নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র...

বেনিইয়ামিন সিয়াম

বেনিইয়ামিন সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোমেনা আফাজ সম্পর্কে কিছু লিখব।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রোমেনা আফাজ (জন্ম: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯২৬ - মৃত্যু: ১২ জুন, ২০০৩ )

জনপ্রিয় বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক।



পরিচ্ছেদসমূহঃ

১ জন্ম ও শিক্ষাজীবন

২ কর্মজীবন

৩ পুরস্কার ও সম্মাননা

৪ মৃত্যু

৫ সাহিত্যকর্ম



জন্ম ও শিক্ষাজীবনঃ

রোমেনা আফাজ ১৯২৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার শেরপুর শহরের জন্মগ্রহণ করেন।[১] লেখিকার বাড়ি ছিল বগুড়া জেলার জলেশ্বরীতলায়, যা বর্তমানে স্মৃতি জাদুঘর।[১] তাঁর পিতার নাম কাজেম উদ্‌দীন আহম্মদ এবং মায়ের নাম বেগম আছিয়া খাতুন। বগুড়া জেলার সদর থানার ফুলকোট গ্রামের ডাক্তার মোঃ আফাজ উল্লাহ সরকারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।



কর্মজীবনঃ

রোমেনা আফাজ লেখালেখি শুরু করেন নয়বছর বয়স থেকে। তার প্রথম লেখা বাংলার চাষী নামক একটি ছড়া প্রকাশিত হয় কলকাতার মোহাম্মদী পত্রিকায়। এরপর অসংখ্য ছোটগল্প, কবিতা, কিশোর উপন্যাস, সামাজিক উপন্যাস, গোয়েন্দা সিরিজ ও রহস্য সিরিজ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা রহস্য সিরিজ "দস্যু বনহুর" ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর সৃষ্ট এই দস্যু বনহুর চরিত্রের জন্যেই মূলত তিনি বিখ্যাত। রোমেনা আফাজের লিখিত বইয়ের সংখ্যা ২৫০টি।[২] তাঁর লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ৬টি চলচ্চিত্র; জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্রগুলো হলো - কাগজের নৌকা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, মধুমিতা, মাটির মানুষ ও দস্যু বনহুর৷

রোমেনা আফাজ শুধু একজন প্রতিভাময়ী লেখকই ছিলেন না, ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজ সেবিকাও। ৩৭টি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি৷ তারমধ্যে জাতীয় মহিলা সংস্থা, বগুড়ার সাবেক চেয়ারম্যান; ঠেংগামারা মহিলা সবুজ সংঘ, বগুড়ার আজীবন উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক; বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, বগুড়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান; উদীচী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, বগুড়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ রেডক্রস সমিতি, বগুড়ার সাবেক সদস্য; শিশু একাডেমী, বগুড়ার সাবেক উপদেষ্টা; বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বগুড়ার সাবেক উপদেষ্টা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য৷



পুরস্কার ও সম্মাননাঃ

নিরলস সাহিত্য সাধনার অনন্য দৃষ্টান্ত রোমেনা আফাজকে সাহিত্য ক্ষেত্রে অসামান্য ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ “স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১০” (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। রোমেনা আফাজের অবদানকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রোমেনা আফাজ স্মৃতি পরিষদ৷ সাহিত্যে প্রশংসনীয় বিশেষ অবদানের জন্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন বহু পুরস্কার৷ তারমধ্যে নারী বিকাশ সংস্থা, বগুড়া থেকে বেগম রোকেয়া স্বর্ণপদক -২০০০; বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বগুড়া থেকে ২১শে পদক (সাহিত্য),২০০৩; গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার (সি,ডি,এল) নারী ফোরাম থেকে নারী মুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত সম্মাননা পদক, ২০০৬ (মরণোত্তর) ইত্যাদি অন্যতম৷ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে সাহিত্যে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ বিভিন্ন সময়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়; তারমধ্যে ঢাকার নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা গুণীজন-১৯৯৯ সম্বর্ধনা উল্লেখযোগ্য৷



মৃত্যুঃ

অসামান্য প্রতিভার অধিকারী এই সাহিত্যিক ১২ জুন, ২০০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷



সাহিত্যকর্মঃ

দেশের মেয়ে: সামাজিক ও পারিবারিক

জানি তুমি আসবে: প্রণয়মূলক উপন্যাস

বনহুর: রহস্য সিরিজ

রক্তে আঁকা মাপ: দুঃসাহসিক অভিযান

মান্দিগোর বাড়ি: কিশোর উপন্যাস









আমি মনে করি তিনি আমাদের দেশের একজন সেরা লেখিকা ছিলেন।

কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই তার সম্পর্কে জানেও না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.