত করে তুলেছে।

৪. জীবনে কোনো পেশাগত অর্জন নেই
** তারেক রহমানের জীবনে কোনো চাকরি, ব্যবসা বা পেশাগত অর্জনের রেকর্ড নেই।
** তিনি কোনো দিন কর্মজীবনে প্রবেশ করেননি।
**কোনো উদ্যোক্তা হিসেবেও পরিচিত নন।
**রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত তার একটি কার্যকরী অবদানও নেই।
মূলত, তিনি শুধু বাবা-মায়ের নাম ভাঙিয়ে খেয়েছেন এবং খাচ্ছেন। এটি এক ধরনের "রাজনৈতিক উত্তরাধিকারবাদ", যা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অগ্রহণযোগ্য।

৫. এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শূন্য ভূমিকা
১৯৯০ সালে যখন সারা বাংলাদেশ এরশাদবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল, তখন তারেক রহমানের বয়স ছিল ২৫ বছর—উত্তেজনা ও সংগ্রামের উপযুক্ত সময়।
**তার মা বেগম খালেদা জিয়া জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
**অথচ তারেক রহমান ঘর থেকে এক পা বের হননি।
**তিনি কার্যত পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন।
**এটি প্রমাণ করে যে, তার মধ্যে কোনো প্রকার নেতৃত্বের সাহসিকতা নেই।

৬. ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতি শুরু
**তারেক রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হন ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর।
**ক্ষমতায় বসেই তিনি হাওয়া ভবন কেন্দ্র করে দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন।
**সেই সময় বিএনপির নেতৃত্ব ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং ২০০৬ সালের পরিণতি সবাই দেখেছে।
**তার রাজনীতি মূলত ক্ষমতার দাপটে শুরু হয়েছিল, জনসেবার কোনো চিন্তা ছিল না।

৭. নেতৃত্বের মানসিকতা এবং চারপাশের মানুষ
**তারেক রহমানের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো, তিনি যেমন মানুষ, তার চারপাশেও সেই মানসিকতার মানুষ জড়ো হয়েছেন।
**যেমন লিওনেল মেসির চারপাশে বিশ্বমানের ফুটবলাররা থাকে,
**তেমনি তারেক রহমানের আশেপাশে আছেন মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, শামসুজ্জামান দুদু, ছাত্রনেতা গনেশ টাইপের নেতারা।
**এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
**একজন নেতা তার নিজের মান অনুযায়ীই দল গঠন করেন।

৮. কেন বিএনপি দুর্বল হচ্ছে
** আজ বিএনপি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। ডাকসু, জাক্সু নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের পরাজয় হচ্ছে।
** এর মূল কারণ হলো তারেক রহমানের অদক্ষ নেতৃত্ব।
**তিনি জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ।
**দলকে আধুনিকায়ন বা সুসংগঠিত করতে ব্যর্থ।
**আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

শেষ কথা
** বিএনপির পতনের জন্য আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলের অতটা দায় নেই, যতটা দায়ভার বহন করেন তারেক রহমান নিজে।
** যিনি জীবনে কোনোদিন সংগ্রাম করেননি, কোনো অর্জন নেই, কোনো নেতৃত্বের প্রমাণ নেই—
** তিনি কেবল বাবা-মায়ের পরিচয়ের জোরে দলের শীর্ষে বসে আছেন।

বাংলাদেশের আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই ধরনের নেতার কোনো স্থান নেই।
বিএনপি যদি বাঁচতে চায়, তবে তাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত—তারেক রহমানকে সরিয়ে দিয়ে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে দলকে তুলে দেওয়া।

অন্যথায়, বিএনপির ভাগ্যে সামনে আরও ভয়াবহ পতন অপেক্ষা করছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০

বিজন রয় বলেছেন: ওটা বিএনপিকে বুঝতে দেন।
আপনি কি করতে চান সেটা বলুন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

বিজন রয় বলেছেন: অহেতুক এক অন্যের দোষধরা বন্ধ করুন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: আপনি যেটা করতে বারণ করছেন কিন্তু সেটাই আপনি করছেন। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি!

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

আবেদি১২৩ বলেছেন: আপনার লেখা আর অবসেরভেশন ভালো লেগেছে কিন্তু অনেক গুলোর সাথে আমি একমত না, তবে একটা কথার সাথে আমি ১০০% একমত , সেটা হলো `বিএনপি নিজের বাম্বু `নিজেই দিচ্ছে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

আবেদি১২৩ বলেছেন: observation *

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ওকে

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আফসোস!
বিএনপি আপনার মত মুশকিল আসান বাবাকে চিনলো না!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: সুন্দর কমেন্টেস এর জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি মোর দেন পোপ হলেন যে ? কিভাবে লিগ ফিরবে সেটা নিুয়ে ভাবেন। বিএনপি ঠিকই আছে বিএনপির মতোই ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৭

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কুতুব ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.