![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ভার্সিটিতে কোন ছুটি আসলে তার আগের সপ্তাহর বুধ এবং বৃহস্পতিবার ক্লাশ টা একটু হালকা হয়ে যায় গত বৃহস্পতিবার এক ক্লাশে ছাত্র বেশী ছিলনা কিন্তু শিক্ষক আসলেন এসে ছাত্র কম দেখে স্যার বললেন যেহেতু সবাই নাই ছেলেরা সব আসেনি তাই আজ আমরা পড়ার বাহিরে কথা একটু কথা বলি। আমরা সবাই স্যারের কথা টা কে মনে প্রানে সমর্থন করলামগ স্যার সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন কে কোন দেশ থেকে এসেছে ?আমি ফার্ষ্ট ব্যাঞ্চে বসায় আমার দিকে স্যারের চোখ টা পড়ে গেল। জিজ্ঞেস করতেই গর্বের সাথে বললাম আমার দেশ বাংলাদেশ।সঙ্গে সংগে স্যার বললেন তোমাদের দেশে বিয়ে হয় কি ভাবে? অনুষ্টানসহ তোমাদের দেশের বিয়ের পদ্ধতি টা ৪ মিনিটে বর্ননা কর।
আমি আমাদের দেশের বিয়ের সকল বিষয় গুলো যেমন মোহরানার পরিমান এবং অভিশপ্ত যৌতুক সহ মা চাচিরা বা ভাবিদের কোমড়ের উপর রেখে কলস ভরে পানি এনে নশা কে আম পাতার পানি ছিটার তেলোই থেকে শুরু করে পালকি বহন বা গাড়ি সাজানো,গেট ফিতা ধরা, রং মাখা মাখি, ফুলুজার দিন কাদা মাখা মাখি, আংটি খেলা গীত গাওয়া সহ, সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করলাম ।সবাই কিছুটা হাসা হাসি ও করল।এরপর পাশ থেকে শুরু করে সবাইকে জিজ্ঞেস করল,এবং সবাই তাদের দেশের মোহরানাসহ বিয়ের খুটি নাটি বিষয় গুলো সংক্ষেপে তুলে ধরল। এর মধ্যে মোহরানার মুল্যটাও স্যার ভালোভাবে জেনে নিলো।বলা বাহুল্য এদের প্রায়৩০টি দেশের মধ্যে যৌতুুকের পরিমান টা আমাদের দেশে এবং ইন্ডিয়াতে বেশী মনে হলো।
এবং আফ্রিকানদের একাদিক বিয়েকে নারীদের খুব শস্তা মনে হলো যেমন বিশেষ কোন কিছু ঘটলে যেমন জমিনে ফসল ভালো হলে বা এলাকার মাদবরদের বংশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বৃদ্ধ বয়সে শখ করে বিয়ে করা ইত্যাদি আমাকে খুব তাড়া করল। সাউদিদের এবং আমাদের বাংলাদেশীদের মোহরানাটাও বেশী মনে হলো.যদি ও শুধু মোহরানাটা কাজি সাহেবের খাতার কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে। স্যার সবার কথা শুনে বললেন তোমাদের কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে সব দেশেই নারীরা বৈসম্যে শিকার এর পর স্যার লম্বা আলোচনা করলেন।স্যার বললেন সাউদিতে হাজার হাজার প্রাপ্ত মেয়েদের বিয়ে হচ্ছেনা বাবাদের কারনে। কারন সাউদিতে বিয়ের পাত্রী ঠিক হলে বা পছন্দ হলে ২ পক্ষ মিলে আগে মোহরানা ধর্য্য করেন। মোহরানা ধার্য্যে ২ পক্ষের মিল না হলে পছন্দের কোন মুল্য নাই আর এই ব্যাপারে মেয়ের বাবাদের দাপট বেশী,আমাদের দেশে ছেলের বাবার অভিশপ্ত চাহিদা বেশী।
