![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] নিজে যা জানি তা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে সেই ছোটবেলা থেকেই। তাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি না পেরোতেই শুরু করেছিলাম টিউশনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ব্যাচে ও বাসায় গিয়ে ওই গুরুগিরির কাজটি করেছি বেশ মজা নিয়ে। অবশেষে পেশা হিসাবেও বিদ্যাদানের কাজটি কিছুদিন করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে স্বদেশ ছেড়েছি উচ্চ শিক্ষার জন্যে। গবেষণা করছি নেক্সট জেনারেশন টেলিকম্যুনিকেশন সিস্টেমের উপর।
১৬-এপ্রিল, ২০০৯ দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকীয় কলামে উচ্চশিক্ষার জন্যে বিদেশে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ফিরে না আসা টাকে চরম গাফলতি ও অসততা বলে দাবি করা হয়েছে। এবং এর জন্যে নাকি কঠোর পদক্ষেপের কথা চিন্তা করতে হবে। প্রথম আলোর এই দাবি যে একবারেই অযোক্তিক তা এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
আমরা জানি কিভাবে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা বাইরে পড়তে যায়। সংগত কারণেই যারা বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যায় তাদেরকে নিয়েই লিখব। একটি স্কলারশিপ যোগাড় করা যে কি কঠিন তা যারা জানেন তাদেরকে বুঝানোর অবকাশ নেই। আমাদের দেশ থেকে যে যে স্কলারশিপ (ভিন্ন দেশের সরকারি স্কলারশিপ) নিয়ে পড়তে যাওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে উদাহরণ স্বরুপ রয়েছে জাপানে মনবুকাগাকুশো, ইউকে এবং কানাডায় কমনওয়েলথ, অষ্ট্রলিয়াতে আইপিআরএস, জার্মানে ড্যাড, কোরিয়াতে আইআইটিএ এবং এরুপ। আবার বিভিন্ন দেশে আরএ শিপ, টিএ শিপ নিয়ে ও অনেক অনেক ছেলে-মেয়েরা বাইরে পড়তে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও উল্লেখিত স্কলারশিপের মাধ্যমেই বাইরে পড়তে যায়। এবং এই স্কলারশিপগুলো যোগাড় করতে অন্যান্যদের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবদেন করে এবং সমস্ত প্রক্রিয়া অনুসরনের পর তার হয়ত স্কলারশিপ পান। অর্থাৎ স্কলারশিপগুলো পাওয়ার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অতিরিক্ত কোন সুযোগ পান না। এবং বাংলাদেশ সরকার এই জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরদের জন্যে কোন অতিরিক্ত ব্যয় ও বহন করে না।
ভারত, পাকিস্থান, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া এরকম বিভিন্ন দেশ নিজেরা ফান্ডিং করে পৃথিবির সেরা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্কলারশিপ চালু রেখেছে যেখানে শুধুমাত্র ঐ সব দেশের ছাত্ররাই আবেদন করতে পারবে। বাংলাদেশ সরকার এরকম কোন ফান্ডিং কোথাও করে রেখেছে বলে আমার জানা নাই। বরং আমলারা সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বাইরে পড়তে যান কিন্ত অন্যরা এই সুবিধা পাই না বললেই চলে।
প্রথম আলো পত্রিকার মতে "পাবলিক বিশ্ববিদ্যালের ঐসব শিক্ষকদের তৈরি করতে অনেক সময় ও টাকা লেগেছে"। আসলে কি তাই? বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ছাত্র পাশ করাতে সরকারের অনেক টাকা খরচ হয়। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য, তাহলে বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষকদের কথা আলাদা ভাবে বলতে হবে কেন? এরকম তো না যে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর তাদেরকে শিক্ষক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং টাকা খরচ করা হয়েছে।
সাধারণত, শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করার কিছুদিনের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষার জন্যে বিদেশ পাড়ি জমান। এবং যাওয়ার সময় তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংগে একটি চুক্তি করেন। চুক্তিটি সংক্ষেপে এরকম: লেখাপড়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করতে হবে এবং যতদিন বাইরে ছিল কমপক্ষে ততদিন সার্ভিস দিতে হবে। তা না হলে বাইরে থাকাকালীন যে বেতনভাতা নিয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। এখন নিয়ম মেনে কেই যদি বাইরে থেকে আর ফেরত না আসে, তাহলে সে টা কি অন্যায়? মোটেও না। প্রথম আলো পত্রিকার মতে "এটা অন্যায় এবং এতে করে নাকি বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষকরা দ্বায়িত্ব অস্বীকার করছেন তাই আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে"। কেন বাইরে থেকে কি দেশ সেবা করা যায় না? একজন শিক্ষক যখন বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ পান তিনি কিন্ত অনেক ছাত্রকে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাওয়াতে সহায়তা করতে পারেন।
এখন যদি চুক্তিটি বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষকদের জন্যে আরো কঠিন করে তোলা হয় তাহলে সেটা কি রকম হতে পারে। ধরা যাক, বলা হলো: বাইরে না থেকে দেশে ফেরৎ আসতে হবে। এটা কি কোন চুক্তি হতে পারে? এটা হবে মানবাধিকার লংঘন। চাকুরিতদের জন্য পৃথিবিতে এরকম চুক্তি আছে বলে মনে হয় না।
বীরভোগ্য বসুন্ধরা। তাই ভালো সুযোগ পেলে কেউই হাত ছাড়া করতে চায় না। নিয়ম মেনে যারা বাইরে থেকে যাচ্ছেন তাদেরকে নিয়ে অনাকারণে মাথা গরম না করে কিভাবে এই প্রক্রিয়া থামানো যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে ঢালাওভাবে শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা না দিলেও যোগ্যতা এবং পারফর্মান্স অনুযায়ী আর্থিক সুবিধা দিতে হবে। যারা বাইরে থেকে যেতে চাইছেন তাদেরকে অল্টারনেট প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে। মেধাবীদের কে ধরে রাখার বিভিন্ন উপায় খুজে বের করতে হবে। শুধু কঠোর চুক্তি করে সেটা সম্ভব না।
যারা নিয়ম না মেনে বাইরে থেকে যাচ্ছেন তাদের বিরুধ্যে যে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিন তাতে কোন সমষ্যা দেখি না কিন্ত যারা নিয়ম মেনে যারা চলছেন তারা কিভাবে অন্যায় করছেন সেটা বোধগম্য নয়। তাই যদি হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন এমন কেই ই তো বাইরে থাকতে পারেন না, কারণ তাদেরকে শিক্ষিত করতে সরকারের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষকদের জন্যে তা প্রযোজ্য হবে কেন?
