নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
বিএনপি নির্বাচন নিয়ে অস্থির হয়ে পড়েছে কিন্তু গত ১৫/১৬ বছর তারা নির্বাচন করেনি বা করতে পারেনি। গণহত্যাকারী হাসিনা যত ধরনের কুটকৌশল ছিল সবই প্রয়োগ করেছে নির্বাচনকে তার পক্ষে নিতে এবং সফলও হয়েছিল। সেই সফলতার পিছনে ছিল সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের সমন্বিত সফল প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও, ডিসি সহ সকলেই। গণহত্যাকারী হাসিনা 'র' এর সুনিপূন ছকে প্রতিটি পয়েন্ট, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ যায়গাতে বিশেষ সম্প্রদায় ও আওয়ামী ক্যাডারদের বসিয়েছিল যাতে কোনভাবে কেউ বাগড়া দিতে না পারে এবং সেই সময় বিরোধী মতের কেউই সরকারী চাকুরী পেতোনা বললেই চলে।
কত নির্মম আওয়ামী দূর্শাসন।
বিএনপি হলো মাথামোটা টাইপের একটা দল। এদের না আছে রাজনৈতিক জ্ঞান, না আছে বুদ্ধিবৃত্তিক ভিশন। এরা কিসের পেছনে দৌড়াচ্ছে সেটা ১৫-১৬ বছরে জনগণ দেখেছে। এরা আলটিমেটাম, তীব্র নিন্দা, ঈদের পর সরকার হঠাও আন্দোলনের হুশিয়ারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আওয়ামীলীগের একগুচ্ছ কেশও ছিঁড়তে পারেনি। এখন তাদের নির্বাচন নিয়ে তর সইছেনা। নির্বাচন নিয়ে BNP 'র এতো তাড়া কেন? অথচ সন্ত্রাসী আওয়ামী ক্যাডাররা বিএনপিকে এক সপ্তাহের আন্দোলনেই কুপোকাত করে দিত।
জামাতের নির্বাচন নিয়ে তাড়া নেই কারণ ১৫/১৬ বছর প্রচন্ড দৌড়ের ওপর ছিল; সেই দৌড় ছিল রকেটের মতো পিছনদিয়ে প্রচন্ডবেগে গ্যাস নির্গত হওয়ায় দ্রুত দৌড়াতে পেরেছে বা দৌড়িয়েছে। গণহত্যাকারী হাসিনার সময় পুলিশ কাউকে ভিতি প্রদর্শনে বলতো "ব্যাটা জামাত বলে চালান করে দেবো"। এখান থেকে বোঝা যায় তাদের কী অবস্থা ছিল? এখন গণহত্যাকারী হাসিনার পতনের পর সবেমাত্র স্থির হয়েছে। তারা দল গোছানোই ব্যস্ত। তারা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময়দিয়ে দল গুছিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্পপ্নে বিভোর, তারা এমন অলিক স্বপ্ন দেখছে যে, বিএনপিকে কোন পাত্তাই দিচ্ছেনা অথচ জামাত আগামী ৫০ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে বলে কেউ বিশ্বাস করেনা এবং আমিও করিনা।
নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করাই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ কারণ তরুণ প্রজন্ম ভোট কী তা এখনো বোঝেনা অর্থাৎ তারা ভোট দেওয়া কোন সুযোগই পায়নি। জাতিকে প্রস্তুত করতে সময় প্রয়োজন। গণহত্যাকারী হাসিনা যেভাবে বিচার বিভাগ, প্রশাসন বিভাগকে দলীয়করণ করেছে সেটা ঠিক করতে কমপক্ষে ২ বছর সময় দরকার ভালো হয় আরো কিছু সময় দিলে।
ড. ইউনূসকে পরামর্শ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত সেই সংগে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা পশ্চিমারা তাই ইউনূসের পক্ষে ভুলকরার সম্ভাবনা কিছুটা কম। তবে আমেরিকার নির্বাচনে যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসে তাহলে ড. ইউনূসের জন্য সমস্যা হতে পারে। সে যাই হোক, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দূষনমুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্টা করতে না পারলে ছাত্র/জনতার বিপ্লব বিফলে যাবে এবং আবারো কোন হায়েনার দল দেশকে গিলে খাবে।
