![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রিফাত আর রিমির পরিচয় ফেসবুকে। রিফাত একজন ইঞ্জিনিয়ার, আর রিমি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।তারা অনেক ভালো বন্ধু হয়ে যায় ফেসবুকে, নিজেদের সবকিছুই প্রতিদিন তারা একজন আরেকজনের কাছে শেয়ার করে। ভালো বন্ধু থেকে কখন যে সম্পর্কটা ভালোবাসায় চলে যায়, তা তারা টেরই পায় নি বললেই চলে। এর পর অনেকদিন চলে যায় এই ভালোবাসা। কিছুদিন পর তাদের বাসায় জানাজানি হয় বিষয়টা, রিমির বাবা কিছুতেই মেনে নিতে পারে নি বিষয়টা। রিমির বাবা মা তাকে বাসা থিকে বের করে দেয়।রিমি ফোন দেয় রিফাতকে, রিফাত রিমিকে বলে পার্কে বসতে, সে আসছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই রিফাত পার্কে চলে আসে।রিফাত আর রিমি দুইজন দুইজনের হাত ধরে পার্কে বসে আছেরিমি দেখতে বেশ সুন্দর, বোরকা পরিহিত, মুখে হিজাব। যে কেউই দেখলে বলবে ভদ্র ঘরের মেয়ে। রিফাতের হাত শক্ত করে ধরে সে বসে আছে।রিফাত অন্য দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখছে, আর মনে মনে ভাবছে কি করা যায়।রিফাত ক্ষণিকের জন্য রিমির মুখের দিকে তাকালো।এবার রিমি বলেই উঠলো, পানি খাবো।রিফাত কিঞ্চিত বিরক্তের হলো। রিফাত বললো তুমি বসো, আমি দোকান থিকে নিয়ে আসি।কিছুক্ষণের মধ্যেই রিফাত পানি নিয়ে আসলো, মেয়েটি এক বোতল পানি একবারেই খেয়ে ফেলল।রিফাত জিজ্ঞাসা করলো, আর কিছু খাবে?রিমি উত্তরে বললো, না।রিমি আবার রিফাতের হাতটা শক্ত করে ধরল।
হঠাৎ, রিফাতের মোবাইলে একটা কল আসে, রিফাতের মার কল। রিফাত কল কেটে দিতে চায়, রিমি বলল, রিসিভ করো।রিফাত কলটা রিসিভ করলো।সাথে সাথেই ওর মার গলা শুনা গেল।মা বললঃ রিফাত, বাবা তুই কই?রিফাত মার কাছে পুরো ঘটনাটা খুলে বললো।রিফাতের মা রিমিকে নিয়ে বাসায় যেতে বললো।রিফাত শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলো না,সে ভাবছিল, তার মা তাকে বকা বকা করবি, কিন্তু তার মা তাকে কিছুই বললো না। রিফাতের বাবা মারা গেছে অনেক আগেই, রিফাতের মা একজন সরকারী কলেজের শিক্ষিকা, তিনিই রিফাতকে পড়া লেখা করিয়েছেন অনেক কষ্ট করে।রিফাতের মা রিমির ব্যাপারে জানতো, কিছুই বলেন নি কখনো।
রিফাত আর রিমি রিফাতের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল, একটা রিকশায় উঠলো।রিকশায় উঠার পর, তারা কথা বলতে শুরু করলো, তারা দুইজনেই সিদ্ধান্ত নিল, আজকে রাতেই রিফাতের মা সহ কোন কাজী অফিসে গিয়ে বিয়েটা করে ফেলবে।বাসায় যাওয়ার পথে তাদের রিকশাটাকে একটা ট্রাক পিছন থিকে তাদের রিকশাটাকে পুরো পিষিয়ে দিলো। কি নির্মম সেই দৃশ্য!রিফাত আর রিমি ঘটনা স্থলেই মারা গেল। আর রিফাতের বাসায় যাওয়া হলো না।রিমির হলো না রিফাতের বাসায় যাওয়া।
শেষ হয়ে গেল একটা মধুর প্রেম কাহিনী। যার প্রথমদিকটা মধুর, মাঝের দিকটা কিছুটা কষ্টের, আর শেষের দিকটা মধুর ভাবে সমাপ্ত হতে গিয়ে নির্মম ভাবে সমাপ্ত হলো।
সত্যি বলতে কি, আমাকে দিয়ে মনে হয় কোন প্রেম কাহিনী মনে হয় মধুর ভাবে শেষ করা যাবে না।
সব মধুর কাহিনীগুলো নির্মমভাবে শেষ করলে কেন জানি আমি এক পৈচাশিক আনন্দ পাই।
২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
বেনিইয়ামিন সিয়াম বলেছেন: কি হল?
২| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
অয়োময়ী বলেছেন: সত্যিই বলি ফিনিশিংটা ভাল লাগেনি। দুঃখিত।
২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
বেনিইয়ামিন সিয়াম বলেছেন: আমি ইচ্ছে করেই ফিনিশিংটা ভালো করে দেই নি,
নির্মম ভাবে শেষ করেছি :3
৩| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০১
অয়োময়ী বলেছেন: তাই বলে এত নির্মম ? ধুর! এত্ত নিষ্ঠুর হওয়া ঠিক না। :/
২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
বেনিইয়ামিন সিয়াম বলেছেন: আমার নিষ্ঠুরতাই অনেক পছন্দের
৪| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১১
অয়োময়ী বলেছেন: আমিও নিষ্ঠুরতা পছন্দ করি, আমি নিজেও কিছুটা নিষ্ঠুর প্রকৃতির। কিন্তু এত নির্মম না।
২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৭
বেনিইয়ামিন সিয়াম বলেছেন: কিন্তু আমি এত নির্মম
৫| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
চড়ুই বলেছেন: "আমার নিষ্ঠুরতাই অনেক পছন্দের " ব্যাপার টা কেমন জানি একটু অস্বাভাবিক।
২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
বেনিইয়ামিন সিয়াম বলেছেন: হুম, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৬| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
হেডস্যার বলেছেন:
পরে জানা গেল রিফাতের মা-ই ট্রাক ভাড়া করে রিফাত রিমিকে শেষ করে দিছে.....
আমি আরেকটু নির্মম করে দিলাম। আমারে + দেন।
২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
বেনিইয়ামিন সিয়াম বলেছেন: হাহাহা
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
অয়োময়ী বলেছেন: এটা কি হল?? :O