প্রথম আলোর লেখা: Click This Link
০৩ রা মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: এই জন্যে নিয়মটি হলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যে সব বেতান-ভাতা নিয়েছেন তা ফেরত দিবেন।
২| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০০
আমার জন্য লেখা বলেছেন: কয়জন ফিরিয়ে দেয়?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: যারা ফিরিয়ে দেন না তারা নিয়ম মানছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এই সমষ্যার সমাধান সম্ভব।
৩| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
রাগিব বলেছেন: এখানে মূল সমস্যাটি হলো, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব শিক্ষকেরা ফিরে আসবেন না জেনেও চাকুরি পাকা করে যান, এবং পদটি দখলে রাখেন, বেতন ভাতা নিতে থাকেন। প্রথম আলোতে সম্ভবত এদের কথাই বলা হয়েছে।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: ভবিষ্যতে অনিশ্চয়তার মধ্যে কেউই থাকতে চায় না তাই চাকরি পাকা করেই সবাই বাইরে যেতে চায়। আগে থেকেই জানেন ব্যাপরটি হয়ত এরকম না, পরে যখন সুযোগ আসে তখন ঐ সব শিক্ষকরা এটা গ্রহন করেন। আর এরকম ঘটতে পারে জেনেই কিন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চুক্তি এভাবে করা থাকে যে, বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হবে।
তবে যারা ১০০% নিশ্চিত যে বাইরে থেকে আর ফেরত আসবেন না কিন্ত পদটি দখলে রাখেন তারা অন্যায় করছেন বৈকি।
৪| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৪
হোলসেল বলেছেন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়র সময় আপনি ঢাকা বিশবিদ্যালয় থেকে যে বেতন নিচ্ছেন মাসেমাসে (যদি নিয়ে থাকেন) সেটার বিনিময়ে আপনি কোন সার্ভিস দিচ্ছেন না। আপনাকে টাকাটা দেওয়া হচ্চে শুধু এই কারনে যে একটা পর্যায়ে আপনার এই উচ্চশিক্ষার ট্রেনিং থেকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি বেনিফিটেড হবে। দুনিয়াতে কোন 'পে উইদাউট সার্ভিস' বলতে কোন জিনিস নেই। ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে মাসে মাসে বেতন তুলে দেশে না ফেরাটা হবে পুরোপুরি অর্থ আত্মসাত।
৫| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৬
সোজা কথা বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষককে জানি যারা দীর্ঘ সময় বিদেশে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়সা গ্রহণ করেছেন। উদাহরণ দেয়ার জন্য, মৃত্তিকা বিজ্ঞানের শাহ **** উল্লাহ নামক একজন শিক্ষক ১১ বছর ইউরোপের একটি দেশে ছিলেন। সেখানে ডক্টরেট সেরে চাকুরী করেছেন একটি প্রতিষ্ঠানে । বাড়ি কিনেছেন সেখানে। বেতন খেয়েছেন নিয়মিত এবং এখন আসা যাওয়ার মধ্যে থেকে ক্লাস নেন।
এখন মেধাবী লোক ধরে রাখার জন্য যদি এটা সমর্থন করতে হয় তো মেনে নিতে পারলাম না।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: তিনি নিয়ম মানছেন না, এবং ভেবে দেখুন প্রতিষ্ঠান তাকে সহায়তা করছে।
৬| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭
রোহান বলেছেন: লাভ ক্ষতির প্রশ্ন তুলে লাভ নেই, তবে দেশের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা সবার মাঝেই থাকা উচিত। গরিব দেশ হয়েও এখনো অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা অনেক উন্নত সুযোগ ভোগ করে এবং তা নাম মাত্র মূল্যে। প্রাইভেট ভার্সিটিগুলা আসার পর এই পার্থক্য আরো বেশি বোঝা যায় আজকাল আর এটাকে অস্বীকার করার কিছু নেই। আর পাবলিক ভার্সিটি থেকে যারা বের হয় তাদের মাঝের শ্রেষ্ঠরাই শিক্ষক হয় আর তাদের মাঝের শ্রেষ্ঠরাই সাধারনত উচ্চশিক্ষার সুযোগ আগে পায়। দেশ হয়তো সবার পেছনেই বিনিয়োগ করে সূনাগরিক পাবার আশায়, আর এই শ্রেষ্ঠরাই তো সেই বিনিয়গের প্রকৃত সূফল। তাই হয়তো দেশের অনেকেই এই সূনাগরিকদের থেকেও কিছুটা সার্ভিস আশা করে তাই না।
সূযোগ পেলেই সবাই যে বাইরে চলে যায় ঢালাওভাবে এই কথা টা বোধহয় ঠিক না। অনেক কেই দেখেছি এখনও দ্বায়বদ্ধতা থেকে দেশের মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে। এরকমই আরও কিছু কিছু মানুষের সমন্নিত প্রচেষ্টায় হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন বাইরের কোন পত্রিকায় লিখবে আমাদের সুনাগরিকরা ভালো সুযোগ সুবিধার লোভে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে (ফিকশন হয়ে গেলো হয়ত
)
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২১
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: "সূযোগ পেলেই সবাই যে বাইরে চলে যায় ঢালাওভাবে এই কথা টা বোধহয় ঠিক না।"
আপনার এই মতের সাথে একমত। অনেকই আছেন যারা দেশের টানে বা দেশকে সেবা করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিদেশে ভালো সুযোগ পেয়ে ও দেশে ফেরত আসেন।
৭| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
রাগিব বলেছেন: @হোলসেল - বুয়েটের অনেকেই কিন্তু চাকুরি পাকা করে তার পরে যায়। ইদানিং এই ট্রেন্ড বেড়েছে। বুয়েট অবশ্য এরকম চাকুরি দখল করা ঠেকাতে ২ বছরের আগে কারো চাকুরি পাকা করবে না এই সিস্টেম করেছে। তার পরেও অনেকে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ২ বছর পর চাকুরি পার্মানেন্ট করে তার পর বেতনভাতা সহ বিদেশে যায়। তাদের অনেকের সাথেই কথা বলে দেখেছি, দেশে ফিরবেনা তারা শুরুতেই জানে, ব্যাকআপ পলিসি হিসাবে চাকুরি রেখে এসেছে।
৮| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
মাহবুব সুমন বলেছেন: ১| আপনি বলেছেনঃ সাধারণত, শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করার কিছুদিনের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষার জন্যে বিদেশ পাড়ি জমান। এবং যাওয়ার সময় তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংগে একটি চুক্তি করেন। চুক্তিটি সংক্ষেপে এরকম: লেখাপড়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করতে হবে এবং যতদিন বাইরে ছিল কমপক্ষে ততদিন সার্ভিস দিতে হবে। তা না হলে বাইরে থাকাকালীন যে বেতনভাতা নিয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। এখন নিয়ম মেনে কেই যদি বাইরে থেকে আর ফেরত না আসে, তাহলে সে টা কি অন্যায়? মোটেও না।
------
এটা অন্যায়, কারন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তি করেছেন। "চুক্তির বরখেলাফকে" যদিঅন্যায় না বলেন তবে আপনার সাথে কোনো রকম যুক্তি দেয়া সময়ের অপচয়।
যদি কেউ যেতে চায় তবে চাকুরি ছেড়েই যেতে পারেন। তাহলে কেউ কথা বলতে পারবেন না।
রাগিবের সাথে একমত।
-----------
২| আপনি বলেছেনঃ এখন যদি চুক্তিটি বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষকদের জন্যে আরো কঠিন করে তোলা হয় তাহলে সেটা কি রকম হতে পারে। ধরা যাক, বলা হলো: বাইরে না থেকে দেশে ফেরৎ আসতে হবে। এটা কি কোন চুক্তি হতে পারে? এটা হবে মানবাধিকার লংঘন। চাকুরিতদের জন্য পৃথিবিতে এরকম চুক্তি আছে বলে মনে হয় না।
আপনি অস্ট্রেলিয়ার কথা বলেছেন, অকএইড বা অস্ট্রেলিয়ান সরকারের যেকোনো স্কলারশীপে আপনি এ দেশে থেকে যেতে পারবেন না, দেশে ফীরে আসতেই হবে। এটা জেনেই ও চুক্তিতে সই করেও স্কলারশীপ দেয়া হয়। এটাকে কি মানবাধিকার লংঘন বলবেন ?