প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই চোখে পরে আওয়ামীলীগের উমুক নেতা এতো হাজার কোটি টাকা লুট করেছে তুমুক নেতা একলাখ কোটি টাকা পাচার করেছে, অমুক পুলিশ কর্মকর্তা এতো হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে, অমুক পুলিশ কর্মমর্তা দেড় হাজার বিঘা জমি কিনেছে স্ত্রীর নামে, অমুক আয়কর কর্মকর্তা এতো হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে এগুলো বন্ধ করতে হলে অবশ্যই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে নচেৎ যে লাউ সেই কদু হয়ে যাবে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখানে দোষের কিছুনা। প্রশাসন থেকে আওয়ামী শিকড় উপড়ে ফেলতে না পারলে বিএনপি সুবিধা করতে পারবেনা। আওয়ামী শিক[ড় উপড়ে ফেলতে সময় প্রয়োজন সেটা অবশ্যই ড. ইউনূসকে দিতে হবে।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
নতুন বলেছেন: ভাই গদি কার না পছন্দ।
যত তাড়াতাড়ি নিবাচন দেবে বিএনপির জন্য ততই মঙ্গল।
অবশ্য তারেককে সম্ভবত আসতে দেবেনা, এবং নতুন দলকেই ক্ষমতায় আনতে চেস্টা হবে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার মনে হয়না কোন নতুন দল ক্ষমতায় যেতে পারবে। ঘুরেফিরে দুই দলই ক্ষমতায় যাবে এবং এটাই বাস্তবতা।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬
নতুন বলেছেন: আম আদমী পার্টির মতন যদি নতুন কাউকে ভোট না দেয় তবে জনগন সেই একই ভুল করবে যেটা ৫৩ বছর চলে আসছে।
নতুবা বিএনপি/আয়ামীলীগ তাদের দলের নেতাদের কোন পরিবর্তন করবেনা।
নতুন দলকে ক্ষমতায় পাঠালেই নতুন বাংলাদেশের সুচনা হবে।
নতুবা যেই লাউ সেই কদু...
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন। পরিবর্তন দরকার।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭
অরণি বলেছেন: বিএনপি একগুচ্ছ কেশ ছিড়তে পারেনি কারণ বের হলেই গুলি করে আওয়ামীরা।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তা মন্দ বলেননি পাখির মতো গুলি করেছে
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: দেশকে এমন ভাবে পরিস্কার করতে হবে যাতে আগামী ৫০ বছরেও দেশে হায়েনার জন্ম না হয়। ড. ইউনূসকে অবশ্যই সময় দিতে হবে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ড. ইউনূসকে সময় না দিলে আগাছা কখনই পরিস্কার হবেনা। নচেৎ যে লাউ সেই কদু হবে।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫
কিরকুট বলেছেন: মধুর স্বাদ যে একবার পাইছে সে কি তা ভোলে ? কোটি কোটি টাকা ভেসে যাচ্ছে , ধরতে হবে না ? এর মধ্যেই তারা বিভিন্ন স্থাপনা দখল ও চান্দাবাজী শুরু করে দিছে । সেনাবাহিনী কিচ্ছু বলছে না ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন তো শুধু তারাই মাঠে।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮
জটিল ভাই বলেছেন:
এবার বিএনপি এলে আওয়ামীলীগের চেয়ে কম খারাপ হবেনা! ১৬ বছরের যন্ত্রণা! ফলে জনগণ যেই কচুকাটা সেই কচুকাটাই হবে
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন সবাই সেই কথাই বলছে।
