নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোনো সিদ্ধান্ত একটি বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নেওয়া অযৌক্তিক ও অমানবিক।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:২০


এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় এই ফল বিপর্যয়ের কারণ কী। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কাউকে কোনো ছক বেঁধে দিইনি বা নির্দিষ্ট করে দিইনি যে এভাবে নম্বর ছাড় দেবেন অথবা ওভারমার্কিং করবেন। বেশি বেশি দিয়ে পাসের হার বাড়াতে হবে, এ রকম কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’ অর্থাৎ নম্বর বাড়ানোর জন্য বা পাসের হার বেশি দেখানোর জন্য বোর্ড বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে কোনো রকম নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের ব্যাপার অতীতে ঘটেছে। আর তার ফলে পাসের হার যথেষ্ট বেশি দেখানো সম্ভব হয়েছে। সেটি ভালো হয়নি, এটা সবাই মানবেন; কিন্তু হঠাৎ এ বছর এর বিলোপ ঘটানোর ফলে নতুন সংকট যে তৈরি হতে পারে, এটা হয়তো কেউ ভেবে দেখেননি। এ বছর এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে চাকরির বাজারে লড়াইয়ে নামবেন; কিন্তু ‘ওভারমার্কিং’–এর সুবিধা না পাওয়ার কারণে তাঁরা তাঁদের আগের কয়েক বছরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে শুরুতেই পিছিয়ে থাকবেন। অথচ এ জন্য তাঁদের কোনো দায় ছিল না। তা ছাড়া আশানুরূপ ফল না পাওয়ার কারণে অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। এর আগে রেজাল্টের কারণে আত্মহত্যা করার প্রবণতাও দেখা গেছে।

কোনো সিদ্ধান্ত একটি বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নেওয়া অযৌক্তিক ও অমানবিক। একই সঙ্গে খাতা মূল্যায়ন ও নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ডের কোনো নির্দেশনা না থাকার ব্যাপারটিও যৌক্তিক নয়। লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্ন অনুযায়ী নম্বর দেওয়ার মানদণ্ড নির্ধারণ করা দরকার। অর্থাৎ কোন ধরনের ভুলের জন্য কত নম্বর কাটা হবে কিংবা কোন ধরনের উপস্থাপনার জন্য কত নম্বর যুক্ত হবে, সেটি আগেই ঠিক করা দরকার। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের বসিয়ে আগেই এটি নির্ধারণ করতে হবে। পরীক্ষার খাতা পরীক্ষকদের কাছে বণ্টনের সময়ে এই নির্দেশিকাও তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হঠাৎ হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের আর কতকাল গিনিপিগ বানিয়ে রাখবে? এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

আমি নই বলেছেন: পরের বছরই হয়ত আবার দেখা যাবে পাশের ছরাছরি, আজব একটা দেশ। যখন যার যা মনে হয় করে ফেলে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হয়তো ছড়াছড়ি হতে পারে কিন্তু বর্তমান এই ছাত্রদের দোষ কি ছিল?

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আগে পাশের হার বেশী দেখানোতে কার ক্ষতি হলো- সেই ফলাফল ছাত্রছাত্রীদেরকেই ভোগ করতে হচ্ছে এবং হবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উভয় ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী হলো শিক্ষার্তীরা মাঝখানে কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করলো। আজব একদেশ!

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো বিষয়ে লিখেছেন । একটা ইশকুলে দেখলাম ১০৭ জন এক্সাম দিয়ে ১০৪ জন ফেইল । ১০৪ জনই কি পড়াশোনা করতো না ? এরা যদি পড়াশোনায় ভালো না হতো তাহলে কিভাবে test পাশ করলো ? সকল টিচার এবং হেডটিচার কে যাচাই এক্সাম নেয়া উচিত । তারা আসলে কিভাবে নিয়োগ পাইসে সেটা দেখা জরুরি । এডুকেশন board কেন কলেজ শাখা চালু করতে দিয়েছে সেখানে সেটারও খোজ নেয়া দরকার ।