কমনওয়েলথ স্কালরশীপের জন্যও একই রকম চুক্তি করা হয়।
আরেকটি কথা, শিক্ষক হিসেবে দেখালে ভিসা পেতে ও স্কলারশীপ পেতে সুবিধে হয়। এটা সবাই জানে।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: চুক্তির বরখেলাপ করলে তা অবশ্যই অন্যায়। আমি বলেছি যারা নিয়ম মেনে এটা করছেন তাদের জন্যে।
৯| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
রোহান বলেছেন: স্কলারশিপগুলো পাওয়ার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অতিরিক্ত কোন সুযোগ পান না। এবং বাংলাদেশ সরকার এই জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরদের জন্যে কোন অতিরিক্ত ব্যয় ও বহন করে না।
===========================================
পরোক্ষ ভাবে স্কলারশিপের জন্য শিক্ষক টাইটেল এবং অভিজ্ঞতা অনেক কাজে লাগে। শিক্ষকতার বাইরের কারও স্কলারশিপের জন্য ভালো কোথাও ট্রাই করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে দেইখেন
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৮
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: সাধারণভাবে সেরা ছাত্রগুলোই শিক্ষক হিসাবে আসেন তাই তাদের মধ্যে থেকেই যে স্কলারশিপ বেশি পাবেন সেটা অনুমেয়।
১০| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬
নাজিম উদদীন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত পদক্ষেপ নিলেই এ সমস্যা হয় না। যারা জানে আর ফিরবে না তাদের উচিত ব্যাক-আপ না রাখা।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৮
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একমত।
১১| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২০
হোলসেল বলেছেন: ইদানিং সবার ভিতরে একধরনের ইনসিকিউরিটিবোধ তৈরি হচ্ছে মনে হয় বিদেশের ব্যাপারে, এবং অনেকে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হওয়ার পরে বাইরে আসতে পছন্দ করে ইদানিং। বিশেষ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে মনে হয় এই ট্রেন্ড সবচাইতে বেশি। আসলে ধান্দাবাজি বাড়তেসে দিনে দিনে। বুয়েটের অনেকের ভিতর নৈতিকতার চুড়ান্ত অনুপস্থিতি দেখে আসছি বুয়েটে থাকাকালিন, এবং এখনো। বুয়েটের হলের ডাইনিং ম্যানেজারি থেকে সুরু করে সব পর্যায়ের স্টুডেন্টদের ভিতর @রাগিব।
১২| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
মাহবুব সুমন বলেছেন: কি নিয়ম মেনে করছেন ?
যারা এসব করেন তারা সব বুঝে শুনেই এই পাপ কাজ টা করেন। তারা যদি দেশে নাই ফেরন আসতে চান তবে খামাখা কেনো পদ ধরে রাখেন ?
তারা চাকুরি ছেড়ে চলে গেলে সে জায়গায় অন্য কেউ শিক্ষকতা করতে পারে, তাই না ?
ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক উচ্চশিক্ষার নামে বছরের পর বছর বিদেশে থাকবেন আর ছাত্র - ছাত্রিরা শিক্ষকের অভাবে থাকবে সেই সব পাপীরা কিভাবে নৈতিকতার বিচারে মাফ পায় !
হা, বেতন - ভাতা ফেরত দিয়ে দেয়া যায়। আপনি বলুনতো ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা বছরে পর বছর বিদেশে থেকে আর ফীরে আসেন নি তাদের কজন বেতন - ভাতার টাকা ফেরত দিয়েছেন !!
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: যারা বেতন-ভাতা ফেরত দেন না তারা নিয়ম মানছেন না।
১৩| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭
হোলসেল বলেছেন: এই নিয়মটাই বাতিল করা উচিত। চাকরি রেখে পাঁচ বছর বেতন-ভাতা তোলার মানে কি? একটা পজিশন পাঁচ বছর ধরে কেউ দখল করে রাখবে, তারপর বেতনের টাকাটা ফেরত দিলেইতো ল্যাঠা চুকে যাওয়ার কথা না। চাকরিতে বাধ্যতামূলক রেজিগনেশনের ব্যবস্থা করা উচিত, অথবা ইস্তফা না দিলে ফিরে আসতে বাধ্য করার উচিত।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: ফিরে আসতে বাধ্য করা উচিত, এরকম চুক্তি পৃথিবীর কোথাও নেই।
তবে চাকরিতে বাধ্যতামূলক রেজিগনেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
১৪| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০
আফরোজ_জাহান বলেছেন: হুমমম জানলাম..ধন্যবাদ
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: কি জানলেন? এনিওয়ে ধন্যবাদ।
১৫| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩
আট আনা বলেছেন: চুক্তিটি সংক্ষেপে এরকম: লেখাপড়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করতে হবে এবং যতদিন বাইরে ছিল কমপক্ষে ততদিন সার্ভিস দিতে হবে। তা না হলে বাইরে থাকাকালীন যে বেতনভাতা নিয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। এখন নিয়ম মেনে কেই যদি বাইরে থেকে আর ফেরত না আসে, তাহলে সে টা কি অন্যায়? মোটেও না।
----------------
ব্যাপারটা এরকম হয়ে গেলনা যে-
দেশে যেহেতু আইন-আদালত আছে, যে কেউ কোন অপরাধ করলে তার জন্য শাস্তি বা জরিমানা সে পাবে, তাহলে নৈতিকভাবে অপরাধ করাটা খারাপ কিছু না। আমি অপরাধ করলাম, সাজা পেলাম-- ব্যাস আমি তো আইনের মধ্যেই আছি।
দেশ ছাড়ার সময় আমি চুক্তি করে আসলাম, পুরাটা সময় বেতন তুললাম, পরে বিদেশে একটা চাকরি পেয়ে আর দেশে ফিরলাম না, সামান্য কয়টা টাকা জরিমানা হিসেবে দিয়ে দিলাম। আমি তো আইনের মধ্যেই থাকলাম।
আমার অকাট্য যুক্তির কাছে দেশপ্রেম পাত্তাই পেলনা। আমার লজ্জার কিছু নেই। ব্লগে আমার মত এরকম আরো 'গাছের টাও খাব, তলার টাও কুড়াবো' গোছের মানুষ আছে।
মাইনাস।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: দেশপ্রেম ভিন্ন জিনিষ। দেশপ্রেম আইন দিয়ে হয় না।
১৬| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
হোলসেল বলেছেন: ফিরে আসতে বাধ্য করা উচিত, এরকম চুক্তি পৃথিবীর কোথাও নেই।
---------------------------------------------------------------------------
পৃথিবীর খুব কম জায়গাতেই নিয়ম আছে মনে হয় ভবিষ্যত সার্ভিসের 'আশায়' পাঁচ-ছয় বছর যাবত উইদাউট সার্ভিসে পে করার। সো পৃথিবীর কোথাও নেই বল্লেতো হবে না। এরকম নিয়ম করাই যায়। আপনার আন্ডারগ্রাউয়েটের মূল সার্টিফিকেট ঢাকা বিশবিদ্যালয় আটকে রাখতে পারে এই চুক্তিতে যে আপনাকে ফিরতে হবে। আর সেটা যদি না পোষায় চাকরি ছেড়ে দিবেন, প্রব্লেম কি?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: নিয়ম করা যায় তবে সে নিয়ম হাইকোর্টে গিয়ে টিকবে না।
১৭| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬
রাগিব বলেছেন: "লেখক বলেছেন: ফিরে আসতে বাধ্য করা উচিত, এরকম চুক্তি পৃথিবীর কোথাও নেই।"
এভাবে ভেবে দেখুন, আপনি অন্য কোনো চাকরিতে চাওয়া মাত্র ৫ বছরের ছুটি (সবেতন) পাবেন? দুনিয়ার কোনো কোম্পানি ৫ বছরের জন্য কাউকে এরকম ছুটি দেয়?
এরকম বিশাল সুবিধা কাউকে দিলে তাকে ফিরে আসতে বাধ্য থাকতে হবে, এহেন চুক্তি করাটা অন্যায্য কিছু না।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: "Leave with Pay" এই নিয়মে বাইরে যতদিন থাকবে, ৫ বছর শেষে কমপক্ষে ৫ বছর সার্ভিস দিতে হবে অথবা বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হবে।
নিয়মটি পরিবর্তন করে "৫ বছর শেষে কমপক্ষে ৫ বছর সার্ভিস দিতে হবে" এটি করা যেতে পারে।
এবং এতে করে নিয়মটি আন্তর্জাতিক লিভ নিয়মের বিরুদ্ধে যাবে না।
১৮| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬
মাহবুব সুমন বলেছেন: আমি কিন্তু আগের এক কমেন্টে অজএইড স্কলারশীপের কথা বলেছি সেখানে ফীরে আসতে বাধ্য করা থাকে ও সেটা ভিসাতেও উল্লেখ করা হয়। আপনি কোথাও নেই এটা কিভাবে বলছেন !?
