নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

মানুষ

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা যে-দেশের বন্ধু হয়, সে-দেশের আর শত্রুর দরকার হয় না

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৩২


আমেরিকা যে-দেশের বন্ধু হয়, সে-দেশের আর শত্রুর দরকার হয় না

রাশিয়ান জাহাজ উরসা মেজর (স্পার্টা-৩) ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। কিন্তু মার্কিন আপত্তির কারণে জাহাজটি পণ্য খালাস করতে পারেনি, ফেরত গিয়েছিল খালি হাতে। সেটাই ছিল এক প্রতীকী বার্তা — বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে, তা তখন থেকেই নির্ধারিত হতে শুরু করেছিল।

এর ঠিক দেড় বছর পর, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শেখ হাসিনা চীন সফরে যান। এই সফর শুধু রাজনৈতিক ছিল না; এটি ছিল বাংলাদেশের এক স্বপ্নযাত্রার শুরু — এশিয়ান ঐক্যের দিকে, শিল্পায়নের দিকে, আর আত্মনির্ভরতার পথে।

আমেরিকা ও চীন—দুটোই সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র, কিন্তু তাদের চরিত্র ভিন্ন। আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস করে জয় করতে চায়; চীনের সাম্রাজ্যবাদ ব্যবসা করে, উভয়ের স্বার্থ রেখে এগোয়। আমেরিকা আগুন লাগিয়ে, যুদ্ধ বাধিয়ে, সরকার বদলে তার প্রভাব বিস্তার করে; চীন এখনো পর্যন্ত কাউকে ধ্বংস না করেই তার প্রভাব বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা সেই দ্বিতীয় ধারার সঙ্গে হাত মেলাতে চেয়েছিলেন।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, ইকোনমিক জোন, ব্লু ইকোনমি—সবই ছিল একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান।

বিদ্যুৎ: উন্নয়নের মেরুদণ্ড
৯০-এর দশকে রাজনীতির আলোচনায় প্রায়ই শোনা যেত—“সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো চায় না আমরা বিদ্যুতে স্বনির্ভর হই।” কারণ, বিদ্যুৎ মানেই শিল্পায়ন; শিল্পায়ন মানেই কর্মসংস্থান; আর কর্মসংস্থান মানেই স্বাধীন চিন্তা। সেই স্বাধীন চিন্তাই সাম্রাজ্যবাদীদের সবচেয়ে বড় ভয়।

২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল খুঁড়িয়ে চলা এক যাত্রা। কিন্তু শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই এই খাতে বিপ্লব ঘটান। ২০১০ সালের পর থেকে ছোট ছোট প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়তে থাকে, আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শিল্প, কৃষি ও প্রযুক্তি বিকাশ।

২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩,২৬৮ মেগাওয়াট। ২০২৫ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩১,৭৭০ মেগাওয়াটে। এর সাথে যোগ হতে যাচ্ছিল রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের ২.৪ গিগাওয়াট। অর্থাৎ, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন তখন দেশের চাহিদার দ্বিগুণ।

বিদ্যুৎ মানেই শিল্প। শিল্প মানেই কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান মানেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রাষ্ট্রীয় আত্মবিশ্বাস। এই ত্রিভুজটা ঠিক তখনই ভেঙে দিতে হয়, যখন একটি দেশ নিজেকে “নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বাইরে” নিতে শুরু করে।

১৩৯টি ইকোনমিক জোনের স্বপ্ন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পনা ছিল ১৩৯টি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার—যেখানে দেশি-বিদেশি শিল্পকারখানা স্থাপন হবে, তৈরি হবে ৭২ লাখ নতুন কর্মসংস্থান। এর জন্যই রূপপুর প্রকল্পের মতো বিশাল বিদ্যুৎ উৎপাদন উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই ইকোনমিক জোনগুলো পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশ শিল্পায়নের এক নতুন যুগে প্রবেশ করত। মধ্যবিত্ত শ্রেণি শক্তিশালী হতো, কৃষক ও শ্রমিকের আয় বাড়ত, বিদেশি মুদ্রা অর্জন বহুগুণে বৃদ্ধি পেত।

কিন্তু আমেরিকার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে সেই অগ্রযাত্রা সহ্য করা সম্ভব ছিল না।

