নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
বিগত ১৫/১৬ বছরের দূর্শাসন, শোষন, নিপীড়ন, জুলুম, হত্যা, গুম, অপহরণ, ব্যাংক লুট, প্রকল্পের টাকা লুট, হয়রানী, ভীতিপ্রদর্শন, গণতন্ত্র হত্যা, পুলিশ আওয়ামীলীগীকরণ, প্রশাসন দলীয়করণ, বিচারব্যবস্থা আওয়ামীলীগীকরণ, নেতাকর্মী কতৃক পুরো দেশ লুটপাটকরণ এমন কোন হেন কাজ নেই যা হাসিনা তথা তার সরকার করেনি সর্বশেষ গণহত্যায় মেতে উঠেছিল হাসিনার ফেসিস্ট সরকার যেখানে হত্যা করা হয় প্রায় ২ হাজার মানুষ এবং আহত বা পঙ্গু হয় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ইতিসাসের বৃহত্তম ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেই ফেসিস্টরা দলবলে পালিয়ে অবৈধ্ভাবে আশ্রয় নেই ভারতে। সাম্প্রদায়িক খুনি মোদী সরকার আরেক পতিত খুনিকে আশ্রয় দেয়, কোলে তুলে নেই। জনগণকে তোয়াক্কা না করে পতিত হাসিনাকেই পিরিতের বন্ধনে আবদ্ধ করে সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদী।
মোদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এখন ক্ষমতার কেন্দ্রে, মোদী যখন গুজরাটে মূখ্যমন্ত্রী তখন তিনি দাঙ্গা বাধিয়ে দুই হাজারেরও বেশি মুসলিমকে হত্যা করেছিলেন, বাবরি মসজিদ আক্রমনের নাটের গুরু তিনিই ছিলেন সেখানেও বহু মুলিমকে হত্যা করা হয়েছিল এবং সেই তিনিই বিচার ব্যবস্থায় তার অনুগত একজন বিচারপতি বসিয়ে বাবরি মসজিদের যায়গাতে মন্দির নির্মান করেছেন এবং সেই মোদীই তার নিয়ন্ত্রনাধীন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দ্বারা এখন মুসলিমদের সব ধর্মীয় স্থাপনার নিচে মন্দির খুঁজে বেড়াচ্ছে বা পাচ্ছে। এই মোদীই গরু গোবর গোমূত্রকে কেন্দ্রকরে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করছেন এবং উগ্র একটি গোষ্টি তৈরি করছেন যারা বিশ্বাসের ঠেলায় গোবর গোমূত্র খাবে অপরদিকে গোমাংস খাওয়কে কেন্দ্র করে মুসলিমদের পিটিয়ে, পুড়িয়ে হত্যা করছে তখন মোদী তথা তাদের কেউ কথা বলছেনা। নিজেদেশে যারা সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং সংখ্যালঘুদের প্রতিনিয়ত নিপীড়ন করছে সেই তারাই আবার অন্যদেশে ত্রাতার ভুমিকায় নেমে অহেতুক বিদ্বেষ ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
একটা সময় এমন ছিল যখন বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবাংলা একাকার ছিল, ছিলানা কোন ভেদাভেদ শুধু একটা সীমান্ত ছাড়া ছিলনা কোন দূরত্ব কিন্তু রাজনৈতকি পরিক্রমায় সেটা এখন সুদূর অতীত।
গেরুয়ারা এতোটাই ঘৃণার চর্চা করছে যে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং হাইকমিশনের অনেক আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। তাদের পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা দিনের আলোর মতো পরিস্কার করে যে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের সংগঠনের সদস্য কতৃক হামলা ভাংচূর নিঃসন্দেহে পূর্বপরিকল্পিত এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশে ঘৃণার ব্যবহার উভয় দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী টানাপড়েন সৃষ্টি করবে। এই ঘৃণার রেশ চলতে থাকবে দশকের পর দশক যা কোন দেশের জন্যই হিতকর নহে। তবে আশার কথা হলো ভারতে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা সৎপ্রতিবেশী সুলভ এবং মানবীয়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মোদী হিন্দুত্ববাদী কার্ড খেলছে ভোটের জন্য।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮
অরণি বলেছেন: হিবেবে স্থলে হিসেবে হবে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বুঝে নিয়েছি।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ক্ষোভে শুরু কিম্বা উস্কানিমূলক অপকর্ম ইন্ডিয়াই করেছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইন্ডিয়া একচ্ছত্রভাবে, অন্যায়ভাবে হাসিনাকে সমর্থন না হয়তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হতোনা।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
ঘৃণা আছে বলেই তো ভালোবাসা অনুভব করা যায়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কথা মন্দ বলেননি, টক ছাড়া ঝাল, লবন ছাড়া মিষ্টি যেমন অনুভব করা যায়না।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভারতের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য যে ফাটল সৃষ্টি হলো এর প্রভাব পড়বে দীর্ঘমেয়াদী। যে তীক্ততা ও বিদ্বেষের সৃষ্টি হলো তা সহসা পূরণ হবার নয়।
তবে একটা বিষয়, ভারত গুরু রপ্তানী বন্ধ করাতে বাংলাদেশ এখন গরুতে স্বয়ংসম্পূর্ন হয়েছে অনেক খামারী তৈরি হয়েছে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে তেমনি অন্যান্য সেক্টরেও সেটাই ঘটবে যা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভারত গুরু রপ্তানী বন্ধ করাতে বাংলাদেশ এখন গরু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ন হয়েছে, অনেক খামারী তৈরি হয়েছে, অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে তেমনি অন্যান্য সেক্টরেও সেটাই ঘটবে যা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
বাংলাদেশে চেয়ে ভারতই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে কারণ চিকিৎসা, ভ্রমন ও বাণিজ্য মিলিয়ে প্রায় ১৮/১৯ বিলিয়নের বাজার চাট্টিখানি ব্যাপার না এমন একটা বাজার সৃষ্টি করতে বহু সময়ের দরকার। পয়সা থাকলে দ্রব্য সামগ্রী বিশ্বব্যাপী পাওয়া যাবে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভারতীয়দের কথাবার্তা এমন যে ওরা আমাদেরকে ফ্রি খাওয়াইতেছে! ওরা পণ্য না পাঠাইলে আমরা না খেয়ে মারা যাবো!