মালয়েশিয়ান প্রচুর ছেলে সেখানকার সরকারের স্কলারশীপ নিয়ে আসে ( থাকা- খাওয়া- পড়া শোনা- বিমান ভাড়া সব কিছু সহ) , তারা মালয়েশিয়াতেই ফীরে যেতে বাধ্য থাকে। কোথাও নেই এটা কি ভাবে পেলেন ?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: ঐ চুক্তিটি হলো: ফিরে গিয়ে যতদিন বাইরে ছিল মিনিমাম ততদিন সার্ভস দিতে হবে।
১৭ নম্বর কমেন্টের জবাব দেখুন।
১৯| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭
ফারহানা আহমেদ বলেছেন: বরং আমলারা সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বাইরে পড়তে যান কিন্ত অন্যরা এই সুবিধা পাই না বললেই চলে।"--------------আপনার লেখার এই অংশটুকুর প্রতিবাদ করার জন্যই লগইন করলাম। আপনার এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং চরম বিদ্বেষপ্রসূত। আমলারাও বিভিন্ন বিদেশী সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান অন্যদের মতো। কখনো ঐ সব দেশ সরকারী কর্মীদের জন্য আলাদা কোটা রাখে-----যেটা ঐ পর্টিকুলার দেশের অভ্যন্তরীন নীতি, এখানে বাংলাদএশ সরকারের কোনো হাত নেই। কখনো ঐ রকম কোনো কোটার ব্যবস্থা থাকে না, তখন আমলারাও অন্য সব পার্টিসিপ্যান্টের মতো ওপেন পরীক্ষায় সিলেক্ট হয়েই নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সরকের এখানে যে ফ্যাসিলিটিটা দেয় সেটা হলো শিক্ষাছুটি মন্জুর করা।
এখন, আপনি আমাকে অন্তত একজন আমলার নাম বলুন যিনি সরকারী খরচে পড়তে গেছেন।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৪
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: স্কলারশিপের খবরগুলো আমলারা গোপন করে নিজেরাই ভোগ করে।
২০| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭
সোজা কথা বলেছেন: @নাজিম উদ্দীন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় জানিনা তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তি মূলক ব্যবস্হা বাস্তবে দীর্ঘ মেয়াদি বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরোক্রেসি অত্যাধিক। দ্রুত কিছু আশা করা ঠিক হবে না।
অনেকের সাথেই কথা বলে দেখেছি, দেশে ফিরবেনা তারা শুরুতেই জানে, ব্যাকআপ পলিসি হিসাবে চাকুরি রেখে এসেছে।
@রাগিব, এটাই বাস্তব সত্য।
২১| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১
খাদেমুল হক সুমন বলেছেন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা অদ্ভুত নিয়মের কথা বোধ হয় আপনারা অবগত নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি 'পাকা' (কাগুজে ভাষায় স্থায়ি) না হলে কিন্তু কোনো শিক্ষককেই শিক্ষাছুটি দেওয়া হয় না। কাজেই পজিশনটা পাঁচ বছর দখল করে রাখা ছাড়া উপায় কোথায়? এবং তারচেয়েও বড় কথা, এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যায় পড়তে হওয়ার কোনো কারণ নেই, কেননা নিয়মটা হলো কোনো শিক্ষক এক বছরের বেশি সময়ের জন্য শিক্ষা ছুটি নিলে তার পদটি 'ছুটিজনিত কারণে শূন্য' ঘোষণা করা হয় এবং ওই ছুটিকালীন সময়ের জন্য খণ্ডকালীন ভিত্তিতে শিক্ষক নেওয়ারও সুযোগ আইনত আছে। এখন বিশ্ববদ্যলয়গুলো যদি সেই সুযোগ কাজে না লাগায় তার জন্য ওই শিক্ষককে দায়ি করা কি উচিত হবে?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একমত
২২| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২
সো-(হেল)!! আহমেদ বলেছেন: পিএইচডি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করলে ই এই সমস্যা দূর হবে। কেউ পিএইচডি করে জব এ ঢুকলে সে পোস্টডক করতে বিদেশে গেলে ও ৬ মাস বা ১ বছর পরে ই ফিরে আসবে। কিন্তু বিএসসি বা এম এস কাআর পর যারা জয়েন করে তারা বিদেশে গেলে ৫/৬ বছরের মামলা। এই সময়ে এই শুন্যতা পুরন করতে আবার নতুন নিয়োগ হয় তারাও চলে য্য দেশের বাইরে পরাশুনা করতে। মাঝখান দিয়া সরকারের একগাদা পয়সা নষ্ট আর ... খায় ছাত্ররা।
আজ কাল অনেক ভাল প্রাইভেট ইঊনিভার্সিটিতেও পিএইচডি ছাডা শিক্ষক নিয়োগ হয়না।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একমত।
২৩| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
ফারহানা আহমেদ বলেছেন: আরেকটা কথা, ৯৯% আমলা কিন্তু পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসে।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: কেন আসে জাতি তা জানে।
২৪| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫
মাহবুব সুমন বলেছেন: আরেকটি কথা বলছি ভাই,
নৈতিকতা এক জিনিস আর আইন এক জিনিস। আইনের ফাণক গলে অনেক সময়ই পার পাওয়া যায় তবে নৈতিকতা বা বিবেক দিয়ে না।
আপনি দেশপ্রেম ভিন্ন বলে এখানে আনতে চাইছেন না বলে সেটা আমিও আনছি না, তবে দেশপ্রেম কি তুচ্ছ ?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১০
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: দেশপ্রেম তুচ্ছ না বলেই তো তা আইন দিয়ে তৈরি করা যায় না।
২৫| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮
হোলসেল বলেছেন: কেন ভাই, হাইকোর্টে গিয়ে টিকবে না কেন? আপনি কি ভাবে নিশ্চিত হলেন বলবেন কি?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: মানবাধিকার লংঘন হবে।
২৬| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২
মাহবুব সুমন বলেছেন: আন্তর্জাতিক লিভ নিয়মটা কোথায় পাওয়া যাবে ?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১১
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: মাহবুব সাহেব: আন্তর্জাতিক লিভ নিয়ম বলতে আমি বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম এবং মানবাধিকার বিষয়গুলোকে বুঝিয়েছি।
২৭| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
অচেনা সৈকত বলেছেন: রাগিব ভাই@ আমি বুয়েটে তিন বছর চাকরী করে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আমেরিকায় পড়তে এসেছি। এটা ঠিক, বুয়েটের চাকরীটা আমার ব্যাক আপ। তাছাড়া পারিবারীক কারণেও আমার দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। কিন্তু আমি এমন কোন চুক্তি করি নি যার বলে আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন তুলতে পারি। আমি যদি ফিরে যাই কেবল তাহলেই আমি পাওনা বেতন দাবী করতে পারব। যদি না ফিরে যাই তাহলে বুয়েট আমার কাছে আইনত একটি পয়সাও দাবী করতে পারবে না। কারণ এই দীর্ঘ ৫ বছরে আমি বুয়েটের একটি পয়সাও গ্রহণ করব না। তবে কেউ কেউ বন্ড দিয়ে আসে এবং তারা সবেতন ছুটি পায়। বুয়েটের নিয়মটা ভাল কারণ এতে নিজের বিবেকের কাছে সৎ থাকা যায়। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মনে হচ্ছে সবেতন ছুটি দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে বেতন নিয়ে ফিরে না আসা এবং পুরো টাকাটাই মেরে দেয়া অবশ্যই অনৈতিক।
২৮| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭
অচেনা সৈকত বলেছেন: হোলসেল@ যতদূর জানি আপনিও বুয়েটিয়ান। বুয়েটের এই নিয়মটা তো আপনার জানার কথা।
২৯| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮
ফারহানা আহমেদ বলেছেন: এইবার হাসাইলেন আপনে। আপনে তো আগের যামানার কথা বলছেন। এইযুগে স্কলারশীপ সংক্রান্ত সকল খবর সাধারণত ইন্টারনেটেই পাওয়া যায়, লোকে বিজ্ঞপ্তি ওটেবসাইটেই দিয়া দেয়---আমলারা সেইটা গোপন করবে কিভাবে?