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি ভয়ে আছে যে , বেশি দেরী হইলে তৃতীয় কোন শক্তি না দাড়ায়ে যায়। তাদের এই ভয় অমুলক নয়। মানুষ এখন তৃ্তীয় কোন শক্তির উত্থান চায়। জনগনও ডক্টর ইউনুসকে দীর্ঘদিনের জন্যই চায়। কিন্ত অন্তরবর্তী সরকারকে কঠোর ভুমিকায় দেখতে না পাওয়ায় সবার মাঝে একটা ভয় ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে। ১/১১ সরকারের কথাই ভাবেন যে , কি পরিমান দৌড়ানির উপড় তারা রাজনিতিবিদদের রেখেছিল। দুর্নীতিবাজ বিএনপির সেই যে মেরুদন্ড ভাঙ্গল, তা আর সোজা হইতেই পারে নাই। কিন্তু বর্তমানে বিএনপির ১০০ গুন বেশি অপকর্ম করা লীগের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নিতে দেখা যাচ্ছে না সরকারকে। আর এখানেই আসল ভয়। আনসার, বিচার বিভাগ এর ব্যার্থ ক্যূ এর পর ক্যূ টা যদি মেইন জায়গা থেকে হয় , তাইলে কিন্ত পুরা দেশ শেষ হয়ে যাবে। মিয়ানমারের অবস্থা হবে দেশের। ্সবাই শেষ হয়ে যাবে একেবারে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনেকেই পালিয়ে গেল, কিভাবে গেল বোঝা যাচ্ছেনা? কারো কোন হদিসই নেই। একের পর এক ক্যুর চেষ্টা করছে সেগুলো শক্তহাতে দমন করছেনা। কী হচ্ছে সেটা আন্দাজ করা মুশকিল
৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫১
রাজীব বলেছেন: দেশের সব সেক্টরে আওয়ামী লীগের নিয়োগকৃত লোকজন আছে। এই অবস্থায় ভোট হলে কি বিএনপি জিতবে?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মোটেই জেতার কথা না।
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪
আলামিন১০৪ বলেছেন: দীর্ঘকাল ভুখা, তাই এখনি খেতে চায়।
রাজনীতিকে যদি কলুষমুক্ত করা যেত তাহলে আগ্রহী মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না ঠিক তেমনি সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রেও এটি সত্য, সরকারী চাকুরী স্থায়ী না করে সর্ব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক করতে হবে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভালো পরামর্শ দিয়েছেন।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
রাসেল ০০৭ বলেছেন: জামায়াত দল হিসেবে কোনকালেই ভঙ্গুর ছিলোনা । চরম বৈরি সময়েও
তারা দল হিসেবে সুশৃঙ্খল ছিলো । সুতরাং দল গোছানোর কিছু নেই ।
তারা বরং তাদের প্রতি মানুষের পারসেপশন পরিবর্তনের বিষয়ে মনোযোগী ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তারা মানুষের মনে স্থান করে নিতে চাচ্ছে কিন্তু সেটা কতটা কার্যকর হবে জানিনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
খাঁজা বাবা বলেছেন: বি এন পির নেতা কর্মীরা ৪ লাখ মামলা নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে। তাই আন্দোলনে সুবিধা করতে পারে নি।
এখন নির্বাচন হলে বি এন পি বিশাল জয় পাবে, তাই তারা নির্বাচন চাচ্ছেয়া। তারা হাসিনার মত জোড় করে ক্ষমতায় জেতে চাচ্ছে না। এতে খারাপ কিছু নেই। নির্বাচনে দেরি হলে তাদের ইমেজে ক্ষতি হতে পারে।
অন্য দিকে জামায়াত স্বপ্ন দেখছে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের। বিগত ১৫ বছরে তারা কোন সাংগঠনিক বা বিজ্ঞাপন মূলক কার্যক্রম চালাপে পারেনি। কিছুটা সময় পেলে তারা এই সমস্যা সমাধানের সুযোগ পাবে বলে মনে করছে। তারা ভাবছে যত সময় বেশি পাবে, তারা জনগনের তত কাছাকাছি গিয়ে আসন সংখ্যা বাড়াতে পারবে।
দুই দলের পরিস্থিতি ভিন্ন। আপনি একতরফা বি এন পি কে দোষ দিতে পারেন নয়া।