সাম্রাজ্যবাদের পুরোনো কৌশল
ইতিহাস সাক্ষী—যে দেশ উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটতে শুরু করে, সেই দেশেই আমেরিকা হঠাৎ ‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’ বা ‘স্বচ্ছতা’র প্রশ্ন তোলে। লাতিন আমেরিকা থেকে আফ্রিকা—যেখানে তারা বন্ধু হয়ে ঢুকেছে, সেখানেই ছড়িয়েছে অস্থিরতা, যুদ্ধ, গৃহদ্বন্দ্ব।

বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। শেখ হাসিনার চীন-রাশিয়া ঘনিষ্ঠ নীতি, এশিয়ান ইউনিয়নের ধারণা, বঙ্গোপসাগরের তলদেশের সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা—এসবই পশ্চিমা স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল।
আর ঠিক তখনই আমেরিকা তার পুরনো খেলা খেলেছে—অভ্যুত্থান, বিভাজন, “নতুন মিত্র” বানানোর নামে পুরোনো শত্রুদের মাঠে নামানো।

মুহাম্মদ ইউনুস ও পশ্চিমা ঘনিষ্ঠ শক্তিগুলো সেই খেলায় নিখুঁতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তারা বোঝানোর চেষ্টা করছে, আমেরিকা বাংলাদেশের বন্ধু। অথচ ইতিহাস বারবার দেখিয়েছে—আমেরিকা যে-দেশের বন্ধু হয়, সে-দেশের আর শত্রুর দরকার হয় না।

এখন কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ
আজ দেশের সব ইকোনমিক জোনের কাজ থেমে গেছে। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প স্থগিত। দেশের সম্পদ একে একে বিদেশি কর্পোরেশনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে “পুনর্গঠনের” নামে।
যে দেশ বিদ্যুৎ রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করেছিল, আজ সেখানে ঘন ঘন লোডশেডিং।
যে দেশ শিল্পায়নের দোরগোড়ায় পৌঁছেছিল, আজ সেখানে বেকারত্ব বাড়ছে।

অর্জন ভেঙে ফেলা, পরিকল্পনা থামিয়ে দেওয়া—এসব কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি সেই ভূরাজনীতির ফল, যেখানে উন্নয়ন মানে অপরাধ, আত্মনির্ভরতা মানে বিদ্রোহ, আর স্বাধীন চিন্তা মানে হুমকি।

আমেরিকার বন্ধুত্ব এক ধরনের আগুন—যা প্রথমে আলোর মতো লাগে, পরে পুড়িয়ে ফেলে সব।

শেষ কথা
শেখ হাসিনার বিদ্যুৎনীতি, ইকোনমিক জোন পরিকল্পনা কিংবা চীন-রাশিয়া সহযোগিতা—সবই ছিল একটি স্বাধীন ও আত্মনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন এখন ধ্বংসস্তূপে।

এখন যারা আমেরিকার ছায়ায় দাঁড়িয়ে “উন্নয়ন”, “গণতন্ত্র” আর “নতুন সূর্যোদয়ের” কথা বলছে—তাদের উদ্দেশে ইতিহাস একটাই কথা বলে যায়:
আমেরিকা যে-দেশের বন্ধু হয়, সে-দেশের আর শত্রুর দরকার হয় না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



ওরা খুনি, মিথ্যাবাদী এবং ভয়ঙ্কর প্রতারক। দুনিয়াটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিয়েছে এই অসভ্যরা। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন একমাত্র এই একটি দেশই করেছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমেরিকা ঠিক কাজ করেছে শেখ হাসিনার আমলে জাহাজ আটকে দিয়ে । পুতিনের মতো বড়ো বদকে ঠেকানোর উপায় আমেরিকা জানে ।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:


কুতুব ভাই, এদেশের কিছু মানুষের জাত স্বভাব হচ্ছে শেখ হসিনা যাই করে সেটার বদনাম করা, এটা রাজনৈতিকভাবেই হোক কিংবা জীনগত কারণে হোক। সমস্যা হচ্ছে দেশের সাপোর্ট না করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আলটিমেটলি আপনি দেশের বিরেুদ্ধেই বলছেন। আমেরিকা সব ঠিক করেছে আপনি জাসি্টফাই করছেন কেন? আবার এদিকে বললেন পুতিনের মত বড় বদ! তাহলে আমেরিকান প্রেসিডেন্টগুলো আপনারে কাছে ফেরেস্তা? ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।


৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: Donald Trump পাগলামি করলেও রাশিয়াকে টাইট দিতে জানে । আমেরিকা এখন রাশিয়ার পুটিনকে ঠেকাতে যা করছে ফুল support .