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০০
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: আপনিই ভালো বলতে পারবেন।
৩০| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮
রাগিব বলেছেন: @সৈকত - আশা করি পড়া শেষে তুমি তোমার চাকরিতে ফেরত যাবে। আমার পরিচিত বেশ কয়েকজন পিএইচডি শেষ করে বুয়েটে ফেরত গেছেন। একারণে সিএসই বিভাগ এখন বেশ সমৃদ্ধ।
তবে বুয়েটের অনেকেই কিন্তু বেতন নেয় বলে শুনেছি। তাহলে কি বুয়েটের শিক্ষকদের জন্য দুই রকমের ব্যবস্থাই আছে?
৩১| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০০
অচেনা সৈকত বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার, বুয়েটের যে শিক্ষকরা ছুটিকালীন বেতন তুলে পরে ফিরে আসেন না বুয়েট অতি উচ্চ রেটে সুদ হিসাব করে টাকাটা দাবী করে। মামলাও হতে পারে। আমার পরিচিত এক শিক্ষক (পানি সম্পদ বিভাগের) এরকম করায় পরে ৮০০০ ডলার জরিমানা দিয়েছেন। টাকার অংকটা কিন্তু কম না।
৩২| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০১
রাগিব বলেছেন: "লেখক বলেছেন: মানবাধিকার লংঘন হবে।"
তা হবে না মোটেও। বড় বড় সব কোম্পানি যেমন গুগল, ইয়াহু -- এরা কর্মীদের সাথে চুক্তি করে রাখে, তাদের চাকরি ছাড়লে প্রতিপক্ষ কোম্পানিতে ১ বা ২ বছরের মধ্যে যোগ দিতে পারবে না। চুক্তি চুক্তিই- কেউ জেনে শুনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে তা মানতে বাধ্য। মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে দায়িত্ব এড়ানো পড়ে না।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৪
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একটি যোক্তিক টাইম পিরিয়ডের উপর ভিত্তি করে চুক্তি করাটা তো আমি ও সমর্থন করি।
৩৩| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৩
হোলসেল বলেছেন: মানবাধিকার লঙ্ঘন? । জাতিসঙ্ঘের কোন ধারায় এইটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে ভাই? আপনার কাছ থেকেতো জোর করে রাইখা দিবে না সার্টিফিকেট, শুধু চাকরি রাখতে চাইলে রাইখা দিবে। না রাখতে চাইলে নাই। বন্ড দেওন জিনিস্টা কি? বন্ধক দেওন বা মর্টগেজ জিনিস্টা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন?
৩৪| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৪
মাহবুব সুমন বলেছেন: রাগিব, এটাও চুক্তিতে থাকে যে চুক্তির সময়কালের আগে চাকুরি ছাড়লে অন দ্যা জব ট্রেইনিং এর জন্য যে খরচ করেছে কোম্পানী সে গুলোর টাকাও ফেরত দিতে হবে ।
গুগল বা ইয়াহুর চুক্তির ধারা গুলো এখন সবাই প্রয়োগ করে।
৩৫| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৪
অচেনা সৈকত বলেছেন: রাগিব ভাই@ বুয়েটে দুরকম নিয়মই আছে। এখন বেশীর ভাগ তরুণ শিক্ষকই বন্ড সাইন করেন না। মানে যারা জানেন যে ফিরে আসবার সম্ভাবনা কম। অন্তত আমার পরিচিত কেউই করে নি। কাজেই তাদের বেতন তুলবার প্রশ্নই আসে না। কারণ বুয়েটে আমরা বেতন পাই সরাসরি অ্যাকাউন্টে। সেখানে ছুটি নেবার পর বুয়েট বেতন হিসেবে কোন টাকাই জমা দেয় না। যারা বন্ড সই করেছেন কেবল তাদের অ্যাকাউন্টেই বেতন জমা হয়।
৩৬| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৬
হোলসেল বলেছেন: না, আমি জানি না। ইনফ্যাক্ট আমি জব ছেড়ে দিয়ে আসছিলাম। বেশি খোজাখুজির চেস্টা করি নাই @অচেনা সৈকত।
৩৭| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
অচেনা সৈকত বলেছেন: অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বুয়েটের নিয়ম অনুসরণ করলেই পারে। তাহলেই তো কোন সমস্যা থাকে না।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৩
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একেক বিশ্ববিদ্যায়ের নিয়ম একেক রকম বুয়েটর থেকে ঢাবি আলাদা, এদের থেকে চবি আলাদা.........................একটি জাতীয় নিয়ম তৈরি করা যেতে পারে। সেখানে আবার নানা মুনির নানা মত, নানা দল.........
৩৮| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১১
ফারহানা আহমেদ বলেছেন: আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন না, পিছলে গেলেন। গুড, ভেরী গুড.....