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
ভেঁড়াদের জন্য কওমী সংগীত রচনা করা কি থামবে না?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার মতো ভেঁড়া আছে বলেই কওমী সংগীত রচনা চলছে। খুশি তো?
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভারত বিরোধিতা এই দেশের রাজণীতিতে বিরাজ করার অর্থ হচ্ছে দেশ সঠিক পথে আছে। যখন দেখব আবারো রাজনৈতিক দলগুলো নতজানু পররাস্ট্রনীতির দিকে ঝুকে পড়েছে , তখন বুঝে নিতে হবে দেশ সঠিক পথে নাই। স্বাধীনতা বিরোধি দল জামাত প্রথম থেকেই জানান দিয়েছে যে , ভারত তাদের বন্ধু। বিএনপিও তাই । এখন সাময়িক তারা ভোল পাল্টেছে । তানহলে জনগনের সামনে একেবারেই খেলো হয়ে যেত। তবে ক্ষমতায় গেলে স্বরুপে ফিরে যাবে। লুটপাঠের রাজনীতি করতে হলে , ভারতের গোলামি ছাড়া সম্ভব না।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের সমস্যাটা হচ্ছে দেশপ্রেমকি নেতার বড়ই অভাব। অসৎ নেতাদের দিয়ে সব কিছুই করা সম্ভব
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২
ঊণকৌটী বলেছেন: পাগলের দেশের, পাগলা দের রচনাবলী |কালে কালে দেখেন, ভবিষ্যতে অন্ধকার |
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঊণকৌটী পাগলের রচনা বলছেন কেন? এই লেখায় কোনটি মিথ্যা তথ্য? আপনি যদি বলতেন তাহলে নিজেকে সংশোধন করে নিতাম। অযথা উপরের পরগাছা ভেড়ার মতো ভেড়ামী করবেন না।
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৯
কাঁউটাল বলেছেন: মেঠোপথ২৩ বলেছেন: লুটপাঠের রাজনীতি করতে হলে , ভারতের গোলামি ছাড়া সম্ভব না।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লুটপাটের রাজনীতি করতে হলে কারো না কারো গোলামী করতেই হবে।
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪২
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভারতের হাই কমান্ড থেকে আমার কাছে মনে হচ্ছে না সেরকম উহ-আহ করা হচ্ছে, কলকাতা-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এবং ইউটিউবাররা অনলাইনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আছেন! আওয়ামী লীগ ভারতের লোকাল চ্যানেল এবং নিউজ পেপারে মালপানি ঢেলেছে বোধহয়, দেশকে অশান্ত করার জন্য! এই ধরনের ক্ষেত্রে লবিং ভালো কাজ করে, মালপানি দিলে!
আমাদের দেশের মতো তাদের দেশেও ধর্মান্ধ ভরপুর! বাংলাদেশ হাইকমিশনে আক্রমণ এটা নীচু জাতির পরিচয় বহন করে। কিছুদিন আগে এক বাংলাদেশী ছাত্রকে তারা দেশে ফিরিয়ে পাঠিয়েছে, তার দোষ ছিল, সে নাকি কোনো ভারত-বিরোধী পোস্টে লাভ রিয়েক্ট দিয়েছে। এতটুকু লিবারেল তারা হতে পারেনি, আমেরিকায় বসে আপনি আমেরিকার অনেক কিছু সমালোচনা করতে পারবেন, যেমন কলকাতার দাদারা এখানে বাংলাদেশে এসে গালাগাল করলেও তাদের আইডি বহাল তবিয়তে থাকে! আমিও চাই তারা কথা বলুক।
২০১৫/২০১৬ ঢাকাতে এক সময় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, আমি তখন ডেনমার্কে থাকি, এক কলকাতার দাদার সাথে আমার খাতির ছিল, তিনি পরের দিন দেখি ঈদের চেয়ে বেশী খুশি, আমার কাছে ঘটনার বর্ণনা করছিল আর খুশিতে তার কথা আটকে যাচ্ছিল বার বার, তাদের চ্যানেলে নাকি দেখাচ্ছে বার বার, আমি বললাম দাদা আপনি শান্ত হোন আমি শুনছি, আমি মনে মনে বলি খাইছে এত খুশী কেরে! তবে সাউথ ইন্ডিয়ান-রা অনেক লিভারেল, আমার সাথে অনেকের এখনও খাতির আছে!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গেরুয়া বাহিনী ও মোদী সমর্থক এরা বেশিরভাগ নীচু শ্রেনির। মোদী অমিত গোবর গোমূত্র খায় না কিন্তু তাদের অনুসারী মূর্খদের ঠিকই খাওয়াচ্ছে; এরাই পাগলের মতো ঘেউ ঘেউ করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
অরণি বলেছেন: মোদী তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কৌশল হিবেবে বাংলাদেশে উস্কানী দিচ্ছে। চিন্ময়কে বলির পাঁঠা বানিয়েছে।