নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

মানুষ

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগুন দিয়ে সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্র—জাতি আসলে কী পেল?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩



আগুন দিয়ে সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্র—জাতি আসলে কী পেল?

একটি প্রশ্ন আজ অনিবার্যভাবে সামনে আসে—
ছায়ানটকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে জাতি কী পেল?
প্রথম আলোর অফিসে আগুন দিয়ে, দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর চালিয়ে, সাংবাদিকদের প্রাণভয়ে পালাতে বাধ্য করে—এই আগুনের রাজনীতি থেকে রাষ্ট্র, সমাজ কিংবা কোনো মতাদর্শ আসলে কী অর্জন করল?

উত্তরটি নির্মমভাবে সরল: কিছুই না—শুধু লজ্জা, ভয় আর আত্মঘাতী দুর্বলতা।
ছায়ানট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, কোনো নির্বাচনী প্রতিপক্ষ নয়, কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীও নয়। ছায়ানট হলো বাংলা সংস্কৃতির এক দীর্ঘ শ্বাস—যেখানে গান আছে, স্মৃতি আছে, ভাষা আছে। সেই ছায়ানটকে আগুনে পুড়িয়ে যারা উল্লাস করে, তারা আসলে একটি কথাই স্বীকার করে নেয়:
তাদের সংস্কৃতি নেই, যুক্তি নেই, আত্মবিশ্বাস নেই।

সংস্কৃতি পোড়ানো মানে ক্ষমতার শক্তি প্রদর্শন নয়—
এটি ক্ষমতার নৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকাশ।

ঠিক একই কায়দায় যখন প্রথম আলো–এর মতো একটি সংবাদমাধ্যমে আগুন লাগে, তখন সেটি আর সংবাদপত্রের প্রশ্ন থাকে না। সেটি হয়ে ওঠে—রাষ্ট্র কি ভিন্নমত সহ্য করতে পারে?

প্রথম আলোর ২৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার পত্রিকা বেরোতে পারেনি। এই “না পারা” কোনো কারিগরি ব্যর্থতা নয়—এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতার নগ্ন দলিল। একই রাতে দ্য ডেইলি স্টার–এ হামলা প্রমাণ করে, লক্ষ্য ব্যক্তি নয়—লক্ষ্য স্বাধীন কণ্ঠ।

এই আগুনে—
** কোনো হত্যার বিচার হলো না
** কোনো সত্য চাপা পড়ল না
** কোনো আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হলো না
বরং উল্টো—
** বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে আরও এক ধাপ পিছিয়ে গেল
** “সহনশীল গণতন্ত্র” শব্দটি আরও হাস্যকর হলো
** ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখল, মতভিন্ন হলেই আগুন জ্বালানো যায়
সবচেয়ে ভয়াবহ প্রশ্নটি এখানেই—
এই আগুন কি হঠাৎ জ্বলে উঠেছে, নাকি দীর্ঘদিনের প্রশ্রয়ে জমে ওঠা ঘৃণার ফল?

যে রাষ্ট্র ছায়ানট রক্ষা করতে পারে না, সে রাষ্ট্র ভাষা রক্ষা করতে পারবে না।
যে রাষ্ট্র সংবাদপত্র রক্ষা করতে পারে না, সে রাষ্ট্র নির্বাচনও রক্ষা করতে পারবে না।
আর যে রাষ্ট্র ভিন্নমতকে আগুনে পোড়াতে দেয়—সে রাষ্ট্র একদিন নিজেই ছাই হয়ে যায়।

এই আগুনের রাজনীতি যারা করে, তারা বোঝে না—
সংস্কৃতি পুড়িয়ে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
সংবাদমাধ্যম পুড়িয়ে সত্য থামানো যায় না।

আগুন শুধু আলো দেয়—
আর সেই আলোতেই সবচেয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে,
কারা অন্ধ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এইমাত্র খবর দেখলাম উদীচি কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে ?
................................................................................
আমরা দেখছি প্রিয় মাতৃভূমিকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে সবাই
জানুক তার মহা উৎসব চলছে ।
আর কর্তাব্যক্তিরা আলুপোড়া দিয়ে ডিনার সারছে ।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩২

আব্দুল হাদী আল নাফী খান বলেছেন: দেশ হাসিনার পোষ্য মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতির নয়, রাজাকারের সন্তান বা নাতিপুতিরও নয়, কিংবা এখনো দেখা না পাওয়া সুস্থ বিপ্লবীদের নয়, দেশ এখন কুত্তার বাচ্চাদের - অসভ্য অরাজকতাকারীদের - যারা কেন কী করতেছে কোন ধারণাই নাই- খালি ঘৃণা ছড়ানোই কাজ ওদের।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: দেশ একটা জঙ্গীরাষ্ট্র পেলো।এক হাদিকে হারিয়ে হাজারো হাদি পেলো।দল বেধে ঘোষণা দিচ্ছে আমরা হাদি হবো।হাদি ছিলো একটা জঙ্গী।তার প্রমান আজকে ঢাকার অবস্থা।চারিদিকে আগুন আর আগুন।আগুন লাগানোর লোকের অভাব নাই।নিভানোর কেউ নাই।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৫

ঊণকৌটী বলেছেন: অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে অনেক দিনের পূর্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে | দুঃখ লাগে একটা দেশ যখন ধীরে ধীরে উন্নয়ন এর রাস্তায় তখনই পরিকল্পিত ভাবে দেশ টাকে অস্থিতিশীল করে দেওয়া হচ্ছে | এর জন্য অবশ্যই লীগের govt. দোষী তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে সমাজদ্রোহীদের আজকের এই বর্বরতা দেখছেন সবাই | কিন্তু আজকের এই চলমান সরকার কি ইচ্ছা করলে এই সন্ত্রাসের ঘটনা আটকাতে পারে না ?
অবশ্যই পারে এই সমস্যার সমাধান একমাত্র সরকারের হাতেই আছে |

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ঘটনাক্রমে ,
বড় ফ্যাক্টর হলো যে,
বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধঁবে কে ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.