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন আমি আমলা নয়। আপনিই লিখুন না তাদের ভিতরকার কথা গুলো। আমলাদের সম্পর্কে এই লেখাতে আমি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছি। মুলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদেশ থেকে যাওটা জাতির জন্য ভালো সংবাদ নয়। তাই এরকম লেখা দিয়ে দেখি বিভিন্নজন কি মতামত রাখে।
৩৯| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১২
অচেনা সৈকত বলেছেন: লেখকের একটা লাইনে আমি একমত, স্কলারশিপ পাবার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কোন সহযোগীতা দেয় না। মনে আছে, আমার আমেরিকায় আসতে পরীক্ষা দেয়া, আবেদন করা আর প্লেনের টিকেট বাবদ ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল যেটা আমাকে ধার করতে হয়েছিল আত্নীয়দের কাছ থেকে।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৫
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: দলীয় বিবেচনায় কিন্ত সেটাও পাওয়া সম্ভব। "Show The Man I Will Tell The Rule"
৪০| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৬
অচেনা সৈকত বলেছেন: ফারহানা@ আমরা শিক্ষকরা যেভাবে পড়তে আসি আমলারাও কি সেভাবেই টোফেল আর জিআরই দিয়ে এপ্লাই করেন? নাকি অন্য কোন উপায় আছে? পরিচিত আমলাদের কথা শুনে মনে হয়েছে উনারা অনেক সহজে যেতে পেরেছিলেন। স্বীকার করছি, বিশদ জেরা করিনি কাউকে। উত্তর দিলে বাধিত হতাম।
৪১| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৭
আট আনা বলেছেন: @ অচেনা সৈকত,
৮০০০ ডলার = দেড় মাসের বেতন।
৪২| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৭
শয়তান বলেছেন: হোলসেল বলেছেন: এই নিয়মটাই বাতিল করা উচিত। চাকরি রেখে পাঁচ বছর বেতন-ভাতা তোলার মানে কি? একটা পজিশন পাঁচ বছর ধরে কেউ দখল করে রাখবে, তারপর বেতনের টাকাটা ফেরত দিলেইতো ল্যাঠা চুকে যাওয়ার কথা না। চাকরিতে বাধ্যতামূলক রেজিগনেশনের ব্যবস্থা করা উচিত, অথবা ইস্তফা না দিলে ফিরে আসতে বাধ্য করার উচিত।
----------------- একমত।
৪৩| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৮
অচেনা সৈকত বলেছেন: লেখক@ অন্য পাবলিক ইউনির দায়িত্ব নিচ্ছি না। তবে বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ন নিয়েই বলছি যে বুয়েট কোন সাহায্য করে না। এটা জেনেই আমরা এপ্লাই করি।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:২৪
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: বুয়েটর কথা জানি না। ঢাবিতে ভিসি সাহেব চায়লে প্লেন ভাড়া দিতে পারেন।
৪৪| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৯
হোলসেল বলেছেন: এটা সম্ভব না। এই ধরনের সাপোর্ট দেওয়াটা খুব ডিফিকাল্ট। তারপরেও, শুধুমাত্র প্লেন এর খরচটার সাপোর্ট হয়তো লোন দিতে পারে এই হিসাবে যে কয়েক মাসের ব্যবধানে সেটা পরিশোধ করা হবে। কারন অনেক ফ্যামিলিতে প্লেন টিকেটের খরচটাও একটা বড় মাপের প্রতিবন্ধক। তবে এর চাইতে বেশি (অর্থনৈতিক) সুবিধা বাংলাদেশে কোন ইউনিভার্সিটির পক্ষে যোগানো সম্ভব না। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েশনের পর উচ্চশিক্ষা নেওয়ার এম্বিশন যদি কারো থাকে, তবে সেটা সামাল দেওয়াটাও তার ব্যক্তিগত এফোর্টে হওয়া উচিত। ইউনিভার্সিটির এখানে খুব বেশি কিছু করনীয় থাকে না। @ অচেনা সৈকত।
৪৫| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:২৪
অচেনা সৈকত বলেছেন: সাব ষ্ট্যান্ডার্ড@ নিয়মটা হচ্ছে বুয়েটের ছুটিকালীন প্রাপ্ত সমুদয় বেতন ফিরিয়ে দিতে হবে উচ্চ হারে সুদসহ। সঠিক হারটা আমার মনে নাই। তবে হিসেব করলে আসলের চেয়েও অনেক বেশী হয়। তবে সবিনয়ে বলি, বুয়েট আমাকে মাসে ১২০ ডলার বেতন দিত। এখন আমি যদি বছরে ৯০০০০ ডলার বেতনের চাকরী করে তাহলে কি বুয়েট আমার কাছে ৯০০০০ অথবা ১৮০০০০ ডলার দাবী করবে? আমি এই ঝামেলা এড়াবার জন্যই বন্ডে সই দেই নি। বিনা বেতনে ছুটি নিয়েছি।
৪৬| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:২৭
অচেনা সৈকত বলেছেন: হোলসেল@ বাংলাদেশের মত একটা দেশের কোন ইউনির কাছে সেটা আশাও করা যায় না। বললাম তো, মাসে ১২০ ডলার বেতনে ঢাকায় তিন বছর সংসার চালিয়েছি। তারপরও দেশে ফিরতে চাই ফিল করি বলেই। ফিরে যাবার পর অভাব নিত্যসঙ্গী হবে সেটা জেনেই।
৪৭| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩০
অচেনা সৈকত বলেছেন: যাই হোক, দেশের উচ্চতর গবেষনা আর একটু উন্নত করলে আমার আমেরিকায় আসতে হত না। আমি চাই, ভবিষ্যতে যেন পিএইচডির জন্য কারো আমেরিকায় আসতে না হয়। বাংলাদেশেই যেন সেটা করা যায়।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪১
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একমত।
৪৮| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪
আট আনা বলেছেন: @ অচেনা সৈকত,
আমার পয়েন্ট টা ছিল, বাইরে চাকরি নিয়ে দেশের বেতনের অনুপাতে জরিমানা (সুদ সহ) দিতে তো গায়ে লাগবেনা তেমন।
যাইহোক, পোষ্ট টার বেশিরভাগ বক্তব্যের সাথেই একমত হতে পারলামনা।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: আপনাদের মুল্যবান মতামত সাদরে গ্রহনযোগ্য। মুলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদেশ থেকে যাওটা জাতির জন্য ভালো সংবাদ নয়। তাই এরকম লেখা দিয়ে দেখি বিভিন্নজন কি মতামত রাখে।
৪৯| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
অচেনা সৈকত বলেছেন: সাব ষ্ট্যান্ডার্ড@ বুয়েট ছাড়া অন্য ইউনিগুলোতে মনে হয় শিক্ষকদের বিনা বেতনে ছুটি নেয়ার কালচার অনুপস্হিত। তবে দু:খ লাগে যখন আমাদেরও একই দলভুক্ত করে ফেলা হয়।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: ঢাবিতে ও বিনা বেতনে ছুটি নেওয়ার নিয়মটি আছে।
৫০| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪১
আট আনা বলেছেন: @ অচেনা সৈকত,
ভাই খালি দেশের ১২০ ডলার টাই দেখলেন? বাইরের বাসা ভাড়া, মেডিক্যাল, অটো ইন্সুরেন্স, ট্যাক্স এসবও বলেন কিছু। দেশে অনেক সমস্যা সেটাও জানি।
৫১| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪২
হোলসেল বলেছেন: @অচেন সৈকত। বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে সেটার সম্ভাবনা নেই। ইন্ডিয়া, চায়নার কথা বাদ দিলাম। ইউরোপ - অস্ট্রেলিয়ার মত জায়গাতেই ইউনিভার্সিটি লেভেলে কোয়ালিটি রিসার্চ ফ্যাসিলিটি এখনো দূর্লভ। ইউরোপের নামে মাত্র কয়েক্টা দেশে (নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন) ছাড়া বাকি দেশগুলাতে গবেষনার বেইল নাই তেমন। কাজেই বাংলাদেশে সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে আর অন্ততপক্ষে অর্ধ শতাব্দি আর আমার মতে পিএইচডি যত ভালো জায়গাতে করা যায়, তত ভালো। সেটা দেশে হোক বা দেশের বাইরে হোক। লাইফের সর্বোচ্চ শিক্ষাটা ভালো কোন জায়গাতে নেওয়ার চেস্টা করা উচিত।
৫২| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫০
অচেনা সৈকত বলেছেন: হোলসেল@ আপনার যুক্তি ঠিক আছে। সবই জানি। তারপরও কখনই দেশ ছেড়ে আসাটা মেনে নিতে পারি না। এটাকে আমার একধরনের শাস্তি বলে মনে হয়।
সাব ষ্ট্যান্ডার্ড@ আমি রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে যে টাকা পাই তাতে আপনার উল্লেখিত সব খাতে খরচ করেও মাসে প্রায় ১০০০ ডলার ব্যাঙ্কে জমে। আমি দেশে থাকতে এই সেভিংসের দশ ভাগের এক ভাগ বেতন হিসেবে পেতাম। কাজেই এই তুলনা করে আসলে কোন লাভ হবে না। দেশে ফিরলে সব জেনেই ফিরতে হবে।
৫৩| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৭
আট আনা বলেছেন: @ অচেনা সৈকত,
ভাই একটা অফ টপিক প্রশ্ন, ইচ্ছা না করলে উত্তর দিয়েন না। টিএ বা আরএ দের ট্যাক্স কেমন কাটে? জাস্ট কৌতুহল।
৫৪| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫২
কেএসরথি বলেছেন: যে যার দলের পক্ষে কথা বলবে, এটা আর নতুন কি?
দোষ স্বীকার আপনিও করবেন না, আমিও করব না। গুটি কয়েক শিক্ষক হয়তো বিভিন্ন কারনে আসতে পারেন নাই, কিন্তু majority যে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কারনে বিদেশে রয়ে গেছেনম, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একমত।
৫৫| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কঠিন আলোচনা দেখি!
আমি স্কলারশিপ চাই!