১২ জন মিলে পড়িয়ে ৭ জনকে পাশ করাতে পারেনি । কেন পারেনি কোয়েশচন করার পর এনসার দিসে সেই ৭ জন নাকি পড়ে না. টিচার রা কেবল বেতন নিসে মাসে মাসে । মানবিকের ৭ জনকে এতোজন টিচার দিয়ে পড়ালে পাশ করবেই । বিএনপি নাকি এমপিও দের জাতিয়করন করবে । এমপিও কলেজে এবার বহু ফেইল করেছে । সরকারি টাকা খেতে আরাম কিনতু কাজ করতে বোরিং লাগে ।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সকল টিচার এবং হেডটিচারদের যাচাই এক্সামের আওতায় আনা উচিত। এরা স্কুল কলেজে না পড়িয়ে বসে বসে সরকারি টাকা খাচ্ছে আরামসে কিন্তু কাজ করতে তাদের বড্ড বোরিং লাগে।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এ বছর এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে চাকরির বাজারে লড়াইয়ে নামবেন; কিন্তু ওভারমার্কিং–এর সুবিধা না পাওয়ার কারণে তারা তাদের আগের কয়েক বছরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে শুরুতেই পিছিয়ে থাকবেন। অথচ এ জন্য তাদের কোনো দায় ছিল না। হয়তো এজন্য আমৃত্যু শিক্ষার্থীদের এ দায় বহন করে চলতে হবে যার দায় কেউ নেবেনা! :(

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গিনিপিক বানাতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে আমৃত্যু এ দায় বহন করে চলতে হবে যার দায় কেউ নেবেনা!

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪

অরণি বলেছেন: কিছু দিন পরপরই নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের গিনিপিগ বানানো হচ্ছে। এবার যে শিক্ষার্থীরা অর্থাৎ HSC-25 এর শিক্ষার্থীরা করোনার সময় ৮ম শ্রেণিতে ছিল তার মানে এরা ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেনিতে পড়ার কোন সুযোগই পায়নি অথচ সেই শিক্ষার্থীদেরকেই আবারো গিনিপিগ বানানো হলো; এই প্রজন্মটিকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হলো এরা আর কোনভাবেই দাড়াতে পারবেনা।

এটা অত্যন্ত অমানবিক, অন্যায্য ও অন্যায় কিন্তু এদায় নেবে কে?

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি একেবারে আসল বিষয়টি সামনে এনেছে; এরা একদিকে করোনার কারণে শেষ হয়ে গেছে এবার সরকার এদেরকে শেষ করে দিলো।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো ভাবে লেখাপড়া শিখে ছাত্ররা পাস করুক।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার কথা শতভাগ ঠিক কিন্তু হঠাৎ করে কাউকে গিনিপিগ বানানো ঠিক না।

@ অরণি বলেছেন----এবার যে শিক্ষার্থীরা অর্থাৎ HSC-25 এর শিক্ষার্থীরা করোনার সময় ৮ম শ্রেণিতে ছিল তার মানে এরা ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেনিতে পড়ার কোন সুযোগই পায়নি অথচ সেই শিক্ষার্থীদেরকেই আবারো গিনিপিগ বানানো হলো; এই প্রজন্মটিকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হলো এরা আর কোনভাবেই দাড়াতে পারবেনা।

এটা অত্যন্ত অমানবিক, অন্যায্য ও অন্যায় কিন্তু এদায় নেবে কে?

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ৫ নং কমেনেট অরণি বলেছেন, কিছু দিন পরপরই নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের গিনিপিগ বানানো হচ্ছে। এবার যে শিক্ষার্থীরা অর্থাৎ HSC-25 এর শিক্ষার্থীরা করোনার সময় ৮ম শ্রেণিতে ছিল তার মানে এরা ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেনিতে পড়ার কোন সুযোগই পায়নি অথচ সেই শিক্ষার্থীদেরকেই আবারো গিনিপিগ বানানো হলো; এই প্রজন্মটিকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হলো এরা আর কোনভাবেই দাড়াতে পারবেনা।

এটা অত্যন্ত অমানবিক, অন্যায্য ও অন্যায় কিন্তু এদায় নেবে কে?

স হ ম ত ।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: কথাটি ৫ নং কমেন্টে হবে।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



বোরাকে করে বাংগালীদের চাঁদে অবতরণের করার ব্যাপারে আপনার পোষ্ট আশা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.