রাশিয়া-চায়নাময় NWO ভাবাও যায় না । ডিকটেটর দের জয়জয়কার হবে তখন ।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:


কুতুব ভাই ট্রাম্প প্রশাসন চরম বেকায়দায় আছে। আমেরিকার প্রশাসনের একটা বড় অংশ, মধ্যবিত্ত শ্রেণি ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি এবং যুদ্ধবাজ চেহারা দেখে ক্ষেপে আছে। যেকোনো মূহুর্তে ফেটে পড়তে পারে। আমেরিকা এখন চরম উত্তাল। বলা হচ্ছে - আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। কারণ, জনগণের অভিযোগ - ট্রাম্প নিজেকে প্রেসিডেন্ট নয়, রাজা মনে করছেন। একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জনগণকে মাথায় রেখে জনগণের জন্য কাজ করেন। পক্ষান্তরে একজন রাজা জনগণের তোয়াক্কা করেন না। তিনি নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করেন এবং যা ইচ্ছে তা করতে থাকেন।

দেশের ধ্বংস দেখে রাশিয়াকে টাইট দিচ্ছে, সেটাই দেখতে ভাল লাগলে, দেশের জন্যই ভাল হবে, তাই না কুতুব ভাইয়্যা? ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ।,

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১২

আমি নই বলেছেন: আমেরিকা/রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্ব মানেই সর্বনাশের শুরু, কিন্তু আমাদের সর্বনাশের শুরুটাতো অনেক আগেই হয়েছে। দেশ ধ্বংসের শুরুটা হয়েছিল বিনাভোটের নির্বাচন দিয়ে, তারপর স্বেচ্ছাচারিতা, ভোট ডাকাতি, লাখ লাখ কোটি টাকা চুরি করে চোররা এখন আবার ক্ষমতায় বসার জন্যে দেশকে অস্থির করছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:


মুখস্থ বিদ্যা বলে আর লাভ নেই জনাব, ভবিষ্যতের চিন্তা করলে বরঞ্চ দেশের লাভ হবে। দেশ নিয়ে ভাবুন কে গেছে, সে কি করেছে এবং দেশের জন্য কতটুকু করেছে, এটা সবাই জানে, এটা মনে রাখবেন -রেজিম চেঞ্জ হলে ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে, এগুলা বলা মানে খামোখা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না।

এই সময় ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ নয় - জাতীয় স্বার্থই হোক একমাত্র লক্ষ্য। দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব এখন ঐক্যবদ্ধ থাকা, বিচক্ষণ থাকা, আর দেশমাতৃকাকে রক্ষা করা। কিছু দেয়া, পারলে দেশকে দিন, না পারলে গীবত করুন।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এজন্যই তো হাসিনা আমেরিকাকে পাত্তা দেয় নাই। :D

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:


"আমেরিকা যে-দেশের বন্ধু হয়, সে-দেশের আর শত্রুর দরকার হয় না" এখন এটাই চরম সত্য। --এমন একটা পাগলাকে এমেরিকার মানুষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে! যতোই ধনি রাষ্ট্র হোক - তাদের দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনের মানসিক অবস্থা তাহলে এই!!

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

নাহল তরকারি বলেছেন: আমেরিকানরা খুব মেধাবী। বাংলাদেশের জনগণের ঐ পরিমান জ্ঞান আছে কি?

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: সারা পৃথিবীর মানুষের বদ্দোয়া অভিশাপ নিয়ে, চালাকী কিংবা মেধাবী হওয়া কি জরুরী? ধন্যবাদ কমেন্টস করার জন্য।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: উৎকৃষ্ট মানের দালাল ! খুনি হাসিনা ফের ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা শূন্য শতাংশ অযথা এভাবে দালালি করে লাভ নাই। খোদ আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপি যারা দুর্নীতি করে লন্ডন ,দুবাই ,সিঙ্গাপুরে হাজার খানেক বাড়ি কিনেছে তারাও এখন হাসিনাকে স্বৈরাচার বলে গালি দেয়। কেমন ব্রেইন ওয়াশ দিছে বেটা এখন উলটো আমাদের ভুল বুঝানো শুরু করছে । বিদ্যুৎ রপ্তানির নামে কুইক রেন্টাল পাওয়ার স্টেশন করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দ্বিগুন টাকা দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি সাক্ষর করেছে বিনিময়ে যে কমিশন পেয়েছে সেটা দিয়ে টিউলিপ কে ব্রিটেনের মন্ত্রী বানিয়েছে । ইতিমধ্যে দুর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত হয়ে টিউলিপের মন্ত্রিত্ব বাতিল হয়েছে। কর্ণফুলীতে ইকোনমিক জোনে যাওয়ার জন্য টানেল বানিয়েছে যেখানে সরকারের প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে ২৬ লক্ষ টাকা। ভারতের একটি ব্যাবসায়ী গোষ্ঠীকে ইকোনোমিক জনের নামে বিনামূল্যে জায়গা দিয়েছে শুধু তাই না তাদের প্রকল্পের অবকাঠামো সরকার নিজের টাকা দিয়ে বানিয়ে দিবে এমন চুক্তিও করেছে। স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা বিভিন্ন ব্যাংক দখল করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছে। গত পনেরো বছরে হাসিনা ও তার দলের লোকজন ছাব্বিশ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:



১০০০০% সঠিক বা তারও বেশি? আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন, আপনি যা আলোচনায় এনেছেন এখানে সে বিষয়ে বিস্তর আলোচনা অলরেডি হয়ে গেছে, উত্তর আশা করলে উপরের কমেন্টস রিপ্লাই পড়ে যান, সেটাই আপনার জন্য যথেষ্ট । না বোঝলেও সমস্যা নাই, কেন বললাম বোঝে থাকলেতো এরকম গার্বেজ রিপিট করতেন না। তবে কষ্ট করে এতো বিশাল গার্বেজ ফিরিস্তি দিয়েছেন (মনে হয় জায়গায় এগুলা কপি/পেস্ট করেন) সে কারণে হলেও আপনাকে ধন্যবাদ।ও কৃতজ্ঞতা -জনাব শিশির খান ১৪। অভিনন্দন ও শুভকামনা ।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমেরিকা যে-দেশের বন্ধু হয়, সে-দেশের আর শত্রুর দরকার হয় না।
......................................................................................................
আমি ও অনেক স্হানে এই শব্দগুলি ব্যবহার করি ।
এজন্য দেখবেন পাগলা ট্রাম্প সর্ম্পকে আমি একটু আধটু লেখি
ভয় পাই কখন না জানি তার এ দেশীয় জল্লাদ তাড়া করে ।
.......................................................................................................
নিজ হাতে যুদ্ধ বাধাঁয়ে আবার মধ্যস্হতা করে শান্তির নোবেল চায়,
পৃথিবী কি এতই কানা ???
তার প্রেরিত বোমা টনকে টন গাজাঁর উপর বর্ষিত হয়েছে, ৬০ হাজার মানুষ মৃত্যুর পাপ কি
তার কপালে জুটবে না ???
আবার তিনিই প্রমান করেছেন, চাইলেই যে ঈসরা্ইল যুদ্ধ থামাতে বাধ্য !
আবার এখন তার ডিপ ষ্টেটের চাহিদার কারনে সেন্ট মার্টিনে আর্মি বেস করা চাই,
যেখানে সাবমেরিন ষ্টেশন ও এয়ার বেস থাকবে । যেখান থেকে, চীন, ভারত, মায়ানমার ও বাংলাদেশ
সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যাবে । এমনকি আমাদের ললিপাপ খাওয়ানোর মত আরাকান সংযুক্ত
করার কথা বলে এদেশের কিছু গর্দভকে উস্কে দিয়েছে, যার পরিনাম কি হবে, কেউ চিন্তা করছে না ।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: আপনি চমতকার লিখেছেন প্রিয় স্বপ্নের শঙ্খচিল ভাই, না ভয় পাবার কি আছে, বরঞ্চ ভয় পেলেই ক্ষতি, যা অলরেডি এদেশের হয়ে গেছে। আপনার কমেন্টস ও লেখা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আমেরিকা এখন সব সময় দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, জার্মানী, বৃটেন, ফ্রান্স, কানাডার বন্ধু ছিলো।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১৫

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ঠিক আছে, সেটা দিয়ে আমাদের এ মূহুর্তে কোন লাভ নাই, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ভালো ও সিকিউরড এটোমিক চুল্লী বিক্রয় করে ফ্রান্স; বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে পঁচা চুল্লী কিনেছে জয়, রেহানারা সস্তায় ডাকাতী করার জন্য।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: বাদ করে দিয়ে নতুন করে কিনুন!! তাতে দেশের জন্য ভাল হবে। ধন্যবাদ

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা কিন্তু মানবিক দেশ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: একদম ভয়ংকর মানবিক, তারমানে এমন মানবিকতা দেখবেন, যা দেখে আপনি আতকে উঠবেন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.