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
৫৬| ০৩ রা মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৭
তিথী ও টাটা বলেছেন: চোরের মায়ের বড় গলা!! সার্ভিস না দিয়ে টাকা নিবে এটা তো একটা বড় চুরি ,হারাম উপার্জন,দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা!!
দেশে থাকা যদি অন্ধকার ভবিষ্যত হয় তবে এমন নিমক হারামদের আর বাংলাদেশের দরকার নেই।
০৩ রা মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৩২
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: "সার্ভিস না দিয়ে টাকা নিবে এটা তো একটা বড় চুরি ,হারাম উপার্জন"
একমত
যারা বাইরে থাকেন তাদের উজ্জল ভাবিষ্যতের জন্যে, এ অধিকার তাদের আছে, তবে তা অবশ্যই নিয়মের ভিতর থেকে।
৫৭| ০৩ রা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬
মাহবুব সুমন বলেছেন: অচেনা সৈকতের দেশে ফেরা নিয়ে দোনা - মোনা কাটছে ? সেই পোস্টটা কি মুছে ফেলেছিলেন ?
আমার দেশপ্রেম নিয়ে আবার কথা বইলেন না প্লিজ। আমি সব ছেড়ে ছুড়ে বিদেশে চলে এসেছি, কোনো পিছুটান রাখি নাই।
৫৮| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ৮:০৯
অচেনা সৈকত বলেছেন: সাব ষ্ট্যান্ডার্ড@ বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার ট্যাক্স এক্সেম্পশন চুক্তি আছে। সেটার কারণে প্র্যাকটিক্যালি কোন ফেডারেল ট্যাক্স দিতে হয় না। মাসে ৮ ডলারের মত কেটে রাখে। আর সব স্টেট ট্যাক্স কাটে না যেমন টেক্সাস। তবে নর্থ ডাকোটাতে অল্প কিছু দিতে হয় ট্যাক্স ফাইল করবার পর।
মাহবুব সুমন@ দেশে ফেরা নিয়ে দোনা-মোনার কিছু নেই। দেশপ্রেম অবশ্যই দেশে ফেরা বা না ফেরার ওপর নির্ভর করে না। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত ও পারিবারীক ঘটনা পরম্পরার ওপর দেশে ফেরাটা নির্ভর করে। আমি এটাকে ভিত্তি করে কেন দেশপ্রেম আছে কি নেই সেটা নিরুপণ করব? তাহলে তো বলতে হয় সব প্রবাসী বাংলাদেশীই দেশদ্রোহী। অথবা সব দেশে বসবাসকারীই দেশপ্রেমিক। এ ধরনের অযৌক্তিক সরলীকরণ আমি করি না। এ প্রশ্ন তোলাটাই হাস্যকর মনে হয়। আমার ক্যারিয়ার নিয়ে আমার নিজস্ব পরিকল্পনা আছে। সেটার মধ্যে কোন এক পর্যায়ে দেশে ফেরাটাও অন্তর্ভুক্ত। আশা করি, কৌতুহল নিবৃত্ত হয়েছে। আপনি যে মুছে ফেলা পোস্টটার কথা বলছেন সেটার মূল বক্তব্যের সাথে আমি এখনও একমত। বেতন না বাড়ালে বুয়েটের ১ শতাংশ শিক্ষকও আর ফিরবে না। সেটা আপনারা স্বীকার করুন আর নাই করুন। অন্তত আমার পরিচিত কারো ফেরার কোন পরিকল্পনা নেই।
৫৯| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ৮:১৭
মাহবুব সুমন বলেছেন: শুকরিয়া অচেনা সৈকত
আমেরিকার মতো বেতন কখনোই আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিতে পারবে না, এটা একটা শিশুও জানে। এটাকে কারা খোঁরা অযুহাত হিসেবে দাঁর করায় সেটাও জানি।
এদের ভন্ডামী দেখে করুন হয়।
মাঝে মাঝে দেখেছি আপনি অন্যদের দেশপ্রেম নিয়ে খোঁটা দেনতো তাই মনে করিয়ে দিয়েছিলাম।
৬০| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ৮:৩৪
অচেনা সৈকত বলেছেন: মাহবুব সুমন@ আমার ব্লগ লাইফে এরকম কিছু করেছি বলে মনে পড়ছে না। আপনি সম্ভবত আমার কোন কমেন্ট বা পোস্টে ভুল বুঝেছেন। যদি সরাসরি উদ্ধৃতি দিতেন তাহলে ভাল হত, ব্যাখ্যা দিতে পারতাম। আর একটা কথা বলি, বেতনও কিন্তু বড় ব্যাপার না। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আভ্যন্তরীন রাজনীতি প্রত্যক্ষ করেন নি। আমি নিজে এরকম রাজনীতির সরাসরি ভিকটিম। এরকমও মনে হয়েছে, আমাকে মাসে ৫ লাখ টাকা বেতন দিলেও এই চাকরী করব না। দরকার হলে বিসিএস দিয়ে সরকারী চাকরীতে যাব। আর কেন শিক্ষকরা ফিরে আসছেন না অথবা চাকরী ছেড়ে দিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন সেটা কখনো ভেবেছেন? আপনি কি জানেন আমার নিজের বিভাগে কিছু কোর্স বন্ধ করবার উপক্রম হয়েছে উপযুক্ত শিক্ষক না থাকায়? এসবের প্রতিকার কি? আপনি আমাকে ভন্ড বলুন আর যাই বলুন। আমি যা করতে চাই সেটা সম্পর্কে আমার স্বচ্ছ ধারণা আছে। আমি বরং দেখেছি আমারই দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় এই ব্লগে। যেন আমেরিকায় পিএইচডি করতে এসে অপরাধ করে ফেলেছি। উপরের মন্তব্যে নিশ্চয়ই দেখেছেন আমি দেশের কাছে বেতন হিসেবে একটি পয়সাও নিচ্ছি না। আর যদি আমার পেছনে খরচ করা জনগণের করের টাকার কথা বলেন তো সেটার প্রতিদান দেবার জন্য আমার কিছু পরিকল্পনা আছে। আমি পিএইচডির মাত্র দু বছর শেষ করলাম। ডিগ্রীটা না নিয়ে ফিরলে তো আসলে কোন লাভ নেই, কোন প্ল্যানও সফল হবে না, তাই না? আর একটা কথা সরাসরি বলি, দেশে ফেরা মানেই কিন্তু বুয়েটে ফেরা না। যে চাকরী আমাকে সম্মান আর গ্রাসাচ্ছাদনের নিশ্চয়তা দেয় না তার চেয়ে ঢের ভাল চাকরী দেশে পাওয়া যায়। অথবা ওরকম চাকরীর চেয়ে কৃষি খামার করে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকাও ভাল। অন্তত মানুষ হিসেবে নিজের সম্মানটুকু বাঁচে।
০৪ ঠা মে, ২০০৯ সকাল ৯:০৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: দেশে ফেরা মানেই বুয়েটে ফেরা না। এটা খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন।
৬১| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ৮:৩৯
অচেনা সৈকত বলেছেন: মাহবুব সুমন@ খোঁরা অযুহাত কাকে বলছেন? উপযুক্ত বেতন আর সম্মান না দেয়ায় আমরা অতীতে ড: আমান হক, ড: সাব্বির হোসেনের মত আরো অনেক মেধাবী শিক্ষককে হারিয়েছি। উনারা এখন পেন স্টেট আর জর্জিয়া টেকে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। রাগিব ভাইরা তো চাকরী ছেড়েই চলে এসেছেন। এটা কি বুয়েটের ব্যর্থতা না? আপনি কি এটা বুঝছেন যে আমার ইউনিতে দিন দিন শিক্ষক সংকট গভীর হচ্ছে? একজন অ্যালামনাই হিসেবে আমি এতে গভীর বেদনা বোধ করি।
৬২| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ১০:০০
রাতেরপথিক বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ এখন নিয়ম মেনে কেই যদি বাইরে থেকে আর ফেরত না আসে, তাহলে সে টা কি অন্যায়? মোটেও না।
না ভাই অন্যায় হইবো কেমনে!! আমি নিয়ম মেনে বাইরে যাব আর চাকরি করব আর এইদিকে একটা পদ দখল করে রাখব খুবই ন্যায় কাজ। এত বড় ন্যায়ের কাজ এই দুনিয়াতে আর একটাও নাই।
আমার এই সৈরাচার শিক্ষকগুলারে নিয়ম শিখাইতে ইচ্ছা করে।
প্রথম আলো কি কইছে জানি না তয় আমি পারলে জুতা পিটা করতাম। সবাই জানে বেতন কম তারপরও এই পেশা বেছে নিয়ে পড়ে কোটি টাকা কামানোর ধান্দা। কেন ভাই আমাগো জাতির বিবেকরা জানতো না যে বেতন কম তাইলে শিক্ষক হইলো কেন??????
