নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত শান্তি ফিরিয়ে আনা। মজার বিষয় হলো ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় আমেরিকার নিউইয়র্কে। ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে।
অভয়চরনারাবিন্দ ষাটের দশকের হতাশাগ্রস্ত পশ্চিমা সমাজে যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করার প্রাচীন ভারতীয় রীতিকে তিনি হরে কৃষ্ণ কীর্তনের সুরে অনেকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলেন। ভারতীয় কীর্তনের ধ্রুপদী সুরের সাথে তিনি পশ্চিমা ঘরানার জনপ্রিয় সঙ্গীতের তাল-লয়-সুর সংযুক্ত করে তার হরে কৃষ্ণ কীর্তনগুলোকে দারুণ শ্রুতিমধুর করে তোলেন। ষাটের দশকের পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি জর্জ হ্যারিসন এবং জন লেননের সাহায্য নিয়ে অভয়চরনারাবিন্দ কয়েকটি জনপ্রিয় কীর্তনের অ্যালবাম তৈরি করেন। বিটল-সখ্যাত জর্জ হ্যারিসনের সুপারহিট অ্যালবাম মাই সুইট লর্ড এবং জন লেননের গিভ পিস অ্যা চান্স অ্যালবামের সাথে হরে কৃষ্ণ লিরিক্স যোগ করার ফলে ইসকন এবং হরে কৃষ্ণ ইউরোপ-আমেরিকার মানুষের মুখে মুখে ভাসতে থাকে।
ইসকন নামটি নিয়ে এ মুহূর্তের বাংলাদেশে যে অন্তহীন বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা যে শেষ অবধি কোন পরিণতি ডেকে নিয়ে আসে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ইসকনকে ঘিরে রাজ্যের সন্দেহ, অবিশ্বাস ও গুজব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। জনসাধারণ মনে করছে, ভারতের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং বিজেপি যুগপৎভাবে তাদের বাংলাদেশ মিশন সম্পন্ন করার জন্য সব রকম ক্ষমতা এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে ইসকনকে বাংলাদেশে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। ইসকনের হয়ে কয়েকজন অনলাইন কর্মীর জোরালো তৎপরতার কারণে, যারা বহুবিধ বাহারি প্রচারে ইসকন সম্পর্কে মানুষের সন্দেহ ঘনীভুত হচ্ছে কারণ জনগণ মনে করছে, ইসকনের পেছনে ভারতের মদদ থাকার দরুন তারা হয়তো সব কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে।
ইসকন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে দিয়ে তাদের হরিনামের কীর্তন গাওয়ায়। শিশুরা তাদের সহজাত কৌতূহল এবং আন্তরিকতা নিয়ে সমস্বরে জয় হরি বা জয় হরিবল ইত্যাদি শব্দের সমাহারে কীর্তন গাইতে গাইতে ইসকনের দেয়া খাবার খেতে থাকে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোমলমতি বালক-বালিকা ও শিশুদেরকে পূজার প্রসাদ বলে কথিত খাদ্য বিতরণ করে শিশুদের মুখে হরিবল বাণী উচ্চারণ করিয়ে তাদেরকে হয়তো হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা করছেন বলে সন্দেহ করতে থাকে জনসাধারণ।
ইসকন নিয়ে সেই ষাটের দশক থেকে কিরূপ সমালোচনা চলছে তা বুঝতে হলে নিউ ইয়র্কের মার্কিন ফেডারেল কোর্টের কয়েকটি আলোচিত মামলা সম্পর্কে জানতে হবে। ১৯৭৬ সালে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে People Vs Murphy অর্থাৎ জনগণ বনাম মার্ফি মামলায় দু’জন মার্কিন নাগরিক আদালতে ইসকনের বিরুদ্ধে এই বলে অভিযোগ দায়ের করেন যে, ইসকনের ধর্মগুরুরা তাদের কোমলমতি শিশুসন্তানদের ব্রেনওয়াশ করে প্রথমে তাদেরকে পরিবার থেকে আলাদা করেছে এবং পরবর্তীকালে ধর্মান্তরিত করেছে।
উপরোল্লিখিত, ঘটনার পর ১৯৮৭ সালে আরেকটি মামলায় ইসকন নেতা কির্তানন্দের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে হত্যা মামলার চার্জ গঠন হয় এবং তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং তার ৫০০ সহযোগীকে প্রতারণার দায়েও অভিযুক্ত করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে বিরাট এক অপরাধী গ্যাং গড়ে তুলেছে যাকে অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় Racketeering বলা হয়।
ইসকন সম্পর্কে উল্লিখিত দু’টি সাড়া জাগানো মামলার বাইরে সত্তর এবং আশির দশকে শিশু নির্যাতন এবং শিশু বলাৎকারের একাধিক মামলা দায়ের করা হয়, যেগুলোর মধ্যে টারলি কেস (Turley Case) সারা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেয়। ২০০৪ সালে এই মামলা নিষ্পত্তি হয়। বাদির পক্ষে আদালতের রায় ছিল যে, ইসকনকে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাত হাজার ৬০০ কোটি টাকা বাদিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইসকন এ অবস্থায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে ১২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করে রক্ষা পায়।