সাউদি বাবা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হলে এত টাকা মোহরানা দিতে হবে।এই টাকা টা মেয়ের বাবাই গ্রহন করে এবং লিখিত ভাবে নিতে হবে।যাইহোক এই বিষয় কথা বলতে গিয়ে স্যার সাউদিয়ান একপরিবার এর একটি উদাহরন দিলেন, এক বাবার ২ টা মেয়ে ছিলো এবং খুব সুনদরি ছিলো মেয়েদের যখন দেখতে কোন ছেলে পক্ষ আসতে চাইতেন আগেই বাবা মোহরানা ধর্য্য নিয়ে কথা বলতেন।এই ভাবে কম হলেও ৩০ টা ছেলে পক্ষকে বিদায় করেছেন। ধীরে ধীরে মেয়েদের বয়স ৩০ উপরে হয়ে গেল।কিন্তু বিয়ে হচ্ছেনা একদিন মা আফসুস করে মেয়ের বাবার সামনে বলছে আল্লাহ আমার মেয়েদের জন্য কি কোন ছেলে দুনিয়াতে পাঠাওনি !?বাবা তখন বলছে মেয়েদের লক্ষ করে।মা তোদের আজ বিয়ে না হওয়ার কারনে আমার বড় একটা ভুল রয়েছে।আমার কাছে অনেক সমন্ধ এসে ছিল কিন্তু আমার সাথে মোহরানা বোনি বোনা না হওয়াতে আমি ফিরিয়ে দিয়েছি।
এই কথা শুনে মেয়ে ২টা বাবাকে লক্ষ করে বলল লা,নাত উল্লাহি আলাই অর্থাত আল্লাহ তোমাকে ধংস করুক কিছুদিন পরে বাবা কুষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ।তো স্যার বললেন মেয়েদের অভিভাকত্ব গ্রহন করতে গিয়ে আমরা তাদের অধিকার কি আদায় করছি ?অথচ জীবন তার সংসার করবে সে।তবে তাকে সহযোগিতা করতে হবে এবং ছেলে পছন্দ করার অধিকার দিতে হবে। স্যার বলেন অধিকার বলতে আমি তাকে রাস্তায় বা অবৈধ পথ অবলম্বন করা কে বুজাচ্ছিনা।
তাদের ন্যায্য অধিকার চাচ্ছি যেটা কোরান ও হাদিস দিয়েছে।আমি বল্লাম স্যার আমাদের দেশে মেয়েদের কে উচ্চ শিক্ষিত করতে গিয়ে বয়স বেশী করে ফেলছে বাবা ভালো ছেলের আসায় বেশী বাছা বাছি করছে বংশ সহ বিভিন্ন চাহিদা মিটাতে গেয়ে এই দিকে মেয়ে বয়স্ক হয়ে যাচ্ছে অনেক মেয়েদের বিয়ে হচ্ছেনা কাউকে মুখ খুলে বলতে ও পারছেনা বাবা মার অমতে ও যেতে পারছেনা স্যার বললেন ২০ উপর বয়স হলে বিয়ে দিয়ে দেওয়াটা খুব জরুরী এবং বিয়ের পর ও লেখা পড়া করবে প্রব্লেম কি?
স্যার বললেন প্রতিটি ছেলে মেয়ের জৈবিক চাহিদা রয়েছে সেটা বিয়ে হলে বৈধ পথে ব্যয় হবে আর বিয়ে না হলে অবৈধ পথে ব্যয় হবে।আমি শুধু শাররিীক বলছিনা অনেক পাপ আছে,তুমি যত ভালো থাকার চেষ্টা কর এই ইন্টারনেট যুগে ভালো থাকতে পারবেনা যদি বলো আমি পারি তাহলে তুমি মিথ্যাবাদী সমর্থ না থাকে তাহলে আল্লাহর নবীর কথা অনুযায়ী রোজা রাখবে যদি ছেলে মেয়ে কোন গুনাহ করে তাহলে নিশচয় বাবা মা কে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আমি ভেবে দেখলাম স্যার তো ঠিক বলছে আমরা বিয়ে না করলেও প্রেম তো করছি যখন একটা মেয়ের বয়স ২১/২২ উপরে হচ্ছে তখন তার মধ্যে বিয়ের জন্য একধরনের হতাশা কাজ করে ও ভোগেন এবং অনেক মেয়েরা মনের কষ্ট কাউকে বলতেও পারেনা কেও আবার হয়ত লা,নাত উল্লাহি আলাই ও বলতে চায়।
নিরবে কাদে তাদের চাপা ক্ষোভ এর উপরে বয়স হলে মেয়েদের চাহিদা ও কমে যায়।আমাদের পিতা মাতারা বোজিয়ে ও ভালোভাবে বোজেননা গুনাহতো হচ্ছে সবই হচ্ছে। ডেটিং করতে গিয়ে ছেলে মেয়েরা অনেক টাকাও নষ্ট করছে। কিন্ত সব বাবা মা খিয়াল ও রাখতে পারছেনা এমনকি রাখাও সম্ভব না।ছোট জ়ীবনে অতি বাড়াবাড়িতে আমাদের বড় ধরনের গুনাহ হচ্ছে,যার দায় দায়িত্ব আমাদের সবারেই।একজন যুবক যুবতীর বাবা ,মা্,বড় ভাই বা অভিভাবকদের তাদের পাওয়া আদায় আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
©somewhere in net ltd.