মনে রাখবেন ব্যবসায়ী আর শিক্ষক এক না তাই শিক্ষকদের ব্যবসা করা উচিত না ।
মনে হয় এই প্রথম বারের মত আপনার পোষ্টে মাইনাচ। দুখিঃত।
০৪ ঠা মে, ২০০৯ সকাল ৯:০৮
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: পদ দখলে রেখে বাইরে চাকরি করবে, কে বলল এই কথা আপনাকে? চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বিভিন্ন নিয়ম কানুন রয়েছে। বেতন-ভাতা ফেরত দিলেই হয় না, চড়া সুদে তা ফেরত দিতে হয়।
কিছু বাস্তবতা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বেতন-ভাতা কম বলে অসংখ্য মানুষ যারা খুব মেধাবী তারা দেশ ছেড়েছে। শিক্ষকরা ও তার ব্যতিক্রম নই।
৬৩| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ১০:০৭
বিডি আইডল বলেছেন: বেতন তুলি না...ফিরে গেলে তুলে চাকরী করবো....না ফিরে গেলে চাকরী ছেড়ে দেব...মামলা ডিসমিস
০৪ ঠা মে, ২০০৯ সকাল ৯:১৪
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: কেই যদি বেতন তুলে এবং পরে সুদ-সহ ফেরত দেয় তাহলে তো ঐ একই ব্যাপার দাড়ালো। প্রথম আলো পত্রিকার মতে ফিরে না যাওয়া টাই অন্যায়।
কারণ একজন শিক্ষক যখন বাইরে আসেন তার স্হলে কিন্ত আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই সে পদটি দখল করে রাখছে এরকম নয়, এবং পরে যেহেতু সুদসহ বেতন-ভাতা ফেরত দিচ্ছে তাই আর্থিকভাবে ও প্রতিষ্ঠানকে ঠকাচ্ছে না।
৬৪| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ১০:১৮
অচেনা সৈকত বলেছেন: রাতেরপথিক@ এজন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একজোট হয়ে নিয়ম করতে হবে যে কোন শিক্ষাছুটি দেয়া হবে না। কেউ বাইরে গেলে পদত্যাগ করে যেতে হবে। এরকম তুঘলকি আইন যখন সরকার করে কেন জনগণ তার প্রতিবাদ করে না, আমি জানি না। বুয়েটে বিএসসি করেই লেকচারার আর পিএইচডি ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক হওয়া যায় (যেমন আমি)। এই বাজে ও হাস্যকর আইনটাও বাতিল করতে হবে।
০৪ ঠা মে, ২০০৯ সকাল ৯:২০
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: কঠিন একমত।
৬৫| ০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ১১:২৬
রাতেরপথিক বলেছেন: আমার জ্ঞানতো খুবই সীমিত কিছুই বুঝিনা। একটা জিনিস জানতে আমার মন চায়। আমাদের যে মহান শিক্ষকরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে দেশে ফেরে তারা দেশে ফিরে কি করে? দেশকে কিভাবে উদ্ধার করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোর্স প্রচলিত আছে তা পড়ানোর জন্য পিএইচডি করা শিক্ষকের কি খুবই দরকার? আমার তো মনে হয় দরকার নাই। আমাদের পড়ালেখা করনোই হয় চাকরির জন্য। আর এই দায়সারা পড়ালেখা করানোর জন্য উচ্চশিক্ষা খুব দরকার নাই।
আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস বিশেষত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব পোলাপাইন ভর্তি হয় তারা আসলেই মেধাবি আর তারা যা করে নিজের মেধার গুনেই করে। এক্ষেত্রে আমাদের উচ্চশিক্ষিত শিক্ষকদের ভূমিকা খুবই কম আমার মনে হয়।
হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত জ্ঞানের ক্ষেত্রে পরিনত করতে হবে নতুবা কেরানী তৈরির এইসব প্রতিষ্ঠানকে কেরানিকেন্দ্র ঘোষনা করিতে হইবে।
@অচেনা সৈকত ভাইঃ আইন বাতিল। আইন শব্দটাই আমার কাছে কেমন জানি বেআইনি লাগে।
০৪ ঠা মে, ২০০৯ সকাল ৯:১৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোর্স প্রচলিত আছে তা পড়ানোর জন্য পিএইচডি করা শিক্ষকের কি খুবই দরকার?
এই অবস্থা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এবং এর জন্য শধু শিক্ষকরা দায়ী নয়। সরকারের পলিসি দায়ী।
৬৬| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১২:০৪
অরণ্যচারী বলেছেন:
০৪ ঠা মে, ২০০৯ সকাল ৯:২০
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: কিছুই তো বললেন না।
৬৭| ১০ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৯
স ম রাজ বলেছেন: পুরাতন নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
৬৮| ১৭ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
গ গ ন তিলাবাসকি বলেছেন: হে হে একবার যুদি বৈদেশ যাইতে পাড়ি----------------
খুব ভালো পস্ট দিছেন ।
৬৯| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩০
হুমায়রা হারুন বলেছেন: ++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬
হোলসেল বলেছেন: সাধারণত, শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করার কিছুদিনের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষার জন্যে বিদেশ পাড়ি জমান। এবং যাওয়ার সময় তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংগে একটি চুক্তি করেন। চুক্তিটি সংক্ষেপে এরকম: লেখাপড়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করতে হবে এবং যতদিন বাইরে ছিল কমপক্ষে ততদিন সার্ভিস দিতে হবে। তা না হলে বাইরে থাকাকালীন যে বেতনভাতা নিয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। এখন নিয়ম মেনে কেই যদি বাইরে থেকে আর ফেরত না আসে, তাহলে সে টা কি অন্যায়? মোটেও না।
---------------------------------------------------------------------------------
এটা অন্যায়, যদি আপনি বিশবিদ্যালয়ের সাথে এরকম চুক্তিতে আবদ্ধ থাকেন এবং মাসিক ভাতা গ্রহন করতে থাকেন আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষাকালিন সময়ে। আপনি যদি চাকরি ছেড়ে চলে যান, এবং সেহেতু বেতন-ভাতা না গ্রহন করেন, তাহলে কারো কোন এক্তিয়ার নেই আপনাকে দেশে ফিরতে বাধ্য করার। ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ব্যাপার জানি না, বুয়েটের ক্ষেত্রে ৯৫% লেকচারার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে বিদেশে যায়। ফলে কোন বাইন্ডিংস বা অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহনের প্রশ্নই আসে না। আপনি সম্ভবত ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের। একটু বলবেন কি, আপনি আপনার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে আসছেন কিনা বা কোন বেতন-ভাতা গ্রহন করেন কিনা? যদি ইস্তফা না দিয়ে থাকেন, তাহলে দেশে না ফেরাটা হবে নাফরমানি। আর যদি ইস্তফা দিয়ে আসেন, তাইলে কারো কোন রাইট নাই আপনাকে ফিরতে বলার।