সূত্র : অন্তর্জাল।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইসকনের বাড়বাড়ি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: স্বাধীন দেশে শরীয়া ল চালু করেন, মুসলমানের দেশে হরিনাম? তওবা তওবা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দাদা ইসকন প্রকৃত হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করেনা। ওরা চরমপন্থী সংগঠন। মুসলিমদের মধ্যেই চরমপন্থ যেমন আছে ঠিক তেমনই হিন্দুদের চরমপন্থী ইসকন।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশে উক্ত সংগঠনটি হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের মতোই অন্যতম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠন এরা সম্প্রীতির বিরুদ্ধে এবং বিভেদের পক্ষে কাজ করছে নিরন্তর।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ইসকন চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করেছে এরা ভারত থেকে আর্থিক কারিগরী এবং উগ্রহিন্দুদের সমর্থন পাচ্ছে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হাসিনা পতনের পর ভারত পুরোদমে ইসকনকে সাহায্য করছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সেই সংগে আম্লিগ উস্কানী দিচ্ছে।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং ইসকন উভয়ই উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। সরকারকে এখন এদের বিষয়ে ভাবতে হবে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং ইসকন দুটোই উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন এবং দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তার করছে।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮
অরণি বলেছেন: ইসকনকে এখনই কন্ট্রোল করতে হবে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কঠেরভাবে ইসকনকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। তাদের আয়ের উৎস্য যাচাই বাছাই করতে হবে।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
প্রহররাজা বলেছেন: অই তোরা(টোকাই) রাজুতে আয়৷ ইসকন আমাদের মারছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অই ওরা (শুয়োর) দেশকে আক্রমন করছে। ব্লগ থেকে আবাদদের ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: এতো দিন হিন্দুরা প্রতিবাদ করতো না।মুকবুঝে সহ্য করতো।যেই প্রতিবাদ করা শুরু করলো সেই কতো রকমের কথা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে ওরা ২৫ % চাকুরীর সুবিধা ভোগ করছে তারপর তারা বঞ্চিত? এতো সুখ ভারতীয় সংখ্যালঘুদের আছে?
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৯
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতারক হলো ইসকন : মানেকা গান্ধী
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যারা এখানে হাউকাউ করছে এরা কেউই এই পোস্টটি পড়েনি। ইসকনের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র করছে।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১৩
আহরণ বলেছেন: পীরের আস্তানা, মাজার, খানকা, সুফি সাধক, খাজাবাবা, মাইজ ভান্ডারি, মন্দির, গির্জা, মঠ........... কারা ভেংগেছে!! @ ভাইয়া?
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এগুলো সব তুমিই ভেঙ্গেছো @ দাদা।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৪
মেঘনা বলেছেন: ইসকন এর সাধুদের চেহারা দেখে তাদের সাজ পোশাক দেখে তাদেরকে চরমপন্থী বলে মানেহয় না
আমার ঠিক জানা নাই
তাই জানতে চাই - বাংলাদেশের ইসকনের কার্যক্রম কত সাল থেকে চালু আছে? এই সময়ের মধ্যে তারা কতগুলি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে? অর্থাৎ মসজিদে হামলা, মাজারে হামলা, বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা, থানা ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দেওয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আশা করি আপনি এই তথ্যগুলি জানেন এবং আমাদের জানাবেন। কারণ আপনার মুখের কথায় কেউ চরমপন্থী হয়ে যাবে না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাদের চরমপন্থা নিয়ে একটা পোস্ট কয়েকদিনের মধ্যেই দিবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি পুরো লেখা পড়েননি। অযথাই মন্তব্য করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।